02/08/2025
ললিতার গল্প
পর্ব ২৩৫
ছাদেকুর রহমান রতন
ললিতার লাইগ্গে একটা টাচ্ মোবাইল কিনছে মমিন্নে। অংকান এই মোবাইল কিবায় ললিতারে দিব? এই চিন্তায় তার ঘুম অয় না। মমিন ভাবতাছে মোবাইলডে ললিতারে দিতো পারলে তো ভিডিও কলে কথা কইতো পারলোয়। আর ভিডিও কলে কথাবার্তা কইলে আরও কিস্তার সুযোগ সুবিধা অইলয়। এইদিকে ললিতাও বাটন মোবাইলে কথা কয় আর জিগায়, কোন দিন আইবাইন মমিন ভাই?
মমিন : আয়া পরাম কয়দিনের ভিতরে। তোমার লাইগ্গে একটা টাচ্ মোবাইল কিনছি সোনা। কিবায় যে পৌছায়াম তোমার হাতে চিন্তা করতাছি।
ললিতা: ও মায়া এইতা হিরেবালি চিন্তা করন লাগে? আমরা বাসার সামনের রোডে আয়া একটা কল দেইন যে। পরে আমি আগ্গয়া আনামেনে।
মমিন: আমি যে তোমার বাসায় যায়াম কেউ কিস্তা কইতো না?
ললিতা: কেলা কিতা কইবো? আমি কয়াম আমার খালাত্ব ভাই আইছে। মোবাইলের কথা কইতাম না। এইডে গোপন রাখবাইন। বুঝঝুইন?
মমিন: আমিও এইডেই কইতাছি। আমি আইলে বেশি সময় দিতাম পারতাম না কিন্তু। তাড়াতাড়ি বিদায় করবা। বুঝঝো?
ললিতা: বুঝঝি। তে আপনে যতক্ষণ থাকতো পরুইন থাকবাইন। যে সময় রওনা অইবাইন একটা কল দেইনযে। নাইলে ম্যাসেজ দিবাইন। আমি বাসা খালি কইরে রাখবাম।
মমিন: এইডে অইলে তো আরো ভালা। মজা অইবো। আহারে।
ললিতা: আপনে মোবাইল লয়া আইবাইন আমার যে কি আনন্দ লাগতাছে.....
মমিন: তে আমি আই বালা কল দেমানে। তুমি রেডি থাইক্কো। অংকান রাইক্কে দিই?
ললিতা: আচ্ছা।
ললিতা মিমনের মুহ মোবাইলের কথা ফুইন্নে আর উস্ নাই। কত্তাযে ভাবতাছে আল্লা গো আল্লাহ। বেডারে কিদ্দে খাওয়াইবো, কিবায় খাওয়াইবো, মুহ তুইল্লে দিব কিনা! নিজেও কিবায় সাজবো, কোন শাড়িডে পড়বো, ফার্লারো গেয়া কিবায় চেহারা ঠিক কইরে আনবো ইত্যাদি। তারপরে ললিতা আরও ভাবতাছে মমিন ভাই যদি আমার গায়ে হাত দেলায় এইবালায় কিবায় কিতা করাম? একটু একটু শরমও তো করবো। ফইলা ফইলা কেমন জানি লাগতাছে।
(চলবে)