13/10/2024
মৃত্যের আগে ৬ লক্ষ ৬০ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান করে গেলেন!
টাকা পাচারের কোন ঘটনা ঘটেছে বলে শোনা যায় নি।
বরং পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে ব্যবসা করে ভারতের অর্থনীতি কে করেছেন সমৃদ্ধ।
আপনার মৃত্যু তে গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করি।
রতন টাটা ১৯৬১ সালে টাটা গ্রুপে তার কর্মজীবন শুরু করেন। তার প্রথম কাজ ছিল টাটা স্টিলের শপ ফ্লোর পরিচালনা করা। এরপর পড়াশোনা শেষ করতে হার্ভার্ড বিজনেস স্কুলে যান তিনি। এছাড়া তিনি কর্নেল ইউনিভার্সিটি কলেজ অফ আর্কিটেকচারও পড়াশোনা করেন।[১০] তিনি ১৯৯১ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত টাটা গ্রুপ ও টাটা সন্সের চেয়ারম্যান এবং অক্টোবর ২০১৬ থেকে ফেব্রুয়ারি ২০১৭ পর্যন্ত অন্তর্বর্তী চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৪ সালে তিনি প্রতিষ্ঠা করেন টি সি এস। তার নেতৃত্বে টাটা গ্রুপ ইস্পাত প্রস্তুতকারক কোরাস, ব্রিটিশ মোটর গাড়ি সংস্থা জাগুয়ার ল্যান্ড রোভার এবং ব্রিটিশ চা সংস্থা টেটলির সাথে ঐতিহাসিক চুক্তি স্বাক্ষর হয়। ফলে টাটা কোম্পানি বিশ্বের দরবারে বিশেষ মর্যাদা লাভ করে।[১০] ২০০৯ সালে ছোট গাড়ি ন্যানো তৈরি করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেন তিনি। যাতে সাধারণ মানুষ মাত্র এক লক্ষ টাকা খরচ করে এই গাড়ি কিনতে পারেন সেটাই ছিল তার স্বপ্ন। পশ্চিমবঙ্গে সিঙ্গুরে গাড়ি তৈরির কারখানার কাজ অনেকটাই এগিয়েছিল কিন্তু রাজনৈতিক আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে সেটা বাস্তবায়িত হয়নি। ফলে তিনি গুজরাটের আনন্দে এই গাড়ি তৈরি করার কারখানা স্থাপন করেন।
রতন টাটা নিজেকে বিভিন্ন সেবামূলক কাজেও নিয়োজিত করেছিলেন। তার উদ্যোগে টাটা গ্রুপ ভারতের স্নাতক শিক্ষার্থীদের আর্থিক সহায়তা প্রদানের জন্য কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়কে ২৮ মিলিয়ন ডলারের টাটা স্কলারশিপ ফান্ডের ব্যবস্থা করা হয়। ২০১০ সালে একটি এক্সিকিউটিভ সেন্টার নির্মাণের জন্য হার্ভার্ড বিজনেস স্কুল তারই উদ্যোগে ৫০ মিলিয়ন ডলার অনুদান পায়। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এখান থেকেই তিনি স্নাতক প্রশিক্ষণ পেয়েছিলেন।[১০] ২০১৪ সালে টাটা গ্রুপ মূলত গরিব ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশোনা ঠিকমতো চালিয়ে যাওয়ার জন্য আইআইটি বোম্বেকে ৯৫ কোটি টাকা অনুদান দেয়। সাধারণ মানুষের উপযুক্ত চিকিৎসার ব্যবস্থা, প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের সেবা ইত্যাদির ক্ষেত্রেও তার অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। শুধু মানবপ্রেমিক নন পশুপ্রেমিকও ছিলেন তিনি। রাস্তার কুকুরদের উপযুক্ত খাদ্য, প্রয়োজন হলে ঠিকমতো চিকিৎসার ব্যবস্থা করতেন তিনি