28/04/2025
🔴ইংশাআল্লাহ নাকি ইনশাআল্লাহ?
অর্থ- “যদি আল্লাহ চান”।
আমরা ভবিষ্যতে কোনো কাজ করার ইচ্ছে পোষন করলে إن شاء الله (যদি আল্লাহ চান) বলে থাকি। এই কথাটার মাধ্যমে আমরা মহান রাব্বুল আলামিনের প্রতি আমাদের নির্ভরশীলতা প্রকাশ করে থাকি।
মুমিন তার জীবনের প্রতিটি কাজে আল্লাহকে স্মরণ করবে। সে নির্ভর করবে একমাত্র আল্লাহর উপর, নিজের শক্তি সামর্থ্য ও উপায় উপকরণের উপর নয়। তাইতো মুমিন ভবিষ্যতের কোনো কাজের কথা বলতে ‘‘ইনশাআল্লাহ’’ বলে। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ আদব, যা আল্লাহ কুরআনে শিখিয়েছেন। আল্লাহ কুরআনে বলেছেন,
অর্থ ➡ ‘‘তোমরা ইচ্ছা করবে না ( তোমাদের ইচ্ছা বাস্তবে রূপ নিবে না ) যদি না আল্লাহ ইচ্ছা করেন যিনি জগতসমূহের প্রতিপালক।’’ – সূরা তাকভীর : ২৯
সূরা কাহাফের ২৩ ও ২৪ নম্বর আয়াতে আল্লাহ তাআলা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে সম্বোধন করে বলেছেন,
অর্থ ➡ “(হে নবী) কোনো কাজ সম্পর্কে কখনও বলো না ‘‘আমি এ কাজ আগামীকাল করব। তবে বল ‘‘ইনশাআল্লাহ’’ (আল্লাহ যদি চান তবে করব)”।
কিন্তু আমরা যে ভুলটি করি ➡ এটিকে “ইনশাআল্লাহ / In Shaa Allah” বলে থাকি।
মহাগ্রন্থ আল কুরআন এর ভাষা আরবি তাই আরবি ভাষার উচ্চারণ ও বানানে আমাদের সতর্ক হতে হবে না হয় ভুল বানান বা উচ্চারণে আসল অর্থই পরিবর্তন হয়ে যাবে!
যেমন: সূরা ইখলাসের প্রথমে ‘ক্বুল হুওয়াল্লাহু আহাদ’ ▶ অর্থ: “বলুন ,আল্লাহ এক।”
👉কিন্তু আমরা যদি ‘ক্বফ’ এর উচ্চারণ ‘কাফ’ এর মতো করে উচ্চারণ করি তাহলে এর অর্থ দাঁড়ায়,
⚠️ ‘খাও, আল্লাহ এক’ (নাউযুবিল্লাহ / আসতাগফিরুল্লাহ)
আশা করি, বুঝে গেছেন শুদ্ধ করে উচ্চারণ করাটা কতটা জরুরি।
📌 কেন ” ইংশাআল্লাহ ” বলবো?
তাজবীদের নিয়ম অনুসারে তানভীন বা নুন সাকিনের পরে ইখফার ১৫ টি হরফের যেকোনোটি আসলে তানভীনকে নাকের ভিতর লুকিয়ে ইখফা গুন্নাহ্ র সাথে উচ্চারণ করতে হয়।
তাই উচ্চারণ হওয়ার কথা ( إن شاء ) ‘ ইনশা ‘ কিন্তু উচ্চারণ হচ্ছে ‘ ইংশা ‘।
যদিও আমি দেখি কয়েক জায়গায় অনেকে বলেন কুরআন তেলাওয়াত এর সময় সঠিকটি উচ্চারণ করতে হয় হাদিস বর্ননা বা এমনি বলার ক্ষেত্রে না বললেও হয়।
কিন্তু উপরে সঠিক উচ্চারণ কেন বলবো খুব স্পষ্ট করে বলা হলো। তাই সঠিক উচ্চারন করাই উত্তম। অনেকে মনে করেন ইংশাআল্লাহ স্পেস দিয়ে লিখতে হয় ইত্যাদি নয়তো নাকি উচ্চারণ Create Allah হয়ে যায় নাউযুবিল্লাহ এমন কিছুই না।
▶ অর্থ পাল্টায় যখন আপনি লিখেন “ইনশাইল্লাহ”।(নাউযুবিল্লাহ,আস্তাগফিরুল্লাহ)
আশা করছি এখন থেকে “ইনশাআল্লাহ” বা “In Shaa Allah” লিখার পরিবর্তে “ইংশাআল্লাহ” বা “Ing Shaa Allah” বলবেন।
আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আমাদের সঠিক জ্ঞান দান করুন।
নিজে জেনে অপরকেও জানাবেন ইংশাআল্লাহ।
অবশ্যই আল্লাহ ভালো জানেন।
লেখা : Collected and Edited (সংগৃহীত ও পরিমার্জিত)