11/05/2025
বাবাকে কো- /পি-য়ে হ. /ত্যা করা মেয়েটা শুরু থেকেই একটু উ /শৃংখলভাবে চলাফেরা করতো। বাবা প্রথমে কিছুটা বাঁ /ধা দিলেও মেয়েটা মানতো না।
বাবা আব্দুস সাত্তার ভাবতেন— থাক, মেয়ে বড় হয়েছে, সবসময় কিছু বলা যায় না। এর কিছুদিন পর মেয়েটা তার আরও দুই বান্ধবীকে সাভারের ফ্ল্যাট বাসায় সাবলেট রাখে।
আব্দুস সাত্তার প্রথমে কিছু বলেননি। ভেবেছিলেন—বান্ধবীই হবে, থাকুক না। তিনি নিজে ডাইনিং রুমে কষ্ট করে থাকতেন, কারণ মেয়ের সম্মান নষ্ট হোক এটা তিনি চাইতেন না।
মেয়েকে অনেক আদর করতেন, তার কষ্ট সইতেন। কিন্তু হঠাৎ তিনি লক্ষ্য করেন মেয়েসহ তার বান্ধবীরা নে_ /শা করছে, অ-স্বাভাবিক আ/ চরণ করছে।
তিনি মেয়েকে এসব বাদ দিতে বলেন এবং বান্ধবীদের চলে যেতে বলেন। মেয়েটা রে /গে গিয়ে বাবার সঙ্গে ঝগড়া করে, এমনকি গা**য়ে হা_ত তোলার মতো ঘটনাও ঘটে।
বাবা কিছুদিন পর একবার থানায় গিয়ে মেয়ের নামে একটি সাধারণ ডা_য়_রি করেন, যেন মেয়েটা সচেতন হয়। কিন্তু পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি, বরং উল্টো উ/ গ্র/তা বাড়ে।
এরপর এক রাতে মেয়েকে ডাকতে গিয়ে তিনি মেয়েসহ দুই বান্ধবীকে রু-চি-হী_ন অবস্থায় দেখতে পান। তারা পরস্পর এমন এক সম্পর্কে জড়িত ছিল, যা বাবা মেনে নিতে পারেননি।
তিনি বুঝতে পারেন মেয়েটি এবং বান্ধবীরা লে-/ সবি-আন সম্পর্কের মধ্যে ছিল এবং ছেলেদের প্রতি কোনো আগ্রহ তাদের ছিল না।
এমন অনৈ- /তি-কতা দেখে বাবা তাদের বাসা ছাড়ার অনুরোধ করেন। এতে মেয়ে আরও ক্ষেপে যায়, ঝগড়া হয়।
বাবা আব্দুস সাত্তার ঘনিষ্ঠদের সঙ্গে বিষয়টি শেয়ার করলেও সমাধান মেলেনি। উল্টো মেয়ে বুঝে যায়, বাবা তাদের 'লাইফস্টাইল' ও নে_ /শা রো'ধে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছেন।
তাই সে পরিকল্পনা করে কিভাবে তাকে সরানো যায়। ঠিক সেই পরিকল্পনামাফিক গতকাল ভোর ৪টার দিকে বাবা আব্দুস সাত্তারকে কো- /পি-য়ে হ. /ত্যা করে।
পরে সে একটি ধ-র_ /ষ-ণ নাটক সাজিয়ে বলে—সবাই যেন তাকে সা-পোর্ট করে এবং জামিনের ব্যবস্থা করে দেয়।
এর আগেও, ২০২৩ সালে সে বাবার নামে একটি মি- /থ্যা ধ-র_ /ষ-ণ মা /মলা করেছিল, যেখানে ফরেনসিক ও আদালত কোনো প্রমাণ না পেয়ে বাবাকে সসম্মানে মুক্তি দেয়।
বাবা আব্দুস সাত্তার চেয়েছিলেন তার মেয়েটা সঠিক পথে চলুক। কিন্তু আদরের মেয়ের হাতেই শেষ পর্যন্ত ৫৬ বছর বয়সে জীবন দিতে হলো তাঁকে।