25/01/2024
অসম্ভব রকমের তেতো কথাগুলো। ফেসবুক থেকে সংগৃহীত। আমারও খুব তেতো লেগেছে তবে গিলতে পারলে উপকার আছে গ্যারান্টি দিলাম। কোনো ভুলত্রুটির জন্য আমি দায়ী নই। কুরআনের কষ্টিপাথরে যাচাই করে নিবেন সত্য ও মিথ্যা টা। ধন্যবাদ।-
কোন নবী-রাসূল কি মসজিদ নির্মাণের জন্য রাস্তায়,
গাড়ি আটকে,মাইকে ফজিলত বর্ণনা করে ঘুরে ঘুরে টাকা উত্তলন করেছেন? তো আপনি করেন কেন?
কুরআনে আল্লাহ যা কিছুতে পুরুষ্কার দিয়েছেন,এর বাইরে কোন কিছুতে সোয়াব,নেকি নেই।কিন্তু সদকায়ে জারিয়া হিসেবে পূণ্য পাওয়ার আশায় যারা ভাবে মসজিদ নির্মাণ করলে তার সওয়াব আজীবন কবরেও পৌঁছাতে থাকবে, তারা বোকার স্বর্গে বাস করছে‼ কারণ এই দান আল্লাহর নির্দেশিত সিলেবাসের অন্তর্ভুক্ত নয়!!মৃত্যুর সাথে সাথেই মানুষের আমলনামা বন্ধ হয়ে যায়।
আমাদের মসজিদ কি আল্লাহর বলা মসজিদ?মসজিদের রক্ষনাবেক্ষনের নামে যা করা হয়,তা কি আল্লাহর বিধানের সাথে মানে কুরআনের সাথে সম্পর্কযুক্ত? সূরা তওবা ৬০ নম্বর আয়াত দেখুন। সূরা বাকারার ২১৫ নম্বর দেখুন।
ঢাকাকে বলা হয় মসজিদের শহর।সবাই মসজিদে দান করতে ব্যস্ত!তথাকথিত আলেমদের বয়ান অনুযায়ী মসজিদে দান করলেই বিরাট পূণ্য! জাঁকজমকপূর্ণভাবে প্রচুর অর্থ খরচ করে তৈরি করা হয় মসজিদ।এমন মসজিদ তৈরি বা মসজিদে দান করার আদেশ কি আল্লাহ দিয়েছেন⁉ তাহলে কোরআনের আয়াত দিন।
নবীজির সময় মসজিদ ছিল সকল ভালো কাজের প্রাণকেন্দ্র।এখানে কুরআনের বিধান জেনে মানুষ একক বা দলীয়ভাবে কায়েম বা বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিত।মসজিদে ক্ষুধার্ত মানুষ খাবার পেত,ঘৃহহীন মানুষ থাকার জায়গা পেত।শুধু তাই নয় ঘৃহহীন ব্যক্তিকে মসজিদ থেকে সম্মিলিত উদ্যগে ঘর তুলে দেওয়া হত।বস্ত্রহীন ব্যাক্তি, কর্মহীন ব্যাক্তি,অসুস্থ বাক্তি ও ঋণগ্রস্ত ব্যক্তির ঋণ পরিশোধের ব্যাবস্থা হত সম্মিলিতভাবে মসজিদের দান থেকে।স্বজনহারা,একাকিত্বে ভোগা ব্যাক্তি আল্লাহর আয়াত শুনে,ভরসা পেতেন।মসজিদ থেকে বের হয়ে মানুষ ন্যায় বিচার,অন্যের হক মানে আল্লাহর বিধান তথা কুরআন প্রতিষ্ঠা করতো।কেননা সেসময় শুধু কুরআনই চর্চা হতো।জুমআ মানে একত্রিত হওয়া,মানুষ মসজিদে একত্রিত হত,আল্লাহর বিধান শুনতে ও সেই বিধান কিভাবে বা কোন কোন ক্ষেত্রে প্রয়োগ করা যায়,কিভাবে মিলিতভাবে এই বিধান প্রতিষ্ঠা করা যায় তার আলোচনা হত। তাহলে আপনারা কি করছেন?
আর এখন মসজিদ কিছু রাকাত নামাজের পর বন্ধ।
আল্লাহর বিধান মসজিদে জানা যায় না সেখানে সুর সেখানো হয়।আর বেতনভুক্ত ইমাম আর খাদেম রাখা হয়।এখন হুজুররা ভাড়ায় দোয়া,মিলাদ,খতম দিতে যান।অথচ নবী রাসুল,সাহাবাদেরকে মানুষজন ওয়াজ করার জন্য ভাড়া করে নিতনা,তারা কেউ চুক্তিভিত্তিক ওয়াজ করতেও যেতেননা।তারা দ্বীন বা কুরআন প্রচার করতেন নিজের সম্পদ ব্যয় করে।এই পথে তারা অনেক জুলুমের স্বীকার হতেন,অনেক ত্যাগ স্বীকার করতেন,এমনকি দেশান্তরী হতেন।শুধুমাত্র মানুষকে আল্লাহর দেয়া বিধান বা নিয়ম জানাতে।শুধু আল্লাহর বিধান প্রচার ও প্রতিষ্ঠা করতে।অন্য কারো নিয়ম বা বিধান নয়। অথচ আমরা মসজিদের ভিতরে ইমাম মোয়াজ্জিনের ঘুমানোর জায়গা বানাই। তারা নামাজ পড়ায় খায় আর ঘুমায় সামাজিক কোন কর্মকান্ডে তাদের পাওয়া যায় না।
"আল্লাহ যা গ্রন্থে অবতীর্ণ করেছেন তা যারা গোপন করে ও তৎপরিবর্তে নগন্য মূল্য গ্রহণ করে নিশ্চয় তারা অগ্নি ছাড়া অন্য কিছু ভক্ষন করেনা এবং উত্থান দিনে আল্লাহ তাদের সাথে কথা বলবেননা,তাদেরকে পবিত্র করবেননা এবং তাদের জন্য রয়েছে যন্ত্রনাদায়ক শাস্তি।"(বাকারা ২:১৭৪)।
এখন মিলায় দেখেন এই জাতীয় লোক যাদের পিছনে আমরা নামাজ পড়ছি তারা পৃথিবীতে সার্টিফিকেটধারী জাহান্নামি। আল্লাহ ক্ষমা করুন।
পরের আয়াতে দেখুন আল্লাহ তাদের জন্য আফসোস করছেন।
আমাদের নামাজ আমাদের কুরআনের সাথে সংযোগ করছে না,ইমাম একে চাকরি হিসেবে দেখছে আর মুসল্লিরা একে শুধু হাজিরা হিসেবে দেখছে।আল্লাহর নিষেধ,দ্বীনের বিনিময় নেয়াকে আমরা সমাজে প্রতাষ্ঠানিক রূপ দিয়েছি।মসজিদ তৈরি করে তাতে ইমাম খাদেম নিয়োগ দিয়ে, তাদের বেতনের ব্যাবস্থা করে আমরা ইসলাম কায়েম করছি।
কিন্তু ইমামতি করলে নিজের নামাজের সাথে মুসল্লিদের নামাজও আদায় হয়ে যাচ্ছে।আলাদা করে সময় দিতে হচ্ছে না।আর এই পরিশ্রম তারা কার জন্য করছে,কেন করছে?আসলে নিজের জন্যেই করছে।নামাজ পড়ে আল্লাহর,আর পারিশ্রমিক নেয় মানুষের কাছ থেকে!?ইবাদতের নামে তারা একটা সহজ পেশা তৈরী করেছে। অথচ সে ব্যবসা-বাণিজ্য করলে থেকে আরো অনেক সম্মানিত হতো। মসজিদের সময় মত নামাজ পড়াতো বিনিময় ছাড়া।
সামাজিকভাবে ক্ষমতাশালী হওয়ার জন্য মসজিদ কমিটি এখন অন্যতম হাতিয়ার। প্রভাব-প্রতিপত্তির ভিত্তিতে নতুন নতুন মসজিদ গড়ে উঠছে।বিভিন্ন তরীকার মসজিদ বিভিন্ন গোত্র শাসন করছে।হুজুগে মানুষজন মসজিদ কমিটির সাথে জড়িত থাকাকে বিরাট ধর্মীয় কাজ মনে করছে। অথচ এই কমিটির লোক একজনও নামাজ পড়াতে জানে না।
মসজিদ কমিটির দায়ীত্বশীল হলে এখন বড় অপরাধী হয়েও সামাজিক সম্মান বজায় রাখা যায় তাই টাকা খরচ করে হলেও অনেকে কমিটিতে নাম লেখাচ্ছে।ইমামতি আর সামাজিক দাওয়াত খাওয়ার আশায় ধর্মজীবিরাও এটাকে ব্যাবহার করে তাদের ইমামতি আর মুয়াজ্জিনী চালিয়ে যায়।খতম,হাদীয়া তোহফা নির্ভর তাদের জীবন, শবে বরাত আর শবে কদর অনুষ্ঠানের কমিশন!আর তাদের কাজ শুধু লেবাস ধরে দানের ফজিলত বলে অর্থ কালেকশন।
অথচ এদের উচিত ছিল নিজেরা সংশোধন হওয়া মুসল্লিদের সংশোধন করা তারা কোরআন পড়ছে কিন্তু কোন মর্ম বুঝে না। সূরা আলা ১৪-১৫ নামাজের পূর্বে কলবকে জাক্কি করা কলবে জিকির জারি করা তারপর নামাজ পড়া। এ বিষয়ে তাদের কোন জ্ঞান নাই অথচ নামাজ পড়াচ্ছে।
ইহুদী নাসারার দেশে মানুষ ঘর খোলা রেখে ঘুমাতে পারে, কিন্তু হাজার বছর নামাজ,ওয়াজ করেও মসজিদে জুতা চুরিই বন্ধ হল না। এদের দ্বারা মানুষ কিভাবে হেদায়েত পাবে?