25/08/2025
শুনলে অবাক হবেন, পৃথিবীর সবচে ক্ষমতাবান মানুষ হয়েও নেপোলিয়ন বোনাপার্ট তীব্র ভালোবাসার বিনিময়ে ভালোবাসা ফেরত পান নাই।
বরং পেয়েছিলেন অবহেলা আর নির্লিপ্ত প্রতারণা।
নেপোলিয়ান যে মেয়েকে পৃথিবীর পুরো সাম্রাজ্য দিয়ে দিতে চেয়েছিলো, সেই মেয়ে নেপোলিয়ানের জন্য বড় একটা চিঠিও লিখেনি। নেপোলিয়ান এই মেয়ের জন্য বড় বড় চিঠি লিখতো। এমনকি যুদ্ধের সময় ছবি রেখে দিতো পকেটে। সময়ে অসময়ে চুমু খাইতো সেই ছবিতে।
এতো ক্ষমতাধর একজন মানুষ, অথচ বৌ এর কাছে গিয়ে অসহায়ের মতো বলতো, আরেকটু বড় চিঠি লিখতে, যাতে এতো দ্রুত শেষ হয়ে না যায়।
বাট জোসেফাইন বোনাপার্ট কোনদিনও সেই বড় চিঠি লেখেনি। অথচ এরে বিয়ে করার জন্য নেপোলিয়ন পরিবারের বিরুদ্ধে গ। হ্যান্ডসাম একজন মানুষ হয়ে বয়সে বড়, বিধবা এবং দুই বাচ্চার মাকে সে বিয়ে করেছিলো, পাগলের মতো ভালোবেসেছিলো। অথচ নেপোলিয়ন মিশরে থাকা অবস্থায় সেই জোসেফাইন নেপোলিয়নের সাথে চিট করে বসে। সেনাপতির সাথে অ্যাফেয়ারে জড়িয়ে পড়ে।
ফারেনহাইট ৪৫১ বইতে একটা লাইন ছিলো এমন, It was a pleasure to burn.
যদিও ভিন্ন কনটেক্সট, তারপরেও এই লাইনটা পড়ার সাথে সাথে ভালোবাসার কথা মাথায় আসতে বাধ্য। এই পৃথিবীতে ভালোবাসার যে বড় আনন্দ কিছু নাই, ভালোবাসার থেকে কষ্টেরও সম্ভবত কিছু নাই। ভালোবাসার সবচেয়ে বড় ব্লাইন্ড স্পট হলো, আপনি কাকে ভালোবাসবেন বা বাসবেন না, সেইটা আপনার হাতে। কিন্তু আপনাকে কে ভালোবাসবে বা বাসবে না, ঐটা আপনার হাতে থাকবে না।
ভালোবাসাই এই পৃথিবীর এমন এক ব্যবসা, যেখানে আপনার সকল ইমোশনাল ইনভেস্টমেন্ট বিফলে যাবে জেনেও আপনি ওখানে ঢালতেই থাকবেন, ঢালতেই থাকবেন।
ভালোবাসাই পৃথিবীর একমাত্র খেলা, যে খেলাতে নিশ্চিত হার জেনেও মাঠ থেকে উঠতে ইচ্ছা করে না। বরং নির্লজ্জের মতো আরেকটু খেলে যেতে ইচ্ছা করে।
আফ্রিকান একটা প্রোভার্ব বলছিল , ভালোবাসা এমন এক অত্যাচারী শাসক, যে শাসকের হাত থেকে কেউ রক্ষা পায় না।
ভালোবাসা নিয়ে এর থেকে' সত্যি কথা আমি আর একটাও শুনি নাই, বিশ্বাস করেন।
সংগৃহীত