বইপোকা - BookWorm

বইপোকা - BookWorm হে প্রজন্ম, এসো আমরা বই পড়ি এবং মননশীল ও সুস্থ চিন্তাধারার মানুষ হয়ে উঠি।

শুভ জন্মদিন, আব্দুল্লাহ আবু সায়ীদ স্যার।সাহিত্য ও পাঠচর্চার জগতে এক আলোকবর্তিকা আব্দুল্লাহ আবু সায়ীদ স্যার। তিনি শুধু এক...
25/07/2025

শুভ জন্মদিন, আব্দুল্লাহ আবু সায়ীদ স্যার।
সাহিত্য ও পাঠচর্চার জগতে এক আলোকবর্তিকা আব্দুল্লাহ আবু সায়ীদ স্যার। তিনি শুধু একজন শিক্ষক নয়, তিনি এক জীবন্ত প্রেরণা, এক অসাধারণ পাঠচর্চা-আন্দোলনের পুরোধা।
তার হাত ধরে পাঠাগার হয়েছে প্রাণবন্ত, বই হয়েছে আলোর উৎস, তরুণ প্রজন্মের হাতে তুলে দিয়েছেন ভাবনার মুক্ত খামখেয়ালিপনা। তিনি শিখিয়েছেন— "জীবন মানেই সৌন্দর্য, আর সেই সৌন্দর্য আবিষ্কার হয় বইয়ের পাতায় পাতায়।"

আজ তাঁর জন্মদিনে শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতায় ভরপুর শুভেচ্ছা জানাই। সৃষ্টির অনন্ত পথে স্যার বেঁচে থাকুন অনুপ্রেরণার বাতিঘর হয়ে।
fans

নিঃশেষ এক দুপুর          জাকারিয়া রিমন-------------------------------শিশুরা এসেছিল স্বপ্ন চোখে,কাঁধে ব্যাগ, হাতে বই, রঙি...
22/07/2025

নিঃশেষ এক দুপুর
জাকারিয়া রিমন
-------------------------------
শিশুরা এসেছিল স্বপ্ন চোখে,
কাঁধে ব্যাগ, হাতে বই, রঙিন মুখে।
হঠাৎ যেন বজ্রাঘাত
বিমান ভেঙে নামল আর্তনাদ!

আকাশে জ্বললো আগুন ফুলকি,
ভেসে উঠল কান্না, আহাজারি।
একটি দুটি নয় ঝরে গেল শত প্রাণ!

বইয়ের পাতায় নাম নেই আর,
স্কুলব্যাগ কাঁদে, পেন্সিল সঙ্গে দহন।
একটুখানি দেরি হলে বাঁচত জীবন,
কিন্তু নিয়তি আজ দিয়েছে সবার ক্রন্দন।

কে নেবে দায়? কে দেবে জবাব?
নিভে যাওয়া প্রাণের নেই কি হিসাব?
তবু তারা বাঁচে এবং বাঁচবে
মাইলস্টোনের সবুজ রঙে লাল হয়ে।

21/07/2025

মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের উত্তরা দিয়াবাড়ি ক্যাম্পাস আজ এক বেদনার প্রতিচ্ছবি।
আকাশ থেকে ধেয়ে আসা মৃত্যুর ছায়া শুধু ইট-পাথর নয়, বিদীর্ণ করে দিয়েছে শত শত হৃদয়।

একটি মাত্র দুর্ঘটনা, আর তাতেই নিস্তব্ধ হয়ে গেল প্রাণের কোলাহল।
চোখের সামনে মৃত্যুর মিছিল, কান ভেদ করা আহতদের আর্তনাদ,
আর আকাশভাঙা কান্নায় ভেসে যাচ্ছে শিক্ষার্থী, অভিভাবক, শিক্ষক, পথচারী সবাই।

এই অপূরণীয় ক্ষতির কোনো ভাষা নেই।
নিহতদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি, আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করি।
আর প্রার্থনা করি এমন নির্মমতা যেন আর কারও জীবনে না আসে।

শোকাহত হৃদয়ে সমবেদনা জানাই সমস্ত মাইলস্টোন পরিবার ও সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি।

বই হলো জ্ঞানের সমুদ্র, আত্মার খাদ্য এবং মননের খোরাক। একজন মানুষ বইয়ের মাধ্যমে যেমন নতুন জগৎ আবিষ্কার করতে পারে, তেমনি ন...
01/07/2025

বই হলো জ্ঞানের সমুদ্র, আত্মার খাদ্য এবং মননের খোরাক। একজন মানুষ বইয়ের মাধ্যমে যেমন নতুন জগৎ আবিষ্কার করতে পারে, তেমনি নিজেকেও খুঁজে পেতে পারে নতুন আলোয়।

১. জ্ঞান ও দৃষ্টিভঙ্গির প্রসার:
বই পড়ার প্রধান উপকারিতা হলো জ্ঞানের পরিধি বৃদ্ধি। বিভিন্ন বিষয়ে পড়ার মাধ্যমে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি হয় প্রসারিত, মানসিকতা হয় উদার। একটি ভালো বই আমাদের শেখায় ভাবতে, প্রশ্ন করতে এবং বিশ্লেষণ করতে।

২. মানসিক প্রশান্তি ও চাপমুক্তি:
বই পড়া অনেকটা ধ্যানের মতো। এটি মনকে শান্ত করে, দুশ্চিন্তা কমায় এবং একাকিত্বে সঙ্গী হয়ে ওঠে। ফিকশন হোক বা নন-ফিকশন—পাঠকের মনে একধরনের মানসিক স্বস্তি এনে দেয়।

৩. কল্পনাশক্তি ও সৃজনশীলতা বৃদ্ধি:
বিশেষ করে উপন্যাস, গল্প, কবিতা—এই ধরনের সাহিত্য পাঠ মানসিক জগৎকে করে তোলে আরও রঙিন ও কল্পনাপ্রবণ। গল্পের চরিত্রদের সঙ্গে নিজেকে মিলিয়ে ভাবার মধ্য দিয়ে তৈরি হয় সৃজনশীল চিন্তা।

৪. ভাষাজ্ঞান ও যোগাযোগ দক্ষতা উন্নয়ন:
নিয়মিত বই পড়লে শব্দভাণ্ডার সমৃদ্ধ হয়, বাক্য গঠনের দক্ষতা বৃদ্ধি পায়। এটি ব্যক্তির মৌখিক ও লিখিত যোগাযোগে আত্মবিশ্বাস এনে দেয়।

৫. মনোযোগ ও ধৈর্য বাড়ায়:
বই পড়া একটি মনোসংযোগের কাজ। নিয়মিত পড়ার মাধ্যমে ধৈর্যশক্তি গড়ে ওঠে এবং মনোযোগ ধরে রাখার ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়—যা আজকের বিভ্রান্তিকর ডিজিটাল যুগে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

নিজের জনপ্রিয়তা বুঝতে পেরে কাজী নজরুল ইসলাম ভাবলেন, এবার তিনি নির্বাচনে অংশ নিবেন!নির্বাচনটি ছিলো কেন্দ্রীয় ব্যবস্থাপক প...
26/05/2025

নিজের জনপ্রিয়তা বুঝতে পেরে কাজী নজরুল ইসলাম ভাবলেন, এবার তিনি নির্বাচনে অংশ নিবেন!

নির্বাচনটি ছিলো কেন্দ্রীয় ব্যবস্থাপক পরিষদের নির্বাচন। এর আগে তিনি বিভিন্ন প্রার্থীর হয়ে নির্বাচনী জনসভায় অংশ নেন। জনসভায় গান গেয়ে, কবিতা আবৃত্তি করে প্রার্থীর পক্ষে জনসমর্থন আদায়ের চেষ্টা করেন।
নজরুল লক্ষ্য করেন, তিনি যখন স্টেজে উঠেন, তখন সবাই তার জন্য তালি দেয়, উচ্ছ্বসিত হয়। প্রার্থীর জন্যও মানুষ এতোটা আগ্রহ দেখায় না, যতোটা দেখায় তার জন্য।

এটা ভেবে তার মনে হলো তিনি তো প্রার্থীদের চেয়েও জনপ্রিয়! আর কতো এভাবে অন্যের হয়ে ভোট চাইবেন? তিনি নিজেই দাঁড়িয়ে গেলেন।

সমগ্র ঢাকা বিভাগে মুসলমানদের জন্য সংরক্ষিত আসন ছিলো দুটো। দুই আসনে মোট প্রার্থী ছিলেন পাঁচজন। পাঁচজনের মধ্যে সর্বোচ্চ ভোটপ্রাপ্ত দুজন হবেন নির্বাচিত।

পাঁচজন প্রার্থীর মধ্যে তিনজনই ছিলেন বড়ো বড়ো জমিদার। বরিশালের জমিদার ইসলাইল হোসেন চৌধুরী, ময়মনসিংহের জমিদার আব্দুল হালিম গজনভি এবং ঢাকার নবাব পরিবারের খাজা আবদুল করিম। বাকি দুজন হলেন- মফিজউদ্দিন আহমদ ও কাজী নজরুল ইসলাম।

নির্বাচনে লড়াই করার জন্য নজরুলের পকেটে ছিলো বিধানচন্দ্র রায়ের দেয়া মাত্র ৩০০ টাকা। অন্যদিকে, তার প্রতিদ্বন্দ্বী বাকি তিনজন জমিদার!

এখানে, নজরুলের সেই সময়কার আর্থিক অবস্থা উল্লেখ করলে 'দুখু মিয়ার' তৎকালীন পকেটের অবস্থা বুঝতে সুবিধা হবে।

নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার কয়েক মাস পূর্বে তার দ্বিতীয় পুত্রের জন্ম হয়। পুত্রের জন্ম সংবাদ পেয়ে নজরুল তার প্রকাশক বজ্রবিহারী বর্মণকে চিঠি লিখে ২৫ টাকা পাঠাতে বলেন। তিনি জানিয়ে দেন, টাকাটা তার খুব দরকার, ধার করে হলেও যেনো টাকা পাঠানো হয়।

অভাব-অনটনের সেই সময় লিখেন তার বিখ্যাত কবিতা 'দারিদ্র‍্য'। কবিতার শেষাংশে কবি উল্লেখ করেন তার অভুক্ত পুত্রের ক্ষুধার জ্বালা। কবির ভাষায়:

"সহসা চমকি’ উঠি! হায় মোর শিশু
জাগিয়া কাঁদিছ ঘরে, খাওনি ক’ কিছু
কালি হ’তে সারাদিন তাপস নিষ্ঠুর,
কাঁদ’ মোর ঘরে নিত্য তুমি ক্ষুধাতুর!
পারি নাই বাছা মোর, হে প্রিয় আমার,
দুই বিন্দু দুগ্ধ দিতে!-মোর অধিকার
আনন্দের নাহি নাহি! দারিদ্র্য অসহ
পুত্র হ’য়ে জায়া হয়ে কাঁদে অহরহ
আমার দুয়ার ধরি! কে বাজাবে বাঁশি?
কোথা পাব আনন্দিত সুন্দরের হাসি?"

এর ঠিক কয়েক মাস পর কবি নির্বাচনের ক্যান্ডিডেট! তৎকালীন সময়ে সবাই ভোটার হতে পারতো না। মোটামুটি স্বচ্ছল ব্যক্তিরাই ভোটার হতে পারতেন। কারণ, ভোটার হবার জন্য নূন্যতম বাৎসরিক কর দিতে হতো। নজরুল সেই সময়ে যাদের কাছে তুমুল জনপ্রিয় ছিলেন, তাদের বেশিরভাগই ভোটার ছিলেন না।

সমগ্র ঢাকা বিভাগে মোট ভোটার ছিলো মাত্র ১৮,১১৬ (আঠারো হাজার একশো ষোলো) জন।

কাজী নজরুল ইসলামের দরকার ভোট। স্পেসিফিকলি বললে মুসলিমদের ভোট। অথচ 'বিদ্রোহী' কবিতা সহ আরো কয়েকটি কবিতা, গানের জন্য তিনি মুসলিম সমাজে সমালোচিত। অনেকেই তাকে 'কাফের' ফতোয়া দিয়েছেন।

'লেখক নজরুল' পাবলিক সেন্টিমেন্টকে তোয়াক্কা না করলেও এবার 'প্রার্থী নজরুল' পাবলিক সেন্টিমেন্টকে গুরুত্ব দেন। তিনি চলে যান ফরিদপুরের নামকরা পীর বাদশাহ মিয়ার কাছে। বাদশাহ মিয়াকে অনুরোধ করেন তার পক্ষে যেনো একটি ফতোয়া লিখে দেন, যাতে মানুষ তাকে ভোট দেয়।

পহেলা নভেম্বর বাদশাহ মিয়া একটি কাগজে কাজী নজরুল ইসলামের পক্ষে ফতোয়া লিখে দেন- ভোটাররা যেনো কাজী নজরুল ইসলামকে ভোট দেয়!

কাজী নজরুল ইসলামের নির্বাচনী প্রচারণায় সঙ্গ দেন পল্লীকবি জসীমউদদীন। বাংলা সাহিত্যের দুই শ্রেষ্ঠ কবি নামলেন নির্বাচনী প্রচারণায়। কাজী নজরুল ইসলাম জসীমউদদীনকে বুঝালেন, "ঢাকায় আমি শতকরা ৯৯ ভাগ ভোট পাবো, ফরিদপুরে তোমার এলাকায় কয়েকটা ভোট পেলেই কেল্লা ফতে; আমি জিতে যাবো!"

দুই কবি মানুষের বাড়ি বাড়ি যেতেন নির্বাচনী ক্যাম্পেইনে। মানুষ চা অফার করতো। আর নজরুলের নীতি ছিলো- "চায়ে কোনো 'না' নেই।" নির্বাচনী প্রচারণায় কাজী নজরুল ইসলাম একদিন ৭২ কাপ চা খান!

জনসমর্থন আদায়ে দুজন ফরিদপুরের তমিজউদদীন খানের বাড়ি যান। সেখানে একজন বলে উঠলো, আপনি তো 'কাফের', আপনাকে ভোট দেবো কেনো? তখন নজরুল একটা একটা করে তার কবিতাগুলো আবৃত্তি করেন। যখনই 'মোহররম' কবিতাটি আবৃত্তি করেন, তখন সেই অভিযোগকারী কেঁদে দেয়!

নির্বাচনের দিন জসীমউদদীন নজরুলকে একটি কৌশল বলেন- "আপনি একটি ভোটকেন্দ্রে বসে থাকুন। মানুষ ভোটকেন্দ্রে যাবার সময় আপনাকে দেখতে পাবে। আপনার কথা মনে পড়বে, আপনাকে ভোট দেবে।"

নজরুল কবির কথামতো ঠিকই ভোটকেন্দ্রে বসে পড়লেন।

যেই কবি আত্মবিশ্বাসের সুরে বলেছিলেন ঢাকায় ৯৯ ভাগ ভোট পাবেন, নির্বাচনের ফলাফল দেখে সেই কবির চোখ কপালে উঠে।

নির্বাচনের ফলাফল ছিলো:
১. ইসমাইল হোসেন খান চৌধুরী ৬০৬১ ভোট পেয়ে বিজয়ী।
২. আব্দুল হালিম গজনভি ৫৭৬৯ ভোট পেয়ে বিজয়ী।
৩. আব্দুল করিম ২০৪৩ ভোট পেয়ে পরাজিত।
৪. কাজী নজরুল ইসলাম ১০৬২ ভোট পেয়ে জামানত বাজেয়াপ্ত।
৫. মৌলভী মফিজউদ্দীন আহমদ ৫২০ ভোট পেয়ে জামানত বাজেয়াপ্ত।

আকাশচুম্বী জনপ্রিয় কবির নির্বাচনে জয়ী হওয়া যে আকাশকুসুম চিন্তা ছিলো, সেটা বুঝতে কাজী নজরুল ইসলামকে একবার নির্বাচন করতে হয়। এরপর নজরুল দ্বিতীয়বার আর এই ভুল করেননি। তবে, নজরুলের পদাঙ্ক অনুসরণ করেন বাংলার আরেক কবি নির্মলেন্দু গুণ।

১৯৯১ সালে পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্মলেন্দু গুণ আওয়ামীলীগের মনোনয়ন চান। আওয়ামিলীগ থেকে মনোনয়ন না পাওয়ায় তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিশেবে নেত্রকোণা-বারহাট্টা আসন থেকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন। তার নির্বাচনী প্রতীক ছিলো বেশ বিচিত্র- কুমির। সাক্ষাৎকারে তাকে জিজ্ঞেস করা হয় তিনি কেনো কুমির প্রতীক নেন? এটার পেছনে কি কবির কোনো উদ্দেশ্য আছে?

নির্মলেন্দু গুণ জানান- "আমি নিজে অত্যন্ত নিরীহ মানুষ। তার উপর স্বতন্ত্র প্রার্থী। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা আমাকে করুণার দৃষ্টিতে দেখুক এমন কোনো নিরীহ প্রতীক বেছে নেয়াটা বোকামী হবে ভেবেই আমি এই প্রতীক বেছে নিয়েছি। আপনারা সবাই জানেন যে কুমির সমীহ আদায় করার মতো প্রাণী। জলের রাজা এবং প্রয়োজনে স্থলেও উঠে আসতে পারে। সুতরাং...।"

কাজী নজরুল ইসলাম তার নির্বাচনের সময় পাশে পেয়েছিলেন বাংলা সাহিত্যের কিংবদন্তী কবি জসীমউদদীনকে। তেমনি নির্মলেন্দু গুণও নির্বাচনের সময় পাশে পান বাংলা সাহিত্যের কিংবদন্তী কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদকে। দুজনই ছিলেন একই এলাকার। নির্মলেন্দু গুণের নির্বাচনের জামানতের টাকা দেন হুমায়ূন আহমেদ।

কাজী নজরুল ইসলামের মতো নির্মলেন্দু গুণও নির্বাচনে পরাজিত হোন, এমনকি জামানত হারান। নির্মলেন্দু গুণ ভোট পান ১২৪৯ টি।

বাংলাদেশের ইতিহাসে সম্ভবত কোনো বিখ্যাত কবি কোনো নির্বাচনে জিতেননি। তবে, রাষ্ট্রপ্রধান হবার পর কবি হবার ঘটনা আছে!

জেনারেল এরশাদ ৯ বছর বাংলাদেশের রাষ্ট্রপ্রধান ছিলেন। সেই সময় প্রতিদিন পত্রিকার প্রথম পাতার তার লেখা কবিতা প্রকাশিত হতো। এমন কবিভাগ্য পৃথিবীর ইতিহাসে অন্য কোনো কবির (!) ছিলো কি-না বলা মুশকিল!

------

|| রাজনীতির মাঠে কাজী নজরুল ||
- আরিফুল ইসলাম
১৮ ডিসেম্বর ২০২১
fans
বইপোকা - BookWorm
Jakaria Riimon

এই সেই বুলবুল! যার অকাল প্রয়াণে জাতীয় কবি পাগলপারা হয়ে যান। নিজের দুঃখ ভোলার জন্য তাকেনিয়ে গান লিখেন,"শূন্য এ বুকে পাখি ...
13/04/2025

এই সেই বুলবুল! যার অকাল প্রয়াণে জাতীয় কবি পাগলপারা হয়ে যান। নিজের দুঃখ ভোলার জন্য তাকে
নিয়ে গান লিখেন,

"শূন্য এ বুকে পাখি মোর আয়
---ফিরে আয়,
তোরে না হেরিয়া সকালের ফুল
--অকালে ঝরে যায়!
তুই নাই বলে ওরে উন্মাদ
পাণ্ডুর হলো আকাশের চাঁদ!...
ধূসর আকাশ হইবে সুনীল
---তোর চোখের চাওয়ায়।।"

বুলবুল ১৯২৬ সালে জন্মগ্রহণ করেন এবং কবির প্রাণাধিক এই পুত্র বসন্ত রোগে ভুগে মাত্র চার বছর বয়সে ১৯৩০ সালে পরলোক গমন করেন।


পোস্ট ক্রেডিট: #বাংলাদেশের_দুষ্প্রাপ্য_ছবি_সমগ্র

বই জ্ঞানার্জনের চাবিকাঠি, এতে বয়স কোনো বাধা নয়।বইপড়া শুধুমাত্র বিনোদনের মাধ্যম নয়, এটি জ্ঞানার্জনের সেরা উপায়। একটি ভালো...
21/02/2025

বই জ্ঞানার্জনের চাবিকাঠি, এতে বয়স কোনো বাধা নয়।
বইপড়া শুধুমাত্র বিনোদনের মাধ্যম নয়, এটি জ্ঞানার্জনের সেরা উপায়। একটি ভালো বই আমাদের নতুন দৃষ্টিভঙ্গি দেয়, চিন্তার গভীরতা বাড়ায় এবং জীবনকে নতুনভাবে বুঝতে সাহায্য করে।

জ্ঞান অর্জনের কোনো নির্দিষ্ট বয়স নেই। যেকোনো সময়, যেকোনো বয়সে শেখার সুযোগ থাকে। শিশুকাল থেকে বার্ধক্য পর্যন্ত বই আমাদের জীবনকে সমৃদ্ধ করে, আমাদের কল্পনাশক্তি বাড়ায় এবং বুদ্ধিমত্তাকে শাণিত করে।

তাই বয়সের কথা না ভেবে, প্রতিদিন অন্তত কিছুক্ষণ বই পড়ার অভ্যাস করুন। কারণ বইপড়ার আনন্দ, জ্ঞান আর অভিজ্ঞতা – এগুলো জীবনের সত্যিকারের সম্পদ!

বইপোকা - BookWorm
fans

বই : বি স্মার্ট উইথ মুহাম্মদ লেখক : ড. হিশাম আল আওয়াদিঅনুবাদক : মাসুদ শরীফরিভিউ লেখক : মহিমা আকতারইসলামি ভাবধারার বইগুলো...
28/01/2025

বই : বি স্মার্ট উইথ মুহাম্মদ
লেখক : ড. হিশাম আল আওয়াদি
অনুবাদক : মাসুদ শরীফ
রিভিউ লেখক : মহিমা আকতার
ইসলামি ভাবধারার বইগুলো বর্তমান সমাজের সব শ্রেণির লোকদের পড়া জরুরি। নীতি-নৈতিকতা শিক্ষার পাশাপাশি নিজের মধ্যে ধর্মীয় বোধের জায়গাটি শক্তিশালী হবে এ ধরনের বই পড়ার মাধ্যমে।
প্রিয় শিক্ষার্থী মহিমা তুমি বইটি আগ্রহ নিয়ে পড়েছো এবং সুন্দর একটি রিভিউ লিখেছো।
তোমার জন্য অনেক ভালোবাসা এবং শুভ কামনা।

কবিতাটি 'যে জলে আগুন জ্বলে' কাব্যগ্রন্থের অন্যতম জনপ্রিয় কবিতা।
23/01/2025

কবিতাটি 'যে জলে আগুন জ্বলে' কাব্যগ্রন্থের অন্যতম জনপ্রিয় কবিতা।

ছোটগল্প : চিঠি পাওয়ার পরলেখক: বনফুল ছোটগল্পের জগতে অন্যতম সেরা একটি গল্প।সবাইকে পড়ার আহ্বান। প্রত্যেকটা পঙক্তিতে মুগ্ধতা...
06/11/2024

ছোটগল্প : চিঠি পাওয়ার পর
লেখক: বনফুল
ছোটগল্পের জগতে অন্যতম সেরা একটি গল্প।
সবাইকে পড়ার আহ্বান। প্রত্যেকটা পঙক্তিতে মুগ্ধতা ছড়াবে। আশা করি পড়া শুরু করলে শেষ করতে বাধ্য হবেন।
ধন্যবাদ।

খুদে বইপোকা রোদ।❤️সুকুমার সাহিত্য শিশুদের ভীষণ প্রিয়।এই বইটার অপেক্ষায় রোদের অনেকদিন কেটেছে।অবশেষে হাতে পেয়ে ভীষণ খুশি। ...
01/10/2024

খুদে বইপোকা রোদ।❤️
সুকুমার সাহিত্য শিশুদের ভীষণ প্রিয়।
এই বইটার অপেক্ষায় রোদের অনেকদিন কেটেছে।
অবশেষে হাতে পেয়ে ভীষণ খুশি। এই বয়সে বই পড়ার প্রতি এমন আগ্রহ আমাকে করে বিস্মিত।
রোদ মামুনি, দোয়া করি তুমি অনেক বড় হও, সুস্থ মস্তিষ্ক নিয়ে বেড়ে ওঠো।
ভালোবাসা। ❤️❤️❤️

বিশ্বের শীর্ষ ধনীরা নিয়মিত বই পড়েন।বিশ্বের সেরা ধনীরা সামাজিক দৃষ্টিতে সফল মানুষ হিসেবে সমাদৃত। শত ব্যস্ততার মধ্যেও তাঁর...
22/09/2024

বিশ্বের শীর্ষ ধনীরা নিয়মিত বই পড়েন।

বিশ্বের সেরা ধনীরা সামাজিক দৃষ্টিতে সফল মানুষ হিসেবে সমাদৃত। শত ব্যস্ততার মধ্যেও তাঁরা নিয়মিত বই পড়েন। তাঁরা বইয়ের জ্ঞান বাস্তবে প্রয়োগ করেই হয়েছেন পৃথিবীর শীর্ষ সম্পদশালী। শীর্ষ ধনীদের বই পড়ার এমন অভ্যাস নিয়ে লিখেছেন এম এম মুজাহিদ উদ্দীন

বিল গেটস:

বিল গেটস নামটি সারা বিশ্বে সবার কাছে পরিচিত। এ মানুষটিও প্রচুর বই পড়েন। তিনি প্রতি সপ্তাহে অন্তত একটি বই শেষ করেন। বছর শেষে তিনি পড়ে ফেলেন ৫০টির মতো বই। তিনি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি-সম্পর্কিত নন-ফিকশন বই থেকে শুরু করে উপন্যাস ও আত্মজীবনী পড়েন। শুধু নিজে বই পড়ে ক্ষান্ত থাকেন না, বই পড়া শেষে বইয়ের রিভিউ দেন তাঁর নিজস্ব ওয়েবসাইটে। প্রতিবছর তিনি প্রকাশ করেন ওই বছরে তাঁর পঠিত সেরা ১০টি বই। বই পড়া নিয়ে বিল গেটস দ্য নিউইয়র্ক টাইমসকে বলেছেন, ‘ছোট থেকেই আমার শেখার অন্যতম প্রধান উপায় হলো বই পড়া।’

ইলন মাস্ক:

ইলন মাস্ক বিশ্বের শীর্ষ ধনীদের একজন। কে না চেনেন তাকে! ইলন মাস্কের নিয়মিত অভ্যাসগুলোর মধ্যে অন্যতম বই পড়া। এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, ছোটবেলা থেকে নিয়মিত দিনে ১০ ঘণ্টা বই পড়তেন। তবে ব্যস্ততা বাড়ার কারণে ১০ ঘণ্টা বই পড়া সম্ভব না হলেও প্রতিদিন তিনি নির্দিষ্ট সময় বই পড়েন। তিনি একজন মনোযোগী পাঠক। তিনি মনে করেন, বিশ্বকে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য জ্ঞানার্জন অত্যাবশ্যক। তাঁকে একবার জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, কীভাবে তিনি রকেট বানানো শিখলেন? উত্তরে বলেছিলেন, ‘আই রিড বুকস।’

মার্ক জাকারবার্গ:

ফেসবুকের কথা উঠলেই যে নামটি মনে ভেসে ওঠে, তিনি হলেন প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গ। তিনি সারা বিশ্বে অসংখ্য মানুষকে স্ক্রিনে আসক্তি করালেও তাঁর সন্তানদের ডিজিটাল গ্যাজেট থেকে দূরে রেখেছেন। এসবের বদলে তিনি সন্তানদের হাতে দিয়েছেন বই। মার্ক জাকারবার্গও বিল গেটসের মতো বইপড়ুয়া মানুষ, যিনি প্রযুক্তি ও যোগাযোগের পেছনে বেশি সময় ব্যয় করলেও প্রতি দুই সপ্তাহে একটা করে বই শেষ করেন। তিনি বই পড়ার জন্য ২০১৫ সালে একটি ক্লাব খুলেছেন। সেখানে তিনি বই নিয়ে আলোচনা করেন।

ওয়ারেন বাফেট:

ওয়ারেন বাফেট গোগ্রাসে বই পড়েন। তিনি ১১ বছর বয়স থেকে সংবাদপত্র, বার্ষিক প্রতিবেদন, অর্থ ব্যবস্থাপনা, বিনিয়োগ, ব্যবসা ও অর্থনীতি প্রভৃতি বই পড়া শুরু করেন। তাঁর জ্ঞানের তৃষ্ণা ব্যাপক। তিনি এত বেশি বই পড়তেন যে তাঁর শহরের যত লাইব্রেরি ছিল, সেগুলো তাঁর কাছে কম মনে হতো। শুধু তা-ই নয়, ৯৪ বছর বয়সী ওয়ারেন বাফেট এখনো প্রতিদিন গড়ে ৫০০ পৃষ্ঠা পড়েন। তিনি প্রতিদিন প্রায় ৬ ঘণ্টা বই পড়ার পেছনে ব্যয় করেন; যেখানে যুক্তরাষ্ট্রে প্রাপ্তবয়স্করা দিনে মাত্র ২০ মিনিট পড়ার পেছনে ব্যয় করেন। তিনি মনে করেন, বই পড়া হলো চক্রবৃদ্ধি সুদের মতো; যত পড়বেন তত জ্ঞান বাড়বে। তিনি বই পড়ার অভ্যাসকে তাঁর সাফল্যের রহস্য হিসেবে মনে করেন।

জ্যাক মা:

আলিবাবার সহপ্রতিষ্ঠাতা জ্যাক মাকে অনেকে অনুপ্রেরণাদানকারী হিসেবে চেনেন। তিনি জীবনে অনেক সমস্যা মোকাবিলা করে সফল হয়েছেন। তাঁর প্রতিদিনের অন্যতম অভ্যাস হলো বই পড়া, নতুন কিছু শেখা। তিনি প্রতিদিন বই পড়েন আরও স্মার্ট হতে এবং নতুন কোনো আইডিয়া খুঁজে পেতে। জ্যাক মা বলেছেন, ‘প্রচুর বই পড়ার ফলে আপনি যেকোনো বিষয়ে ভালো একটি সূচনা করতে পারবেন; যা প্রায় সময় আপনার সহকর্মীরা পারবে না। যাঁরা প্রচুর বই পড়েন, তাঁদের বিভিন্ন বিষয়ে জানার সম্ভাবনা বেশি। আপনি যদি শুরুতে প্রতিদিন ১ ঘণ্টা বা তার বেশি পড়ার অভ্যাস করতে না পারেন, তাহলে ২০ বা ৩০ মিনিট হলেও বই পড়ুন।’

-দৈনিক আজকের পত্রিকা
©এম এম মুজাহিদ উদ্দীন
লেখক: ভাইভা বোর্ডের মুখোমুখি,
মুজাহিদ'স ভাইভা সাজেশন,
ব্যাংকার'স ভাইভা বোর্ড।

Address

Kushtia

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when বইপোকা - BookWorm posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share