আপডেটনিউজ

আপডেটনিউজ news page

সেন্ট মার্টিনে তিন ট্রলারডুবি, নিখোঁজ ১৪ জেলেআপডেট: ১০ এপ্রিল ২০১৯,   কক্সবাজারসেন্ট মার্টিনের অদূরে বঙ্গোপসাগরে কালবৈশা...
11/04/2019

সেন্ট মার্টিনে তিন ট্রলারডুবি, নিখোঁজ ১৪ জেলে

আপডেট: ১০ এপ্রিল ২০১৯,


কক্সবাজার
সেন্ট মার্টিনের অদূরে বঙ্গোপসাগরে কালবৈশাখীর কবলে পড়ে মাছ ধরার তিনটি ট্রলার ডুবে গেছে। নিখোঁজ হয়েছে একটি ট্রলার। ট্রলারগুলোতে মাঝিসহ ৩২ জেলে ছিলেন। এর মধ্যে ১৮ জন উদ্ধার হলেও নিখোঁজ আছেন ১৪ জন। বুধবার ভোরে কালবৈশাখীতে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় ট্রলার মালিক সমিতি সূত্রে জানা গেছে, নিখোঁজ ১৪ জেলের মধ্যে ৬ জন ডুবে যাওয়া তিন ট্রলারে ও বাকি ৮ জন নিখোঁজ ট্রলারে ছিলেন।

ট্রলারডুবিতে নিখোঁজ ছয় জেলের নাম জানা গেছে। তাঁরা হলেন, মোহাম্মদ রশিদ, মোহাম্মদ ইব্রাহিম, আবুল হোসেন, মতিউর রহমান, শাহ আলম ও আবদুল্লাহ। তবে অপর আটজনের নাম তাৎক্ষণিক জানা যায়নি।

শাহপরীর দ্বীপ মিস্ত্রিপাড়া ট্রলার মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ জোবাইর বলেন, ‘আমার মালিকানাধীন একটি ট্রলারসহ চারটি ট্রলার নিখোঁজ রয়েছে। ট্রলারগুলোতে থাকা ১৮ জেলেকে উদ্ধার করা সম্ভব হলেও এখনো ১৪ জন নিখোঁজ রয়েছেন।’

ট্রলার মালিক সমিতি সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীর দ্বীপ দক্ষিণপাড়ার বদিউল আলম, কবির আহমদ ও পার্শ্ববর্তী মিস্ত্রিপাড়ার মোহাম্মদ জোবাইরের মালিকানাধীন ট্রলারসহ একাধিক ট্রলার সাগরে মাছ ধরতে যায়। ঘটনার সময় ট্রলারগুলো জাল ফেলা অবস্থায় নোঙর করা ছিল। আশপাশে থাকা মো. ইসমাইল ও মো. আমিনের মালিকানাধীন ট্রলার ১৮ জেলেকে ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার করে। নিখোঁজ ট্রলারের মালিক শাহপরীর দ্বীপের দক্ষিণপাড়া মো.আবদুল্লাহ।

উদ্ধার হওয়া মাঝি মো. ইলিয়াছ ও ইউছুফ জালাল জানান, জাল ফেলে মাছ ধরার সময় হঠাৎ করে ঝোড়ো হাওয়া শুরু হয়। কিছু বুঝে ওঠার আগে তাঁদের তিনটি ট্রলার ঢেউয়ের কবলে পড়ে ডুবে যায়। পরে পার্শ্ববর্তী ট্রলারের সহযোগিতায় তাঁরা কয়েজন উঠে আসতে পারেন।

সাবরাং ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য নুরুল আমিন বলেন, ‘স্থানীয় চার বাসিন্দার তিনটি ট্রলারডুবি ও একটি নিখোঁজ রয়েছে বলে শুনেছি। এখন পর্যন্ত ১৪ জেলে নিখোঁজ রয়েছেন। তবে আবদুল্লাহর মালিকানাধীন ট্রলারের মাঝিমাল্লাদের নাম-ঠিকানা এখনো নিশ্চিত হওয়া সম্ভব হয়নি।’

কোস্টগার্ড সেন্ট মার্টিন স্টেশন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট ফয়েজুল ইসলাম মণ্ডল প্রথম আলোকে বলেন, ‘সাগরে মাছ ধরার সময় ট্রলারডুবির বিষয়টি শুনেছি। তবে মালিকপক্ষের কাছ থেকে এ পর্যন্ত কেউ কোনো কিছুই জানায়নি। এরপরও এ বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।’

মোদিকে নিয়ে ছবির ছাড়পত্রের জন্য লড়াই!  ‘পিএম নরেন্দ্র মোদি’ ছবির দৃশ্যে বিবেক ওবেরয়‘পিএম নরেন্দ্র মোদি’ ছবির দৃশ্যে বিবে...
11/04/2019

মোদিকে নিয়ে ছবির ছাড়পত্রের জন্য লড়াই!



‘পিএম নরেন্দ্র মোদি’ ছবির দৃশ্যে বিবেক ওবেরয়
‘পিএম নরেন্দ্র মোদি’ ছবির দৃশ্যে বিবেক ওবেরয়
‘ন্যায়বিচার পেয়েছে “পিএম নরেন্দ্র মোদি”।’ এমনটাই জানিয়েছেন চলচ্চিত্রটির প্রযোজক আনন্দ পণ্ডিত। ছবিটি ভারতীয় সেন্ট্রাল বোর্ড অব ফিল্ম সার্টিফিকেশন (সিবিএফসি) থেকে বিনা কর্তনে ছাড়পত্র পাওয়ায় তাৎক্ষণিকভাবে এ মন্তব্য করেন তিনি। এই ঘোষণার মধ্য দিয়ে সিনেমাটি ছাত্রপত্র পাবে কি পাবে না, তা নিয়ে জমাট বাঁধা মেঘও কেটে গেছে। কয়েক বছর ধরেই বলিউডে বায়োপিক নির্মাণের ধুম পড়েছে। নরেন্দ্র মোদির বায়োপিকে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন বিবেক ওবেরয়।

রাজনীতিবিদের জীবনীনির্ভর ছবিটি নিয়ে কম রাজনীতি হয়নি! বিরোধীপক্ষ ইতিমধ্যে পরিচালক ওমাং কুমারকে সমালোচনার বাণে বিদ্ধ করেছে। বলা হচ্ছে, ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে এই চলচ্চিত্রের মাধ্যমে প্রচারণা চালিয়ে জনগণকে ‘ভুল পথে’ পরিচালিত করে ভোট আদায় করতে চায় বিজেপি। কংগ্রেস তাই এই সিনেমাকে ঠেকাতে ট্রেলার মুক্তির দিনই হাইকোর্টে মামলা ঠুকে দেয়। নির্বাচন কমিশনও বিষয়টি দেখবে বলে জানিয়েছিল। বাধ্য হয়ে ছবি মুক্তির তারিখ পিছিয়ে দেন প্রযোজকেরা। সেখান থেকেই সিনেমাটি মুক্তি ‘পাবে’ না ‘পাবে না’—এ রকম একটা দোলাচলের সৃষ্টি হয়। অবশেষে জয় হয়েছে বিবেক ওবেরয়দের। সব ধোঁয়াশা কেটে গেল গত মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈর ঘোষণায়, ‘কংগ্রেসের সেই আবেদন বাতিল করা হয়েছে!’

সিবিএফসি ১৩০ মিনিট ৫৩ সেকেন্ডের এই চলচ্চিত্রকে বিনা কর্তনে ‘ইউ’ সার্টিফিকেট দিয়েছে। জানা গেছে, সিবিএফসি চার ধরনের ছাড়পত্র দেয়। ‘ইউ’র পূর্ণ রূপ ইউনিভার্সাল। অর্থাৎ ছবিটি সবাই দেখতে পারবে। ‘এ’র মানে ছবিটি দেখার জন্য দর্শকের বয়স হতে হবে ন্যূনতম ১৮। ‘ইউ/এ’র মানে দর্শকের বয়স যদি ১২-এর কম হয়, তাহলে তাকে অভিভাবক সঙ্গে নিয়ে দেখতে হবে। আর ‘এস’ সার্টিফিকেট পাওয়া ছবিগুলো বিশেষ দর্শকেরা দেখতে পারবেন না। ছবিটি আগামীকাল বৃহস্পতিবার মুক্তির জন্য প্রস্তুত। আর ১১ এপ্রিল থেকেই শুরু হচ্ছে ভারতের লোকসভা নির্বাচন। সাতটি ধাপে ১৯ মে পর্যন্ত চলবে এই ভোট গ্রহণ।

বিবেক ওবেরয় ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি
বিবেক ওবেরয় ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি
‘পিএম নরেন্দ্র মোদি’ ছবির আরেক প্রযোজক সন্দীপ সিং এক বিবৃতিতে বলেন, ‘আমরা ইউ সার্টিফিকেট পাওয়ায় খুবই খুশি। অবশেষে ছবিটি আগামীকাল (১১ এপ্রিল) মুক্তি পাচ্ছে। সর্বোচ্চ আদালত বিরোধীপক্ষের আবেদন খারিজ করে দেওয়ায় আমরা খুব স্বস্তি অনুভব করছি। এটা এখন সবদিক থেকেই স্পষ্ট। আমার মনে হয়, ভারতের আর কোনো রাজনৈতিক দলের এই বিষয়ে কোনো আপত্তি নেই। কেননা নির্বাচন কমিশন, সিবিএফসি আর সর্বোচ্চ আদালত তাদের (কংগ্রেসের) আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন।’

এরই মাঝে কংগ্রেসকে দুর্বল দেখাতে তৈরি হয়েছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংকে নিয়ে ‘দ্য অ্যাক্সিডেন্টাল পিএম’। ভোটের আগে মোদির বায়োপিক হতে চলেছে কামারের শেষ ঘা। তার আগে কানাঘুষা, বিজেপিশাসিত রাজ্যগুলোয় সিনেমাটি প্রমোদ করমুক্ত হতে চলেছে।

২৩ এপ্রিল থেকে ভোটার তালিকা হালনাগাদ, একসঙ্গে ৪ বছরের তথ্য সংগ্রহ করার চিন্তা২৩ এপ্রিল থেকে ভোটার তালিকা হালনাগাদ, একসঙ্...
11/04/2019

২৩ এপ্রিল থেকে ভোটার তালিকা হালনাগাদ,

একসঙ্গে ৪ বছরের তথ্য সংগ্রহ করার চিন্তা

২৩ এপ্রিল থেকে ভোটার তালিকা হালনাগাদ, একসঙ্গে ৪ বছরের তথ্য সংগ্রহ করার চিন্তা
নির্বাচন কমিশন (ইসি) ২৩ এপ্রিল থেকে ভোটার তালিকা হালনাগাদের কাজ শুরু করবে। ইসি এবার বাড়ি বাড়ি গিয়ে একসঙ্গে চার বছরের ভোটার তথ্য সংগ্রহ করার চিন্তাভাবনা করছে। প্রস্তাব অনুযায়ী এই সময়ের মধ্যে যাঁদের বয়স ১৮ হবে, তাদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে।

ইসির বৈঠকে আজ সোমবার এ বিষয়ে প্রাথমিক আলোচনা হয়। ১০ এপ্রিল ইসির পরের বৈঠকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

বৈঠকে এখন থেকে সব ধরনের স্থানীয় সরকার নির্বাচনের ভোট ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) গ্রহণ করার সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদার সভাপতিত্বে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠক শেষে ইসির জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম প্রথম আলোকে এই তথ্য জানান। তিনি বলেন, প্রতিবছর হালনাগাদ করতে গেলে প্রতিবারই জনবল নিয়োগ দিতে হয়। তা ছাড়া কোনো বছর গুরুত্বপূর্ণ কোনো নির্বাচন থাকলে সে বছর ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা কঠিন কাজ হয়ে যায়। যে কারণে ইসি ২০১৮ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে যাঁদের বয়স ১৮ হয়েছে বা হবে, তাঁদের তথ্য সংগ্রহ করবে। এঁদের মধ্যে যাঁরা এখনই ভোটার হওয়ার যোগ্য, তাঁদের ভোটার করে নেওয়া হবে। বাকিদের মধ্যে যখন যাদের বয়স ১৮ হবে, তখন তাঁদের ভোটার করে নেওয়া হবে।

স্থানীয় নির্বাচনে ইভিএমের ব্যবহার সম্পর্কে মহাপরিচালক বলেন, যেহেতু ইসির কাছে এখন পর্যাপ্ত সংখ্যক ইভিএম আছে, তাই এখন থেকে সব ধরনের স্থানীয় নির্বাচন ইভিএমে গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

ইসি সচিবালয়ের তথ্য অনুযায়ী, সর্বশেষ ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা হয় ২০১৭ সালে। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতিকে কেন্দ্র করে ২০১৮ সালে হালনাগাদের কাজ করা সম্ভব হয়নি। বর্তমানে দেশে মোট ভোটারের সংখ্যা প্রায় ১০ কোটি ৪২ লাখ।

কমিশন সূত্রে জানা যায়, ২০০১ সালের ১ জানুয়ারি বা তার আগে যাঁদের জন্ম, তারা ২০২০ সালের নতুন ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হবেন। এ ছাড়া ২০০১ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০০৪ সালের ১ জানুয়ারির মধ্যে যাঁদের জন্ম, তাঁদের তথ্যও সংগ্রহ করা হবে। বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদের তথ্য সংগ্রহের এই কাজ চলবে আগামী ১৩ মে পর্যন্ত চলবে।

আগামী ৫ মে নতুন ঘোষিত ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনে ভোট গ্রহণ করা হবে। এই সিটিতে ৩৩টি সাধারণ ওয়ার্ড এবং নারীদের জন্য সংরক্ষিত ১১টি ওয়ার্ড রয়েছে। এসব ওয়ার্ডের জন্য নির্ধারিত ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ১৩০। এবারের নির্বাচনে ইসি সব কেন্দ্রে ইভিএম ব্যবহার করবে।

এমপিওভুক্তির ঘোষণা মাসখানেকের মধ্যে: শিক্ষামন্ত্রী   শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। ফাইল ছবিশিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। ফাইল ছবিমাস...
11/04/2019

এমপিওভুক্তির ঘোষণা মাসখানেকের মধ্যে: শিক্ষামন্ত্রী


শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। ফাইল ছবি
শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। ফাইল ছবি
মাসখানেকের মধ্যে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তি করা হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। আজ বুধবার সচিবালয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমের শিক্ষাবিষয়ক সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে শিক্ষামন্ত্রী এ কথা বলেন।

দীপু মনি বলেন, ‘আমরা প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি। আশা করছি, মাসখানেকের মধ্যে এমপিওভুক্তির ঘোষণা করতে পারব।’

এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা প্রতি মাসে বেতন-ভাতা বাবদ সরকারি অংশ (মূল বেতন ও কিছু ভাতা) পেয়ে থাকেন। এমপিও নয়—এমন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা দীর্ঘদিন ধরে এমপিওভুক্তির দাবিতে আন্দোলন করে আসছেন। সর্বশেষ ২০১০ সালে ১ হাজার ৬২৪টি বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করা হয়। এরপর আর কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করা হয়নি।

নতুন করে কতগুলো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করা হবে—এর জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এমপিওভুক্তির জন্য চারটি সূচকের ভিত্তিতে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে থেকে আবেদন চাওয়া হয়েছিল। প্রতিষ্ঠানগুলোর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে যোগ্য প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা প্রায় আড়াই হাজার। এই সংখ্যা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে। সেখান থেকে মন্ত্রণালয় এখন যোগ্য প্রতিষ্ঠান ঠিক করছে।

শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেন, ‘আমরা চাইছি, যতগুলো দিতে পারি একবারই করতে।’

শিক্ষামন্ত্রী জানান, প্রস্তাবিত শিক্ষা আইনটি একজন পরামর্শকের মাধ্যমে যাচাই–বাছাই করা হচ্ছে। অন্য আইনের সঙ্গে অসংগতি আছে কি না—এই বিষয়টিই খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তাঁরা আশা করছেন, যাচাই শেষে মন্ত্রণালয় থেকে এ বছরের শেষ নাগাদ পরবর্তী পর্যায়ে পাঠাতে পারবেন।

শিক্ষানীতি বাস্তবায়নেরও কাজ চলছে বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী।

বাসসের খবরে বলা হয়, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের দুর্ভোগ কমাতে বড় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে মেডিকেল কলেজের মতো সমন্বিত বা গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষার বিষয়ে মত দেন দীপু মনি। তিনি বলেন, ‘যদি মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা সমন্বিত করতে পারি, তাহলে কেন অন্য ভর্তি পরীক্ষা সমন্বিত করতে পারব না? আমার বিশ্বাস, আমাদের যদি সবার একটু সদিচ্ছা থাকে, তাহলে নিশ্চয়ই আমরা পারব। এক্ষেত্রে আমি আশা করি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো তাদের সহযোগিতা দেবেন।’
তিনি বলেন, গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হলে অনেক হয়রানি কমে যায়, অর্থ অপচয় কমে যায়, কষ্ট কমে যায়। বিশেষ করে নারী শিক্ষার্থীদের পক্ষে সম্ভব না সারা দেশে এখানে ওখানে সেখানে গিয়ে পরীক্ষায় অংশ নেওয়া।

দগ্ধ মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাতকে বাঁচানো গেল না   ফেনীর অগ্নিদগ্ধ মাদ্রাসাছাত্রী নুসরা‌তের মৃত্যুর খবর শুনে কান্নায় ভেঙে পড়ে...
11/04/2019

দগ্ধ মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাতকে বাঁচানো গেল না


ফেনীর অগ্নিদগ্ধ মাদ্রাসাছাত্রী নুসরা‌তের মৃত্যুর খবর শুনে কান্নায় ভেঙে পড়েন স্বজনেরা। ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল, ১০ এপ্রিল। ছবি: হাসান রাজা
ফেনীর অগ্নিদগ্ধ মাদ্রাসাছাত্রী নুসরা‌তের মৃত্যুর খবর শুনে কান্নায় ভেঙে পড়েন স্বজনেরা। ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল, ১০ এপ্রিল। ছবি: হাসান রাজা
ফেনীর সোনাগাজীর অগ্নিদগ্ধ মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি মারা গেছেন। আজ বুধবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে তিনি মারা যান। তাঁর মৃত্যুর বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেন ঢামেক বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের চিকিৎসক অধ্যাপক রায়হানা আওয়াল।

নুসরাতকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছিল। তাঁর শরীরের ৭৫ শতাংশ আগুনে পুড়ে যায় বলে জানিয়েছিলেন চিকিৎসকেরা। নুসরাতের ফুসফুসকে স‌ক্রিয় করতে গতকাল মঙ্গলবার সিঙ্গাপুরের চিকিৎসকদের পরামর্শে অস্ত্রোপচার করা হ‌য়।

আজ দুপুর পর্যন্ত নুসরা‌তের অবস্থা স্থি‌তিশীল ছিল। রাত সা‌ড়ে আটটার দিকে নুসরা‌তের ভাই মাহমুদুল হাসান প্রথম আলো‌কে জা‌নি‌য়ে‌ছিলেন, তাঁর বো‌নের অবস্থা অপরিবর্তিত রয়েছে।

নুসরাতের মৃত্যুর খবর শুনে তাঁর বাবা ও ভাই বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের জাতীয় সমন্বয়ক সামন্ত লাল সেনকে জড়িয়ে ধরে আহাজারি করেন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল,
নুসরাতের মৃত্যুর খবর শুনে তাঁর বাবা ও ভাই বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের জাতীয় সমন্বয়ক সামন্ত লাল সেনকে জড়িয়ে ধরে আহাজারি করেন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল, ১০ এপ্রিল। ছবি: হাসান রাজা
বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের জাতীয় সমন্বয়ক সামন্ত লাল সেন জানান, মৃত্যুর কারণ রক্ত ও ফুসফু‌সের মারাত্মক সংক্রমণ থে‌কে কা‌র্ডিও রেসপিরেটরি ফেইলিয়র (হৃদ্‌যন্ত্রে ক্রিয়া বন্ধ) হয়। এতেই মৃত্যু হয় তাঁর।

গত ২৭ মার্চ অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলার বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে মামলা করেন মেয়েটির মা। ছাত্রীর স্বজনদের অভিযোগ, মামলা প্রত্যাহারে রাজি না হওয়ায় অধ্যক্ষের পক্ষের লোকজন ছাত্রীটির গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। গত শনিবার গুরুতর আহত অবস্থায় ওই মাদ্রাসাছাত্রীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়।

ফেনীর অগ্নিদগ্ধ নিহত মাদ্রাসাছাত্রী নুসরা‌তের ভাই মাহমুদুল হাসা‌ন (বাঁয়ে) ও বাবা আবু মুসা। ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল, ১০ এপ্রিল। ছবি: আমিনুল ইসলাম
ফেনীর অগ্নিদগ্ধ নিহত মাদ্রাসাছাত্রী নুসরা‌তের ভাই মাহমুদুল হাসা‌ন (বাঁয়ে) ও বাবা আবু মুসা। ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল, ১০ এপ্রিল। ছবি: আমিনুল ইসলাম
লাইফ সাপোর্টের যাওয়ার আগে গত রোববার অগ্নিদগ্ধ ওই ছাত্রী চিকিৎসকদের কাছে জবানবন্দি দেন। তিনি বলেন, নেকাব, বোরকা ও হাতমোজা প‌রি‌হিত চারজন তাঁর গা‌য়ে আগুন ধ‌রি‌য়ে দেন। ওই চারজ‌নের একজনের নাম ছিল শম্পা।

পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) খন্দকার গোলাম ফারুক গতকাল সোনাগাজীতে সাংবাদিকদের বলেন, শম্পা নামের যে হামলাকারীর কথা অগ্নিদগ্ধ মাদ্রাসাছাত্রী বলেছেন, সেই শম্পাকে পুলিশ গতকাল সকালে সোনাগাজীর মঙ্গলকান্দি ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর থেকে গ্রেপ্তার করেছে। তবে সোনাগাজী থানার পুলিশ বলছে, গ্রেপ্তার করা নারীর নাম উম্মে সুলতানা ওরফে পপি।

গতকাল মাদ্রাসাছাত্রীটির পরিবার বলেছে, স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের প্রতি তারা আস্থা রাখতে পারছে না। হাত-পা বেঁধে কেরোসিন ঢেলে মেয়েটিকে পুড়িয়ে হত্যাচেষ্টার ঘটনাকে পুলিশ ভিন্ন খাতে নেওয়ার চেষ্টা করছে। এমনকি মামলার এজাহার নিয়েও পুলিশ কূটচাল চেলেছে।

সোনাগাজীর সেই মাদ্রাসা শিক্ষার্থী। ছবি: সংগৃহীত
সোনাগাজীর সেই মাদ্রাসা শিক্ষার্থী। ছবি: সংগৃহীত
পরিবারের এমন অভিযোগের পর আজ সোনাগাজী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোয়াজ্জেম হোসেনকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। এর পাশাপাশি উপজেলার মাদ্রাসাছাত্রীকে হত্যাচেষ্টার মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনে (পিবিআই) হস্তান্তর করা হয়েছে।

এ দিকে আজ অভিযুক্ত অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলার সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন ফেনীর জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম সরাফউদ্দিন। ওই মাদ্রাসার প্রভাষক আফসার উদ্দিন ও ছাত্র আরিফের পাঁচ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন একই আদালত।
ফেনীর অগ্নিদগ্ধ মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফির মৃত্যুর খবর শুনে অচেতন হয়ে পড়েন মা শিরিন আক্তার। ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল, ১০ এপ্রিল
ফেনীর অগ্নিদগ্ধ মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফির মৃত্যুর খবর শুনে অচেতন হয়ে পড়েন মা শিরিন আক্তার। ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল

ইবির হ্যান্ডবল দলকে পেটাল জাবির খেলোয়াড়রাজাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে হ্যান্ডবল খেলতে গিয়ে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের হ্যান্ড...
10/04/2019

ইবির হ্যান্ডবল দলকে পেটাল জাবির খেলোয়াড়রা

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে হ্যান্ডবল খেলতে গিয়ে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের হ্যান্ডবল দলের ১২ জন খেলোয়াড়সহ তিন শিক্ষক মারধরের শিকার হয়েছেন। আহতদের মধ্যে রক্তাক্ত অবস্থায় কয়েকজনকে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

বুধবার বিকেল পৌনে ৫টার দিকে জাবির কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় সন্ধ্যা ৬টার দিকে কুষ্টিয়া - খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করেছেন ইবির শিক্ষার্থীরা।
আহতদের মধ্যে একজনের হাত ও একজনের পাজর ভেঙে গেছে বলে জানিয়েছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। আহতদের চিকিৎসা চলছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বুধবার বিকেল ৩টার দিকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলোয়াড়দের সঙ্গে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের হ্যান্ডবল দলের খেলা শুরু হয়। খেলার ৯ মিনিট বাকি থাকতেই জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলোয়াড়দের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। এ সময় লাঠিসোঁটা নিয়ে ইবির খেলোয়াড় ও শিক্ষকদের মারধর করে তারা।
এ সময় শিক্ষক পরিচয় দিয়েও ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রক্টর ড. মাহবুবর রহমান মারধর থেকে রক্ষা পাননি। এর মধ্যে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরিক শিক্ষা বিভাগের পরিচালক ড. সোহেলের নাক ফাটিয়ে দেয়া হয়েছে। রাব্বী নামের একজন খেলোয়াড়ের হাত ভেঙে দেয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে মেয়েদেরকেও মারধর করা হয়েছে। তাদের উদ্ধার করে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ঘটনার বিচার দাবিতে মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কমিটির আহ্বায়ক আলোমগীর হোসেন আলো ও যুগ্ম আহ্বায়ক আবু হেনা মোস্তফা কামালের নেতৃত্বে কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলোয়াড় ও ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী সাকির সামির ইমন বলেন, আমাদেরকে চার স্তরের নিরাপত্তা দেয়ার কথা বলে এখানে আনা হয়েছিল। অথচ এখানে পুলিশ বা অন্য কেউ ছিল না। শিক্ষার্থীরা ঝাঁপিয়ে পড়ে আমাদেরকে পিটিয়ে রক্তাক্ত করেছে, অথচ আমাদের রক্ষা করতে এগিয়ে আসেনি কেউ।
এ বিষয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আ স ম ফিরোজ উল হাসান বলেন, এ ঘটনায় আমরা লজ্জিত। লজ্জা প্রকাশ করা ছাড়া আমাদের আ

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক হারুন উর রশিদ আসকারী বলেন, আমাদের খেলোয়াড় ও শিক্ষকদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তার আশ্বাস দিয়ে ডেকে নিয়ে মারধর করা হয়েছে। এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। একই সঙ্গে এ ঘটনায় জড়িতদের কঠোর বিচার দাবি করছি।

10/04/2019
10/04/2019

বঙ্গবন্ধুশেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (PG hospital) এর রাতে দায়িত্বরত সেবিকার আচরণ।
রাতের বেলায় রোগীর জীবন যায় যায় অবস্থা আর উনারা দিব্বি ঘুমাচ্ছেন।বলার কেউ নেই,আমরা ডেকেও উনার কোন সাড়া শব্দ পাই না।৩০ মিনিট পর উনি ঘুম থেকে উঠলেন এবং এসেই শুরু করলেন এই আচরন।

পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সংলগ্ন গভীর বঙ্গোপসাগরে কোস্টগার্ড বিশেষ অভিযান চালিয়ে পাঁচ লাখ ইয়াবা, দুটি ট্রলার এবং চালানের সঙ্গে...
10/04/2019

পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সংলগ্ন গভীর বঙ্গোপসাগরে কোস্টগার্ড বিশেষ অভিযান চালিয়ে পাঁচ লাখ ইয়াবা, দুটি ট্রলার এবং চালানের সঙ্গে জড়িত অভিযোগে দুজনকে আটক করেছে। গতকাল মঙ্গলবার গভীর রাতে নিজামপুর, পায়রা বন্দর ও ভোলা জোনের কোস্টগার্ড সদস্যরা যৌথ অভিযান চালিয়ে ইয়াবার এ বিশাল চালান জব্দ করেন।

এ সময় মোশাররফ হোসেন সিকদার (৫০) ও তাঁর চাচাতো ভাই টিপু সিকদারকে (৩২) আটক করা হয়। তাঁদের বাড়ি কলাপাড়া উপজেলার নিশানবাড়িয়া গ্রামে।

কোস্টগার্ডের ভাষ্য, ইয়াবা পরিবহনের জন্য অস্ত্রের মুখে ১৩ জন নিরপরাধ জেলেকে একটি ট্রলারসহ জিম্মি করে রেখেছিলেন ইয়াবা ব্যবসায়ীরা। কোস্টগার্ড সদস্যরা ট্রলারসহ জেলেদের উদ্ধার করেছে।

এ বিষয়ে আজ বুধবার সকালে কলাপাড়ার নিজামপুর কোস্টগার্ড স্টেশনে আনুষ্ঠানিক ব্রিফিং করেন কোস্টগার্ডের স্টাফ অফিসার (অপারেশন) লে. কমান্ডার এম নাজিউর রহমান। তিনি বলেন, ‘গোপন খবরের ভিত্তিতে বিপুল পরিমাণ ইয়াবা জব্দ করা হয়েছে। তবে এর মূল হোতা মহিপুরের আল আমিন, জহিরুল ইসলাম, মো. সালাহ উদ্দিন, বেল্লাল হোসেন ও সোহরাব হোসেনসহ বেশ কয়েকজন পালিয়ে গেছেন।’

কোস্টগার্ডের ভাষ্য, কক্সবাজার ও টেকনাফে পুলিশ, র‌্যাব, নৌপুলিশ এবং কোস্টগার্ডের কঠোর অভিযানের কারণে এ রুট ব্যবহার করছেন ইয়াবা ব্যবসায়ীরা। বর্তমানে এ ব্যবসার সঙ্গে কুয়াকাটা, আলীপুর ও মহিপুরের এক শ্রেণির মৎস্যজীবী জড়িয়ে পড়েছেন। তাঁদের শনাক্তের কাজ চলছে বলেও কোস্টগার্ড সূত্র নিশ্চিত করেছে।

কোস্টগার্ডের অভিযানে আটক মোশাররফ হোসেন সিকদার বলেন, টেকনাফ থেকে এই ইয়াবা ট্রলারে করে নিয়ে আসা হয়। কুয়াকাটা, মহিপুর, আলীপুর ও কলাপাড়ায় আগামী রোববার এগুলো খালাস করার কথা ছিল। কিন্তু ইয়াবা বহনকারী ট্রলারটির ইঞ্জিন বিকল হয়ে যাওয়ায় তা সম্ভব হয়নি। মোশাররফ তখন মহিপুর মৎস্য বন্দরে গিয়ে এফবি আলাউদ্দিন ট্রলারের ১৩ জেলেকে তাঁদের ট্রলারটি পাড়ে নেওয়ার জন্য মোটা অঙ্কের টাকার লোভ দেখান। আলাউদ্দিন ট্রলারের জেলেরা এতে রাজি হয়ে সাহায্যের জন্য ট্রলারটির কাছে যান।

এফ বি আলাউদ্দিন ট্রলারের জেলে জসিম উদ্দিন বলেন, ‘আমরা বুঝতে পারিনি ট্রলারে কী আছে। আমরা সরল মনে ট্রলার নিয়ে নষ্ট ট্রলারের কাছে যাই। তখন ওই ট্রলারের লোকজন অস্ত্রের মুখে আমাদের জিম্মি করে মারধর করতে থাকে। একপর্যায়ে নষ্ট ট্রলারটি আমাদের ট্রলারটির সঙ্গে বেঁধে তাদের নির্দেশ মতো চালাতে বাধ্য করে। কিছুক্ষণ পর কুয়াকাটা সংলগ্ন গভীর সাগরে টহলে থাকা কোস্টগার্ড সদস্যরা ধাওয়া করে ট্রলারসহ সবাইকে আটক করে। তবে ট্রলারটি চরে আটকে যাওয়ায় মূল হোতা আল আমিনসহ ছয়জন পালিয়ে যান।’

বাংলাদেশআইন ও বিচারমাদক বিক্রির দায়ে যাবজ্জীবন আ.লীগ নেতারপ্রতিনিধি, ঝালকাঠি০৯ এপ্রিল ২০১৯,   ২০১৫ সালে ৩২০টি বোতলসহ ও ২...
10/04/2019

বাংলাদেশআইন ও বিচার

মাদক বিক্রির দায়ে যাবজ্জীবন আ.লীগ নেতার
প্রতিনিধি, ঝালকাঠি

০৯ এপ্রিল ২০১৯,


২০১৫ সালে ৩২০টি বোতলসহ ও ২০ লিটার তরল ফেনসিডিলসহ নুরে আলমকে আটক করেছিল র‌্যাব-৮।
ছবি: সংগৃহীত

২০১৫ সালে ৩২০টি বোতলসহ ও ২০ লিটার তরল ফেনসিডিলসহ নুরে আলমকে আটক করেছিল র‌্যাব-৮। ছবি: সংগৃহীত
ঝালকাঠির নলছিটিতে মাদক বিক্রির দায়ে নুরে আলম খান (৩৮) নামের আওয়ামী লীগের এক নেতার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া অর্থদণ্ড হিসাবে তাঁকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকালে ঝালকাঠির অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক এস কে এম তোফায়েল হাসান এ রায় দেন।

আসামি নুরে আলমের বাড়ি নলছিটি উপজেলার দপদপিয়া এলাকায়। তিনি দপদপিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। মামলাটিতে আসামি পক্ষের আইনজীবী হিসেবে ছিলেন মঞ্জুর হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন এম আলম খান।

Eprothom Alo
মামলার নথি থেকে জানা যায়, বরিশাল র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) ৮–এর একটি দল ২০১৫ সালের ২৯ জুলাই দুপুরে আসামি নুরে আলমকে আটক করে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাব-৮ তাঁকে নলছিটি দপদপিয়া ফেরিঘাট এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে। পরে তাঁর স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে ওই ইউনিয়নের একটি ঘের থেকে ৩২০ বোতলসহ মোট ২০ লিটার ফেনসিডিল উদ্ধার করে র‌্যাব। এ ঘটনায় র‌্যাব ওই দিন নলছিটি থানায় মাদক আইনে নুরে আলমকে আসামি করে একটি মামলা করে।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নলছিটি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আতিকুল ইসলাম ২০১৫ সালের ১ সেপ্টেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। আদালত একই বছর ১৯ নভেম্বর অভিযোগ গঠন করেন। পরে ছয়জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।

দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে ধর্ষণ, তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা   দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে ধর্ষণ, তিনজনের বিরুদ্ধে মামলাবগুড়ার আদমদীঘি উপজেলা...
10/04/2019

দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে ধর্ষণ, তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা


দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে ধর্ষণ, তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা
বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার একটি গ্রামে এক গৃহবধূ গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে তিনজনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন। আদালতের নির্দেশে গত রোববার আদমদীঘি থানা মামলাটি নথিভুক্ত করে।

আসামিরা হলেন উপজেলার বানিয়াগাড়ী গ্রামের ইউনুছ আলী, ফারুক প্রাং ও জাহিদুল ইসলাম। তবে গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত কোনো আসামি গ্রেপ্তার হননি।

এজাহার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ওই গৃহবধূ এক সন্তানের জননী। তাঁর স্বামী ঢাকায় রিকশা চালান। তাঁদের একমাত্র ছেলেসন্তানকে নিয়ে গৃহবধূ স্বামীর বাড়িতে বসবাস করেন। এই প্রেক্ষাপটে আসামিরা নানা সময় গৃহবধূকে একাধিকবার কুপ্রস্তাব দিয়ে উত্ত্যক্ত করে আসছিলেন। একপর্যায়ে গৃহবধূ বিষয়টি পরিবারের অন্য সদস্যদের জানান। এতে আসামিরা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। এর জেরে ৩০ মার্চ রাত পৌনে ১২টার সময় ইউনুছ, ফারুক ও ইসলাম দরজা ভেঙে ঘরের ভেতরে ঢুকে দেশীয় অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে গৃহবধূকে জিম্মি করেন। পরে তাঁরা গৃহবধূকে ধর্ষণ করেন। যাওয়ার সময় গৃহবধূর গলায় ও কানে থাকা সোনার অলংকার ছিনিয়ে নেন। এ ঘটনায় গৃহবধূ বাদী হয়ে ৩ এপ্রিল বগুড়া নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে মামলা করেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে আদমদীঘি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) এজাহার হিসেবে নথিভুক্ত করার আদেশ দেন।

জানতে চাইলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আদমদীঘি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবদুর রাজ্জাক বলেন, গত রোববার মামলাটি নথিভুক্ত করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের তৎপরতা চলছে।

প্রচ্ছদশিক্ষাঙ্গন‘হই হই রই রই টাকাগুলো গেল কই?’  ইবি প্রতিনিধিবর্ধিত ফি কমানোর দাবিতে মানববন্ধন করেছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্য...
10/04/2019

প্রচ্ছদশিক্ষাঙ্গন

‘হই হই রই রই টাকাগুলো গেল কই?’
ইবি প্রতিনিধি

বর্ধিত ফি কমানোর দাবিতে মানববন্ধন করেছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) সাধারণ শিক্ষার্থীরা

বর্ধিত ফি কমানোর দাবিতে মানববন্ধন করেছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিব’ ম্যুরালের পাদদেশে ঘণ্টাব্যাপী এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন তারা।

মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের ২০১৭-১৮ ও ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের দুই শতাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।

এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘শিক্ষা আমাদের সুযোগ নয়, শিক্ষা আমাদের অধিকার’, ‘হই হই রই রই টাকাগুলো গেল কই?’ পরিবহণ ফির সংস্কার চাই’ এমন বিভিন্ন স্লোগান লিখিত প্লাকার্ড হাতে নিয়ে মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করে তারা।

শিক্ষার্থীরা বলেন, প্রতি বছর ভর্তির সময় ও সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষার ফি দিতে মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত শ্রেণির পরিবার থেকে আসা শিক্ষার্থীদের হিমশিম খেতে হয়। আমরা চাই অনতিবিলম্বে এসব খাতে বর্ধিত ফি কমানো হোক। যাতে দরিদ্র পরিবার থেকে আসা কোন শিক্ষার্থীকে আর্থিক কষ্টে পড়তে না হয়।

মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা দাবি করেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নামে-বেনামে বিভিন্ন খাত তৈরি করে ফি বৃদ্ধি করেছে। ভর্তি পরীক্ষার ফরমের মূল্যসহ ভর্তি ফি বৃদ্ধি, হল ফি, সেমিস্টার ফি, পরিবহন ফি বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন খাতে এই ফি বৃদ্ধি করা হয়েছে। এছাড়াও নতুন বেশ কয়েকটি খাত তৈরি করা হয়েছে যার কোনো কার্যকারিতাই নেই।

পরে বেলা ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা প্রফেসর ড. পরেশ চন্দ্র বর্মণ, দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক ড. নাছির উদ্দীন এবং সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক রাশিদুজ্জামান ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলার আশ্বাস দিয়ে শিক্ষার্থীদের ক্লাসে ফিরে যেতে বলেন।

কিন্তু শিক্ষার্থীরা তাদের আশ্বাস উপেক্ষা করে আন্দোলন চালাতে থাকেন। পরে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়ে মানববন্ধন শেষ করেন।

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘সাধারণ শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলন দীর্ঘদিনের। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে আমরা দীর্ঘদিন ধরে এই দাবি জানিয়ে আসছি। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এ বিষয়ে কোনো গুরুত্বই দিচ্ছে না। এরই প্রেক্ষিতে আমরা দাবি আদায়ে এই আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছি। আমরা মঙ্গলবার একই স্থানে মানববন্ধন এবং ভিসি বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করব।’

প্রসঙ্গত, ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষ থেকে ভর্তি ফিসহ বিভিন্ন খাতে প্রায় তিনগুণ ফি বৃদ্ধি করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এরপর থেকে বর্ধিত ফি কমানোর দাবিতে কাম্পাসে মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল, অবস্থান ধর্মঘটসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে বাম ছাত্র সংগঠন ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা। একপর্যায়ে আন্দোলনে সমর্থন করে ছাত্রলীগ। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শিক্ষার্থীদের এই দাবি মেনে নেয়নি।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. রাশিদ আসকারী বলেন, ‘২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষে ফি বৃদ্ধি করা হয়েছিল। নতুন করে কোনো ফি বৃদ্ধি করা হয়নি। বিষয়টি একটি মীমাংসিত ইস্যু। এখানে সব ফি অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনায় অনেক কম এবং সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে।’

09/04/2019

No comment

এমপিওভুক্ত হচ্ছে আরও ১৫২৯ বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান  নতুন করে এমপিও (মান্থলি পেমেন্ট অর্ডার) পাচ্ছে দেশের ১৫২৯টি বেসরকার...
09/04/2019

এমপিওভুক্ত হচ্ছে আরও ১৫২৯ বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান


নতুন করে এমপিও (মান্থলি পেমেন্ট অর্ডার) পাচ্ছে দেশের ১৫২৯টি বেসরকারি স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসা। এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীর বেতনভাতার জন্য ব্যয় হবে এক হাজার ২২৮ কোটি টাকারও বেশি। ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটের পর এমপিওভুক্ত এই শিক্ষক-কর্মচারীরা বেতনভাতা পাবেন। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব জাবেদ আহমেদ এ বিষয়ে বলেন, মোট এক হাজার ৫২৯টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে (স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসা) এমপিওভুক্ত করা হবে। বাজেটের পর এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা অনলাইনে আবেদন করে এমপিওভুক্ত হবেন এবং নিয়মিত সরকারি বেতনভাতার অংশ পাবেন।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতনভাতা বাবদ এক হাজার ২৮ কোটি টাকা চাওয়া হয়েছে। এর মধ্যে স্কুল এবং কলেজের জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ থেকে চাওয়া হয়েছে ৭৪৯ কোটি টাকা। বাকি টাকা মাদ্রাসা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্ত করার জন্য চাওয়া হয়েছে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ৫ থেকে ২০ আগস্ট বেসরকারি স্কুল ও কলেজের কাছ থেকে অনলাইনে এমপিওভুক্তির আবেদন নেওয়া হয়। দেশের প্রায় ১০ হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অনলাইনে আবেদন করলেও এরমধ্যে যোগ্য প্রতিষ্ঠান পাওয়া গেছে খুবই কম। নতুন এমপিও’র জন্য চারটি শর্ত দিয়ে আবেদন করার নির্দেশ দেওয়া হয়।

এই চারটি শর্ত হলো-প্রতিষ্ঠানের অ্যাকাডেমিক স্বীকৃতির বয়স, শিক্ষার্থী সংখ্যা, পাবলিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী পরীক্ষার্থীর সংখ্যা এবং পাসের হার। যেসব প্রতিষ্ঠান এই শর্তগুলো পূরণ করেছে তাদের মধ্য থেকে স্বয়ংক্রিয় গ্রেডিংয়ের মাধ্যমে শীর্ষ এক হাজার ৫২৯টি প্রতিষ্ঠানকে এমপিও দেওয়ার জন্য বাছাই করা হয়।

প্রসঙ্গত, সর্বশেষ ২০১০ সালে সরকার এক হাজার ৬২৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করে। এরপর থেকে এমপিওভুক্তি সাময়িকভাবে বন্ধ ছিল।

বর্তমানে দেশে এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আছে ২৭ হাজার ৮১০টি। এসব প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক-কর্মচারীর সংখ্যা ৪ লাখ ৯৬ হাজার ৩৬২ জন। প্রতি মাসে এদের বেতনভাতা বাবদ সরকারের খরচ হয় প্রায় ৯৪২ কোটি টাকা। এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে কিছু প্রতিষ্ঠান সরকারি করার প্রক্রিয়ায় রয়েছে।

এছাড়া, বর্তমানে দেশে অ্যাকাডেমিক স্বীকৃতি পাওয়া নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে এক হাজার ২৪২টি। এসব প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক-কর্মচারীর সংখ্যা প্রায় ৮০ হাজার। আর অ্যাকাডেমিক স্বীকৃতির বাইরে রয়েছে দুই হাজারেরও বেশি নন-এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।

Address

Poradah, Poradah, Mirpur, Kushtia
Kushtia
7031

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when আপডেটনিউজ posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to আপডেটনিউজ:

Share