14/07/2025
সন্তান আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লার পক্ষ থেকে প্রাপ্ত আমানত। সন্তানরা নিঃসন্দেহে পিতা-মাতার জীবনে আনন্দ ও স্বস্তির অন্যতম উৎস। তারা পরিবারের জন্য সুখ বয়ে আনে এবং আল্লাহ তা'আলা তাদের মাধ্যমে পরিবারের রিজিক বাড়িয়ে দেন। তারা ভবিষ্যতের আশা ও ভালোবাসার প্রতীক।
সন্তানদের ভালোভাবে গড়ে তোলা এবং তাদের সঠিক শিক্ষায় (ই'লমান নাফিয়্যান) শিক্ষিত করা প্রত্যেক বাবা-মায়ের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ, কারণ সন্তানরাই পরিবারের ভবিষ্যতের উত্তরাধিকারী।
একজন বাবা তার সন্তানদের নিজের ভবিষ্যতের সাহায্য ও সহায়ক হিসেবে দেখে থাকেন এবং মনে করেন তারা পারিবারিক বংশবৃদ্ধির ধারাকে অব্যাহত রাখবে।
একজন মা তার সন্তানদের জীবনের আশা ও সান্ত্বনার উৎস হিসেবে অনুভব করেন। সন্তানদের জন্যই তার জীবন পূর্ণতা পায়, এবং তিনি তাদেরকে জীবনের কঠিন সময়েও সুখের প্রতীক মনে করেন।
কিন্তু এই সব আশা-আকাঙ্ক্ষা তখনই পূর্ণতা পায়, যখন সন্তানদের সঠিকভাবে দ্বীনের মধ্যে গড়ে তোলা হয় এবং জীবনের ভালো শিক্ষা দেওয়া হয়। তাদের যদি সঠিকভাবে লালন-পালন ও উপকারী জ্ঞান না দেয়া হয় , তাহলে তারা সঠিক চরিত্র গঠন করতে পারবে না এবং উল্টো বাবা-মা, পরিবার ও সমাজের জন্য বোঝা হয়ে দাঁড়াতে পারে।
আল্লাহ তা'আলা পবিত্র কুরআনে বলেছেন:
“ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি হলো এই দুনিয়ার জীবনের শোভা ও মোহ।” [সূরা আল-কাহফ, আয়াত ৪৬]
অর্থাৎ, যদি আমরা সন্তানদের সঠিকভাবে শিক্ষিত ও নৈতিকভাবে শক্তিশালী করে গড়ে তুলি, তাহলে তারা দুনিয়ার শোভা হবে, আমাদের জীবনে শান্তি ও কল্যাণ বয়ে আনবে।
আবার অন্যত্র বলেছেন,
তোমাদের সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি তোমাদের জন্য পরীক্ষাস্বরূপ। (এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে) তোমাদের জন্য আল্লাহর কাছে মহাপুরস্কার রয়েছে। [সুরা আনফাল, আয়াত ২৮]
অর্থ্যাৎ সন্তান প্রতিপালনে যদি তাদের অবহেলা করি, তাহলে তারা বিপথগামী হয়ে আমাদের, পরিবারের এবং পুরো সমাজের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
তাই সন্তানদের যথাযথ যত্ন, শিক্ষা এবং ভালো নৈতিক গুণাবলি শেখানো অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। তাদেরকে শুধু দুনিয়াবি সফলতার জন্যই নয়, বরং আখিরাতের সফলতার জন্যও প্রস্তুত করা উচিত।
মা-বাবার দায়িত্ব শুধু সন্তানদের বড় করা নয়, বরং তাদের ভালো মানুষ ও একজন উত্তম মুসলিম হিসেবে গড়ে তোলা। তবেই তারা মা-বাবা, পরিবার এবং সমগ্র উম্মাহর জন্য কল্যাণের কারণ হবে ইন শা আল্লাহ।
- জাহিদ হাসান
প্যারেন্টিং টিপস (পর্ব-২)
Tasawwuf - তাসাউফ