https://www.facebook.com/377518968782324/

Hiya moni, Kushtia, Khulna (2025)

15/07/2025

অহংকার ছাড়া মানুষ ফুলের চেয়েও বেশি সুন্দর 🥰❤️🌿

15/07/2025

যতটুকু দেখো, ততটুকু আছি ভালো,
কে দেখে বুকের ভেতর, কতটা অগোছালো!
💔🥀🌿

14/07/2025

🖤 💜⭕💜 💙কখনো হাল ছাড়বেন না, আপনার স্বপ্ন অনুসরণ করুন।🖤 💜⭕💜 💙

13/07/2025

🔵━❖❖🔵❖❖━━🔵ভুল থেকে শিক্ষা নিন, এবং এগিয়ে যান।🔵━❖❖🔵❖❖━━🔵

13/07/2025

🥰❤️🥰

13/07/2025

🥰❤️🥀

13/07/2025

💔💔🥀

26/08/2024

আমি পদ্মজা
লেখক:ইলমা বেহরোজ
দ্বিতীয় পর্ব (১ম অংশ)
---------------
বাড়িটা মোড়ল বাড়ি নামে পরিচিত। পদ্মজার দাদার নাম ছিলো মিয়াফর মোড়ল।তিনি গ্রামের একজন সম্মানিত লোক ছিলেন। ছয় কাঠা জমির ওপর টিনের বিশাল বড় বাড়ি বানিয়ে ছিলেন চার ছেলের জন্য। দুই ছেলে ষোলো বছর আগে ১৯৭১সালের যুদ্ধে নিহত হয়েছে।দুজনই টগবগে যবুক ছিলো। আর একজন আট বছর বয়সে কলেরা রোগে গত হলো।বাকি রইলো মর্শেদ মোড়ল।বর্তমানে এই বাড়ি মোর্শেদের অধীনে।যদিও তিনি থাকেন না সবসময়।পুরো বাড়ির চারপাশ জুড়ে গাছগাছালি। বাড়ির পিছনে নদী। রাত নয়টা বাজলেই পরিবেশ নিশুতি রাতের রুপ ধারন করে।রাতের এই নির্জন প্রান্তর ঝিঁঝিঁ পোকার ডাকে ছেয়ে গেছে।ঝিঁঝিঁ পোকার সাথে পদ্মজার ভাঙা কান্না মিলেমিশে ভৌতিক পরিবেশ সৃষ্টি করেছে।মনে হচ্ছে, কোনো আত্মা তার ইহজীবনে না পাওয়া কোনো বস্তুর শোকে এমন মরা সুর ধরেছে।হেমলতা পদ্মজাকে টেনে পাশে বসান।পদ্মজা ডান হাতের উল্টো পাশ দিয়ে চোখের জল মুছে হেমলতাকে বলল,'মামা সৌদিতে যাওয়ার আগের দিন আমাদের সবার দাওয়াত ছিলো না নানাবাড়ি? খালামণি, ভাই-বোনেরা সবাই এসেছিলো। সেদিন ঢাকা থেকে যাত্রার লোক আসছিলো মনে আছে আম্মা?'

'আছে।'

উঠোনে ধপ করে একটা আওয়াজ হয়।হেমলতা, পদ্মজা কেঁপে উঠল।পূর্ণা, প্রেমা দরজায় কান পেতে রেখেছিল মা-বোনের কথা শুনতে।হুট করে কিছু পড়ে যাওয়ার আওয়াজ হওয়াতে দুজন ভয় পেয়ে যায়। দরজা ঠিলে হুড়মুড়িয়ে রুমে ঢুকে পড়ে।হেমলতা বড় মেয়ের সাথে গোপন বৈঠক ভেঙে দিয়ে বারান্দায় এসে দাঁড়ান।

উঠোনে বিদ্যুৎ নেই। হারিকেন জ্বালান। পিছনে তিন মেয়ে এসে দাঁড়িয়েছে।একজন মায়ের তিন মেয়ে নিয়ে একা এত বড় বাড়িতে বাস করাও যুদ্ধ বটে।হেমলতা গলা উঁচিয়ে প্রশ্ন করলেন,'কে?কে ওখানে?'

'আমি'

চিরপরিচিত এই কন্ঠ চিনতে হেমলতার বিড়ম্বনা হলো না।তিনি ব্যস্ত পায়ে উঠোনে নেমে আসেন।গেইটের পাশে মোর্শেদ মোড়ল পড়ে রয়েছেন।গায়ে চাদর।হাঁপড়ের মতো বুক উঠা-নামা করছে তার।যেন দম ফুরিয়ে যাচ্ছে। হেমলতা দুহাত দিয়ে তাকে আঁকড়ে ধরলেন।পদ্মজা, পূর্ণা দৌড়ে আসে।মোর্শেদের এমফাইসিমা রোগ আছে।এ রোগে অল্প চলাফেরাতেই শ্বাসটানের উপক্রম হয় এবং দম ফুরিয়ে যায়। শ্বাস নেবার সময় গলার শিরা ভরে যায়।তিন মা -মেয়ে মোর্শেদকে ধরে রুমে নিয়ে আসে।মোর্শেদ এভাবেই হুটহাট করে বাড়ি ফেরে।কখনো কাকডাকা ভোরে, কখনো নিশুতি রাতে বা কখনো কাঠফাটা রোদে।
----------------------

চলবে,,,,,,

14/08/2024

আমি পদ্মজা
লেখক: ইলমা বেহরোজ
প্রথম পর্ব(শেষ অংশ)

পদ্মজা কিছুতেই খেতে আসল না।কেমন জড়োসড়ো হয়ে আছে। মনে হচ্ছে, হানিফকে ভয় পাচ্ছে বা অবহেলা করছে।হানিফ ছয় বছর ছৌদিতে ছিল।তিনমাস হলো দেশে ফিরেছে।তিন মাসে যতবার হানিফ এইবাড়িতে পা রেখেছে ততবারই পদ্মজা অজুহাত দিয়ে দূরে দূরে থেকেছে।হেমলতার বিচক্ষণ মস্তিষ্ক মুহূর্তে ভেবে নিলো অনেক কিছু। তাই জোর করলেন না।আজই এই লুকোচুরির ফয়সালা হবে।হানিফ পদ্মজাকে দেখার জন্য অনেক ছলচাতরী করল।কিছুতেই সুযোগ পেল না।বিদ্যুৎ আসার ঘন্টা খানেক পর হানিফ চলে যায়।পূর্ণা, প্রেমা রুমে ঢুকতেই পদ্মজা ঝাঁপিয়ে পড়ে।রুদ্ধশ্বাস কন্ঠে বলল,' কতবার না করেছি?লোকটার পাশে বেশিক্ষণ না থাকতে?তোরা কেনো শুনিস না আমার কথা? '

পূর্ণা ও প্রেমা বিস্ময়ে হতবিহ্বল। পদ্মজা কখনো তাদেরকে এমন নিষেধ দেয় নি।তাহলে এখন কেন এমন বলছে?হেমলতা রুমে ঢুকতেই পদ্মজা চুপসে গেল।

'পদ্ম আমার রুমে আয়।'

মায়ের এমন কঠিন শুনে পদ্মজার কলিজা শুকিয়ে আসে।হেমলতা নিজের রুমে চলে যান।

হেমলতা মেয়ের দিকে তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছেন।পদ্মজা নতজানু হয়ে কাঁপছে। সুন্দরীরা ভীতু আর বোকা হয় তার দৃষ্টান্ত প্রমাণ পদ্মজা।হেমলতার খুব মায়া হয় পদ্মজার সাথে উঁচু গলায় কথা বলতে। পদ্মজা রুপসী বলেই হয়তো।গোপনে আবেগ লুকিয়ে তিনি বজ্রকন্ঠে প্রশ্ন করলেন,'কী লুকোচ্ছিস?হানিফের সামনে কেন যেতে চাস না?সে কী করেছে?'

পদ্মজা ফোপাঁতে থাকে।হেমলতা সেকেন্ড কয়েক সময় নিয়ে নিজেকে সামলান।কন্ঠ নরম করে বললেন,'হানিফ ধড়িবাজ লোক।সৎ ভাই বলে বলছি না। আমি জানি।তাঁর ব্যাপারে যেকোনো কথা আমার বিশ্বাস হবে।তুই বল কি লুকোচ্ছিস?'

মায়ের আদুরে কন্ঠে পদ্মজা আচমকা বাঁধ ভাঙা নদীর মতো হুঁ হুঁ করে কেঁদে ওঠে।

চলবে,,,,,,,

14/08/2024

আমি পদ্মজা
লেখক :ইলমা বেহরোজ
প্রথম পর্ব(৩য় অংশ)

দুইবার মাকে জিজ্ঞাসা করেছে সে,'আমি কি তোমাদের সত্যিকারের মেয়ে, আম্মা? সন্তান হয় না বলে কি দত্তক এনেছিলে?আব্বা কেন আমাকে এতো অবহেলা করেন?ও আম্মা বলো না?'
হেমলতা তখন নিশ্চুপ থাকেন।অনেকক্ষণ পর বলেন,'তুই আমার গর্ভের সন্তান। আর তোর বাবারই মেয়ে । এখন যা, পড়তে বস।অনেক পড়তে হবে তোর।'
ব্যস এইটুকুই এর বেশি কিছু বলেন না হেমলতা।পদ্মজার কেন জানি মনে হয়, একদিন হেমলতা নিজ থেকেখুব গোপন কথা বলবেন। তবে সেটা যেন সহ্য করার মতো হয়।এই দোয়ায় সারাক্ষণ করে সে।
'এতো কি ভাবছিস? তাড়াতাড়ি খেয়ে ওঠ?'
হেমলতার কথায় পদ্মজার ভাবনার সুতো ছিড়ল।দ্রুত খেয়ে ওঠে।আজ আমের আচার বানানোর কথা ছিলো।
----------------------------------
সন্ধ্যা কাটতেই বিদ্যুৎ চলে গেল। কয়েক মাস হলো গ্রামে বিদ্যুৎ এসেছে।আট গ্রাম মিলিয়ে অলন্দপুর।তাঁদের গ্রামের নাম আটপাড়া।প্রতিদিন নিয়ম করে সন্ধ্যারাত থেকে তিনঘন্টা গ্রাম অন্ধকারে তলিয়ে থাকে।আর সারাদিনতো বিদ্যুতের নামগন্ধও থাকে না।বিদ্যুৎ দিয়ে লাভটা কি হলো?পদ্মজা,পূর্ণা,প্রেমা তিন বোন পড়তে বসেছিল।বাড়ি অন্ধকার হতেই নয় বছরের প্রেমা খামছে ধরে পদ্মজার ওড়না।পদ্মজা মৃদু স্বরে ডাকল, 'আম্মা? আম্মা,,, '
'আয়, টর্চ নিয়ে যা।'হেমলতার আহবানে পদ্মজা উঠে দাঁড়াল। প্রেমা অন্ধকার খুব ভয় পায়। পদ্মজার ওড়না ছেড়ে পূর্ণার হাত চেপে ধরে। টর্চ নিয়ে রুমে ঢোকার মুহূর্তে পদ্মজা গেইট খোলার আওয়াজ পেল।উঁকি দিয়ে হানিফকে দেখে সে দ্রুত রুমে ঢুকে পড়ল।হানিফ পদ্মজার সৎ মামা।
'বুবু বাড়ি অন্ধকার ক্যান।বাত্তি-টাত্তি জ্বালাও।'হানিফের কন্ঠ।

'হানিফ আসছিস?'হেমলতা রুম থেকে বেরিয়ে বলেন।হাতে হারিকেন।হানিফ সবকটি দাঁত বের করে হাসল।বলল,'হ,আমি।'
'আয়, ভেতরে আয়।'
হানিফ বারান্দা পেরিয়ে বড় ঘরে ঢুকে বলল,'তোমার ছেড়ি গুলান কইতে?'

'আছে রুমেই। পড়ছে।'
'এই আন্ধারেও পড়ে।'
হেমলতা কিছু বললেন না।হানিফ এই বাড়িতে আসলে কেন জানি খুব অস্বস্তি হয়।অকারনেই।

'ওদের খাওয়ার সময় হয়েছে। তুইও খেয়ে নে?'

'এইহানেই খামু?না তোমার সরাইখানাত যাইতে হইব?'

কথাটায় রসিকতা ছিল।গ্রামে থেকেও হেমলতা খাওয়ার জন্য আলাদা রুম নির্বাচন করেছেন সেটা হানিফের কাছে রসিকতায় বটে।হেমলতা প্রশ্নের জবাব সোজাসাপটা না দিয়ে বললেন,'খেতে চাইলে খেতে আয়।'
পদ্মজা কিছুতেই খেতে আসল না।কেমন জড়োসড়ো হয়ে আছে। মনে হচ্ছে, হানিফকে ভয় পাচ্ছে বা অবহেলা করছে।

14/08/2024

আমি পদ্মজা
লেখক:ইলমা বেহরোজ
প্রথম পর্ব (২য় অংশ)

'আচ্ছা, আম্মা। '
পূর্ণা রুমে এসে আয়নার সামনে দাঁড়াল। নিজেকে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখল।এরপর গত মাসে মেলা থেকে আনা লাল লিপস্টিক গাঢ় করে ঠোঁটে মাখে। চৌদ্দ বছরের পূর্ণার ইদানীং খুব সাজতে ইচ্ছা করে।হেমলতা সেজেগুজে স্কুলে যাওয়া পছন্দ করেন না বলে, পূর্ণা আগে লিপস্টিক মাখে নি।
-----------
টিন দেয়ালের কাঠের ঘড়ির কাঁটায় সকাল দশটা বাজল মাত্র। এখনো পদ্মজা উঠল না।হেমলতা মেয়েদের রুমে ঢুকেন। পদ্মজা দু'হাত ভাঁজ করে ঘুমাচ্ছে। জানালার পর্দা ভেদ করে আসা আলতো পেলব রোদ্দুরের স্পর্শে পদ্মজার মসৃণ,পাতলা ঠোঁট, ফর্সা ত্বক চিকচিক করছে। হেমলতা বিসমিল্লাহ বলে, তিনবার ফুঁ দেন মেয়ের শরীরে। গুরুজনেরা বলেন, মায়ের নজর লাগে বেশি।নজর কাটাতে বিসমিল্লাহ বলে তিনবার ফুঁ দিতে হয়।হেমলতার মায়া লাগছে পদ্মজার ঘুম ভাঙাতে।তবুও আদুরে গলায় ডাকলেন,'পদ্ম। এই পদ্ম,,,, '

পদ্মজা চোখ খুলে মাকে দেখে দ্রুত উঠে বসে।যেদিন ঘুম থেকে উঠতে দেরি হয় সেদিনই হেমলতা ডেকে তুলেন।পদ্মজা অপরাধী কন্ঠে প্রশ্ন করলো,' বেশি দেরি হয়ে গেছে আম্মা? '

'সমস্যা নেই।মুখ ধুয়ে খেতে আয়।'
পদ্মজা দ্রুত কলপাড়ে গিয়ে ব্রাশ করে, মুখ ধৌত করে।হেমলতা শিক্ষকের মেয়ে। তাই তাঁর মধ্যে নিয়ম -নীতির প্রভাব বেশি। মেয়েদের শক্ত-পোক্ত নিয়মে রেখে বড় করছেন।পদ্মজা রান্নাঘরে ঢুকে দেখল প্লেটে খাবার সাজানো।সে মৃদু হেসে প্লেট নিয়ে টেবিলে গিয়ে বসল।তখন হেমলতা আসেন।পদ্ম দ্রুত ওড়না দিয়ে মাথা ঢাকে।হেমলতার দেওয়া আরেকটা নিয়ম,খাওয়ার সময় মাথা ঢেকে খেতে হবে।পদ্মজা নিশ্চুপ থেকে শান্ত ভঙ্গিতে খেতে থাকল।হেমলতা মেয়েকে সহজ কন্ঠে বললেন, 'তাড়াহুড়ো করছিস কেন?মুখ ধুতে গিয়ে চুল ভিজিয়ে এসেছিস।খেয়ে রোদে বসে চুলটা শুকিয়ে নিবি।
'আচ্ছা, আম্মা। '
'আম্মা, পূর্ণা, প্রেমা আসে নাই?'

'পূর্ণা আসছে। স্কুলে গেছে।প্রেমা দুপুরে আসব।'
'আম্মা, আব্বা কবে আসবেন?'
পদ্মজার প্রশ্নে হেমলতা দাড়িয়ে পড়লেন।শুকনো গলায় জবাব দেন,'জানি না। খাওয়ার সময় কথা বলতে নেই।'
হেমলতা চলে যেতেই পদ্মর চোখ থেকে টুপ করে এক ফোঁটা জল পড়ে পাতে।পদ্মজা দ্রুত হাতের উল্টো পাশ দিয়ে জল মুছে। পদ্মজার জীবনে জন্মদাতা আছে ঠিকই।কিন্তু জন্মদাতার আদর নেই।সে জানে না তার দোষটা কি?কেন নিজের বাবা বাকি বোনদের আদর করলেও তাকে করে না?কথা অবধিও বলে না।দুইবার মাকে জিজ্ঞাসা করেছে সে,'আমি কি তোমাদের সত্যিকারের মেয়ে আম্মা?

14/08/2024

আমি পদ্মজা
লেখক:ইলমা বেহরোজ
প্রথম পর্ব (১ম অংশ)

১৯৮৯ সাল।সকাল সকাল রশিদ ঘটকের আগমনে হেমলতা ভীষণ বিরক্ত হন। তিনি বার বার পই পই করে বলেছেন,'পদ্মর বিয়ে আমি এখুনি দেব না। পদ্মকে অনেক পড়াবো।'তবুও রশিদউদ্দীন প্রতি সপ্তাহে, সপ্তাহে একেক পাত্রের খোঁজ নিয়ে আসবেন। মেয়ের বয়স আর কতই হলো? মাত্র ষোলো।শামসুল আলমের মেয়ের বিয়ে হয়েছে চব্বিশ বছর বয়সে। পদ্মর বিয়েও তখনি হবে।পদ্মর পছন্দ মতো। হেমলতা রশিদকে দেখেও না দেখার ভান করলো।রশিদ একদলা থুতু ফেললেন উঠানে।এরপর হেমলতার উদ্দেশ্যে বললেন,'বুঝছো পদ্মর মা, এইবার যে পাত্র আনছি,এক্কেরে খাঁটি হীরা।'

হেমলতা বিরক্ত ভরা কন্ঠে জবাব দিলেন,' আমি আমার মেয়ের জন্য পাত্র চাইনি।তবুও বারবার কেন আসেন আপনি? '

'যুবতী মাইয়া ঘরে রাহন ভালা না।'

'মেয়েটা তো আমার। আমাকেই বুঝতে দিন।'হেমলতার কন্ঠে বিরক্তি ঝরে পড়ছে।

রশিদ অনেক চেষ্টা করেও সুবিধা করতে পারলেন না।ব্যর্থ থমথমে পা নিয়ে সড়কে পা রাখেন।প্রতিদিনই কোনো না কোনো পাত্র এসে হাতে টাকা গুঁজে দিয়ে বলবে,'মোর্শেদের বড় ছেড়িডারে চাই।'

রশিদ নিজে নিজে বিড়বিড় করে আওড়ান, 'গেরামে কি আর ছেড়ি নাই?একটা ছেড়িরেই ক্যান সবার চোক্ষে পড়তে হইব?চাইলে কি সব পাওন যায়?'
পূর্না স্কুল জামা পরে পদ্মকে ডাকল,'আপা?এই আপা?স্কুলে যাবি না?আপারে,,,'

পদ্মজা পিটপিট করে চোখ খুলে কোনোমতে বলল,'না।' পরপরই চোখ বুজে ঘুমে তলিয়ে গেল।পূর্না নিরাশ হয়ে মায়ের রুমে আসে।

'আম্মা, আপা কি স্কুলে যাইব না?'

হেমলতা বিছানা ঝাড়া রেখে পূর্ণার দিকে কড়া চোখে তাকান।রাগী স্বরে বললেন, 'যাইব কি? যাবে বলবি?'

পূর্ণা মাথা নত করে ফেলল।হেমলতার কড়া আদেশ, মেয়েদের পড়াশোনা করাচ্ছি অশুদ্ধ ভাষায় কথা বলার জন্য নয়।শুদ্ধ ভাষায় কথা বলতে হবে।পূর্ণাকে মাথা নত করতে দেখে হেমলতা তৃপ্তি পান।তার মেয়ে গুলা মান্যতা চিনে খুব।খুবই অনুগত। তিনি বিছানা ঝাড়তে ঝাড়তে বললেন,'পদ্মর শরীর ভালো না।সারা রাত পেট ব্যথায় কাঁদছে। থাকুক, ঘুমাক।'

পূর্ণার কিশোরী মন বুঝে যায়, পদ্মজা কিসের ব্যথায় কেঁদেছিল।সে রাতে নানা বাড়ি ছিল বলে জানত না।ভোরেই চলে এসেছে।নানাবাড়ি হেঁটে যেতে পাঁচ মিনিট লাগে। পূর্ণাকে চুপচাপ থাকতে দেখে হেমলতা বললেন,' তুই যা।মাথা নিচু করে যাবি, মাথা নিচু করে আসবি।'

'আচ্ছা, আম্মা। '

চলবে,,,,,,,,,,,,,,

Hiya moni

15/07/2025

15/07/2025

14/07/2025

13/07/2025

13/07/2025

13/07/2025

13/07/2025

26/08/2024

14/08/2024

14/08/2024

14/08/2024

14/08/2024

Address

Website

Alerts

Shortcuts

Share

Category