About MN

About MN Embracing the beautiful chaos of life, one adventure at a time!
(1)

রাতে ঘুমানোর আগে জরুরি আমলগুলোকরার চেষ্টা করুন, আল্লাহ্ তা'আলা বিপদ থেকে রক্ষা করবেন, ইনশা-আল্লাহ্।(১) রাসূল সাল্লাল্লাহ...
17/06/2025

রাতে ঘুমানোর আগে জরুরি আমলগুলোকরার চেষ্টা করুন, আল্লাহ্ তা'আলা বিপদ থেকে রক্ষা করবেন, ইনশা-আল্লাহ্।

(১) রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
যে ব্যক্তি শোয়ার সময় আয়াতুল কুরসী পড়বে শয়তান সারা রাত তার নিকটে যাবে না (বুখারি-২৩১১)

(২) রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
যে ব্যক্তি রাতে সুরা বাকারার শেষ ২ আয়াত (আ-মানার রাসূলু–) তেলাওয়াত করবে এটা তার জন্য যথেষ্ট হবে । (বুখারি- ৪০০৮)

(৩) প্রিয় নবী হযরত মুহম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
রাতে (কুল ইয়া আইয়্যু হাল কা-ফিরুন) (অর্থাৎ সূরা কা-ফিরুন) পাঠ করা শির্ক থেকে মুক্তি পেতে উপকারী। (সহীহ তারগীব-৬০২)

(৪) ’আয়িশাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, প্রতি রাতে নবী সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিছানায় যাওয়ার প্রাক্কালে সূরাহ ইখ্লাস, সূরাহ ফালাক ও সূরাহ নাস পাঠ করে দু’হাত একত্র করে হাতে ফুঁক দিয়ে যতদূর সম্ভব সমস্ত শরীরে হাত বুলাতেন। মাথা ও মুখ থেকে আরম্ভ করে তাঁর দেহের সম্মুখ ভাগের উপর হাত বুলাতেন এবং তিনবার এরূপ করতেন। (সহীহ বুখারী (তাওহীদ পাবলিকেশন) ৫০১৭

(৫) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন ঘুমানোর ইচ্ছা করতেন তখন তাঁর ডান হাত তাঁর গালের নীচে রাখতেন, তারপর এ দো‘য়া টি বলতেন।

ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺑِﺎﺳْﻤِﻚَ ﺃَﻣُﻮﺕُ ﻭَﺃَﺣْﻴَﺎ
(আল্ল-হুম্মা বিইসমিকা আমূতু ওয়া আহ্ইয়া)

❛হে আল্লাহ্! আপনার নাম নিয়েই আমি মরছি (ঘুমাচ্ছি) এবং আপনার নাম নিয়েই জীবিত (জাগ্রত) হবো❜। (বুখারি- ৬৩২৪)।

(৬) প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হযরত আলী (রাঃ) এবং ফতেমা (রাঃ)- কে বলেন, আমি কি তোমাদের এমন একটি ’আমল বলে দেব না, যা তোমাদের জন্য একটি খাদিমের চেয়েও অনেক অধিক উত্তম। যখন তোমরা শয্যা গ্রহণ করতে যাবে, তখন তোমরা আল্লাহু আকবার ৩৪ বার, সুবহানাল্লাহ ৩৩ বার, আল্হামদুলিল্লাহ ৩৩ বার পড়বে। এটা তোমাদের জন্য একটি খাদিমের চেয়েও অনেক অধিক কল্যাণকর। (সহীহ বুখারী (তাওহীদ পাবলিকেশন) ৬৩১৮)

(৭) প্রিয় নবী হযরত মুহম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
যে ব্যাক্তি প্রত্যেক রাতে তাবারকাল্লাযী বিইয়াদিহিল মুলক (সূরা মূলক) পাঠ করবে এর মাধ্যমে মহিয়ান আল্লাহ্ তাকে কবরের আযাব থেকে রক্ষা করবেন। ( তিরমিজি-২৮৯০)

আল্লাহ্ আমাদের সবাইকে সঠিক আমল করার তাওফীক দান করুক,, আমিন।

লেখাটি হৃদয় ছুঁয়েছে....৷বিশ্বনবী মুহাম্মদ সা. এর পিতা আব্দুল্লাহ, একদিন মক্কার বাজারে গিয়েছিলেন কিছু কেনা-কাটা করার জন্...
16/06/2025

লেখাটি হৃদয় ছুঁয়েছে....৷

বিশ্বনবী মুহাম্মদ সা. এর পিতা আব্দুল্লাহ, একদিন মক্কার বাজারে গিয়েছিলেন কিছু কেনা-কাটা করার জন্য I এক জায়গায় তিনি দেখলেন, এক লোক কিছু দাস- দাসী নিয়ে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে বিক্রি করছে I

আব্দুল্লাহ দেখলেন সেখানে দাঁড়িয়ে আছে, একটা ছোট নয় বছরের কালো আফ্রিকান আবিসিনিয়ার মেয়ে I মেয়েটাকে দেখে আব্দুল্লাহর অনেক মায়া হলো, একটু রুগ্ন হালকা-পাতলা কিন্তু কেমন মায়াবী ও অসহায় দৃষ্টি দিয়ে তাঁকিয়ে আছে I

তিনি ভাবলেন ঘরে আমেনা একা থাকেন, মেয়েটা পাশে থাকলে তার একজন সঙ্গী হবে I এই ভেবে তিনি মেয়েটাকে কিনে নিলেন I

মেয়েটিকে আব্দুল্লাহ ও আমেনা অনেক ভালোবাসতেন I স্নেহ করতেন I এবং তারা লক্ষ্য করলেন যে, তাদের সংসারে আগের চেয়েও বেশি রাহমাত ও বরকত চলে এসেছে I

এই কারণে আব্দুল্লাহ ও আমেনা মেয়েটিকে আদর করে নাম দিলেন "বারাকাহ"I

এই গল্প, বারাকার গল্প I

তারপর একদিন আব্দুল্লাহ, ব্যবসার কারণে সিরিয়া রওনা দিলেন I আমেনার সাথে সেটাই ছিল উনার শেষ বিদায় I উনার যাত্রার দুই এক দিন পর আমেনা একরাতে স্বপ্নে দেখলেন, আকাশের একটা তারা যেন খুব আলো করে তার কোলে এসে পড়লো I

পরদিন ভোরে তিনি বারাকাকে এই স্বপ্নের কথা বললেন I উত্তরে বারাকা মৃদু হেসে বললেন, "আমার মন বলছে আপনার একটা সুন্দর সন্তানের জন্ম হবে"

আমেনা তখনও জানতেন না তিনি গর্ভ ধারণ করেছেন কিন্তু কিছুদিন পর তিনি বুঝতে পারলেন, বারাকার ধারণাই সত্যিI আব্দুল্লাহ আর ফিরে আসেন নি, সিরিয়ার পথেই মৃত্যুবরণ করেছেনI

আমেনার সেই বিরহ ও কষ্টের সময়ে, বারাকা ছিলেন একমাত্র সবচেয়ে কাছের সঙ্গী I একসময় আমেনার অপেক্ষা শেষ হয় এবং তিনি জন্ম দিলেন আমাদের প্রিয় নবীকে I

শেখ ওমর সুলাইমানের বর্ণনা অনুযায়ী, সর্বপ্রথম আমাদের নবীকে দেখার ও স্পর্শ করার সৌভাগ্য হয়েছিল যে মানুষটির, সে হলো এই আফ্রিকান ক্রিতদাসী ছোট কালো মেয়েটি I

আমাদের নবীকে নিজ হাতে আমেনার কোলে তুলে দিয়েছিলেন, আনন্দে ও খুশিতে বলেছিলেন, "আমি কল্পনায় ভেবেছিলাম সে হবে চাঁদের মত কিন্তু এখন দেখছি, সে যে চাঁদের চেয়েও সুন্দর "

এই সেই বারাকা I নবীজির জন্মের সময় উনার বয়স ছিল তের বছর I ছোটবেলায় শিশু নবীকে আমেনার সাথে যত্ন নিয়েছেন, গোসল দিয়েছেন, খাওয়াতে সাহায্য করেছেন,আদর করে ঘুম পাড়িয়েছেন I

মৃত্যুর সময় আমেনা, বারাকার হাত ধরে অনুরোধ করেছিলেন তিনি যেন তাঁর সন্তানকে দেখে শুনে রাখেন I বারাকা তাই করেছিলেন I বাবা-মা দুজনকেই হারিয়ে, ইয়াতিম নবী চলে আসলেন দাদা আবদুল মোত্তালিবের ঘরে I

উত্তরাধিকার সূত্রে নবী হলেন বারাকার নতুন মনিব I কিন্তু তিনি একদিন বারাকাকে মুক্ত করে দিলেন, বললেন, -"আপনি যেখানে ইচ্ছে চলে যেতে পারেন , আপনি স্বাধীন ও মুক্ত I"

সেই শিশুকাল থেকেই নবী এই ক্রীতদাস প্রথাকে দূর করতে চেয়েছিলেন Iবারাকা নবীকে ছেড়ে যেতে রাজি হলেন না I রয়ে গেলেন I মায়ের ছায়া হয়ে পাশে থেকে গেলেন Iএমনকি নবীজির দাদা উনাকে বিয়ে দেয়ার জন্য বেশ কয়েকবার চেষ্টা করেছিলেন কিন্তু তিনি কিছুতেই রাজি হলেন না I উনার একই কথা, -"আমি আমেনাকে কথা দিয়েছি, আমি কোথাও যাবো না"

তারপর একদিন খাদিজা (রাঃ) এর সাথে নবীজির বিয়ে হলো I বিয়ের দিন রাসূল (সাঃ) খাদিজা (রাঃ) এর সাথে বারাকাকে পরিচয় করিয়ে দিলেন I তিনি বললেন, "উনি হলেন আমার মায়ের পর আরেক মা"

বিয়ের পর রাসূল (সাঃ) একদিন বারাকাকে ডেকে বললেন, -"উম্মি ! আমাকে দেখাশুনা করার জন্য এখন খাদিজা আছেন, আপনাকে এখন বিয়ে করতেই হবেI" (নবীজি উনাকে উম্মি ডাকতেন, নাম ধরে ডাকতেন না )

তারপর রাসূল (সাঃ) ও খাদিজা মিলে উনাকে উবাইদ ইবনে জায়েদের সাথে বিয়ে দিয়ে দিলেন I কিছুদিন পর বারাকার নিজের একটা ছেলে হলো, নাম আইমান I এরপর থেকে বারাকার নতুন নাম হয়ে গেলো "উম্মে আইমান"I

একদিন বারাকার স্বামী উবাইদ মৃত্যু বরণ করেন, নবীজি গিয়ে আইমান ও বারাকাকে সাথে করে নিজের বাড়ি নিয়ে আসেন এবং সেখানেই থাকতে দিলেন I কিছুদিন যাওয়ার পর নবীজি একদিন বেশ কয়েকজন সাহাবীকে ডেকে বললেন,

"আমি একজন নারীকে জানি, যার কোন সম্পদ নেই, বয়স্ক এবং সাথে একটা ইয়াতিম সন্তান আছে কিন্তু তিনি জান্নাতি, তোমাদের মধ্যে কেউ কি একজন জান্নাতি নারীকে বিয়ে করতে চাও?" এইকথা শুনে জায়েদ ইবনে হারিসা (রাঃ) নবীজির কাছে এসে বিয়ের প্রস্তাব দিলেন I নবীজি উম্মে আইমানের সাথে কথা বলে বিয়ের আয়োজন করলেন I

বিয়ের দিন রাসূল (সাঃ) জায়েদকে বুকে জড়িয়ে আনন্দে ও ভালোবাসায়, ভেজা চোখে, কান্না জড়িত কণ্ঠে বললেন, "তুমি কাকে বিয়ে করেছো, জানো জায়েদ ?" -হ্যা, উম্মে আইমানকে I জায়েদের উত্তর I নবীজি বললেন, -"না, তুমি বিয়ে করেছো, আমার মা কে "

সাহাবীরা বলতেন, রাসূল (সাঃ) কে খাওয়া নিয়ে কখনো জোর করা যেত না I উনি সেটা পছন্দ করতেন না I কিন্তু উম্মে আইমান একমাত্র নারী, যিনি রাসূল (সাঃ) কে খাবার দিয়ে "খাও".." খাও".. বলে তাড়া দিতেন I আর খাওয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত পাশে বসে থাকতেন I নবীজি মৃদু হেসে, চুপ চাপ খেয়ে নিতেন I

রাসূল (সাঃ) উনার দুধ মাতা হালিমাকে দেখলে যেমন করে নিজের গায়ের চাদর খুলে বিছিয়ে তার উপর হালিমাকে বসতে দিতেন ঠিক তেমনি মদিনায় হিজরতের পর দীর্ঘ যাত্রা শেষে উম্মে আইমান যখন ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলেন নবীজি উনার গায়ের চাদরের একটা অংশ পানিতে ভিজিয়ে, উম্মে আইমানের মুখের ঘাম ও ধুলোবালি নিজ হাতে মুছে দিয়েছিলেন এবং বলেছিলেন, "উম্মি ! জান্নাতে আপনার এইরকম কোন কষ্ট হবে না"

নবীজি মৃত্যুর আগে সাহাবীদের অনেক কিছুই বলে গিয়েছিলেন I সেই সব কথার মধ্যে একটা ছিল, উম্মে আইমানের কথা Iবলেছেন, "তোমরা উম্মে আইমানের যত্ন নিবে, তিনি আমার মায়ের মত I তিনিই একমাত্র নারী, যিনি আমাকে জন্ম থেকে শেষ পর্যন্ত দেখেছেন I আমার পরিবারের একমাত্র সদস্য, যিনি সারাজীবন আমার পাশে ছিলেন I"

সাহাবীরা সেই কথা রেখেছিলেন I গায়ের রং নয়, এক সময়ের কোন ক্রিতদাসী নয়, তাঁর পরিচয় তিনি যে নবীর আরেক মা I মায়ের মতোই তাঁরা, এই বৃদ্ধা নারীকে ভালোবেসে আগলে রেখেছিলেন I

যে-ধর্ম মানুষকে মুক্তি দেয় না, বন্দী করে, সে-ধর্ম শয়তানের ধর্মএক ফিলিস্তিনীর সাথে দেখা। বললেন: “ইহুদীরা আল্লাহকে ডাকে চা...
16/06/2025

যে-ধর্ম মানুষকে মুক্তি দেয় না, বন্দী করে, সে-ধর্ম শয়তানের ধর্ম

এক ফিলিস্তিনীর সাথে দেখা। বললেন: “ইহুদীরা আল্লাহকে ডাকে চার হাজার বছর ধরে। মুসলমানরা ডাকে চৌদ্দশো বছর ধরে। আল্লাহ যে মানুষের ব্যাপারে নাক গলান না, মানুষের মৃত্যুতে তাঁর কিছু আসে যায় না, সেটা বুঝতে ইহুদীদের চার হাজার বছর লেগেছে। মুসলমানদেরও চার হাজার বছর লাগবে। চার হাজার বছর না গেলে মুসলমানদের দুর্গতি শেষ হবে না। চার হাজার বছর পর তারা বুঝবে— আল্লাহ ধর্মান্ধতা পছন্দ করেন না, মূর্খের এবাদত কবুল করেন না, নারীর পোশাক নিয়ে মাথা ঘামান না, এবং সর্বদা জ্ঞান-বিজ্ঞানের পক্ষে থাকেন। যারা চুল না ঢাকার জন্য একজন নারীকে হত্যা করতে পারে (মাশা আমিনী), তাদের পক্ষে আল্লাহ থাকবেন কেন? যারা মুসলমান মরলে কাঁদে, মানুষ মরলে কাঁদে না; তাদের ডাকে আল্লাহর সাড়া দেওয়ার কারণ নেই। চার হাজার বছর না হলে মুসলমানরা বুঝবে না, পৃথিবীটা কেবল মুসলমানদের নয়। এটা মানুষের। এবং মানুষ টিকে থাকে সংগ্রামের মধ্য দিয়ে, পরিবর্তনের মধ্যে দিয়ে, দোয়া-দরুদের মধ্য দিয়ে নয়। মানুষের উৎকর্ষ মূলত জ্ঞান-বিজ্ঞানের উৎকর্ষ, শিল্পকলার উৎকর্ষ। যারা বিশ্বাস করে, কাফের মারলে আল্লাহ খুশি হন, ইহুদীর মৃত্যুতে উল্লাস হিন্দুর মৃত্যুতে সুখ নাস্তিকের মৃত্যুতে উৎসব, শুধু বেছে বেছে মুসলমানের মৃত্যুতে শোক, এই যাদের ধর্ম, তারা চার হাজার বছর পর বুঝবে, পথটা সঠিক ছিলো না। জ্ঞানীর এক বছর, মূর্খের চার হাজার বছর। ইহুদীরা ধর্মান্ধতা ত্যাগ করেও ধর্ম আঁকড়ে ধরে আছে, কিন্তু মুসলমানরা ধর্ম হারানোর ভয়ে ধর্মান্ধতা ত্যাগ করছে না। চার হাজার বছর না গেলে বুঝবে না, পৃথিবীতে সব মানুষ মিলেমিশে থাকার নামই ধর্ম। অন্যের ধ্বংস কামনা কোনো ধর্ম নয়। যে-ধর্ম মানুষকে মুক্তি দেয় না, বন্দী করে, সে-ধর্ম শয়তানের ধর্ম। আল্লাহর নয়।”

“একটি খেজুরের ফল”একবার রাসুলুল্লাহ (সা.) সাহাবাদের উদ্দেশ্যে বললেন:“তোমরা আগুন থেকে বাঁচো, যদিও তা অর্ধেক খেজুরের দানার ...
14/06/2025

“একটি খেজুরের ফল”

একবার রাসুলুল্লাহ (সা.) সাহাবাদের উদ্দেশ্যে বললেন:

“তোমরা আগুন থেকে বাঁচো, যদিও তা অর্ধেক খেজুরের দানার মাধ্যমে হয়।”

একদিন এক দরিদ্র সাহাবি কিছুই না পেয়ে অর্ধেক খেজুর দান করেন। লোকেরা অবাক হয়ে তাকায়। রাসুল (সা.) বললেন:

> “আল্লাহ্‌ তোমার নিয়ত দেখেন, পরিমাণ নয়। এই অর্ধেক খেজুর হয়তো কারো জীবনের প্রয়োজনে শান্তির কারণ হবে।”

এই গল্প আমাদের শেখায়:
👉 সদকা বা দান ছোট হোক বা বড় — নিয়ত থাকলে, আল্লাহ তাতে বরকত দেন।
👉 আমাদের সাধ্য অনুযায়ী দান করাই গুরুত্বপূর্ণ।

ঈশ্বর অমুক তমুককে দিয়ে বার্তা পাঠান কেন? তিনি নিজে মানুষকে সরাসরি কিছু বলেন না কেন?বাংলাদেশের সবাই, ছবির এই বিল্ডিংটি চে...
07/06/2025

ঈশ্বর অমুক তমুককে দিয়ে বার্তা পাঠান কেন? তিনি নিজে মানুষকে সরাসরি কিছু বলেন না কেন?

বাংলাদেশের সবাই, ছবির এই বিল্ডিংটি চেনেন। এমনকি ভারতের পাঠকেরাও এই বিল্ডিং দেখে চিনবেন। এখানে আইন পাশ হয়, সেটা সবাই জানেন। দেশে কয়েকশত সংসদ সদস্য আছে, সেটা জানেন। কয়েক ডজন মন্ত্রী আছে, সেটাও আপনারা সবাই জানেন। প্রধানমন্ত্রী, প্রেসিডেন্ট এদেরকে সবাই চেনেন।

দেশের সকল আইন প্রনয়ন করে - সরকার। সরকারের কাজকর্ম করার জন্য, সারা দেশে সরকারী অফিস-আদালত আছে। সরকারের সবচেয়ে বড় অফিস হলো সচিবালয়/মন্ত্রণালয়। প্রতিটি সরকারি সংস্থার নিজস্ব আইন আছে।

দেশের বিচার ব্যাবস্থার জন্য আইন আছে। পুরো দেশে আইন শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য, বিশাল বাহিনী আছে। এসব বাহীনিকে আপনারা পোশাক দেখেই চিনে ফেলেন। এমনকি, রাস্তায় লাল লাইট জ্বললে গাড়ি থামাতে হবে। রাস্তার যেখানে সাদা-কালো দাগ দেওয়া আছে, সেখানে রাস্তা পার হতে হবে। এসব ট্রাফিক আইনও আপনি জানেন।

এতকিছু আপনি কিভাবে জেনেছেন?

দেশের প্রেসিডেন্ট কি আপনার বাসায় গিয়েছিলো? আপনার বাসায় গিয়ে, প্রেসিডেন্ট কি আপনাকে সংসদ ভবন চিনিয়েছে? অমুক মন্ত্রণালয়, তমুক মন্ত্রী, সংসদ সদস্য ইত্যাদি কি প্রেসিডেন্ট আপনার বাসায় গিয়ে শিখিয়েছে? বুঝলাম, প্রেসিডেন্ট ব্যাস্ত মানুষ, আপনার বাসায় যেতে পারেনি। আপনাকে টেলিফোনে এসব তথ্য দিয়েছে, তাই না?

কি বুঝলেন?

লোকজনের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করে, সরকার নিজের পরিচয় দেয় না। লোকজনের সাথে যোগাযোগ করে সরকার তার আইন-কানুন শেখায় না। বরং, লোকজন নিজের দায়িত্বে সরকারকে চিনে নেয়। লোকজন নিজের দায়িত্বে সরকারের মনোনীত ব্যাক্তি/অফিস থেকে সরকারী আইন-কানুন জেনে নেয়।

আপনি তো সর্বশক্তিমান সৃষ্টিকর্তাকে, সামান্য একজন প্রেসিডেন্টের সমান মর্যাদাও দিলেন না।

আল্লাহ সর্বশক্তিমান, সর্বোচ্চ ক্ষমতাবান। তিনি সবার সাথে যোগাযোগ করে, নিজেকে চেনাবেন কেন? আপনি নিজ দায়িত্বে আল্লাহকে চিনিবেন। নিজ দায়িত্বে আল্লাহর মনোনীত ব্যাক্তির (নবী/রাসুল) কাছ থেকে, আল্লাহর আদেশ-নিষেধ জানবেন।

আদম (আ) এর সময় কি ডায়নাসোর ছিল?খুব মজার প্রশ্ন। সবাই জানে, কিন্তু বিষয়টা যে আসলে কেমন, সেটা আন্দাজ করতে পারে না। এর কারণ...
05/06/2025

আদম (আ) এর সময় কি ডায়নাসোর ছিল?

খুব মজার প্রশ্ন। সবাই জানে, কিন্তু বিষয়টা যে আসলে কেমন, সেটা আন্দাজ করতে পারে না। এর কারণ হলো - অনেক বড় সংখ্যা।

মানব জাতির বয়স কত, সেটা নিয়ে যুগে যুগে গবেষণা হয়েছে। মাত্র ৫০ বছর আগেও, বিজ্ঞানীদের ধারণা ছিলো, মানব জাতির বয়স ১০ হাজার বছর। এরপর চীন দেশে, ৮০ হাজার বছর পুরাতন, মানুষের মাথার খুলি পাওয়া গেল। এভাবে, মানুষ জাতির বয়সের ব্যপারে বিজ্ঞানীদের নতুন করে হিসাব নিকাশ করতে হলো। এ পর্যন্ত, সবচেয়ে পুরাতন, যে মানুষের হাড় পাওয়া গেছে, সেটা আড়াই লক্ষ বছর পুরাতন। বর্তমানে বিজ্ঞানীদের ধারণা, মানব জাতির বয়স তিন (৩) লক্ষ বছর হবে। মনে রাখবেন, এটা তথ্যের ভিত্তিতে অনুমান মাত্র। প্রমাণিত নয়।

ছবি: উড়ন্ত ডাইনোসার Quetzalcoatlus। এটা সর্বকালের সবচেয়ে বড় উড়ন্ত প্রাণী। ডানা খোলা অবস্থায়, ৭০ ফুট চওড়া। সাইজ দেখে মনে হয়, আস্ত মানুষ গিলতে পারবে।

ডাইনোসার এর আমলে, পৃথিবীটা একেবারে অন্যরকম ছিলো। তখন সবকিছুই আকারে বড় ছিলো। ব্যাঙ ছিলো গরুর সাইজ। মশা ছিলো কবুতর এর সাইজের। তেলাপোকা ছিলো ছাগল এর সমান। হাজার ফুট উচু গাছ ছিলো। অজগর এর সমান কেচো ছিলো। এক কথায় - পৃথিবী ছিলো বিপজ্জনক।

আল্লাহর রহমত, ডাইনোসার বিলুপ্ত হবার অনেক পরে, মানুষ দুনিয়াতে এসেছে। নইলে তেমন বিপজ্জনক পৃথিবীতে মানুষ টিকতে পারতো না।

ডাইনোসার বিলুপ্তির কত পরে, মানুষ এসেছে?

আগেই বলেছি, মানুষ জাতি দুনিয়াতে এসেছে আনুমানিক তিন (৩) লক্ষ বছর আগে। আর, ডাইনোসার বিলুপ্ত হয়েছে সাড়ে ছয় (৬) কোটি বছর আগে। সময়ের পার্থক্য অনেক অনেক বেশি।

এই বেশিটা কত বেশি, সেটা বোঝার জন্য একটা অনুপাতিক তুলনা করি। ওই সাড়ে ছয় (৬) কোটি বছরকে, যদি এক মাস এর সাথে তুলনা করি, তাহলে মানুষ এসেছিল মাত্র তিন (৩) ঘন্টা আগে।

এক কথায়, ডাইনোসার এত আগে বিলুপ্ত হয়েছে যে - সেটার তুলনায় আদম (আ) এর আগমন, অল্প কিছুদিন আগের কথা।

বোনাস: ডাইনোসার বিলুপ্ত হলেও, তার বংশধর এখনো ভিন্ন রূপে টিকে আছে। বিস্তারিত:

কাক হচ্ছে একমাত্র পাখি যে ঈগলের ঘাড়ের উপর বসে ঠোকর মেরে তাকে বিরক্ত করতে পারে, এত সাহস অন্য কোনো পাখির নেই, মজার ব্যাপা...
18/05/2025

কাক হচ্ছে একমাত্র পাখি যে ঈগলের ঘাড়ের উপর বসে ঠোকর মেরে তাকে বিরক্ত করতে পারে, এত সাহস অন্য কোনো পাখির নেই, মজার ব্যাপার হচ্ছে ঈগল কিন্তু কাকের সাথে লড়াই করে বা তাকে মেরে ফেলতে যেয়ে নিজের সময় ও শক্তি নষ্ট করে না,ঈগল যেটা করে সেটা হচ্ছে সে দ্রুত গতিতে উপরে উঠতে থাকে,অতি উচ্চতায় অক্সিজেন স্বল্পতার কারণে এবং ঈগলের প্রচণ্ড গতির কারণে কাক দুর্বল হয়ে পড়ে এবং টিকতে না পেরে ঈগলের ঘাড় হতে দ্রুত খসে পড়ে ||

ঠিক তেমনিভাবে, আপনার জীবন চলার পথে কাছের মানুষ, আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধব রূপী অনেক কাক আপনার পিছনে ঠোকর মেরে আপনার জীবনকে ব্যহত করবে। এদের সাথে লড়তে যেয়ে সময় এবং শ্রম অপচয় করার কোন দরকার নেই। আপনার চুড়ান্ত লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য কাজের গতি আর পরিশ্রম আরও বাড়িয়ে দিন। দেখবেন আপনার গতির সাথে তাল মেলাতে না পেরে এইসব কাকেরা দুর্বল হয়ে এমনিতেই ঝড়ে পড়ে যাবে শুধুমাত্র সময় এর ব‍্যাপার..

মনে করুন, যদি একটি হরিণী আল্লাকে প্রশ্ন করে বসে, হে আল্লা আমি তো তোমার কাছে কোনো পাপ করিনি কেন তুমি আমাকে বাঘকে দিয়ে খা...
17/05/2025

মনে করুন, যদি একটি হরিণী আল্লাকে প্রশ্ন করে বসে, হে আল্লা আমি তো তোমার কাছে কোনো পাপ করিনি কেন তুমি আমাকে বাঘকে দিয়ে খাওয়াচ্ছ? কেন তুমি আমার বাচ্চাদেরকে ক্ষুধার্ত রেখে কষ্ট দিয়ে প্রাণ কেড়ে নিচ্ছো? তখন আল্লা হরিণীর এই কঠোর প্রশ্নের জবাব কী দিবেন?

এই সামান্য বিষয়টা আপনার কাছে এতো কঠোর লেগেছে, যে আপনি আল্লাহর কাছে বিচার দিতে চাইছেন। 3x4=? ; এই অংকটা একটা তিন বছরের শিশুর জন্য কঠিন অংক। অথচ, অংকটা খুবই সহজ। ঠিক তেমনই, আপনার এই কঠোর প্রশ্নটি আসলে খুবই সহজ।

ছবির এই যন্ত্রটি কখনো ব্যবহার করেছেন? ওটা একটা ঘাস কাটার মেশিন। যন্ত্রটি চালু করে, ঠেলে নিয়ে গেলে, সবগুলো ঘাস সমান সাইজের কেটে দেয়। দেখে সহজ মনে হলেও, কাজটিতে বেশ পরিশ্রম আছে।

এমন ঘাস কাটার সময় একটা বিশেষ ঘটনা ঘটে। আশেপাশের বাতাসে কেমন যেন একটা ভেজা গন্ধ পাওয়া যায়। সেই গন্ধটা এতই জোরালো যে, ঘাস কাটার দৃশ্য না দেখেও, শুধুমাত্র গন্ধের কারণে বলতে পারবেন, ওখানে কিছুক্ষণ আগে ঘাস কাটা হয়েছে।

এমন গন্ধের পেছনে কারণ হলো - আহত হয়ে, ঘাস এক ধরণের রাসায়নিক পদার্থ নিঃসরণ করে। ওটা ঘাসের চিৎকার। ওটা ঘাসের কান্না।

উদ্ভিদের প্রাণ আছে। উদ্ভিদ আহত হয়, সাড়া দেয়, চিৎকার করে, কাঁদে। আওয়াজ করতে পারে না বলে, আপনি উদ্ভিদের কষ্টটা দেখেন না, বোঝেন না।

আপনার কঠোর প্রশ্নের ওই নিরীহ হরিণ, প্রতিদিন বারবার বিভিন্ন উদ্ভিদ আহত করে, হত্যা করে। ওই উদ্ভিদগুলো চিৎকার করে কাঁদে। ওই উদ্ভিদগুলো বারবার বলে - আমি কি অপরাধ করেছি, আমাকে হরিণ দিয়ে খাওয়াচ্ছ কেন?

আপনি হরিণকে যেমন নিরীহ মনে করছেন, সে তেমন নিরীহ নয়। আসলে কোন প্রাণীই নিরীহ নয়। নিজের জীবন বাঁচিয়ে রাখার জন্য, অন্য জীবকে হত্যা করে, শক্তি সংগ্রহ করে। এটাকেই আমরা খাদ্য বলি।

এই পদ্ধতিটি আল্লাহর সৃষ্টি। জীবন বাঁচিয়ে রাখার জীবনীশক্তি শুধুমাত্র আরেকটি জীবের মধ্যে পাওয়া যায়। এজন্যই একটি প্রাণী আরেকটি প্রাণীকে হত্যা করে শক্তি (খাদ্য) সংগ্রহ করে। সকল প্রাণীই অন্যকে হত্যার অপরাধী। সকল প্রাণীই অন্যের দ্বারা নিহত হবার ঝুঁকিতে আছে।

বোকা বান্দা!জায়নামাজে লুটিয়ে পড়ে অপ্রাপ্তির যন্ত্রণায় কাতরাতে থাকা ছেলেটা নামাজ শেষে আঙুলের কড়গুনে তসবিহ আদায় করতে গিয়ে ...
15/05/2025

বোকা বান্দা!

জায়নামাজে লুটিয়ে পড়ে অপ্রাপ্তির যন্ত্রণায় কাতরাতে থাকা ছেলেটা নামাজ শেষে আঙুলের কড়গুনে তসবিহ আদায় করতে গিয়ে হঠাৎই আনমনে হেসে ওঠে।

ছেলেটা ঠোঁট নাড়িয়ে নাড়িয়ে পড়ছিল-'আলহামদুলিল্লাহ! আলহামদুলিল্লাহ! আলহামদুলিল্লাহ!' প্রতিবার 'আলহামদুলিল্লাহ' উচ্চারণের পর ছেলেটার মনে হচ্ছিল 'হ্যাঁ ঠিকই তো, সকল প্রশংসা তো তাঁরই, যিনি না চাইতেও আমাকে কত কত নাজ-নিয়ামতের মাঝে ডুবিয়ে রেখেছেন, আর আমি কিনা সেই রবের কাছে কিছু চেয়ে খালি হাতে ফিরে আসব? কখনোই না। কোনোদিনও না!'

একটু পরেই ছেলেটা অট্টহাসিতে ফেটে পড়ে। কারণ, সে তার রবের কাছে কিছু চাওয়ার পরেও এতক্ষণ বোকার মতো দুশ্চিন্তা আর অস্থিরতার মাঝে হামাগুড়ি খাচ্ছিল, কিন্তু পরক্ষণেই যখন তার মনে পড়ল, আল্লাহ তাআলা বলেছেন, 'অবশ্যই আমি ধৈর্যশীলদের সঙ্গে আছি!' তখনই আনন্দে ছেলেটার গাল দুটো লাল হয়ে উঠল। এরপর আকাশের দিকে তাকিয়ে মুচকি একটু হেসে নিয়ে সে বলল, 'আমি কতটা বোকা, তাই না রব? আপনার বোকা বান্দা!'

Address

Kishoreganj
2310

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when About MN posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share