Raj's Canvas of Life

Raj's Canvas of Life "জীবনের প্রতিটি অনুভূতি গল্প হয়ে মিশে আছে আমার ক্যানভাসে।"

27/08/2025

বিড়ালের পায়ের থাবার গতি অসাধারণ 🧐

গতবছর ভাইয়ার বাসায় যাওয়ার সময় আমের মুকুল দেখেছিলাম, শৈশবে প্রকৃতির কোলে বেড়ে ওঠা দূরন্ত মন হঠাৎ ধূলোর নগরে আমের মুকুল দে...
27/08/2025

গতবছর ভাইয়ার বাসায় যাওয়ার সময় আমের মুকুল দেখেছিলাম, শৈশবে প্রকৃতির কোলে বেড়ে ওঠা দূরন্ত মন হঠাৎ ধূলোর নগরে আমের মুকুল দেখাটা ছিল অন্য রকম অনুভূতি। তখন মাথার ভিতর কিছু শব্দ খেলা করে, যা কিছু লাইনে রূপ নেয়। এবারও হঠাৎ আম্র মুকুলের দেখা। কবিতাটি আবারও বেজে ওঠে মনের সুপ্ত কোণে!!

#কখন যে আম্র মুকুল ফুটিয়াছে,তাহা হয়নি দেখা!
কখন যে তার সুগন্ধ ছড়িয়েছে,পায়নি তার সুভাস।
পত্র ঝরা বৃক্ষের সেই সৌন্দর্য হয়নি দর্শন,
তবে কি ধুলাবালির এই নগরে আম্রকানন নাই?
আছে বৈ কি! তবে তাহা সর্বত্র মেলে না,
এখানে বসন্ত আছে কিন্তু তার বাতাস নেই!
ফুল,বৃক্ষ আছে কিন্তু সুভাস নেই, এখানে মানুষ বেশি কিন্তু মনুষ্যত্ব কম,
এখানে কেউ আসে কর্মে কেউ শিক্ষা, ব্যবসা আবার কেউ আসে নগর বিলাসিতায়!
নিরন্তর ছুটে চলা এই রুদ্র প্রকৃতির ব্যস্ত নগরীতে তেমনি আমি একজন!!...

-
Raj's Canvas of Life
Raj Mohammad Gazi
রাজ মোহাম্মদ গাজী

ঝিনাইদহের তত্বীপুরে বেড়াতে গিয়ে যেন প্রকৃতির সাথে প্রেমে পড়ে গেলাম। শীতকালীন সেই যাত্রা ছিল এক অপূর্ব অনুভূতি। ট্রেনে বস...
27/08/2025

ঝিনাইদহের তত্বীপুরে বেড়াতে গিয়ে যেন প্রকৃতির সাথে প্রেমে পড়ে গেলাম। শীতকালীন সেই যাত্রা ছিল এক অপূর্ব অনুভূতি। ট্রেনে বসে যশোরের প্রান্তরের সৌন্দর্য চোখ ভরিয়ে দেখছিলাম—খোলা মাঠ, দিগন্ত ছোঁয়া তেপান্তর, সোনালি ফসলের ক্ষেত, সবুজ গাছপালা, মাঠে ঘুরে বেড়ানো গরুর পাল আর দৌড়ঝাঁপ করা ঘোড়া—সব মিলিয়ে যেন আঁকা ছবির মতো লাগছিল।

যে আত্মীয় বাড়িতে উঠলাম, সেখান থেকে তাকালেই চোখে পড়ত এক মরা নদী, যার বুক জুড়ে শীতের ফসলের চাষ। নদীর ওপারে বিস্তীর্ণ মাঠ—ভুট্টা, গম, শীতকালীন নানা সবজি আর সারি সারি খেজুরগাছ। নদীর উপর বাঁশের সেতু যেন গ্রামীণ জীবনের নিঃশব্দ সৌন্দর্যকে আরও ফুটিয়ে তুলেছিল।

পাঁচটি দিন ছিলাম সেখানে। প্রতিটি সকাল শুরু হতো ভোরের কুয়াশা মাখা নদীর পাড়ে হেঁটে বেড়ানোর মধ্যে দিয়ে। সবুজ জমি, শিশিরভেজা ফসল আর গ্রামের শান্ত নীরবতা মন ভরে নিত। দুপুর হলে মরা নদীর হাঁটু-জলেই সঙ্গীদের সাথে খেলাধুলা আর গোসল—সে আনন্দ যেন শহরের কোলাহলে খুঁজে পাওয়া দায়।

রাত নামলে শুরু হতো অন্য রকম রোমাঞ্চ। ছোট্ট খেজুরগাছের পাশে পাটকাঠি হাতে নিয়ে গোপনে রস চুরি করার মজা ছিল অবর্ণনীয়। সামান্য আলো দেখলেই যেন বুক ধড়ফড় করে উঠত, আর বন্ধুরা একসাথে দৌড়ে লুকাত।

আহা, কত সহজ-সরল, কত নির্মল আনন্দ! প্রকৃতির এই টান আজও হৃদয় থেকে যায়নি। মাঝে মাঝে মনে হয়, যদি ঐখানে কয়েক বিঘা জমি কিনে একটি ছোট্ট বাড়ি বানাতে পারতাম—তাহলে হয়তো প্রকৃতির এই অপরূপ রূপের সাথে প্রতিদিনই মিশে যেত আমার জীবন।

স্মৃতির পাতায় থেকে যাবে দিনগুলো 🖤

Raj Mohammad Gazi
Raj's Canvas of Life

08/07/2025

খুলনার দাকোপ এলাকার সুন্দরবনের ভেতর দেখা মিলছে ডলফিনের 🐋

নয়নতারা (উদ্ভিদ)বৈজ্ঞানিক নাম : Catharanthus roseusএকটি সপুষ্পক উদ্ভিদ/ ফুল বিশেষনয়নতারা, একটি উদ্ভিদ, যা তার লালচে গো...
23/06/2025

নয়নতারা (উদ্ভিদ)

বৈজ্ঞানিক নাম : Catharanthus roseus

একটি সপুষ্পক উদ্ভিদ/ ফুল বিশেষ
নয়নতারা, একটি উদ্ভিদ, যা তার লালচে গোলাপি পাঁচ পাপড়ির ফুল গুলোর জন্য পরিচিত। এর বৈজ্ঞানিক নাম Catharanthus roseus, এটি Apocynaceae (dogbane, অথবা oleander পরিবার) পরিবারের একটি উদ্ভিদ। বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন নামেও পরিচিত, যেমন Cape periwinkle, Madagascar periwinkle, periwinkle, sadabahar, sadaphuli, sadasuhagi, sadsuhagan ইত্যাদি। এর আরেকটি প্রজাতি হলো Vinca rosea। জানা যায়, এর আদি উৎপত্তিস্থল মাদাগাস্কার।

Catharanthus roseus

বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস
জগৎ: উদ্ভিদ

বিভাগ: সপুষ্পক উদ্ভিদ

শ্রেণী: Magnoliopsida

বর্গ: Gentianales

পরিবার: Apocynaceae

গণ: Catharanthus

প্রজাতি: C. roseus

দ্বিপদী নাম : Catharanthus roseus
(কার্ল লিনিয়াস) George Don

প্রতিশব্দ
Vinca rosea

Catharanthus roseus

বর্ণনা :

আদি নিবাস মাদাগাস্কার তবে বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান ও আফ্রিকা মহাদেশসহ আরও বেশ কয়েকটি দেশে এর দেখা পাওয়া যায়। এটি একটি গুল্মজাতীয় উদ্ভিদ। বর্ষজীবী। কখনো কখনো অনেক বছর বেঁচে থাকতেও দেখা যায়। তবে পুরনো হয়ে গেলে ও যত্নে না রাখলে গাছটি শক্ত হয়ে যায়, ফুলও ধরে না। ২/৩ ফুটের বেশি বাড়তে দেখা যায় না। পাতা বিপরীত, মসৃণ, আয়তাকার বা ডিম্বাকৃতি।[১] পাঁচ পাপড়ি বিশিষ্ট ফুল। গোলাপি, হালকা গোলাপি ও সাদা রঙের ফুল ফোটে। তবে গন্ধ নেই ফুলে। কাণ্ড কোণাচে ধরনের, রঙ বেগুনি বা সাদা, বারোমাসী উদ্ভিদ, বীজের সাহায্যে বংশ বৃদ্ধি হয়।

বাংলাদেশের নয়নতারা ফুল

নয়নতারা ওয়েস্ট ইণ্ডিজের প্রজাতি। ৬০-৮০ সেমি উঁচু। এদের কাণ্ড কোণাচে বেগুনি। এদের পাতা আয়তাকার, গোড়ার দিকে অনেকটা ডিম্বাকার, ৪-৭ সেমি লম্বা, মসৃণ। এসব গাছে প্রায় সারা বছরই ফুল ফোটে। তবে শীতের সময় এ গাছের বৃদ্ধি তুলনামূলক ভাবে কমে যায়। তেমন একটা ফুল ফোটে না। ফুল আকারে ছোট হয়ে যায়। তবে শীতের শেষে এর বৃদ্ধি স্বাভাবিক হয়ে ওঠে। ফুল সাদা বা গোলাপি রঙের, পুরো ফুল একরঙা হলেও ফুলের মধ্যবিন্দুটি অন্য রংয়েরও হয়। যেমন সাদার মাঝে লাল, গোলাপীর মাঝে হলুদ। ফুলটি গন্ধহীন। ফুলের মাপ ৩-৩.৫ সেমি চওড়া, দলনল সরু, ২.৫ সেমি লম্বা, ৫ পাপড়ির মাঝখানে একটি গাঢ় রঙের ফোঁটা। এদের বীজ চাষ করা হয়। গাছে বীজ পরিপক্ক হওয়ার পর বীজের আবরনটি ফেটে যায় ও বীজ আশেপাশে ছরিয়ে যায়। পরিপক্ক বীজের রং কালো। দেখতে অনেকটা কালোজিরার মতো হয়। বাগান করে চাষ করায় জনপ্রিয়তা রয়েছে, যেকোন ফুল বা ফলের বাগানে এমনকি বাসার ছাদে বা বারান্দায়ও লাগানো যায়।[২] বর্তমানে হাইব্রিড প্রজাতির নানান আকর্ষণীয় বর্ণের ( গাঢ় গোলাপি, লাল, গাঢ় বেগুনি, ইত্যাদি) নয়নতারা ফুলের চাষ হতে দেখা যায়।

রাসায়নিক উপাদান :

গাছটির পাতা, ফুল ও ডালে বহু মূল্যবান রাসায়নিক উপাদান পাওয়া যায়। ৭০ টিরও বেশি উপক্ষার পাওয়া যায় এ গাছ থেকে। ভিনক্রিস্টিন ও ভিনব্লাস্টিন নামের উপক্ষার দুটি লিউকেমিয়া রোগে বিশেষ ব্যবহার রয়েছে। ডেলটা-ইহোহিম্বিন নামের এক প্রকার রাসায়নিক পদার্থ পাওয়া যায়।

ব্যবহার :

ক্রিমি রোগে, মেধাবৃদ্ধিতে, লিউকোমিয়া, মন ভালো করে,রক্ত প্রদরে, রক্তচাপ বৃদ্ধিতে, সন্ধিবাত, বহুমূত্র সহ নানা রোগে এর ব্যবহার রয়েছে। বোলতা প্রভৃতির হুলের জ্বালায়/কীট দংশনে দ্রুত উপশম পেতে নয়নতারা ফুল বা পাতার রস ব্যবহারের প্রচলন লক্ষ্য করা যায়।

নয়ন তাঁরা Catharanthus roseus 🌸
23/06/2025

নয়ন তাঁরা
Catharanthus roseus 🌸

কাঠ বাদামের নব কুঁড়ি 🖤
20/06/2025

কাঠ বাদামের নব কুঁড়ি 🖤

অবহেলিত বুড়িগঙ্গায় এসেছে বর্ষার নবযৌবন 🌸
20/06/2025

অবহেলিত বুড়িগঙ্গায় এসেছে বর্ষার নবযৌবন 🌸

 #তারাঝরা_ফুল /  #অ্যারোমেটিক_জুঁইসুন্দর ফুল ও তার ঘ্রাণের জন্য সারাবিশ্বে খ্যাতি ছড়িয়ে পড়েছে।  আমাদের দেশে নার্সারী ...
19/06/2025

#তারাঝরা_ফুল / #অ্যারোমেটিক_জুঁই

সুন্দর ফুল ও তার ঘ্রাণের জন্য সারাবিশ্বে খ্যাতি ছড়িয়ে পড়েছে। আমাদের দেশে নার্সারী ব্যবসার সাথে যারা জড়িত তারাই এই ফুলের নাম দিয়েছে অ্যারোমেটিক জুঁই। এই নামটাই এখন সবার কাছে পরিচিত হয়ে গিয়েছে। কেউ কেউ এটিকে বুদ্ধ জুইঁ বলে থাকে।

★তারাঝরা /অ্যারোমেটিক জুঁই

এটি বাগানে শোভাময় উদ্ভিদ হিসাবে বিশ্বব্যাপী চাষ করা হয়।সুগন্ধি ছোট সাদা ফুল।

✅ অ্যারোমেটিক জুঁই / তারাঝরা ফুল বৈজ্ঞানিক নাম (Scientific name) হলো:

Clematis flammula L.

বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস
জগৎ:
Plante
শ্রেণীবিহীন:
Tracheophytes
শ্রেণীবিহীন:
Angiosperms
শ্রেণীবিহীন:
Eudicots
বর্গ:
Ranunculales
পরিবার:
Ranunculaceae
গণ:
Clematic
প্রজাতি:
C. flammula
দ্বিপদী নাম
Clematis flammula
L.

পরিচিতি

আদিনিবাস ইউরোপের দক্ষিণাঞ্চল ও আফ্রিকার উত্তরাঞ্চল। সুন্দর ফুল ও তার ঘ্রাণের জন্য সারাবিশ্বে খ্যাতি ছড়িয়ে পড়েছে। এরই এক আত্মীয় আছে আমাদের দেশের বন-জঙ্গলে। আমাদের দেশি বুনো গাছটির নাম ছাগলবটি বা Gourian clematis(Clematis gouriana)। দুটি প্রজাতির ফুল প্রায় একই রকম। Clematis flammula নামটির শেষাংশ “Flammula” ল্যাটিন শব্দ, যার অর্থ- little flame।

অ্যারোমেটিক জুঁই ফুলের নামের সাথে জুঁই অংশ থাকলেও বাস্তবে আসল জুঁই/যুথিকার সাথে এর কোনো মিল নেই। যেহেতু এরা আমাদের দেশি গাছ না, তাই বাংলা কোনো নাম এদের নেই। আমাদের দেশে নার্সারী ব্যবসার সাথে যারা জড়িত তারাই এই ফুলের নাম দিয়েছে অ্যারোমেটিক জুঁই। এই নামটাই এখন সবার কাছে পরিচিত হয়ে গিয়েছে।

বর্ণনা

সুগন্ধি ক্লেমেটিস বা এরোমেটিক জুঁই
অ্যারোমেটিক জুঁই লতান বা আরোহী জাতীয় গাছ। অবলম্বন পেলে তা বেয়ে বেড়ে উঠে। গাছ ভরে সাদা সাদা সুগন্ধি ফুল ফোঁটে। মজার বিষয় হলো এই ফুলে কোনো পাপড়ি নেই, পাপড়ির মতো দেখতে অংশগুলো ফুলের বৃতি। ফুলের মাঝখান হালকা সবুজ আভাযুক্ত এবং এখান থেকে বের হয় অসংখ্য সাদা রঙের পুংকেশর।

🌿 অ্যারোমেটিক জুঁই (Clematis flammula) ফুল ও গাছের সম্ভাব্য চিকিৎসায় ব্যবহার:

১. প্রদাহ উপশম (Anti-inflammatory) ফুল ও পাতায় অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান
থাকতে পারে পাতা / ফুল পেস্ট করে চর্মরোগ বা ফোলা জায়গায় প্রয়োগ

২. ব্যথানাশক (Pain relief) লোকচিকিৎসায় বাত, স্নায়ুর ব্যথায় ব্যবহার মূল / পাতা সেদ্ধ করে বাহ্যিকভাবে প্রয়োগ

৩. চর্মরোগ একজিমা, ফুসকুড়ি, চুলকানি উপশমে সাহায্য করে পাতা / ফুল পাতার পেস্ট আক্রান্ত স্থানে লাগানো

৪. ক্ষত শুকানো ও জীবাণুনাশ ক্ষতের ইনফেকশন রোধে কার্যকর পাতা / ফুল অল্প পরিমাণ পেস্ট ক্ষতে প্রয়োগ

৫. আর্থ্রাইটিস ও বাত রিউম্যাটিক সমস্যা উপশমে ব্যবহার শিকড় ও পাতা জ্বাল দিয়ে ব্যবহার করা হয়

৬. শ্বাসতন্ত্রের সমস্যা (সর্দি/কাশি) ঘ্রাণ ও ফুলের নির্যাস শ্বাসযন্ত্রে প্রশান্তি দেয় ফুল চায়ের মতো ফ্লেভার করে বা ইনহেলেশন

⚠️ সতর্কতা ও গবেষণার সীমাবদ্ধতা

Clematis গাছের অনেক প্রজাতির মধ্যে কিছু বিষাক্ত উপাদান থাকতে পারে, যেমন: protoanemonin—যা ত্বকে জ্বালা বা অ্যালার্জি সৃষ্টি করতে পারে।

এই গাছের অতিরিক্ত বা অভ্যন্তরীণ ব্যবহার ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে, বিশেষত অপরিশোধিত অবস্থায়।

গবেষণা সীমিত, তাই চিকিৎসায় ব্যবহার করতে চাইলে অবশ্যই হার্বাল বিশেষজ্ঞের পরামর্শে করতে হবে।

✅ প্রধান ব্যবহার: বাহ্যিকভাবে চর্মরোগ, ব্যথা ও ফোলাভাব উপশমে।

ব্যবহারযোগ্য অংশ: পাতা, ফুল, মূল।

সতর্কতা: অভ্যন্তরীণ ব্যবহার বিপজ্জনক হতে পারে; গবেষণা সীমিত; চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ব্যবহার না করাই ভালো।

Raj Mohammad Gazi ...

Address

Jessore
Khulna

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Raj's Canvas of Life posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share