Raj's Canvas of Life

Raj's Canvas of Life "জীবনের প্রতিটি অনুভূতি গল্প হয়ে মিশে আছে আমার ক্যানভাসে।"

08/07/2025

খুলনার দাকোপ এলাকার সুন্দরবনের ভেতর দেখা মিলছে ডলফিনের 🐋

নয়নতারা (উদ্ভিদ)বৈজ্ঞানিক নাম : Catharanthus roseusএকটি সপুষ্পক উদ্ভিদ/ ফুল বিশেষনয়নতারা, একটি উদ্ভিদ, যা তার লালচে গো...
23/06/2025

নয়নতারা (উদ্ভিদ)

বৈজ্ঞানিক নাম : Catharanthus roseus

একটি সপুষ্পক উদ্ভিদ/ ফুল বিশেষ
নয়নতারা, একটি উদ্ভিদ, যা তার লালচে গোলাপি পাঁচ পাপড়ির ফুল গুলোর জন্য পরিচিত। এর বৈজ্ঞানিক নাম Catharanthus roseus, এটি Apocynaceae (dogbane, অথবা oleander পরিবার) পরিবারের একটি উদ্ভিদ। বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন নামেও পরিচিত, যেমন Cape periwinkle, Madagascar periwinkle, periwinkle, sadabahar, sadaphuli, sadasuhagi, sadsuhagan ইত্যাদি। এর আরেকটি প্রজাতি হলো Vinca rosea। জানা যায়, এর আদি উৎপত্তিস্থল মাদাগাস্কার।

Catharanthus roseus

বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস
জগৎ: উদ্ভিদ

বিভাগ: সপুষ্পক উদ্ভিদ

শ্রেণী: Magnoliopsida

বর্গ: Gentianales

পরিবার: Apocynaceae

গণ: Catharanthus

প্রজাতি: C. roseus

দ্বিপদী নাম : Catharanthus roseus
(কার্ল লিনিয়াস) George Don

প্রতিশব্দ
Vinca rosea

Catharanthus roseus

বর্ণনা :

আদি নিবাস মাদাগাস্কার তবে বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান ও আফ্রিকা মহাদেশসহ আরও বেশ কয়েকটি দেশে এর দেখা পাওয়া যায়। এটি একটি গুল্মজাতীয় উদ্ভিদ। বর্ষজীবী। কখনো কখনো অনেক বছর বেঁচে থাকতেও দেখা যায়। তবে পুরনো হয়ে গেলে ও যত্নে না রাখলে গাছটি শক্ত হয়ে যায়, ফুলও ধরে না। ২/৩ ফুটের বেশি বাড়তে দেখা যায় না। পাতা বিপরীত, মসৃণ, আয়তাকার বা ডিম্বাকৃতি।[১] পাঁচ পাপড়ি বিশিষ্ট ফুল। গোলাপি, হালকা গোলাপি ও সাদা রঙের ফুল ফোটে। তবে গন্ধ নেই ফুলে। কাণ্ড কোণাচে ধরনের, রঙ বেগুনি বা সাদা, বারোমাসী উদ্ভিদ, বীজের সাহায্যে বংশ বৃদ্ধি হয়।

বাংলাদেশের নয়নতারা ফুল

নয়নতারা ওয়েস্ট ইণ্ডিজের প্রজাতি। ৬০-৮০ সেমি উঁচু। এদের কাণ্ড কোণাচে বেগুনি। এদের পাতা আয়তাকার, গোড়ার দিকে অনেকটা ডিম্বাকার, ৪-৭ সেমি লম্বা, মসৃণ। এসব গাছে প্রায় সারা বছরই ফুল ফোটে। তবে শীতের সময় এ গাছের বৃদ্ধি তুলনামূলক ভাবে কমে যায়। তেমন একটা ফুল ফোটে না। ফুল আকারে ছোট হয়ে যায়। তবে শীতের শেষে এর বৃদ্ধি স্বাভাবিক হয়ে ওঠে। ফুল সাদা বা গোলাপি রঙের, পুরো ফুল একরঙা হলেও ফুলের মধ্যবিন্দুটি অন্য রংয়েরও হয়। যেমন সাদার মাঝে লাল, গোলাপীর মাঝে হলুদ। ফুলটি গন্ধহীন। ফুলের মাপ ৩-৩.৫ সেমি চওড়া, দলনল সরু, ২.৫ সেমি লম্বা, ৫ পাপড়ির মাঝখানে একটি গাঢ় রঙের ফোঁটা। এদের বীজ চাষ করা হয়। গাছে বীজ পরিপক্ক হওয়ার পর বীজের আবরনটি ফেটে যায় ও বীজ আশেপাশে ছরিয়ে যায়। পরিপক্ক বীজের রং কালো। দেখতে অনেকটা কালোজিরার মতো হয়। বাগান করে চাষ করায় জনপ্রিয়তা রয়েছে, যেকোন ফুল বা ফলের বাগানে এমনকি বাসার ছাদে বা বারান্দায়ও লাগানো যায়।[২] বর্তমানে হাইব্রিড প্রজাতির নানান আকর্ষণীয় বর্ণের ( গাঢ় গোলাপি, লাল, গাঢ় বেগুনি, ইত্যাদি) নয়নতারা ফুলের চাষ হতে দেখা যায়।

রাসায়নিক উপাদান :

গাছটির পাতা, ফুল ও ডালে বহু মূল্যবান রাসায়নিক উপাদান পাওয়া যায়। ৭০ টিরও বেশি উপক্ষার পাওয়া যায় এ গাছ থেকে। ভিনক্রিস্টিন ও ভিনব্লাস্টিন নামের উপক্ষার দুটি লিউকেমিয়া রোগে বিশেষ ব্যবহার রয়েছে। ডেলটা-ইহোহিম্বিন নামের এক প্রকার রাসায়নিক পদার্থ পাওয়া যায়।

ব্যবহার :

ক্রিমি রোগে, মেধাবৃদ্ধিতে, লিউকোমিয়া, মন ভালো করে,রক্ত প্রদরে, রক্তচাপ বৃদ্ধিতে, সন্ধিবাত, বহুমূত্র সহ নানা রোগে এর ব্যবহার রয়েছে। বোলতা প্রভৃতির হুলের জ্বালায়/কীট দংশনে দ্রুত উপশম পেতে নয়নতারা ফুল বা পাতার রস ব্যবহারের প্রচলন লক্ষ্য করা যায়।

নয়ন তাঁরা Catharanthus roseus 🌸
23/06/2025

নয়ন তাঁরা
Catharanthus roseus 🌸

কাঠ বাদামের নব কুঁড়ি 🖤
20/06/2025

কাঠ বাদামের নব কুঁড়ি 🖤

অবহেলিত বুড়িগঙ্গায় এসেছে বর্ষার নবযৌবন 🌸
20/06/2025

অবহেলিত বুড়িগঙ্গায় এসেছে বর্ষার নবযৌবন 🌸

 #তারাঝরা_ফুল /  #অ্যারোমেটিক_জুঁইসুন্দর ফুল ও তার ঘ্রাণের জন্য সারাবিশ্বে খ্যাতি ছড়িয়ে পড়েছে।  আমাদের দেশে নার্সারী ...
19/06/2025

#তারাঝরা_ফুল / #অ্যারোমেটিক_জুঁই

সুন্দর ফুল ও তার ঘ্রাণের জন্য সারাবিশ্বে খ্যাতি ছড়িয়ে পড়েছে। আমাদের দেশে নার্সারী ব্যবসার সাথে যারা জড়িত তারাই এই ফুলের নাম দিয়েছে অ্যারোমেটিক জুঁই। এই নামটাই এখন সবার কাছে পরিচিত হয়ে গিয়েছে। কেউ কেউ এটিকে বুদ্ধ জুইঁ বলে থাকে।

★তারাঝরা /অ্যারোমেটিক জুঁই

এটি বাগানে শোভাময় উদ্ভিদ হিসাবে বিশ্বব্যাপী চাষ করা হয়।সুগন্ধি ছোট সাদা ফুল।

✅ অ্যারোমেটিক জুঁই / তারাঝরা ফুল বৈজ্ঞানিক নাম (Scientific name) হলো:

Clematis flammula L.

বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস
জগৎ:
Plante
শ্রেণীবিহীন:
Tracheophytes
শ্রেণীবিহীন:
Angiosperms
শ্রেণীবিহীন:
Eudicots
বর্গ:
Ranunculales
পরিবার:
Ranunculaceae
গণ:
Clematic
প্রজাতি:
C. flammula
দ্বিপদী নাম
Clematis flammula
L.

পরিচিতি

আদিনিবাস ইউরোপের দক্ষিণাঞ্চল ও আফ্রিকার উত্তরাঞ্চল। সুন্দর ফুল ও তার ঘ্রাণের জন্য সারাবিশ্বে খ্যাতি ছড়িয়ে পড়েছে। এরই এক আত্মীয় আছে আমাদের দেশের বন-জঙ্গলে। আমাদের দেশি বুনো গাছটির নাম ছাগলবটি বা Gourian clematis(Clematis gouriana)। দুটি প্রজাতির ফুল প্রায় একই রকম। Clematis flammula নামটির শেষাংশ “Flammula” ল্যাটিন শব্দ, যার অর্থ- little flame।

অ্যারোমেটিক জুঁই ফুলের নামের সাথে জুঁই অংশ থাকলেও বাস্তবে আসল জুঁই/যুথিকার সাথে এর কোনো মিল নেই। যেহেতু এরা আমাদের দেশি গাছ না, তাই বাংলা কোনো নাম এদের নেই। আমাদের দেশে নার্সারী ব্যবসার সাথে যারা জড়িত তারাই এই ফুলের নাম দিয়েছে অ্যারোমেটিক জুঁই। এই নামটাই এখন সবার কাছে পরিচিত হয়ে গিয়েছে।

বর্ণনা

সুগন্ধি ক্লেমেটিস বা এরোমেটিক জুঁই
অ্যারোমেটিক জুঁই লতান বা আরোহী জাতীয় গাছ। অবলম্বন পেলে তা বেয়ে বেড়ে উঠে। গাছ ভরে সাদা সাদা সুগন্ধি ফুল ফোঁটে। মজার বিষয় হলো এই ফুলে কোনো পাপড়ি নেই, পাপড়ির মতো দেখতে অংশগুলো ফুলের বৃতি। ফুলের মাঝখান হালকা সবুজ আভাযুক্ত এবং এখান থেকে বের হয় অসংখ্য সাদা রঙের পুংকেশর।

🌿 অ্যারোমেটিক জুঁই (Clematis flammula) ফুল ও গাছের সম্ভাব্য চিকিৎসায় ব্যবহার:

১. প্রদাহ উপশম (Anti-inflammatory) ফুল ও পাতায় অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান
থাকতে পারে পাতা / ফুল পেস্ট করে চর্মরোগ বা ফোলা জায়গায় প্রয়োগ

২. ব্যথানাশক (Pain relief) লোকচিকিৎসায় বাত, স্নায়ুর ব্যথায় ব্যবহার মূল / পাতা সেদ্ধ করে বাহ্যিকভাবে প্রয়োগ

৩. চর্মরোগ একজিমা, ফুসকুড়ি, চুলকানি উপশমে সাহায্য করে পাতা / ফুল পাতার পেস্ট আক্রান্ত স্থানে লাগানো

৪. ক্ষত শুকানো ও জীবাণুনাশ ক্ষতের ইনফেকশন রোধে কার্যকর পাতা / ফুল অল্প পরিমাণ পেস্ট ক্ষতে প্রয়োগ

৫. আর্থ্রাইটিস ও বাত রিউম্যাটিক সমস্যা উপশমে ব্যবহার শিকড় ও পাতা জ্বাল দিয়ে ব্যবহার করা হয়

৬. শ্বাসতন্ত্রের সমস্যা (সর্দি/কাশি) ঘ্রাণ ও ফুলের নির্যাস শ্বাসযন্ত্রে প্রশান্তি দেয় ফুল চায়ের মতো ফ্লেভার করে বা ইনহেলেশন

⚠️ সতর্কতা ও গবেষণার সীমাবদ্ধতা

Clematis গাছের অনেক প্রজাতির মধ্যে কিছু বিষাক্ত উপাদান থাকতে পারে, যেমন: protoanemonin—যা ত্বকে জ্বালা বা অ্যালার্জি সৃষ্টি করতে পারে।

এই গাছের অতিরিক্ত বা অভ্যন্তরীণ ব্যবহার ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে, বিশেষত অপরিশোধিত অবস্থায়।

গবেষণা সীমিত, তাই চিকিৎসায় ব্যবহার করতে চাইলে অবশ্যই হার্বাল বিশেষজ্ঞের পরামর্শে করতে হবে।

✅ প্রধান ব্যবহার: বাহ্যিকভাবে চর্মরোগ, ব্যথা ও ফোলাভাব উপশমে।

ব্যবহারযোগ্য অংশ: পাতা, ফুল, মূল।

সতর্কতা: অভ্যন্তরীণ ব্যবহার বিপজ্জনক হতে পারে; গবেষণা সীমিত; চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ব্যবহার না করাই ভালো।

Raj Mohammad Gazi ...

উদ্ভিদ বিজ্ঞানের ছাত্র হিসাবে নিজের অনুভূতি, গল্প, ভালো লাগা, প্রকৃতি ও উদ্ভিদের রহস্য উন্মোচনের জন্য পেজটি খুলেছি। উদ্ভ...
31/05/2025

উদ্ভিদ বিজ্ঞানের ছাত্র হিসাবে নিজের অনুভূতি, গল্প, ভালো লাগা, প্রকৃতি ও উদ্ভিদের রহস্য উন্মোচনের জন্য পেজটি খুলেছি।

উদ্ভিদ বিজ্ঞানের প্রতিটি গল্প আমার পেজে সাজাতে চাই। বিভিন্ন উদ্ভিদের পরিচয়, জীবন রহস্য, চিহ্নিত চিত্র, দৈনন্দিন ব্যবহার ও অর্থনৈতিক দিকগুলো তুলে ধরতে চাই। আশা করি সকলে সহযোগিতা করবেন যাতে বিভিন্ন উদ্ভিদের রহস্য উন্মোচন করে মানুষের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছাতে পারি।

সেই সাথে নিজের দৈন্দিন জীবনের গল্প, কবিতার খাতা , ভ্রমণ গল্প ও নিজ অভিজ্ঞতাকে লিপিবদ্ধ করে রাখতে চাই, এর মাধ্যমে আত্ম উন্নয়ন ও সমাজে একটি প্রশান্তির বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ । 🌸🖤
Raj's Canvas of Life 💚🌿

 #বকুল_গাছ_বকুল_ফুলবকুল (বৈজ্ঞানিক নাম: Mimusops elengi) হচ্ছে মিনাসপ্স্‌ (Minasops) প্রজাতির একটি ফুল। এশিয়া ও প্রশান্...
31/05/2025

#বকুল_গাছ_বকুল_ফুল

বকুল (বৈজ্ঞানিক নাম: Mimusops elengi) হচ্ছে মিনাসপ্স্‌ (Minasops) প্রজাতির একটি ফুল। এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগর তীরবর্তী এলাকার ভারত, বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, বার্মা, ইন্দো-চীন, থাইল্যান্ড, আন্দামান দ্বীপপুঞ্জ এলাকা জুড়ে এই গাছ দেখতে পাওয়া যায়। তবে, মালয়েশিয়া, সলোমন দ্বীপপুঞ্জ, নিউ ক্যালিডোনিয়া (ফ্রান্স), ভানুয়াতু, এবং উত্তর অস্ট্রেলিয়াতে এই গাছ চাষ করা হয়। [১]

বকুল

বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস
জগৎ:
উদ্ভিদ
বিভাগ:
Magnoliophyta
শ্রেণী:
Magnoliopsida
বর্গ:
Ericales
পরিবার:
Sapotaceae
গণ:
Mimusops
প্রজাতি:
M. elengi L.
দ্বিপদী নাম
Mimusops elengi L.
বাংলায় বকুল ফুলের জন্যে পরিচিত এই গাছ। বকুলের অন্যান্য ব্যবহার বাংলায় তেমন নেই। এটি একটি অতি পরিচিত ফুল। বাংলাদেশের প্রায় সব জায়গায় এর গাছ পাওয়া যায়। বাগানে ছায়া পাওয়ার জন্য সাধারনত বকুল গাছ লাগানো হয়ে থাকে।

এটি মাঝারি আকারের গাছ এবং এর পাতাগুলি হয় ঢেউ খেলানো। ফুলগুলো খুব ছোট হয়। বড় জোড় ১ সে. মি.। ফুলগুলো দেখতে ছোট ছোট তারার মতো। বকুল ফুলের সুবাসে থাকে মিষ্টি গন্ধ। ফুল শুকিয়ে গেলেও এর সুবাস অনেক দিন পর্যন্ত থাকে।

বকুল ফুল, ফল, পাকা ফল, পাতা, গাছের ছাল, কাণ্ড, কাঠ সব কিছুই কাজে লাগে। বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন ভাবে এর ব্যবহার রয়েছে।

নাম
বৈজ্ঞানিক নাম: Mimusops elengi পরিবারের নাম: Sapotaceae

প্রচলিত নাম : Bullet-wood Tree, Indian Medaller

এলাকা ভিত্তিক নাম:[২]

বাংলা ভাষায় - বকুল, বহুল, বুকাল, বাকুল, বাকাল। তবে বকুল নামেই বেশি পরিচিত।
ইংরেজি - Spanish cherry[৩], Medlar[৩], and Bullet wood[৪]
সংস্কৃত ভাষায় - আনাঙ্গাকা (Anangaka), বকুল (Bakul), বকুলা (Bakula), বকুলাহ (Bakulah), ছিড়াপুস্প (Chirapushpa), কিরাপুস্প (Cirapuspa), ধানভি (Dhanvi), দোহালা (Dohala), গুধাপুস্পকা (Gudhapushpaka), কন্ঠা (Kantha),কারুকা (Karuka), কেশারা (Kesara), কেশারাপা (Kesarapa), মধুগন্ধা (Madhugandha), মধুপাঞ্জারা (Madhupanjara), মধুপুস্প (Madhupushpa), মাকুলা (Mukula)
হিন্দি - বকুল, বলসারি,मौलसरी, মাউলসারাউ (Maulsarau), মাউলসের (Maulser), মাউলসিরি (Maulsiri), মোলসারি (Molsari), মুলসারি (Mulsari), তেন্ডু (Tendu), মাউলসারি (Maulsari), মোলসিরি (Molsiri), মোরসালি (Morsali).
তামিল ভাষায় - மகிழம்பூ Magizhamboo, আলাগু (Alagu), ইলাঞ্চি (Ilanci), ইলাঞ্জি (Ilanji), কেসারাম (Kesaram), কোসারাম (Kosaram), ম্যাগিল (Magil), ম্যাগিলাম (Magilam), ভাগুলাম (Vagulam), মগাদাম (Mogadam), ম্যাগিশ (Magish), মাকিলাম্পু (Makilampu), মাকিলাম ভিটটু (Makilam vittu), কেছারাম (Kecaram), মাকিলাম মারাম (Makilam maram), মাকুলাম্পু (Makulampu), ভাকুলাম্পু (Vakulampu), ম্যাগিঝ (Magizh), মাগাদাম (Magadam), ম্যাগিঝাম (Maghizham), মোগিদাম (Mogidam), ভাকুলাম (Vakulam), মাহিলা (Mahila), মাকিঝাম্পু (Makizampu).
মনিপুরী - বোকুল লৈ (Bokul lei)
সাঁওতালি ভাষায় - ᱯᱤᱛᱟᱹᱡ (পিতাজ্)
মালয়েশিয়া - বিতিছ (Bitis), ইলেঙ্গি (Elengi), মেংকুলা (Mengkula), বাকুলাম (Bakulam), ইলাঙ্গি (Elangi), ইলান্নি(Elanni), এলেঙ্গি (Elengi), ইলান্নি (Ilanni), ইরান্নি (Iranni), মাকুরাম (Makuram), মুকুরা (Mukura), এলানি (Elani), এলেঙ্গি (Elengii), এলেঞ্জি (Elenjee), এরিনি (Erini), মাকিরা (Makira), মাকুরা (Makura)
ইন্দোনেশিয়া - তাঞ্জাং (Tanjung), কারিকিশ (karikis)
থাইল্যান্ড - কুন (Kun), কাইও (Kaeo)
মায়ানমার - কায়া

গাছের ধরন

এই গাছের ফল নানা কাজে ব্যবহার করা হয়
বকুল একটি চিরহরিৎ বৃক্ষ। এটি ১৬ মিটার পর্যন্ত লম্বা হয়। মাঝারি আকারের এই গাছ দক্ষিণ এশিয়া, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও উত্তর অস্ট্রেলিয়ার গ্রীষ্মমণ্ডলীয় বনাঞ্চলে জন্মে। এই বৃক্ষের পাতা গুলো মসৃন, গাড় সবুজ ও ঢেউ খেলানো, আকারে ৫ থেকে ১৪ সেন্টিমিটার লম্বা এবং ২।৫ থেকে ৬ সেন্টিমিটার চওড়া হয়।

বকুল ফুল আকারে খুব ছোট ছোট হয়। আকারে বড় জোড় ১ সে. মি.। দেখতে ছোট ছোট তারার মতো ফুল গুলো যখন ফোটে তখন গাছের চেহারা হয় অন্যরকম। এবং মাটিতে যখন ঝড়ে পরে তার দৃশ্য নয়নাভিরাম। বকুল ছোট তারার মত হলুদাভ সাদা বা ক্রীম রঙের হয়। এই ফুল রাত্রে ফোটে এবং সারাদিন ধরে টুপটাপ ঝরতে থাকে। ভারি সুগন্ধী এই বকুল। শুকনো বকুল ফুলের সুগন্ধটা অনেকদিন থাকে তাই এই ফুলের মালা অনেকদিন ঘরে রেখে দেয়া যায়। ফুলে থাকে উদ্বায়ী তেল।

বকুল গাছের ছাল মোটা, আর রঙ গাঢ় কালচে বাদামী কিংম্বা কালচে ছাই রঙের হয়ে থাকে[৫]।

বকুল ফল বকুল গাছে ছোট ছোট কুলের মত ডিম্বাকৃতির ফল হয়। ফল গুলো কাঁচা অবস্থায় সবুজ,পাঁকলে লাল বর্ণ ধারণ করে। পাখিরা বকুল ফল খেয়ে থাকে। অনেক সময় বাচ্চাদের ও বকুল ফল খেতে দেখা যায়। ফলের স্বাদ কষ যুক্ত হালকা মিষ্টি। গাছে এই ফল আসে বর্ষাকালে [৬]।

বীজ - বকুল ফলে একটি করে ডিম্বাকৃতির, বাদামী বীজ থাকে। তবে কখনও কখনও দুটি বীজও থাকতে দেখা যায় [৭]। এই বীজ থেকে অনুদ্বায়ী তেল পাওয়া যায়। [২]

ভারি সুন্দর গাছ এই বকুল, ঘন সবুজ পাতায় ঠাসা, মাথাটা গোলগাল কিংম্বা লম্বাটে। বয়স্ক গাছ ৩০- ৪০ মিটার উঁচু হয়ে থাকে। কখনই পাতা ঝরিয়ে উদোম হয় না বলে আদর্শ ছায়াতরুও। শিক্ষাঙ্গন, মন্দির, রাস্তাপার্শ্ব, উদ্যান, বাড়ীতে বকুল গাছ লাগানো হয়।

আয়ুর্বেদিক ব্যবহার
বকুল ফুল, ফল, পাতা, কাণ্ড দিয়ে বিভিন্ন অসুখ নিরাময়ের নানারকম আয়ুর্বেদিক ব্যবহার রয়েছে।

ফুল - ফুলের রস হৃদযন্ত্রের অসুখ, লিকোরিয়া (leucorrhoea), menorrhagia নিরাময়ে ব্যবহার করা হয়।
শুকনো ফুলের গুঁড়ো দিয়ে তৈরি ঔষধ "আহওয়া" নামক এক ধরনের কঠিন জ্বর, মাথা ব্যথা এবং ঘাড়, কাঁধ ও শরীরের বিভিন্ন অংশে সৃষ্ট ব্যাথার নিরাময়ে ব্যবহার হয়।
শুকনো ফুলের গুঁড়ো মাথা ঠান্ডা রাখে ও মেধা বাড়াতে উপকারী।
শুকনো বকুল ফুলের গুঁড়ো নাক দিয়ে নিঃশ্বাসের সাথে টেনে নিলে মাথা ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।
বকুল গাছের ছাল - গাছের ছাল দিয়ে কাটা ছেঁড়ার ক্ষত পরিষ্কার করা যায়। এছাড়াও বকুল গাছের ছাল ও তেঁতুল গাছের ছাল সিদ্ধ করে পাচনের মাধ্যমে তৈরি তরল ঔষধ ত্বকের নানারকম রোগ সারাতে ব্যবহৃত হয়। [৮]
বকুলের কাণ্ড - গাছের কাণ্ড থেকে পাচন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এক ধরনের ঔষধ তৈরি করা হয় যা দাঁতের সমস্যা নিরাময়ে অনেক উপকারী। এই পদ্ধতি ব্যবহার করা হয় ফিলিপাইনে। এছাড়াও এই ঔষধ জ্বর ও ডায়রিয়া থেকে আরোগ্য লাভের জন্যে ব্যবহার করে ফিলিপাইনের অধিবাসীরা। স্থানীয় লোকেরা এই তরল পানি দিয়ে গার্গল করে গলার অসুখের নিরাময়ের জন্যে। মুখ ধোয়ার তরল প্রতিষেধক হিসেবেও কাজ করে এই তরল ঔষধ যা মাড়ি শক্ত করে।[৮]
বকুলের পাতা সিদ্ধ করে মাথায় দিলে মাথা ব্যাথা কমে যায়। পাতার রস চোখের জন্যেও উপকারী।[৮]
কাঁচা বকুল ফল প্রতিদিন ২-৩ টি করে চিবিয়ে খেলে দাঁতের গোড়া শক্ত হয়।

অন্যান্য ব্যবহার
ফুল - ভারতে এই ফুল দিয়ে তৈরি তরল, সুগন্ধি হিসেবে ব্যবহারে প্রচলন রয়েছে।
ফুল দিয়ে মালা গাঁথার প্রচলন অনেক পুরনো দিন থেকে চলে আসছে। বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন এলাকার নারীরা এই ফুলের মালা চুলে পরে সৌন্দর্য বর্ধনের জন্যে।
ফল - পাকা ফল খাওয়া যায়। মালয়'রা বকুল ফল সংরক্ষণ করে রাখে এবং আচার তৈরি করে।[৮]
কাণ্ড - অনেক এলাকায় বকুল গাছের কাণ্ড বা নরম ডাল দাঁত মাজার জন্যে ব্যবহার করা হয়। [৯]
কাঠ - বকুল কাঠ অনেক দামি আর দুষ্প্রাপ্য কাঠ। এর কাঠ অনেক শক্ত, কঠিন হয় কিন্তু খুব সহজে কাটা যায় আর খুব সুন্দর পালিশ করা যায়। এই কাঠের রঙ গাঢ় লাল। এই কাঠ ঘর-বাড়ি তৈরিতে ব্যবহার করা যায়।

সাহিত্য ও গান
বাংলার কবিতা ও গানে বকুল ফুল বারবার এসেছে:

”তুমি যে গিয়েছ বকুল বিছানো পথে” – অজয় ভট্টাচার্য

"তুমি কার লাগিয়া গাঁথোগো সখী বকুল ফুলের মালা" - মনির খান

”ঝরকে ঝরকে ঝরিছে বকুল আঁচল আকাশে হতেছে আকুল” – রবীন্দ্রনাথ

"বকুল ফুল, বকুল ফুল সোনা দিয়া হাত কেন বান্ধাইলি!" - জলের গান

 #খেজুরখেজুর এক ধরনের তালজাতীয় শাখাবিহীন বৃক্ষ। এর বৈজ্ঞানিক নাম ফিনিক্স ড্যাকটিলিফেরা (Phoenix dactylifera)।[২] মানব স...
30/05/2025

#খেজুর
খেজুর এক ধরনের তালজাতীয় শাখাবিহীন বৃক্ষ। এর বৈজ্ঞানিক নাম ফিনিক্স ড্যাকটিলিফেরা (Phoenix dactylifera)।[২] মানব সভ্যতার ইতিহাসে সুমিষ্ট ফল হিসেবে এর গ্রহণযোগ্যতা পাওয়ায় অনেক বছর পূর্ব থেকেই এর চাষাবাদ হয়ে আসছে। এ গাছটি প্রধানত মরু এলাকায় ভাল জন্মে।[৩] খেজুর গাছের ফলকে খেজুররূপে আখ্যায়িত করা হয়। মাঝারি আকারের গাছ হিসেবে খেজুর গাছের উচ্চতা গড়পড়তা ১৫ মিটার থেকে ২৫ মিটার পর্যন্ত হয়ে থাকে। এর লম্বা পাতা রয়েছে যা পাখির পালকের আকৃতিবিশিষ্ট। দৈর্ঘ্যে পাতাগুলো ৩ থেকে ৫ মিটার পর্যন্ত হয়। পাতায় দৃশ্যমান পত্রদণ্ড রয়েছে। এক বা একাধিক বৃক্ষ কাণ্ড রয়েছে যা একটিমাত্র শাখা থেকে এসেছে।

খেজুর
Phoenix dactylifera

বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস
জগৎ:
উদ্ভিদ
বিভাগ:
সপুষ্পক উদ্ভিদ(Magnoliophyta)
শ্রেণী:
Liliopsida
বর্গ:
Arecales
পরিবার:
Arecaceae
গণ:
Phoenix
প্রজাতি:
P. dactylifera
দ্বিপদী নাম
Phoenix dactylifera
এল.
প্রতিশব্দ[১]
Palma dactylifera (L.) Mill.
Phoenix chevalieri D.Rivera, S.Ríos & Obón
Phoenix iberica D.Rivera, S.Ríos & Obón

পুষ্টি উপাদান
খেজুর অত্যন্ত সুস্বাদু ও বেশ পরিচিত একটি ফল। যা ফ্রুকটোজ এবং গ্লাইসেমিক সমৃদ্ধ। এটা রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়ায়। খেজুর ফলকে চিনির বিকল্প হিসেবে ধরা হয়ে থাকে। খেজুর শক্তির একটি ভালো উৎস। তাই খেজুর খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই শরীরের ক্লান্তিভাব দূর হয়। আছে প্রচুর ভিটামিন বি।[৪] যা ভিটামিন বিসিক্স মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়ক।

খেজুরের পুষ্টি উপাদান সম্পর্কে বলা হয়, চারটি বা ৩০ গ্রাম পরিমাণ খেজুরে আছে ৯০ ক্যালোরি, এক গ্রাম প্রোটিন, ১৩ মি.লি. গ্রাম ক্যালসিয়াম, ২ দশমিক ৮ গ্রাম ফাইবার। এছাড়াও খেজুরের রয়েছে আরও অনেক পুষ্টি উপাদান। উদাহরণস্বরূপ খুরমা খেজুর।

নামকরণ
বাংলাদেশের একটি খেঁজুরগাছ
খেজুর গাছের দ্বিপদ নামের প্রজাতিক অংশ dactylifera এর অর্থ "খেজুর বহনকারী"। নামটি প্রথম অংশ প্রাচীন গ্রীক ভাষা dáktulos থেকে এসেছে যার অর্থ "খেজুর" (এর আরেক অর্থ "আঙুল")। আর পরবর্তী অংশ ferō এসেছে ল্যাটিন ভাষা থেকে যার অর্থ "আমি বহন করি"।[৫] খেজুর গাছের ফল খেজুর নামে পরিচিত।[৬]

বৈশিষ্ট্যাবলী
ফলটি ডিম্বাকৃতির হয়ে থাকে, যার দৈর্ঘ্য ৩-৭ সে.মি. এবং ব্যাসার্ধে ২-৩ সে.মি. হয়ে থাকে। প্রজাতির উপর নির্ভর করে কাঁচা ফল উজ্জ্বল লাল কিংবা উজ্জ্বল হলুদ বর্ণের হয়ে থাকে। একবীজপত্রী উদ্ভিদ হিসেবে এর বীজ ২-২.৫ সে.মি লম্বা এবং ৬-৮ মি.মি পুরুত্বের হয়। প্রধান তিনটি চাষাবাদ উপযোগী খেজুরের মধ্যে রয়েছে - (ক) নরম (বর্হি, হলয়ি, খাদরয়ি, মেদজুল); (খ) অর্ধ-শুষ্ক (দেরি, দেগলেত নূর, জাহদি) এবং (গ) শুকনো (থুরি)। ফলের রকমফেরের ভিন্নতাজনিত কারণে গ্লুকোজ, ফ্রুক্টোজ এবং সুক্রোজের ন্যায় বিভিন্ন উপাদানের মাত্রা নির্ভরশীল।

চারটি পর্যায়ে খেজুরকে পাকানো হয়। আরবী ভাষায় সেগুলো বিশ্বব্যাপী কিমরি (কাঁচা), খলাল (পূর্ণাঙ্গ, ক্রাঞ্চি), রুতাব (পাকা, নরম), তমর (পাকা, সূর্যে শুকানো) নামে পরিচিত।

গাছে ফল উৎপাদনের জন্য সচরাচর ৪ থেকে ৮ বছর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়। তবে বাণিজ্যিকভাবে ফসল উৎপাদন উপযোগী খেজুর গাছে ফল আসতে ৭ থেকে ১০ বছর সময় লেগে যায়। পূর্ণাঙ্গ খেজুর গাছে প্রতি মৌসুমে গড়ে ৮০-১২০ কিলোগ্রাম (১৭৬-২৬৪ পাউন্ড) ফল পাওয়া যায়। বাজারজাতকরণের উপযোগী ফল আহরণের জন্য ফলের শাখাকে পাতলা হতে হয়। এর ফলে ফলগুচ্ছ নুইয়ে পড়ে, নিচের ফলগুলো বড় আকারের হয় এবং বাজে আবহাওয়া ও পাখির আক্রমণ থেকে রক্ষা পায়।

ইতিহাস

Deglet Noor dates
প্রতি 100 grams-এ পুষ্টিমান
শক্তি
১,১৭৮ কিজু (২৮২ kcal)
শর্করা
৭৫.০৩ g
চিনি
৬৩.৩৫ g
খাদ্য আঁশ
৮ g
স্নেহ পদার্থ
০.৩৯ g
প্রোটিন
২.৪৫
ভিটামিন
পরিমাণদৈপ%†
ভিটামিন এ সমতুল্য
বিটা-ক্যারোটিন
লুটিন জিয়াক্সানথিন
০%৬ μg
৭৫ μg
ভিটামিন এ
১০ IU
থায়ামিন (বি১)
৫%০.০৫২ মিগ্রা
রিবোফ্লাভিন (বি২)
৬%০.০৬৬ মিগ্রা
নায়াসিন (বি৩)
৮%১.২৭৪ মিগ্রা
প্যানটোথেনিক
অ্যাসিড (বি৫)
১২%০.৫৮৯ মিগ্রা
ভিটামিন বি৬
১৩%০.১৬৫ মিগ্রা
ফোলেট (বি৯)
৫%১৯ μg
ভিটামিন সি
০%০.৪ মিগ্রা
ভিটামিন ই
০%০.০৫ মিগ্রা
ভিটামিন কে
৩%২.৭ μg
খনিজ
পরিমাণদৈপ%†
ক্যালসিয়াম
৪%৩৯ মিগ্রা
লৌহ
৮%১.০২ মিগ্রা
ম্যাগনেসিয়াম
১২%৪৩ মিগ্রা
ম্যাঙ্গানিজ
১২%০.২৬২ মিগ্রা
ফসফরাস
৯%৬২ মিগ্রা
পটাশিয়াম
১৪%৬৫৬ মিগ্রা
সোডিয়াম
০%২ মিগ্রা
জিংক
৩%০.২৯ মিগ্রা
অন্যান্য উপাদান
পরিমাণ
পানি
২০.৫৩ g
একক
μg = মাইক্রোগ্রাম • মিগ্রা = মিলিগ্রাম
IU = আন্তর্জাতিক একক
†প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য মার্কিন সুপারিশ ব্যবহার করে শতাংশ অনুমান করা হয়েছে।
উৎস: ইউএসডিএ ফুডডাটা সেন্ট্রাল
প্রতি ১০০ গ্রাম পরিষ্কার ও তাজা খেজুর ফলে ভিটামিন সি রয়েছে যা থেকে ২৩০ ক্যালরি (৯৬০ জুল) শক্তি উৎপাদন করে। খেজুরে স্বল্প পরিমাণে পানি থাকে যা শুকানো অবস্থায় তেমন প্রভাব ফেলে না। কিন্তু এর প্রক্রিয়ার ফলে সঞ্চিত ভিটামিন সি খাদ্য উপাদান নষ্ট হয়ে যায়।

তুরস্ক, ইরাক এবং উত্তর আফ্রিকার পশ্চিমাঞ্চল মরক্কোয় খেজুরের উপযোগিতা প্রাচীনকাল থেকেই রয়েছে। পবিত্র বাইবেলে পঞ্চাশ বারেরও অধিক জায়গায় খেজুরের কথা উল্লেখ রয়েছে। ইসলামী দেশগুলোতে পবিত্র রমজান মাসে ইফতারে খেজুরের ব্যবহার অনস্বীকার্য। মেদজুল এবং দেগলেত নূরজাতীয় খেজুরের চাষ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়া, অ্যারিজোনা এবং দক্ষিণ ফ্লোরিডায় আবাদ করা হয়ে থাকে।

কচি খেজুর পাতা সব্জী হিসেবে রান্না করে খাওয়া যায়। এছাড়াও, খেজুরের ফুলও খাবার উপযোগী। সনাতনী ধাঁচে স্ত্রী ফুল ৩০০-৪০০ গ্রাম ওজনে বিক্রয় করা হয়। ফুলের কুঁড়ি দিয়ে সালাদ কিংবা শুঁটকি মাছ দিয়ে চাটনি তৈরী করে রুটির সাহায্যে খাওয়া হয়। খেজুরে বিশাল পরিমাণে পুষ্টিমান রয়েছে। পটাশিয়াম উপাদান রোগীর পথ্যের জন্যে বিশাল উপযোগী ও এর ক্ষেত্র হিসেবে খেজুর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। পাকা খেজুরে প্রায় ৮০% চিনিজাতীয় উপাদান রয়েছে। বাদ-বাকী অংশে খনিজ সমৃদ্ধ বোরন, কোবাল্ট, ফ্লুরিন, ম্যাগনেসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, সেলেনিয়াম এবং জিঙ্কের ন্যায় গুরুত্বপূর্ণ খাদ্য উপাদান রয়েছে।[৮]

মধ্যপ্রাচ্যের দেশসমূহে সনাতনী ধারায় খেজুর থেকে ভিনেগার বা সিরকা প্রস্তুত করা হয়।[৯][১০] মধ্যপ্রাচ্যে খেজুর অন্যতম প্রধান খাদ্য হিসাবে দীর্ঘদিন ব্যবহার হচ্ছে ৷

বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, উত্তর আফ্রিকা, ঘানা, আইভরি কোস্টে খেজুর গাছের অংশ কেটে সুমিষ্ট রস বের করা হয়, যা খেজুরের রস নামে পরিচিত। রসকে পরবর্তীতে গুড়ে অথবা নেশাজাতীয় পানীয়ে রূপান্তরিত করা হয়। উত্তর আফ্রিকায় এ প্রক্রিয়াকে লাগবি বলা হয়। রস আহরণের জন্যে অনেক সময়ের প্রয়োজন যা তাপমাত্রার উপর নির্ভরশীল। গাছ কেটে রস আহরণের জন্যে দক্ষতার প্রয়োজন নতুবা খেজুর গাছ মারা যাবে।

আন্তর্জাতিক খেজুর সম্মেলন
লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলীতে ১৯৫৯ সালে সর্বপ্রথম আন্তর্জাতিক খেজুর সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ঐ সম্মেলনে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছিল যে, জাতিসংঘের উদ্যোগে খেজুর উৎপাদনের উন্নয়ন সংক্রান্ত বিশেষ কর্মসূচী নেয়া হবে। খাদ্য ও কৃষি সংস্থা বাণিজ্যিক ব্যবহার ও মানদণ্ডবিহীন খেজুর তদারকী করবে।

বৈশ্বিক উৎপাদন
খাদ্য ও কৃষি সংস্থার পরিসংখ্যান মোতাবেক ২০০৪ সালে বিশ্বব্যাপী ৬.৭ মিলিয়ন টন খেজুর উৎপাদিত হয়েছিল।

প্রথম দশটি খেজুর উৎপাদনকারি দেশ – ২০১৭
(tonnes)
Egypt ১,৫৪২,১১১
সৌদি আরব ১,২২৪,১৯২
ইরান ১,২০২,২০০
আলজেরিয়া ১,০৫৮,৫৫৯
ইরাক ৬১৮,৮১৮
PAK ৪৪০,৬০৬
সুদান ৪৩৯,৩৫৫
ওমান ৩৬০,৯১৭
UAE ৩৪৪,৭১৪
তিউনিসিয়া ২৬০,০০০
বিশ্ব ৮,৩৮৪,২৮৬
Source:
UN Food and Agriculture Organization (FAO)[১১]
বিশ্বের সর্বত্রই খেজুর উৎপাদন হলেও মূলতঃ মধ্যপ্রাচ্য এবং আফ্রিকার দেশগুলোতেই এর উৎপাদন সবচেয়ে বেশি। প্রধান খেজুর উৎপাদনকারী দেশসমূহের তালিকা নিম্নে দেয়া হলো।

শীর্ষ খেজুর উৎপাদনকারী দেশের তালিকা
অবস্থান দেশের নাম পরিমাণ (টন) বৈশ্বিক হার (%)
১ মিশর ১,১০০,০০০ ১৬.২%
২ ইরান ৮৮০,০০০ ১৩.০%
৩ সৌদি আরব ৮৩০,০০০ ১২.৩%
৪ সংযুক্ত আরব আমিরাত ৭৬০,০০০ ১১.২%
৫ পাকিস্তান ৬৫০,০০০ ৯.৬%
৬ আলজেরিয়া ৪৫০,০০০ ৬.৬%
৭ সুদান ৩৩০,০০০
৮ ওমান ২৪০,০০০
৯ লিবিয়া ১৪০,০০০
১০ বহিঃর্বিশ্ব ১,১৪০,০০০
এছাড়াও, তিউনিসিয়া, চীন, ইয়েমেন, মরক্কো, নাইজার, তুরস্ক, ইসরায়েল, কাতার, মৌরতানিয়া, চাদ বিশ্বের প্রধান খেজুর উৎপাদনকারী দেশ। ইরাক এক সময় অন্যতম শীর্ষ খেজুর উৎপাদনকারী দেশ হিসেবে পরিচিত ছিল। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে উৎপাদন ও রপ্তানীর পরিমাণ আশঙ্কাজনক হারে কমে যায়।

বিশ্বের সবচেয়ে দামি খেজুর
বিশ্বে প্রায় ৩০০০ প্রজাতির খেজুর আছে। বাংলাদেশের বাজারে ১০০টিরও বেশি প্রজাতির খেজুর পাওয়া যায়। এর মধ্যে মাবরুম, মরিয়ম, সুকারি, সুগাই, ভিআইপি, মাশরুক, কালমি, আম্বার ও আজওয়া অন্যতম। বিশ্বের সবচেয়ে দামি খেজুর হলো আজওয়া। এর মধ্যেও অনেক পদ আছে। সৌদি আরবে ফলন হয় এই আজওয়া খেজুর। এর দাম প্রতি কেজি ৮০০-২৫০০ টাকা পর্যন্ত। আজওয়া খেজুর কালো, নরম, সুস্বাদু ও আকারে ছোট হয়। এর উপরে সাদা রেখা দেখা যায়।
মেডজুল নামক খেজুর ‘খেজুরের রাজা’ হিসাবেও পরিচিত। এটি এখন দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন। এর দাম প্রায় ১২০০-১৫০০ কেজি।[১২]

Address

Jessore
Khulna

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Raj's Canvas of Life posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share