16/05/2025
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সাথে সংহতি এবং তাদের ওপর বর্বর পুলিশি হামলার তীব্র নিন্দা
আমরা, কুয়েটের শিক্ষার্থীরা, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন দফা দাবি আদায়ের “লংমার্চ টু যমুনা” কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ওপর রাষ্ট্রীয় বাহিনীর ন্যাক্কারজনক, অমানবিক ও বর্বর হামলার তীব্র নিন্দা ও ঘৃণা প্রকাশ করছি।
একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যখন বছরের পর বছর আবাসন সংকট, বাজেট বৈষম্য ও পরিকাঠামোগত অব্যবস্থাপনায় ভোগে, আবাসন নেই, আর মাথাপিছু বাজেট দেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনায় অনেক কম এবং বারংবার তাদের দাবি পূরণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ অপারগতা প্রকাশ করে—তখন তাদের ন্যায্য ও যৌক্তিক দাবি নিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে রাস্তায় নামা কোনো অপরাধ নয়, বরং তা একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে নাগরিক অধিকার
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তিনটি সুস্পষ্ট দাবি নিয়ে “লংমার্চ টু যমুনা” কর্মসূচি ঘোষণা করে :
১. ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীর জন্য আবাসন না হওয়া পর্যন্ত ২০২৫-২৬ অর্থবছর থেকে আবাসন বৃত্তি চালু করতে হবে।
২. বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রস্তাবিত পূর্ণাঙ্গ বাজেট কাটছাঁট না করে অনুমোদন দিতে হবে।
৩. দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ দ্রুত একনেক সভায় অনুমোদন দিয়ে বাস্তবায়ন করতে হবে।
কিন্তু শান্তিপূর্ণ এই মিছিলে রাষ্ট্রের জবাব ছিল টিয়ারশেল, সাউন্ড গ্রেনেড, জলকামান ও লাঠিচার্জ। রাজধানীর কাকরাইল মোড়ে ছাত্র-শিক্ষক, এমনকি সাংবাদিকদের ওপর চালানো হয়েছে সহিংস আক্রমণ। অনেক শিক্ষক-শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন, তার মধ্যে অনেকেই গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। রাজপথ যেন শিক্ষার্থীদের জন্য রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছিল। এই বর্বরতা জুলাই বিপ্লব পরবর্তী রাষ্ট্রে অকল্পনীয়। এটি শুধু একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপর নয়, এটি সমগ্র ছাত্রসমাজের উপর হামলা।
আমরা প্রশ্ন করি: এই রাষ্ট্র কি শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবির জবাব দিতে এতটাই অক্ষম যে, তাক এই হামলার আশ্রয় নিতে হয়?
আমরা, কুয়েটের শিক্ষার্থীরা, এই ন্যায্য আন্দোলনের প্রতি অটল সংহতি ও পূর্ণ সমর্থন ঘোষণা করছি এবং রাষ্ট্রীয় দমন-পীড়নের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার জোর দাবি জানাচ্ছি।
শিক্ষার্থীবৃন্দ
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়