04/02/2025
আপনার বোন বা বান্ধবী যেই আপনার বাসায় আসুক,সে পর্দা করুক বা না করুক কখনো আপনার স্বামীর পাশাপাশি চেয়ারে খেতে দিবেন না,স্বামীর সামনে যেতে দিবেন না,এমনকি ভুলক্রমেও যেন সামনে না আসে সেই ব্যবস্থা করবেন সেখানে সংস্পর্শ বহু দূর কি বাত! আরেকটি বিষয় নিশ্চিত করুন এই যে দীর্ঘদিন যেন আপনার বাসায় তাদের অবস্থান না থাকে।
নিজের বোন,কাজিন বা বান্ধবী এই প্রতিটি নারী থেকে নিজ স্বামীকে দূরে রাখবেন। আপনার আপন মায়ের পেটের বোনের সাথেও যেন অপ্রয়োজনীয় কোনো কথা না বলে এবং বান্ধবীদেরকে তো সে চিনবেই না। হাসি তামাশা ঠাট্টা মশকরা করা তো বহু দূরের ব্যাপার।
গ্রামের প্রায় মুরব্বিই বলে আগুন আর ঘি পাশাপাশি রাখতে নাই।স্বামীর কাছাকাছি অন্য মহিলাদের আসাটা তারা পছন্দ করেনা। ধর্মীয় জ্ঞান থাকুক বা না থাকুক তারা তাদের অভিজ্ঞতা থেকে এটা জানান দেয় যে পরপুরুষের সাথে অন্য মহিলার কিসের এতো কথা! কিসেরই বা ঢলাঢলি!!
ঘুরতে যাওয়া,একসাথে বদ্ধ ঘরে বসে গল্প করা,গায়ে হাত দিয়ে কথা বলা,উচ্চস্বরে হাসা এগুলো সমাজে একদম সাধারন একটি বিষয়। কোনো লজ্জা ছাড়াই এটা স্বাভাবিক নিয়ম! স্ত্রীরাও এটা দেখে,মেনে নেয়,কিছু মনেই করেনা,ভেবে নেয় যেন এটাই হবার ছিলো! অথচ কত সংসার ভেঙে যায়, বিচ্ছেদ হয়, কতজনে নীরবে হ্যারাস হয়! এই সমাজে বহু ব্যাডা বেডি আছে যারা সুযোগ পায়না বলে ভালো আছে,আর যেগুলি সুযোগ পায় সেগুলি একদম আগুন জ্বালিয়ে দেয়। বহু মহিলা আছে একদম গায়ে পড়া স্বভাবের,এদের থেকে স্বামীকে দূরে রাখার চেষ্টা করুন।
কিছু জিনিস আছে যা একান্তই আমার।জরুরী নয় যে বান্ধবীর সাথে আপনার স্বামীর হেসে দুটো কথা বলতে হবে।তার সাথের সম্পর্ক আপনি পর্যন্তই যথেষ্ট। এমনও না যে কাজিনদের সাথে ঠাট্টা মশকরা না করলে জাত মান চলে যাবে কিংবা বোনের সাথে দূরত্ব রাখলে আপনাদের সম্মান ডুবে যাবে। যদি সম্মান,জাত মান চলে যায় তবে যেতে দিন।
অনেক পরিবারেই এটা নিয়ে অশান্তি হতে পারে যে কি হয় একটু কথা বললে বা উমুক তো বোনের মতোই। ঝগড়াঝাটি বাঁধতে পারে,মনমালিন্য হতে পারে। আপনার পক্ষের বোন বান্ধবীরাও অখুশি হতে পারে। সবকিছু হতে দিন,কথা বলা বন্ধ থাকলে থাকুক,দিন তিনেক তুমুল ঝামেলা চললেও আপনি নিশ্চিত করুন যে আগুন আর ঘি আপনি পাশাপাশি আসতে দিবেন না।
এতে চরিত্র এবং সংসার দুটোই বাঁচবে ইনশাআল্লাহ্!
and Ariba Babu আরাফ ও আরিবা বাবু