08/09/2025
অপারেশন থিয়েটারের দরজা ধীরে ধীরে বন্ধ হয়ে গেল।
বাইরে অস্থির হয়ে দাঁড়িয়ে ছিল স্বামী, পরিবারের সবাই। ভেতরে একজন নারী—যে আজ নিজের জীবনের সবচেয়ে বড় যুদ্ধ লড়তে যাচ্ছে।
শরীরে অজ্ঞান করার ওষুধ ঢুকতেই চোখ ধীরে ধীরে ভারী হয়ে এলো তার। হঠাৎ করে কানে এলো ডাক্তারদের শব্দ—“বেবি আউট!”
শিশুর প্রথম কান্না যেন মুহূর্তেই সব যন্ত্রণা ঢেকে দিল। কিন্তু সেই কান্নার পেছনে যে কতটা ত্যাগ, সেটা হয়তো কেউ বুঝতেই পারে না।
অপারেশনের পরে পেট কেটে সেলাই দেওয়া হলো।
কিন্তু মাত্র ছয় ঘণ্টা পরেই নার্স এসে বললো—
“আপনাকে উঠতে হবে।”
তীব্র ব্যথায় শরীর কাঁপছে, সেলাইয়ের জায়গাটা যেন ছিঁড়ে যাচ্ছে, তবুও দাঁড়াতে হলো। কারণ নতুন অতিথিকে তো বুকে নিতে হবে, তাকে দুধ খাওয়াতে হবে।
মায়ের চোখে তখন একদিকে অশ্রু, অন্যদিকে ভালোবাসার আলো।
তিনি জানেন—শরীরটা ভীষণ দুর্বল, প্রতিটি পা ফেলার সাথে সাথে মনে হচ্ছে বুক ফেটে যাবে যন্ত্রণায়। তবুও শিশুর ছোট্ট কান্না শুনলেই সবকিছু ভুলে গিয়ে তাকে জড়িয়ে ধরেন বুকের মাঝে।
এই পুরো যন্ত্রণার মাঝেও নতুন জীবনের দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেয় একজন মা।
রাত জেগে কাঁদতে থাকা শিশুকে কোলে নিয়ে দোলাতে থাকে, নিজের ক্ষত উপেক্ষা করে বুকের দুধ খাওয়ায়।
অ্যান্টিবায়োটিক, ব্যথানাশক, সেলাইয়ের টান, শরীরের অসহ্য যন্ত্রণা—এসবের মাঝেও তার হাসি শুধুই সন্তানের জন্য।
এটাই তো পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ত্যাগ।
এটাই সিজারিয়ান মায়ের মহত্ত্ব।
তুমি যদি একজন সিজারিয়ান মা হও—
জেনে রেখো, তুমি অদ্ভুত শক্তিশালী।
তুমি কষ্টের পাহাড় বুকে নিয়ে, হাসি দিয়ে জীবনকে আলিঙ্গন করো।
তুমি সত্যিই অসাধারণ। ❤️
সংগৃহীত