28/04/2024
হ্যাম রেডিও বা অ্যামেচার রেডিও হলো বেতার তরঙ্গ ব্যবহার করে অবাণিজ্যিক তথ্যের আদান-প্রদান, বেতার যন্ত্র নিয়ে গবেষণা, ব্যক্তিগত বিনোদন, প্রতিযোগিতা এবং জরুরি যোগাযোগ। তবে এর বিশেষ ব্যবহার দেখা যায় দুর্যোগ কালে।এটি হচ্ছে এমন এক ধরনের ব্যবস্থা যাতে একজন ব্যবহারকারী নিজেই একটি পূর্ণাঙ্গ বেতার গ্রাহক ও প্রেরক যন্ত্রের অধিকারী হন। বেতার যন্ত্র আবিষ্কার এর পরপরই শৌখিন বেতার যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু হয় বিশ্বব্যাপী। এই ব্যবস্থায় কোন একজন ব্যক্তি বা গোষ্ঠী এই যোগাযোগকারী যন্ত্রের মাধ্যমে বেতার তরঙ্গ ব্যবহার করে নিজ শহর, নিজ দেশ এমন কি সম্পূর্ণ বিশ্বব্যপী অপরাপর এই ধরনের যন্ত্র ব্যবহারকারীদের সঙ্গে তথ্য আদান প্রদান করে থাকেন। এটি একটি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সম্পর্কিত শখ, যা রাজনীতি, ব্যবসা, ব্যক্তিস্বার্থ বা অন্যান্য স্বার্থ বিষয়াদির উপরে অবস্থান করে এবং ঐ সকল বিষয়ে এইখানে তথ্য আদান-প্রদান করা নীতিবহির্ভুত। এই যোগাযোগ ব্যবস্থার সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে এতে সরাসরি বেতার তরঙ্গ কে ব্যবহারকারীগণ ব্যবহার করে ফলে যেকোন প্রাকৃতিক দূর্যোগের সময়ও এই যোগাযোগ ব্যবস্থা ব্যহত হয়না। ডিজিটাল পদ্ধতিতে এখন কাজ করা গেলেও মূলতেই অ্যানালগ পদ্ধতিতে কাজ করে হ্যাম রেডিও। একজন অপারেটর ফ্রিকোয়েন্সি পাঠায় বায়ুমণ্ডলে, সেখান থেকে দূরবর্তী স্টেশন বা অপারেটর তা সংগ্রহ করে। মোবাইল ফোন কাজ করে অপারেটর টু অপারেটর। হ্যাম রেডিও কাজ করে স্টেশন টু স্টেশন। দুর্যোগকালে যখন বিদ্যুৎ থাকে না কিংবা মোবাইল টাওয়ার ভেঙে পড়ে তখন হ্যাম অপারেটররা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। হ্যাম অপারেটরদের হ্যান্ডসেট যেমন থাকে আবার অনেকের কাছে থাকে বেইজ স্টেশন। অ্যামেচার বা হ্যাম রেডিওর বয়স একশোর কাছাকাছি। যারা মোর্স কোডে দুর্বল ছিল তাদের বলা হতো হ্যাম। রেডিও আবিস্কারের পরেও হ্যাম শব্দটি চালু ছিল। হ্যাম মানে দাঁড়ায় সৌখিন বা অদক্ষ।
প্রত্যেক বেতারযন্ত্র গ্রাহকের নিজস্ব কল সাইন আছে। বাংলাদেশের বেতারযন্ত্র ব্যবহারের লাইসেন্স দেয় বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)( https://btrc.gov.bd/ )। লাইসেন্সের সঙ্গে একটি কল সাইনও দেওয়া হয়। যা স্বতন্ত্র (যেমন আমার কল সাইন S21SRK)। এই কল সাইন ব্যবহার করেই একজন অ্যামেচার রেডিও অপারেটর অন্য একজন অপারেটরের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।
Source: Wiki