02/03/2025
আলমডাঙ্গায় সংঘবদ্ধ ডাকাত দলের হামলার শিকার হয়েছিলেন দুই ব্যবসায়ী। গত বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার কুলপালা এলাকায় পান বরজের বাঁশের শলী বিক্রি করে ফেরার পথে ব্যবসায়ী সোহেল রানা (২৫) ও জাহিদুল ইসলামের (২৬) ওপর হামলা চালিয়ে নগদ প্রায় এক লাখ টাকা ও একটি স্মার্টফোন লুট করে ডাকাতেরা। এ ঘটনায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে। গতকাল শনিবার রাতে জেলা পুলিশের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে জানা গেছে, ঝিনাইদহের আমতলা বাজার থেকে পান বরজের বাঁশের শলী বিক্রি করে ফেরার পথে রাত ২টার দিকে আলমডাঙ্গার কুলপালা এলাকায় পৌঁছান সোহেল রানা ও জাহিদুল ইসলাম। এসময় ৮-১০ জনের সংঘবদ্ধ একটি ডাকাত দল রাস্তার পাশে থাকা বাঁশের বেঞ্চ ও শলীর আটি ফেলে তাদের গতিরোধ করে। পরে সশস্ত্র ডাকাত দল ধারালো রামদা, চাইনিজ কুড়াল, হাসুয়া ও লোহার রড দিয়ে তাদের মারধর করে। এসময় তাদের কাছ থেকে শলী বিক্রির নগদ ৪২ হাজার ও ৬০ হাজার ৫০০ টাকা ছিনিয়ে নেয়া হয়। পাশাপাশি লুট করা হয় একটি রিয়েলমি স্মার্টফোন।
এ ঘটনায় গতকাল আলমডাঙ্গা থানায় ডাকাতি মামলায় ৩৯৫/৩৯৭ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়। যার নং-০১, তারিখ: ০১/০৩/২০২৫। মামলার পর চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপার খন্দকার গোলাম মওলা, বিপিএম সেবা’র নির্দেশনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) কনক কুমার দাসের তত্ত্বাবধানে আলমডাঙ্গা থানা ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশের যৌথ অভিযান পরিচালনা করে। এসময় ডাকাত দলের দুই সদস্য গ্রেপ্তার হন। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- আলমডাঙ্গার কুলপালা গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে জাহিদ আলী (৩৫) ও গোপীনগর গ্রামের বজলুর রহমানের ছেলে মিলন হোসেন (৩৪)।
বিজ্ঞপ্তিতে আওও জানানো হয়, গ্রেপ্তারের সময় তাদের নিকট থেকে ডাকাতির ঘটনায় ব্যবহৃত ১টি লোহার রড ও ১টি ধারালো হাসুয়া উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত দুজনকে আদালতে গতকালই আদালতে প্রেরণ করে পুলিশ। তারা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এছাড়া ডাকাত দলের বাকি সদস্যদের গ্রেপ্তার ও লুট হওয়া টাকা ও মোবাইল উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।