03/10/2025
যখন তারা প্রশ্ন করে আল্লাহকে কেন দেখা যায়না?আল্লাহকে না দেখে কেন বিশ্বাস করব?যখন আল্লাহকে দেখাই যায়না তখন কেন তাঁর অস্তিত্ব স্বীকার করব?বা আদেও তাঁর অস্তিত্ব আছে কিনা?তখন কি তারা একবারও ভেবে দেখে স্রষ্টার কখনো সৃষ্টি হয় কিনা?
আমরা মুসলমানরা বিশ্বাস করি মহান আল্লাহ এক ও অদ্বিতীয় তাঁর কোন শরিক নেই।কেউ তার সমকক্ষ নয়।
আল্লাহ সকল সৃষ্টির স্রষ্টা তাই মহান আল্লাহ তায়ালাকে বিশ্বাস করতে তাঁর অস্তিত্ব স্বীকার করতে আমাদের নিজেদের তাঁর সৃষ্টির সাথে তুলনা করে শিরক করতে যেতে হয়না।যিনি কিনা সকল সৃষ্টির মালিক তার কখনো সৃষ্টি হয়না
আর যারা বলেন আল্লাহকে দেখা যায়না কিভাবে বুঝবো তিনি আছেন?
মানুষের দৃষ্টি সীমিত। আমরা বাতাস দেখতে পাই না, কিন্তু তার অস্তিত্ব অস্বীকার করি না। আত্মা, বিবেক, মনের অনুভূতিগুলোও দৃশ্যমান নয়, কিন্তু তা সত্ত্বেও আমরা তা মানি। আল্লাহ মানুষকে এমন দৃষ্টি দেননি যা দিয়ে তাঁকে দুনিয়ায় দেখা সম্ভব, কারণ তিনি সৃষ্টির মত নন—তিনি স্রষ্টা।
তোমরা যেটা দেখো (মূর্তি), সেটা মানুষের বানানো।
কোনো স্রষ্টা যদি মানুষের বানানো হয়—তাহলে সে স্রষ্টা নয়, সৃষ্টি।
আকাশ, সূর্য, চাঁদ, মানুষ, নিয়ম—এসব কি মূর্তি বানিয়েছে?
যারা সৃষ্টি নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না, তারা স্রষ্টা হতে পারে না।
তাই আমরা সৃষ্টিকে উপাস্য বানাই না—স্রষ্টাকেই মানি।
আমরা বিশ্বাস করি:
যিনি সব সৃষ্টি করেছেন, তাঁকে কেউ বানায়নি।
তাই তাঁকে পাথর, কাঠ বা রূপ দিয়ে ধরাও যায় না।
“তোমরা যাকে রূপ দিয়ে ধরো, আমরা তাকেই রূপের ঊর্ধ্বে মানি।তোমাদের চোখের সামনে মূর্তি আছে—আমাদের চোখের সামনে কোটি সৃষ্টি আছে।দেখা না গেলেও স্রষ্টার অস্তিত্ব তাঁর কর্মেই প্রমাণিত।”
আল্লাহ একক, এক ও অদ্বিতীয়।
তিনি চিরন্তন, সকলের উপর নির্ভরশীল।
তিনি জন্ম দেননি এবং জন্মগ্রহণ করেননি।
তাঁর সমকক্ষ কেউ নেই।
~সূরা ইখলাস