21/07/2025
মনে করেছিলাম দেশের বিষয়ে ফেসবুকে আর কোনো কিছুই লিখবোনা, কারণ এখনতো আর আমাদের স্বাধীন বাংলাদেশ নেই এখন হয়েছে অরজিনাল পাকিস্তান, এই কারণে লিখতে চাইনি তারপর ও লিখছি গোপালগঞ্জের বিষয়ে নিয়ে গত ১লা জুলাই থেকে দেশের বিভিন্ন জেলায় জুলাই পদযাত্রা নামে বাংলাদেশের একটি অনিবন্ধিত রাজনৈতিক দল ( বতর্মান অসাংবিধানিক সরকারের দল ) প্রোগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছিল হঠাৎ করে ১৪ জুলাই তারা গোপালগঞ্জ জেলার জন্য পদযাত্রার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে নেয় এবং তারা ১৬ ই জুলাই গোপালগঞ্জের প্রোগ্রামের নাম দেয় মার্চ টু গোপালগঞ্জ মুলত সমস্যাটা এখান থেকে শুরু এবং উস্কানি মূলক বক্তব্য ও সংঘাতের হুমকি দিয়েই ক্ষান্ত হননি তারা বলেছে মুজিববাদ মুর্দ্রাবাদ এবং বলেছে গোপালগঞ্জ স্বাধীন করবে, আরো অনেকে বলেছে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় অবস্থিত বাংলাদেশের অবিসংবাদিত নেতা মহান স্বাধীনতার স্হপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিস্হল ভেঙ্গে মাটির সঙ্গে গুড়িয়ে দিবে যাহা পরবর্তীতে দুই পক্ষের চ্যালেঞ্জিংয়ের কারণে কারণে মহা সংঘাতের সৃষ্টি হয়, এখানে সম্পূর্ণ দোষ নিবন্ধনহীন রাজনৈতিক দল এনসিপির কারণ তারা অন্য জেলার মতো এখানে ও পদযাত্রা করলে এবং উস্কানি মূলক কথাবার্তা না বললে এই সংঘাতের ও প্রানহানির ঘটনা ঘটতনা, এবং ঘটনায় জন্য বতর্মান সরকার সেনাবাহিনী ও স্হানীয় প্রশাসন সম্পূর্ণ দায়ী, পূর্বে থেকে সরকার এবং স্হানীয় প্রশাসন কোনো ব্যবস্হা গ্রহণ করেনি সরকার এবং স্হানীয় প্রশাসন ও সেনাবাহিনীর উচিৎ ছিল আগে থেকে ওখানে ১৪৪ ধারা জারি করা, যেহেতু ১৬ ই জুলাই সকালবেলা যখন গোপালগঞ্জে পুলিশের গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে এবং সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার গাড়ি ভাংচুর এবং হামলা হয়েছে সেই সময়ই স্হানীয় প্রশাসন ও সেনাবাহিনীর উচিৎ ছিল সমাবেশ বন্ধ করে দিয়ে ১৪৪ ধারা জারি করা এবং ঢাকার থেকে আসতে চাওয়া এনসিপি নেতাদের বিরত রাখা, কিন্তু সেটি না করা উভয় পক্ষ কে যুদ্ধের মাঠে নামিয়ে খেলা দেখে চলে গেল কয়েকটি নিরীহ তাজা প্রানন, গোপালগঞ্জের ইতিহাস প্রত্যেকটি প্রশাসন এবং বাংলাদেশের সকল জেলার মানুষের জানা ওখানকার মানুষ সব সহ্য করতে পারে কিন্তু তাদের খোকা অর্থাৎ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কোনো অপমান তারা সহ্য করতে পারেনা, এখানে আগে অনেক রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী এবং রাজনৈতিক নেতারা অপমান অপদস্থ হয়ে ফিরে আসছে এমনকি গত ৫ ই আগস্ট ২০২৪ পরবর্তী সময় সেনাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষ এবং গাড়ি পুড়িয়ে দেওয়ার মতো ঘটনা ঘটেছে, যাক সেসব কথা এখন গোপালগঞ্জের প্রশাসন যে কাজটি করছে সেটি চোর চুরি করে যাওয়ার পরে বুদ্ধি বারে এবং পুলিশ আসে মারামারির পরে, এখানে প্রশাসন ব্যর্থ হয়ে ঘটনার সময় কোনো আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ না করিয়া নিরীহ জনগণের উপর লাঠিচার্জ টিয়ারশেল নিক্ষেপ, এবং গুলি বর্ষন এবং সেনাবাহিনীর গুলিতে এই পযর্ন্ত প্রায় ৭ জন নিহত হয়েছে, আহত হয়েছে শতাধিক নিরীহ মানুষ এবং এখনো গোপালগঞ্জে স্হানীয় প্রশাসন ১৪৪ ধারা জারি রেখে র্যাব, পুলিশ, সেনাবাহিনী, বিজিবি, নৌবাহিনী এদের কে দিয়ে শত শত নিরীহ জনগণ এবং শিশুদের কে ও গণগ্রেফতার করছে এর শেষ কোথায়? আরেকটি কথা স্বরণ করিয়ে দিতে চাই বতর্মানে সেনাবাহিনী গোপালগঞ্জে যে নির্বিচারে গুলি চালিয়ে নিরীহ অসহায় পুরুষ ও শিশুদের গণহত্যা করেছে মনে হচ্ছে যে ইসরাইলের ইহুদি সেনাবাহিনী ঠিক যেভাবে ফিলিস্তিনের গাজায় নিরীহ নিরস্ত্র মানুষের ও শিশুদের উপর বর্বরচিত হামলা চালায় সেইরুপ হামলার স্কীকার আজ গোপালগঞ্ছের মানুষের উপর হচ্ছে, আমি বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধানের উদ্দেশ্যে বলব আপনারা কাকে খুশী করতে এই ন্যক্কারজনক হামলা চালাচ্ছেন, একটি অনির্বাচিত অসাংবিধানিক সরকার কে আপনারা পাহারা দিয়ে রাখছেন এবং তাদের যত স্বাধীনতা বিরোধী কার্যক্রম আপনারা বাস্তবায়ন করছেন, জাতীয় নাগরিক পার্টি ( এনসিপি ) একটি অনিবন্ধিত রাজনৈতিক দল যাহারা আপনাকে এবং এই দেশের সেনাবাহিনী কে নিয়ে বিভিন্ন কুৎসাজনক বক্তব্য দিয়েছিল দেশের সার্বভৌম্ত্ত্বকে হুমকি দিয়েছিল তাদের কে আপনারা আবার পূনর্বাসন করছেন, আমরা দেখেছিলেম ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের আগে যখন আমাদের দেশের সাংবিধানিক ভাবে নির্বাচিত একটি সরকার এবং একজন নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী আপনাদের কে দেশ ও দেশের সম্মদ রক্ষার জন্য সামরিক বাহিনী কে মাঠে নামিয়েছিল সেই সময় একজন সেনা সদস্য ও দেশ ও দেশের সম্মদ এবং নির্বাচিত সরকার কে রক্ষা করার সেই মহান দায়িত্ব পালনে অসম্মতি জানিয়েছিল এবং ৫ ই আগস্ট ২০২৪ যখন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জীবনের নিরাপত্তার জন্য সামরিক বিমানে করে ভারত আশ্রয় নিলেন, সেই দিন আমাদের দেশের সেনাবাহিনীর উপস্থিতিতে এবং সহায়তায় এই জাতীয় নাগরিক পার্টির নেতারা পূর্বের সমন্বয়কারীরা ও জামায়াত শিবির রাজাকাররা আমাদের দেশের স্বাধীনতার মহানায়ক জাতীয় জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল এবং প্রতিকৃতি ভেঙ্গে ফেলে এবং দাঁড়িয়ে প্রসাব করেছে, গণভবনে. তেজগাঁও প্রধানমন্ত্রীর অফিস এমনকি আমাদের পবিত্র জাতীয় সংসদে হামলা ভাংচুর হয়েছে অথচ একজন সৈনিক ও সেই কাজে বাধা প্রদান করে নাই, এবং সময় নিষিদ্ধ ঘোষিত দলের আমির কে আমাদের সেনাবাহিনী প্রধান আমন্ত্রণ জানিয়ে বারবার তার নাম উচ্চারণ করেছিলেন, এই হলো আমাদের স্বাধীন বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর অবস্থা, বতর্মানে গোপালগঞ্জে এমনকি অবস্থা হয়েছে যে আজ আমাদের গর্বিত সেনাবাহিনী আমাদের দেশের একটি জেলার লোকের সঙ্গে যুদ্ধ করছে অথচ আমাদের এই গর্বিত সেনাবাহিনীই ২০২৪ সালে একটি রাষ্ট্র কে এবং রাষ্ট্রের সাংবিধানিক ভাবে নির্বাচিত একটি সরকার কে রক্ষা করতে পারে নাই, গোপালগঞ্জে কেন? সেনাবাহিনী নিরহীহ নিরস্ত্র জনগণ কে গুলি বর্ষন করে গণহত্যার সঙ্গে জড়িত হলো এবং চরম মানবাধিকার লঙ্ঘন করল এই বিষয়ে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি দ্বার জুডিশিয়াল তদন্ত কমিটি গঠন করে এবং জাতিসংঘের মানবাধিকার টিম দ্বারা গোপালগঞ্জের সেনাবাহিনীর গুলি বর্ষনের প্রকৃত রহস্য উদঘাটন করে জনসম্মুখে উম্মোচন করতে হবে, আর ৫ আগস্ট ২০২৪ এর পরবর্তী প্রত্যেকটি মব জাস্টিসের বিচার ও করতে হবে পরিশেষে একটি কথা বলতে চাই প্রত্যেকটি অপরাধি এবং দুর্নীতিগ্রস্ত লোকদের বিচার হোক সে যত বড়ই শক্তিশালী হোক না কেন দেশের প্রচলিত আইনের মাধ্যমে কোনো মব জাস্টিসের মাধ্যমে নয়, বিনা বিচারে নয় এমনকি ক্রস ফায়ারে নয়, অপরাধির ও বিচার পাওয়ার অধিকার আছে, আমরা সবাই মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান করি যাদের ত্যাগের বিনিময়ে পেয়েছি লাল সবুজের মানচিত্রের একটি স্বধীন দেশ, আত্মহত্যাকারী কে ঘৃণা করি, আলী হাফেজ, সকলের শ্রদ্ধান্তে : মোঃ আবুল বাশার চৌধুরী, মহামান্য রাষ্ট্রপতি কর্তৃক স্বর্ণপদক প্রাপ্ত সমাজ সেবক ও মানবাধিকার কর্মকর্তা, চেয়ারম্যান : চ্যানেল ন্যাশনাল ক্রাইম নিউজ ২৪ লিমিটেড, মহাপরিচালক : ন্যাশনাল ক্রাইম অবাজারভেশন এন্ড লিগ্যাল এইড সোসাইটি ( জাতীয় অপরাধ পর্যবেক্ষণ দুর্নীতি বিরোধী ও আইনী সহায়তা সংস্থা ) ৩। চেয়ারম্যান : বঙ্গবন্ধু জাতীয় মানবাধিকার ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ, ৪। ব্যবস্থাপনা পরিচালক : জয় টেলর লিমিটেড, ৫। সাধারণ সম্পাদক : ক্রাইম এন্ড এন্টিক্রপশন রিপোর্টার্স সমবায় সমিতি লিমিটেড।