
10/08/2025
গল্পঃ সোনার ডিম পারা হাঁস অন্তিম পর্ব।
গৃহস্থ যখন অতি লোভে একসাথে অনেক ডিম পাওয়ার আশায় সোনার ডিম পারা হাঁসটাকে পেট কেটে মেরে ফেলে,তখন কিছুদিন পরে সে আগের মত দারিদ্র্যতায় ভুগতে থাকে।পরে কোনো উপায় না পেয়ে কিছু জমি জমা বিক্রি করে প্রবাসে পারি জমায়।বছর দু'য়েক না যেতেই বৈদেশিক মুদ্রার দেখা পেয়ে সেই গৃহস্থের জীবন স্বচ্ছল হতে থাকে। এমতাবস্থায় হঠাৎ তার স্ত্রী গ্রাম থেকে তার কাছে ফোন করে বলে যে,সে গর্ভবতী এ কথা শুনে গৃহস্থের চোখ কপালে উঠে যায়। এবং ভাবতে থাকে যে, যগতের নিয়মানুসারে কোনো নারীই একজন পুরুষের সংস্পর্শ ছাড়া গর্ভবতী হতে পারে না। এই সংবাদ টা শুনে সে কি জেনো ভাবতে থাকলো।
এবার সে মুচকি হাসলো। এবং জরুরী ভিত্তিতে দেশে ফিরল।দেশে ফিরেই খুজতে শুরু করল।
খুজতে শুরু করলো সেই পুরুষ হাঁসটিকে,যেই হাঁসটির সাথে তার সোনার ডিম পারা স্ত্রী হাঁসটি সংযম করত।অনেক খোঁজাখুঁজির পর সেই পুরুষ হাঁসটিকে পেলো।এবং হাঁসের মালিকের কাছ থেকে চওড়া দামে কিনে নিলো।পরদিন সকালে গৃহস্থ বাজারে গেলো। বাজার থেকে একটা স্ত্রী হাঁস কিনে বাসায় গেলো। এবং একি খাঁচায় দুটি হাঁস রাখলো।
হাঁস গুলোর খুব যত্নে পালন করতে থাকল।নিয়মিত খাবার দেওয়া,খোয়ার পরিষ্কার করা সব কিছু সে নিজ হাতে করত। হঠাৎ একদিন সকালে প্রতিদিনের ন্যায় খোয়ার পরিষ্কার করতে গিয়ে দেখল সেই আগের মত সোনার ডিম।গৃহস্থ বড্ড খুশি হলেন।
আসলে সোনার ডিম দেওয়ার সক্ষমতা স্ত্রী হাঁস টির ছিলোই না। অলৌকিকতা তো ছিল পুরুষ হাঁসটির।
তারপর গৃহস্থ আরো কিছু হাঁস কিনলো।একটা খামার তৈরী করলো।প্রতিদিন অনেক সোনার ডিম পেতে থাকল এবং আবার সে অনের ধনী হয়ে গেলো।স্বাচ্ছন্দ্যে জীবন যাপন করতে লাগলো।
★কিন্তু স্ত্রীর কি হলো??★প্রশ্ন টা রয়েই গেলো।
গল্পটা এমনই হতে পারতো। কিন্তু না। দু বছর ধরে বিদেশে থাকা সত্ত্বেও যখন স্বামী শুনতে পেলো তার স্ত্রী অন্তসত্তা তখন আর পাঁচটা পুরুষের মতই সেও হতভম্ব হয়ে গেলো। তারপর হঠাৎ একদিন স্ট্রোক করল।
স্ত্রী বিধবা হয়ে গেলো।
আর হ্যাঁ, উপরে যা পড়লেন সেটা তো আমার কল্পনা মাত্র।😁
"প্রথম গল্পে স্ত্রীর কথা শুনে সোনার ডিম পারা হাঁসটাকে হারালো,আর এই গল্পে স্ত্রীর কথা শুনে বেচারা জীবনটাই হারালো।"
লেখক
রাকিব আহমেদ ইফতি