About MN

About MN Embracing the beautiful chaos of life, one adventure at a time!
(1)

সৌদি আরবের একটি শহর থেকে একবার এক কালো জাদুকরের বাসায় রেইড দিল পুলিশ। বাইরে থেকে দেখলে মনে হবে এলাকার আর ১০ টা সাধারণ ব...
16/07/2025

সৌদি আরবের একটি শহর থেকে একবার এক কালো জাদুকরের বাসায় রেইড দিল পুলিশ। বাইরে থেকে দেখলে মনে হবে এলাকার আর ১০ টা সাধারণ বাসার মতোই যেন এই বাসা। কিন্তু দরজা খোলার সাথে সাথেই বুঝা যাবে, এই বাসায় স্বাভাবিক বলে কিছু নেই!

ভেতরে ঢুকতেই পুলিশদের গা গুলিয়ে বমি আসলো ভয়ানক দুর্গন্ধে! পুরো বাসাটা যেন একটা আবর্জনা খানা! তান্ত্রিক টাইপের হাবিজাবি জিনিস দিয়ে বাসা ভর্তি — তাবিজ- কবজ, দড়ি, বোতল, মরা প্রাণীর মৃতদেহের অংশবিশেষ, পায়খানা, রক্ত — এগুলো জায়গায় জায়গায় ছড়িয়ে আছে! এই বাসায় কোন সুস্থ মস্তিষ্কের মানুষ থাকতে পারে?

পুলিশ সেই কালো জাদুকর মহিলাকে গ্রেফতার করল এবং তার বাসা থেকে বাজেয়াপ্ত করা জিনিসগুলোর উপর ইনভেস্টিগেশন শুরু করল। কালো জাদুর সাহায্যে এই মহিলা অনেক মানুষের ক্ষতি করেছে। প্রেগনেন্সি নষ্ট করা, স্বামী-স্ত্রীর বিচ্ছেদ থেকে শুরু করে কারো মৃত্যু! কোন কিছুই বাদ নেই।

ইনভেস্টিগেশন করার সময় পুলিশ অদ্ভুত একটা জিনিস আবিষ্কার করল! একজন পার্টিকুলার মহিলার ওপর অসংখ্য অসংখ্য বার কালোজাদুর চেষ্টা করা হয়েছে! বিভিন্ন বোতলের ভেতর কাগজের ওপর তার নাম লেখা, তার ছবির উপর বিভিন্ন রকমের আঁকা-বুকি করা, এতবার এতবার এই এক মহিলার নাম লেখা উপকরণ খুঁজে পেয়েছে যে, বাধ্য হয়ে পুলিশ কালো জাদুকরকে জিজ্ঞেস করে, "কেন এতগুলো উপকরণে একজন মহিলার নাম লেখা?"

কালো জাদুকর মহিলা তখন বলে,
"আমি এই মেয়েটার উপর কালো জাদু করার জন্য দুনিয়ার কোন চেষ্টা করা বাকি রাখিনি! অথচ কিছুতেই আমি কালো জাদু দিয়ে তাকে কাবু করতে পারিনি। এই মেয়েটির আপন খালা/আত্মীয়া তাকে কালো জাদু করার জন্য আমাকে অনেক টাকা দিয়েছে। অথচ আমি যতবার আমার জিনদেরকে তার বাসায় পাঠিয়েছি ক্ষতি করার জন্য, জিনগুলো ফেরত এসে আমাকে বলেছে, "আমরা তো ঐ বাড়িতে কিছুই দেখতে পারি না! ক্ষতি করার মত কোন মানুষকেই দেখতে পাই না!"
সুবহানআল্লাহ!!

যে মেয়েটার উপর কালো জাদুর এত চেষ্টা করা হয়েছে, সে আদৌ নিরাপদে আছে কিনা ? এটা নিশ্চিত হওয়ার জন্য এবার পুলিশ মেয়েটিকে সরাসরি ফোন দিল। মেয়েটাকে সব খুলে বলল পুলিশ। সে তো ভীষণ অপ্রস্তুত সব কিছু শুনে! তাকে জিজ্ঞেস করল, "এই যে এতবার আপনার ক্ষতি করার চেষ্টা করা হয়েছে। আপনি কি কিছু টের পেয়েছিলেন?"
উত্তরে ভদ্রমহিলা যা জবাব দিল শুনে যেন হাত পা ঠাণ্ডা হয়ে যায়! তিনি বললেন, "জি, মাঝে মাঝে সন্ধ্যার পরে আমাদের মনে হতো ঘরের জানালাগুলোর উপর বাইরে থেকে সজোরে বাতাস দিয়ে কোন আঘাত করা হচ্ছে। আমরা ভেবেছি হয়তো এটা কোন ঝড়ের আলামত অথবা আবহাওয়ার সমস্যা এবং মাঝে মাঝেই রাতে দেখতাম আমাদের ঘরের লাইটগুলো জ্বলছে এবং নিভছে — আবার নিজে নিজে ঠিক হয়ে যেত। তাই আমরা ভাবতাম হয়তো বিদ্যুৎ লাইনের কোন সমস্যা! এর বেশি তো আমি কিছু চিন্তা করিনি। আল্লাহু আকবার! সকল প্রশংসা আল্লাহর যিনি আমাদেরকে রক্ষা করেছেন!"

তখন পুলিশ অফিসার কৌতূহলী হয়ে তাকে জিজ্ঞেস করলেন, ‌"আচ্ছা বোন, আপনি যদি কিছু মনে না করেন আমাদেরকে একটু বলবেন আপনি কি কি আমল করেন, অথবা দুয়া করেন, যেটার বদৌলেতে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আপনাকে এত বড় ক্ষতি থেকে হেফাজত করেছেন? কালো জাদুকরের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টার বিনিময়ে আল্লাহ আপনাকে সর্বোচ্চ সুরক্ষা দিয়েছেন?"

ভদ্রমহিলার উত্তরটা অন্তর নাড়া দেওয়ার মত রিমাইন্ডার!
তিনি তখন শেয়ার করলেন যে, সে কখনও সকাল এবং সন্ধ্যার জিকির- আযকারগুলো বাদ দেন না — অর্থাৎ আয়াতুল কুরসি, সূরা ফালাক, নাস, ইখলাস থেকে শুরু করে মাসনুন দুয়ার আমলগুলো! সকালে একবার এবং সন্ধ্যায় একবার — তার কখনোই এটা মিস্ যায় না আলহামদুলিল্লাহ। সেই সাথে তিনি সূরা বাকারাহ পাঠ করেন, কুরআনের সাথে পর্যাপ্ত সময় কাটান এবং আরো কিছু বিশুদ্ধ সুন্নতি দুয়ার লিস্ট তিনি পুলিশ অফিসারকে দেন।

ঘটনাটা ঢাকার মিটফোর্ডের। চাদা না দেওয়ায় এক ব্যবসায়ীকে মেরে ফেললো সেখানকার যুবদলের কিছু নেতা কর্মীরা। প্রথমদিকে অনবরত কিল...
12/07/2025

ঘটনাটা ঢাকার মিটফোর্ডের। চাদা না দেওয়ায় এক ব্যবসায়ীকে মেরে ফেললো সেখানকার যুবদলের কিছু নেতা কর্মীরা। প্রথমদিকে অনবরত কিল-ঘুষি। এরপর এলোপাথাড়ি কোপ। তারপর লোকটি অচেতন হয়ে পরলে, সেই হুবহু মানুষের মতো দেখতে পিশাচগুলো রাস্তার পাশে পড়ে থাকা একটা বড় ভারি পাথর দু'হাত দিয়ে তুলে লোকটার মাথায় ছুড়ে মারে। এতেও ক্ষান্ত হয়নি তারা। ভারি পাথরটি পুণরায় দু'হাতে তুলে লোকটার বুকের উপর ছুড়ে মারে। এই একই কাজ তারা কয়েকবার করে। লোকটা একটা সময় নিস্তেজ হয়ে পড়লে, যুবদলের সেই হায়েনাগুলো লোকটাকে টানতে টানতে মেইন রাস্তার উপর আনে। সেখানে তারা মরা লোকটার বুকের উপর দাঁড়িয়ে কয়েকবার লাফালাফিও করে। কতোটা নৃশংস এই দৃশ্য। কতোটা সহজ এদেশে একটা মানুষকে মেরে ফেলা।

শেখ হাসিনার আমলে বিড়াল হয়ে ঘরের কোণায় বসে থাকা দলের সদস্যগুলা আজ বাঘের পোষাক পড়েছে। ১৫টা বছরের ক্ষুধা তাদেরকে মানুষ থেকে অমানুষ করে দিয়েছে। ক্ষমতায় না যেতেই তারা এতোটা নৃশংস। ক্ষমতায় গেলে তারা কি করবে— তা আমি প্রায়ই ভাবি।

যাক্কুম গাছ। দেখতে কী ভয়াবহ আর বীভৎস! এই গাছ রয়েছে সৌদি আরবের তায়েফ অঞ্চলে। মক্কা থেকে ৮০ কিলোমিটার দূরে তাইফ শহরে। শহর...
09/07/2025

যাক্কুম গাছ। দেখতে কী ভয়াবহ আর বীভৎস! এই গাছ রয়েছে সৌদি আরবের তায়েফ অঞ্চলে। মক্কা থেকে ৮০ কিলোমিটার দূরে তাইফ শহরে। শহরটি চারদিকে শীতল পাহাড় দ্বারা বেষ্টিত। কয়েক বছর ধরে এই অঞ্চলে যাক্কুম গাছও সমৃদ্ধ হচ্ছে।

এটি প্রচুর বড় বড় তীক্ষ্ণ কাঁটযুক্ত একটি গাছ। পবিত্র কোরআনে সুরা আল-ওয়াকিয়াহ-এর ৫২ নং আয়াতে বলা হয়েছে,

لَءَاكِلُونَ مِن شَجَرٍ مِّن زَقُّومٍ

অর্থঃ তোমরা অবশ্যই ভক্ষণ করবে যাক্কুম বৃক্ষ থেকে,

এই গাছের ফল হবে জা*হা*ন্না*ম বাসীদের জন্য খাদ্য স্বরূপ। তাফসীরে এসেছে, এই খাবার পচে গলে যাওয়া অতিশয় দুর্গন্ধযুক্ত খাবার। গলিত পিতলের মতো স্বাদ আসবে, বরং তার চেয়ে আরও খারাপ। ফলগুলো তাদের শরীরে ও মুখে জ্বলন্ত অঙ্গার স্বরূপ হবে।

যাক্কুম শব্দটি পবিত্র কুরআনে সূরা আশ-শাফায়াত-এর ৬২, ৬৩, ৬৬ ও ৬৭, ৬৮ নং আয়াতে, সূরা আল-ইসরা-এর ৬০ নং আয়াতে, সূরা আদ-দুখান-এর ৪৩ নং আয়াতে এবং সূরা আল-ওয়াকিয়াহ-এর ৫২ নং আয়াতসহ মোট আট বার ব্যবহৃত হয়েছে।

এই খাবার মূলত যি*নাকারী বা ব্যভিচারী নারী-পুরুষদের খাওয়ানো হবে। মহান রব্ব আমাদের সকলকে যি*না ব্যভিচার থেকে হেফাজত করুন....।

আমিন

আমিরাতের সাথে ১০ বছরে $১.৪ ট্রিলিয়ন বা ১৪০০ বিলিয়নের ডিল করে আসছে ট্রাম্প। বাণিজ্যিক ডিল হয়েছে $২০০ বিলিয়নের।সৌদি দিয়ে শ...
08/07/2025

আমিরাতের সাথে ১০ বছরে $১.৪ ট্রিলিয়ন বা ১৪০০ বিলিয়নের ডিল করে আসছে ট্রাম্প। বাণিজ্যিক ডিল হয়েছে $২০০ বিলিয়নের।
সৌদি দিয়ে শুরু। $৩০০ বিলিয়নের ডিল করেছে সৌদি। $৬০০ বিলিয়নের ডিল পাইপলাইনে। আর ২য় বিনিয়োগ সামিটে সৌদি বিনিয়োগ $১ ট্রিলিয়ন বা ১০০০ বিলিয়নে নেয়ার আশা প্রকাশ করেছে।
কাতার সৌদির থেকে পিছিয়ে পড়বে কেন? বরং আরেকটু বেশি পদলেহন করতে হবে। কাতার আমেরিকার সাথে ইকোনমিক ডিল করেছে $২৪৩.৫ বিলিয়নের। দুই পক্ষের ইকোনমিক এক্সচেন্জ সমঝোতার ডিল হয়েছে মোট $১.২ ট্রিলিয়নের বা $১২০০ বিলিয়নের।
সব মিলিয়ে ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য সফর যেকোন আমেরিকান প্রেসিডেন্টের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ডিল। একে অন্যের সাথে পাল্লা দিয়ে মোট ডিল ও কমিটমেন্ট নিয়ে গেছে $৩.৬ ট্রিলিয়ন ডলারে, বিলিয়নে হিসাব করলে $৩৬০০ বিলিয়ন। প্রায় পুরো ভারতের জিডিপির কাছাকাছি। আমি অবাক হয়েছি, নিজেরা আমেরিকাকে বাঁচাতে পেরে এত আনন্দিত যে লেডি হেয়ার ড্যান্স দেয়ার জন্য লাইন পড়ে গেছে। নিজ দেশের জিডিপির ৩-৪ গুন বেশি ডিল ধরিয়ে দেয়ার পরো মনে হচ্ছে কিচ্ছুটি কম হয়ে গেল কিনা!
মার্কিন ডলারকে পুনরুদ্ধার করার জন্য এবং আমেরিকার অর্থনীতিকে বাঁচানোর জন্য নিক্সন শকের পর ১৯৭৫ সালে পেট্রো ডলারের চুক্তি করে আমেরিকাকে একচ্ছত্র গ্লোবাল ফিনানশিয়াল সিস্টেমের রক্ষাকর্তার আসনে বসিয়েছিল এই আরবরাই।
এখন যখন আমেরিকার অবস্থা টালমাটাল, এই সময়েও এই তিন দেশের প্রতিযোগিতায় ট্রাম্প ৩৬০০ বিলিয়নের ডিল নিয়ে গেল। পূর্বের পেট্রো ডলার চুক্তির পর মধ্যপ্রাচ্য কি পেয়েছিল? রক্তের স্রোত থেমেছিল?
এবারো থামেনি। ট্রাম্পের মিডল ইস্ট সফর শেষ হবার সাথে সাথেই ইজরায়েল ইয়েমেনের তিনটি বন্দরে ১৫ টি বিমান নিয়ে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়ে এসেছে। ওরা অপেক্ষা করেছে ট্রাম্প শুধু মধ্য প্রাচ্য ছেড়ে ফিরতি ফ্লাইট ধরা পর্যন্ত।
কি দারুন ব্যাপারনা? এটাই হল আমাদের সামষ্টিক বুদ্ধি আর জিও পলিটিক্স নিয়ে ভাবনা। চীন কে সমর্থন করা বা না করায় কারো যায় না আসলেও, আমার ডিডাকশন বলছে একমাত্র চীন সফল হলে এশিয়া আফ্রিকা থেকে পশ্চিমা প্রভাব কমতে পারে। তবে আমার মনে হয় সেমিকন্ডাক্টর সেক্টর দখলে নিতে পারলেই পশ্চিম নির্ভরতা কমবে। আর আগেও বলেছি আবারো বলেছি, যত বড় বিশ্লেষণ যেই ধারনাই পোষন করুক না কেন, আমেরিকার অর্থনৈতিক পতন ছাড়া ইজরাইলের হত্যাযজ্ঞ থামানোর সুযোগ নেই।

নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম একদিন জিবরাঈল (আ.)-কে বললেন,আপনি যতোবার আমার নিকট এসেছেন,ততোবার-ই আপনার কপালে শোক ...
05/07/2025

নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম একদিন জিবরাঈল (আ.)-কে বললেন,

আপনি যতোবার আমার নিকট এসেছেন,

ততোবার-ই আপনার কপালে শোক ও

দুশ্চিন্তার ছাপ ছিলো......এর কারণ কী ?

জিবরাঈল (আ.) নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি

ওয়া সাল্লাম - এর প্রশ্নের জবাবে বললেন,

‘ জাহান্নাম সৃষ্টির পর থেকে

আমার ঠোঁটে কখনো হাসি ফুটেনি।

জাহান্নাম কেমন হবে?

১। — জাহান্নামের গভীরতা এমন যে,

এর মুখ থেকে একটি পাথর ফেলে দিলে

জাহান্নামের তলদেশে পৌছাতে ৭০ বছর সময় লাগে।

বিচারের দিন জাহান্নাম কে ৭০ হাজার শিকল দ্বারা টেনে আনা হবে যার প্রত্যেক শিকল

৭০ হাজার ফেরেশতা বহন করবেন।

২। — জাহান্নামে চাঁদ এবং সূর্যকে নিক্ষেপ করা হবে আর জাহান্নামে তা অবলীলায় হারিয়ে যাবে।

৩। — জাহান্নামবাসীদের শরীরের চামড়া

১২৬ ফুট পুরো করে দেওয়া হবে

যাতে করে আযাব অত্যন্ত ভয়াবহ হয়,

তাদের শরীরে আরও থাকবে তিল

যার এক একটি উহুদ পাহাড়ের সমান।

৪। — প্রতিদিন জাহান্নামের আযাব পূর্বের দিন থেকে আরও তীব্র আর ভয়াবহ করা হবে।

৫। — জাহান্নামের খাদ্য হবে কাঁটা যুক্ত গাছ আর পানীয় হবে ফুটন্ত পানি,পুঁজ ও রক্তের মিশ্রণ এবং উত্তপ্ত তেল।এরপরও জাহান্নাম বাসীর পিপাসা এতো বেশী হবে যে তারা এই পানীয় পান করতে থাকবে।

৬। — জাহান্নামের এই ভয়াবহ কল্পনাতীত আযাব অনন্তকাল ধরে চলতে থাকবে, জাহান্নাম বাসীরা এক পর্যায়ে জাহান্নামের দেয়াল টপকিয়ে পালানোর চেষ্টা করলে তাদেরকে লোহার হাতুড়ি দ্বারা আঘাত করে ফেলে দেওয়া হবে।

এই জন্যই বলছি ভাই / বোন আসুন আমরা দীনের পথে চলি ইসলাম মেনে চলি, আমাদের কখন কি হবে আমরা কিন্তু কেউ জানি না,কেউ আমার যাবে না,আমার হিসাব আমাকেই দিতে হবে, দুনিয়া টা একটা দুখা, লালসাময়,

তাই আসুন জাহান্নাম থেকে আমরা বাচিঁ আমাদের পরিবার কে বাচাঁই ।

—- হে আল্লাহ, আমাদেরকে আপনি জাহান্নাম থেকে রক্ষা করুন।

আমিন।।

বাদশাহ হারুনুর রশিদ!প্রতিদিন নামাজ পড়ে বের হতেই হাত পাতে এক ভিক্ষুক৷সে জানে, হারুনুর রশিদ খালি হাতে ফেরায় না৷একদিন বাদশ...
02/07/2025

বাদশাহ হারুনুর রশিদ!

প্রতিদিন নামাজ পড়ে বের হতেই হাত পাতে এক ভিক্ষুক৷

সে জানে, হারুনুর রশিদ খালি হাতে ফেরায় না৷

একদিন বাদশা মসজিদ থেকে একটু দেরি করে বের হলেন৷ এদিক সেদিক তাকিয়ে ভিক্ষুককে না পেয়ে বেশ বিচিলিত হলেন৷

না জানি ভিক্ষুক আবার অসুস্থ হল কিনা৷

রাজ্যের একজন ভিক্ষুকও নিরাপত্তাহীনতায় থাকবে আর আমি বাদশাগিরি করবো !

এর চেয়ে ব্যার্থতা আর কী হতে পারে!

খুঁজে আনলেন ভিক্ষুককে৷
-কীগো ভাই! আজযে ভিক্ষা নিলেনা?

- মসজিদ থেকে আপনার বের হতে দেরি হচ্ছিল বলে দেখতে গেলাম এখনো কেন বের হচ্ছেননা ৷

গিয়ে দেখলাম দুনিয়া কাপানো বাদশাহ হারুনুর রশিদ ভিখারির মত হাউ মাউ করে কেদে কোনো এক মহাশক্তির কাছে করুনা ভিক্ষা চাইছে৷

ভাবলাম আপনার কাছে ভিক্ষা চেয়ে কী লাভ! বরং আপনি যার কাছে ভিক্ষা চেয়ে বাদশা হয়েছেন আমিও আজ থেকে তার কাছেই চাইব,,,

শিক্ষা - আমাদেরও এমন হওয়া উচিৎ,

যা চাওয়ার শুধু মাত্র আল্লাহ তায়ালার কাছেই চাইবো, দুনিয়ার কোন মানুষের কাছে চাওয়ার মানেই হলো তার কাছে আপনার দুর্বলতা প্রকাশ করা,

অতএব দুনিয়ার কাহারো কাছে নয় বরং দুনিয়ার মালিকের কাছে চাইতে শিখবো ------

ইনশাআল্লাহ

চলুন একটি হাদীস পড়ি। মন ভালো হয়ে যাবে, চোখে পানি চলে আসবে। (সহীহ বুখারী: ৭৫০৭)রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম...
25/06/2025

চলুন একটি হাদীস পড়ি। মন ভালো হয়ে যাবে, চোখে পানি চলে আসবে। (সহীহ বুখারী: ৭৫০৭)

রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,

"আল্লাহ তাআলা বলেন, 'আমার এক বান্দা পাপ করে আর তারপর বলে, 'ইয়া আল্লাহ, আমার অপরাধ মাফ করে দিন।'

তারপর আল্লাহ তাআলা বলেন,

'আমার বান্দা গুনাহ করেছে আর এরপর বুঝতে পেরেছে, তার এক রাব্ব রয়েছেন যিনি গুনাহের জন্য ক্ষমা করতে পারেন, আবার শাস্তিও দিতে পারেন।'

সে পুনরায় পাপ করে আর বলে, 'ও আমার রাব্ব, আমার গুনাহ মাফ করে দিন।'

এরপর আল্লাহ তাআলা বলেন, 'আমার বান্দা অপরাধ করেছে, আর তারপর বুঝতে পেরেছে, তার এক রাব্ব রয়েছেন যিনি গুনাহের জন্য ক্ষমা করতে পারেন, আবার শাস্তিও দিতে পারেন।'

সে আবারও গুনাহ করে আর বলে,

'হে আমার রাব্ব, আমার পাপ ক্ষমা করে দিন।'

তারপর আল্লাহ তাআলা বলেন,

'আমার বান্দা গুনাহ করেছে আর এরপর বুঝতে পেরেছে, তার এক রাব্ব রয়েছেন যিনি গুনাহের জন্য ক্ষমা করতে পারেন, আবার তার বিচারও করতে পারেন। আমি আমার বান্দাকে ক্ষমা করে দিলাম। তার যা ইচ্ছা সে তা করুক।”

যতবার মন দিয়ে পড়ি, অনুভব করি, চোখ ভিজে আসে। এত্ত মহানুভব মালিক আমার!

এমন মালিকের দাস হবার সৌভাগ্য ক'জন মানুষের হয়? এতই মহৎ, মহান আর স্নেহময় ক্ষমাশীল তিনি! তোমার ফিরে আসার অপেক্ষায় আছেন তিনি।

তবুও কি তুমি বুঝবে না, ফিরবে না? নিজের গুনাহকে, নিজেকে এত বড় ভাবছ এখনো?

তাঁর অপার রহমত আর ক্ষমার চাইতেও নিজের অপরাধকে, গুনাহকে বিশাল মনে করার দুঃসাহস কিভাবে করছ?

এত অহংকার কেন তোমার?

ইরানের এক অদ্ভুত ক্ষেপণাস্ত্র দেখে হতভম্ব ইসরায়েলের কর্মকর্তারা। তারা বলছে, গতকাল ইরান যে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে তা ...
20/06/2025

ইরানের এক অদ্ভুত ক্ষেপণাস্ত্র দেখে হতভম্ব ইসরায়েলের কর্মকর্তারা। তারা বলছে, গতকাল ইরান যে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে তা মাল্টি ওয়্যারহেডেড। এটি আঘাত করার আগে এর ওয়্যারহেড থেকে আরো কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র বের হয়ে একসঙ্গে একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র হয়ে একাধিক টার্গেটে আঘাত করে। কিন্তু আয়রন ডোম যখন এটি শনাক্ত করে তখন একটি হিসেবে শনাক্ত হয়। আয়রন ডোম সেই একটি ইন্টারসেপ্ট করতে একটি প্রতিরক্ষা ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে। যদি সেটি সফল হয়ও তার আগেই ওয়্যারহেড থেকে অন্যগুলো বের হয়ে যায় এবং নিজ নিজ টার্গেটে আঘাত করে। ইরানের এই ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলের নিরাপত্তার জন্য এক জটিল হুমকি বলে মন্তব্য করেছেন তারা।

এখন বুঝেন ইরান কেন ট্রাম্পকেও পাত্তা দিচ্ছে না। গতকালের এই খেলা দেখানোর পরে আবার বলেছে, তারা এখনো তাদের অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র বেরই করেনি। ইসরায়েলের লোকজনের না পালিয়ে উপায় কই। খামেনি সাহেব বলেছেন, ইসরায়েলিদের হয় পালাতে হবে, না হয় মরতে হবে। প্রথমে মনে হচ্ছিল ইরান এতদিন চাপাবাজী করেছে। এখন আস্তে আস্তে বের করতেছে। আজ আবার তাদের এয়ার ডিফেন্স অ্যাক্টিভ হয়েছে। এখন যা অবস্থা তাতে হয় যুদ্ধ বন্ধ করতে হবে, না হয় যুক্তরাষ্ট্রকে যুদ্ধে জড়াতে হবে। এছাড়া ইসরায়েলের বাচার উপায় নেই।

ইরান যে মিড রেঞ্জ ব্যালেস্টিক মিসাইলগুলো ফায়ার করছে তার একটা বড় অংশ ইস"রায়ে"লে পৌঁছানোর আগেই ধ্বংস করা হচ্ছে।ইরানী মিসাই...
19/06/2025

ইরান যে মিড রেঞ্জ ব্যালেস্টিক মিসাইলগুলো ফায়ার করছে তার একটা বড় অংশ ইস"রায়ে"লে পৌঁছানোর আগেই ধ্বংস করা হচ্ছে।

ইরানী মিসাইলগুলো সর্বপ্রথম থামানোর চেষ্টা করে ইরাকে অবস্থানরত আমেরিকান সেনা বাহিনী। ইরাকে বেশ কয়েকটি বড় বড় মার্কীন সামরিক ঘাটি রয়েছে যেখানে থাড সহ বিভিন্ন ধরনের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম মোতায়েন আছে। ইরানী মিসাইলগুলো সর্বপ্রথম এদের দ্বারা আক্রান্ত হয়।

সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরব ও কুয়েতে থাকা মার্কিন ঘাটিগুলোও সবরকম ইনফরমেশন দিয়ে মিসাইল ঠেকাতে সহায়তা করে।

এদিকে পারস্য উপসাগরে টহল দেওয়া ইউএসএস কার্ল ভিনসন নামক বিমানবাহী রণতরী ও অত্যাধুনিক মিসাইল ডেস্ট্রয়ারগুলোও ইরানী মিসাইল ঠেকাতে কাজ করছে।

এরপর আছে জর্ডানের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যাবস্থা এবং জর্ডানে অবস্থিত আমেরিকান ঘাঁটি।

এদিকে সাইপ্রাস থেকে ব্রিটিশ এয়ারফোর্স ইসরায়েলকে সহায়তা করছে।

এই সকল প্রতিরক্ষা স্তর পার হবার পর আসে ইসরায়েলের বহুস্তরীয় বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা:

Arrow-3: ২০০০ কিলোমিটার দূরে থেকেই মহাকাশে ক্ষেপণাস্ত্রকে ধ্বংস করার চেষ্টা করে।

Arrow-2: যদি তা ব্যর্থ হয়, তাহলে এই সিস্টেম ১৫০০ থেকে ৫০০ কিলোমিটার দূরে ক্ষেপণাস্ত্রকে ধ্বংস করার চেষ্টা করে।

David’s Sling: যেটি ৩০০ কিলোমিটার থেকে ৪০ কিলোমিটার পর্যন্ত রেঞ্জে ক্ষেপণাস্ত্রকে ধাওয়া করে।

সর্বশেষ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা হিসেবে আছে Iron Dome,

যেটি ৭০ কিলোমিটার থেকে ৪ কিলোমিটার পর্যন্ত রেঞ্জে ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করার চেষ্টা করে।

এখন প্রশ্ন হলো...পৃথিবীর আর কোনো দেশের ক্ষেপণাস্ত্র কি লক্ষ্যবস্তুতে পৌঁছাতে গিয়ে এত বাধার সম্মুখীন হয়?

কিন্তু এত কিছুর পরও ইরানী মিসাইলগুলো ইসরায়েলে এসে ইমপ্যাক্ট করছে। এবং মনে রাখতে হবে, ইরানের এই ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রগুলো তারা নিজেরাই তৈরি করেছে। কিন্তু এগুলোকে প্রতিহত করতে যে সব প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কাজ করে, সেগুলো বিভিন্ন উন্নত বিশ্বের দেশগুলোর সর্বোচ্চ প্রযুক্তির ফসল।

হে আল্লাহ, পৃথিবীর বিষফোড়া জা"য়নিস্টদের বিরুদ্ধে ইরানকে গায়েবি সাহায্য দান করুন।

আমিন।

রাতে ঘুমানোর আগে জরুরি আমলগুলোকরার চেষ্টা করুন, আল্লাহ্ তা'আলা বিপদ থেকে রক্ষা করবেন, ইনশা-আল্লাহ্।(১) রাসূল সাল্লাল্লাহ...
17/06/2025

রাতে ঘুমানোর আগে জরুরি আমলগুলোকরার চেষ্টা করুন, আল্লাহ্ তা'আলা বিপদ থেকে রক্ষা করবেন, ইনশা-আল্লাহ্।

(১) রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
যে ব্যক্তি শোয়ার সময় আয়াতুল কুরসী পড়বে শয়তান সারা রাত তার নিকটে যাবে না (বুখারি-২৩১১)

(২) রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
যে ব্যক্তি রাতে সুরা বাকারার শেষ ২ আয়াত (আ-মানার রাসূলু–) তেলাওয়াত করবে এটা তার জন্য যথেষ্ট হবে । (বুখারি- ৪০০৮)

(৩) প্রিয় নবী হযরত মুহম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
রাতে (কুল ইয়া আইয়্যু হাল কা-ফিরুন) (অর্থাৎ সূরা কা-ফিরুন) পাঠ করা শির্ক থেকে মুক্তি পেতে উপকারী। (সহীহ তারগীব-৬০২)

(৪) ’আয়িশাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, প্রতি রাতে নবী সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিছানায় যাওয়ার প্রাক্কালে সূরাহ ইখ্লাস, সূরাহ ফালাক ও সূরাহ নাস পাঠ করে দু’হাত একত্র করে হাতে ফুঁক দিয়ে যতদূর সম্ভব সমস্ত শরীরে হাত বুলাতেন। মাথা ও মুখ থেকে আরম্ভ করে তাঁর দেহের সম্মুখ ভাগের উপর হাত বুলাতেন এবং তিনবার এরূপ করতেন। (সহীহ বুখারী (তাওহীদ পাবলিকেশন) ৫০১৭

(৫) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন ঘুমানোর ইচ্ছা করতেন তখন তাঁর ডান হাত তাঁর গালের নীচে রাখতেন, তারপর এ দো‘য়া টি বলতেন।

ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺑِﺎﺳْﻤِﻚَ ﺃَﻣُﻮﺕُ ﻭَﺃَﺣْﻴَﺎ
(আল্ল-হুম্মা বিইসমিকা আমূতু ওয়া আহ্ইয়া)

❛হে আল্লাহ্! আপনার নাম নিয়েই আমি মরছি (ঘুমাচ্ছি) এবং আপনার নাম নিয়েই জীবিত (জাগ্রত) হবো❜। (বুখারি- ৬৩২৪)।

(৬) প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হযরত আলী (রাঃ) এবং ফতেমা (রাঃ)- কে বলেন, আমি কি তোমাদের এমন একটি ’আমল বলে দেব না, যা তোমাদের জন্য একটি খাদিমের চেয়েও অনেক অধিক উত্তম। যখন তোমরা শয্যা গ্রহণ করতে যাবে, তখন তোমরা আল্লাহু আকবার ৩৪ বার, সুবহানাল্লাহ ৩৩ বার, আল্হামদুলিল্লাহ ৩৩ বার পড়বে। এটা তোমাদের জন্য একটি খাদিমের চেয়েও অনেক অধিক কল্যাণকর। (সহীহ বুখারী (তাওহীদ পাবলিকেশন) ৬৩১৮)

(৭) প্রিয় নবী হযরত মুহম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
যে ব্যাক্তি প্রত্যেক রাতে তাবারকাল্লাযী বিইয়াদিহিল মুলক (সূরা মূলক) পাঠ করবে এর মাধ্যমে মহিয়ান আল্লাহ্ তাকে কবরের আযাব থেকে রক্ষা করবেন। ( তিরমিজি-২৮৯০)

আল্লাহ্ আমাদের সবাইকে সঠিক আমল করার তাওফীক দান করুক,, আমিন।

লেখাটি হৃদয় ছুঁয়েছে....৷বিশ্বনবী মুহাম্মদ সা. এর পিতা আব্দুল্লাহ, একদিন মক্কার বাজারে গিয়েছিলেন কিছু কেনা-কাটা করার জন্...
16/06/2025

লেখাটি হৃদয় ছুঁয়েছে....৷

বিশ্বনবী মুহাম্মদ সা. এর পিতা আব্দুল্লাহ, একদিন মক্কার বাজারে গিয়েছিলেন কিছু কেনা-কাটা করার জন্য I এক জায়গায় তিনি দেখলেন, এক লোক কিছু দাস- দাসী নিয়ে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে বিক্রি করছে I

আব্দুল্লাহ দেখলেন সেখানে দাঁড়িয়ে আছে, একটা ছোট নয় বছরের কালো আফ্রিকান আবিসিনিয়ার মেয়ে I মেয়েটাকে দেখে আব্দুল্লাহর অনেক মায়া হলো, একটু রুগ্ন হালকা-পাতলা কিন্তু কেমন মায়াবী ও অসহায় দৃষ্টি দিয়ে তাঁকিয়ে আছে I

তিনি ভাবলেন ঘরে আমেনা একা থাকেন, মেয়েটা পাশে থাকলে তার একজন সঙ্গী হবে I এই ভেবে তিনি মেয়েটাকে কিনে নিলেন I

মেয়েটিকে আব্দুল্লাহ ও আমেনা অনেক ভালোবাসতেন I স্নেহ করতেন I এবং তারা লক্ষ্য করলেন যে, তাদের সংসারে আগের চেয়েও বেশি রাহমাত ও বরকত চলে এসেছে I

এই কারণে আব্দুল্লাহ ও আমেনা মেয়েটিকে আদর করে নাম দিলেন "বারাকাহ"I

এই গল্প, বারাকার গল্প I

তারপর একদিন আব্দুল্লাহ, ব্যবসার কারণে সিরিয়া রওনা দিলেন I আমেনার সাথে সেটাই ছিল উনার শেষ বিদায় I উনার যাত্রার দুই এক দিন পর আমেনা একরাতে স্বপ্নে দেখলেন, আকাশের একটা তারা যেন খুব আলো করে তার কোলে এসে পড়লো I

পরদিন ভোরে তিনি বারাকাকে এই স্বপ্নের কথা বললেন I উত্তরে বারাকা মৃদু হেসে বললেন, "আমার মন বলছে আপনার একটা সুন্দর সন্তানের জন্ম হবে"

আমেনা তখনও জানতেন না তিনি গর্ভ ধারণ করেছেন কিন্তু কিছুদিন পর তিনি বুঝতে পারলেন, বারাকার ধারণাই সত্যিI আব্দুল্লাহ আর ফিরে আসেন নি, সিরিয়ার পথেই মৃত্যুবরণ করেছেনI

আমেনার সেই বিরহ ও কষ্টের সময়ে, বারাকা ছিলেন একমাত্র সবচেয়ে কাছের সঙ্গী I একসময় আমেনার অপেক্ষা শেষ হয় এবং তিনি জন্ম দিলেন আমাদের প্রিয় নবীকে I

শেখ ওমর সুলাইমানের বর্ণনা অনুযায়ী, সর্বপ্রথম আমাদের নবীকে দেখার ও স্পর্শ করার সৌভাগ্য হয়েছিল যে মানুষটির, সে হলো এই আফ্রিকান ক্রিতদাসী ছোট কালো মেয়েটি I

আমাদের নবীকে নিজ হাতে আমেনার কোলে তুলে দিয়েছিলেন, আনন্দে ও খুশিতে বলেছিলেন, "আমি কল্পনায় ভেবেছিলাম সে হবে চাঁদের মত কিন্তু এখন দেখছি, সে যে চাঁদের চেয়েও সুন্দর "

এই সেই বারাকা I নবীজির জন্মের সময় উনার বয়স ছিল তের বছর I ছোটবেলায় শিশু নবীকে আমেনার সাথে যত্ন নিয়েছেন, গোসল দিয়েছেন, খাওয়াতে সাহায্য করেছেন,আদর করে ঘুম পাড়িয়েছেন I

মৃত্যুর সময় আমেনা, বারাকার হাত ধরে অনুরোধ করেছিলেন তিনি যেন তাঁর সন্তানকে দেখে শুনে রাখেন I বারাকা তাই করেছিলেন I বাবা-মা দুজনকেই হারিয়ে, ইয়াতিম নবী চলে আসলেন দাদা আবদুল মোত্তালিবের ঘরে I

উত্তরাধিকার সূত্রে নবী হলেন বারাকার নতুন মনিব I কিন্তু তিনি একদিন বারাকাকে মুক্ত করে দিলেন, বললেন, -"আপনি যেখানে ইচ্ছে চলে যেতে পারেন , আপনি স্বাধীন ও মুক্ত I"

সেই শিশুকাল থেকেই নবী এই ক্রীতদাস প্রথাকে দূর করতে চেয়েছিলেন Iবারাকা নবীকে ছেড়ে যেতে রাজি হলেন না I রয়ে গেলেন I মায়ের ছায়া হয়ে পাশে থেকে গেলেন Iএমনকি নবীজির দাদা উনাকে বিয়ে দেয়ার জন্য বেশ কয়েকবার চেষ্টা করেছিলেন কিন্তু তিনি কিছুতেই রাজি হলেন না I উনার একই কথা, -"আমি আমেনাকে কথা দিয়েছি, আমি কোথাও যাবো না"

তারপর একদিন খাদিজা (রাঃ) এর সাথে নবীজির বিয়ে হলো I বিয়ের দিন রাসূল (সাঃ) খাদিজা (রাঃ) এর সাথে বারাকাকে পরিচয় করিয়ে দিলেন I তিনি বললেন, "উনি হলেন আমার মায়ের পর আরেক মা"

বিয়ের পর রাসূল (সাঃ) একদিন বারাকাকে ডেকে বললেন, -"উম্মি ! আমাকে দেখাশুনা করার জন্য এখন খাদিজা আছেন, আপনাকে এখন বিয়ে করতেই হবেI" (নবীজি উনাকে উম্মি ডাকতেন, নাম ধরে ডাকতেন না )

তারপর রাসূল (সাঃ) ও খাদিজা মিলে উনাকে উবাইদ ইবনে জায়েদের সাথে বিয়ে দিয়ে দিলেন I কিছুদিন পর বারাকার নিজের একটা ছেলে হলো, নাম আইমান I এরপর থেকে বারাকার নতুন নাম হয়ে গেলো "উম্মে আইমান"I

একদিন বারাকার স্বামী উবাইদ মৃত্যু বরণ করেন, নবীজি গিয়ে আইমান ও বারাকাকে সাথে করে নিজের বাড়ি নিয়ে আসেন এবং সেখানেই থাকতে দিলেন I কিছুদিন যাওয়ার পর নবীজি একদিন বেশ কয়েকজন সাহাবীকে ডেকে বললেন,

"আমি একজন নারীকে জানি, যার কোন সম্পদ নেই, বয়স্ক এবং সাথে একটা ইয়াতিম সন্তান আছে কিন্তু তিনি জান্নাতি, তোমাদের মধ্যে কেউ কি একজন জান্নাতি নারীকে বিয়ে করতে চাও?" এইকথা শুনে জায়েদ ইবনে হারিসা (রাঃ) নবীজির কাছে এসে বিয়ের প্রস্তাব দিলেন I নবীজি উম্মে আইমানের সাথে কথা বলে বিয়ের আয়োজন করলেন I

বিয়ের দিন রাসূল (সাঃ) জায়েদকে বুকে জড়িয়ে আনন্দে ও ভালোবাসায়, ভেজা চোখে, কান্না জড়িত কণ্ঠে বললেন, "তুমি কাকে বিয়ে করেছো, জানো জায়েদ ?" -হ্যা, উম্মে আইমানকে I জায়েদের উত্তর I নবীজি বললেন, -"না, তুমি বিয়ে করেছো, আমার মা কে "

সাহাবীরা বলতেন, রাসূল (সাঃ) কে খাওয়া নিয়ে কখনো জোর করা যেত না I উনি সেটা পছন্দ করতেন না I কিন্তু উম্মে আইমান একমাত্র নারী, যিনি রাসূল (সাঃ) কে খাবার দিয়ে "খাও".." খাও".. বলে তাড়া দিতেন I আর খাওয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত পাশে বসে থাকতেন I নবীজি মৃদু হেসে, চুপ চাপ খেয়ে নিতেন I

রাসূল (সাঃ) উনার দুধ মাতা হালিমাকে দেখলে যেমন করে নিজের গায়ের চাদর খুলে বিছিয়ে তার উপর হালিমাকে বসতে দিতেন ঠিক তেমনি মদিনায় হিজরতের পর দীর্ঘ যাত্রা শেষে উম্মে আইমান যখন ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলেন নবীজি উনার গায়ের চাদরের একটা অংশ পানিতে ভিজিয়ে, উম্মে আইমানের মুখের ঘাম ও ধুলোবালি নিজ হাতে মুছে দিয়েছিলেন এবং বলেছিলেন, "উম্মি ! জান্নাতে আপনার এইরকম কোন কষ্ট হবে না"

নবীজি মৃত্যুর আগে সাহাবীদের অনেক কিছুই বলে গিয়েছিলেন I সেই সব কথার মধ্যে একটা ছিল, উম্মে আইমানের কথা Iবলেছেন, "তোমরা উম্মে আইমানের যত্ন নিবে, তিনি আমার মায়ের মত I তিনিই একমাত্র নারী, যিনি আমাকে জন্ম থেকে শেষ পর্যন্ত দেখেছেন I আমার পরিবারের একমাত্র সদস্য, যিনি সারাজীবন আমার পাশে ছিলেন I"

সাহাবীরা সেই কথা রেখেছিলেন I গায়ের রং নয়, এক সময়ের কোন ক্রিতদাসী নয়, তাঁর পরিচয় তিনি যে নবীর আরেক মা I মায়ের মতোই তাঁরা, এই বৃদ্ধা নারীকে ভালোবেসে আগলে রেখেছিলেন I

যে-ধর্ম মানুষকে মুক্তি দেয় না, বন্দী করে, সে-ধর্ম শয়তানের ধর্মএক ফিলিস্তিনীর সাথে দেখা। বললেন: “ইহুদীরা আল্লাহকে ডাকে চা...
16/06/2025

যে-ধর্ম মানুষকে মুক্তি দেয় না, বন্দী করে, সে-ধর্ম শয়তানের ধর্ম

এক ফিলিস্তিনীর সাথে দেখা। বললেন: “ইহুদীরা আল্লাহকে ডাকে চার হাজার বছর ধরে। মুসলমানরা ডাকে চৌদ্দশো বছর ধরে। আল্লাহ যে মানুষের ব্যাপারে নাক গলান না, মানুষের মৃত্যুতে তাঁর কিছু আসে যায় না, সেটা বুঝতে ইহুদীদের চার হাজার বছর লেগেছে। মুসলমানদেরও চার হাজার বছর লাগবে। চার হাজার বছর না গেলে মুসলমানদের দুর্গতি শেষ হবে না। চার হাজার বছর পর তারা বুঝবে— আল্লাহ ধর্মান্ধতা পছন্দ করেন না, মূর্খের এবাদত কবুল করেন না, নারীর পোশাক নিয়ে মাথা ঘামান না, এবং সর্বদা জ্ঞান-বিজ্ঞানের পক্ষে থাকেন। যারা চুল না ঢাকার জন্য একজন নারীকে হত্যা করতে পারে (মাশা আমিনী), তাদের পক্ষে আল্লাহ থাকবেন কেন? যারা মুসলমান মরলে কাঁদে, মানুষ মরলে কাঁদে না; তাদের ডাকে আল্লাহর সাড়া দেওয়ার কারণ নেই। চার হাজার বছর না হলে মুসলমানরা বুঝবে না, পৃথিবীটা কেবল মুসলমানদের নয়। এটা মানুষের। এবং মানুষ টিকে থাকে সংগ্রামের মধ্য দিয়ে, পরিবর্তনের মধ্যে দিয়ে, দোয়া-দরুদের মধ্য দিয়ে নয়। মানুষের উৎকর্ষ মূলত জ্ঞান-বিজ্ঞানের উৎকর্ষ, শিল্পকলার উৎকর্ষ। যারা বিশ্বাস করে, কাফের মারলে আল্লাহ খুশি হন, ইহুদীর মৃত্যুতে উল্লাস হিন্দুর মৃত্যুতে সুখ নাস্তিকের মৃত্যুতে উৎসব, শুধু বেছে বেছে মুসলমানের মৃত্যুতে শোক, এই যাদের ধর্ম, তারা চার হাজার বছর পর বুঝবে, পথটা সঠিক ছিলো না। জ্ঞানীর এক বছর, মূর্খের চার হাজার বছর। ইহুদীরা ধর্মান্ধতা ত্যাগ করেও ধর্ম আঁকড়ে ধরে আছে, কিন্তু মুসলমানরা ধর্ম হারানোর ভয়ে ধর্মান্ধতা ত্যাগ করছে না। চার হাজার বছর না গেলে বুঝবে না, পৃথিবীতে সব মানুষ মিলেমিশে থাকার নামই ধর্ম। অন্যের ধ্বংস কামনা কোনো ধর্ম নয়। যে-ধর্ম মানুষকে মুক্তি দেয় না, বন্দী করে, সে-ধর্ম শয়তানের ধর্ম। আল্লাহর নয়।”

Address

Kishoreganj
2310

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when About MN posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share