27/06/2025
ছয়টি গুনাহ থেকে বাঁচলে জাহান্নাম থেকে প্রায় বাঁচা হয়ে যায়!
অন্তরের তিনটি গুনাহ (গোপন গুনাহ)
১. হাসাদ (হিংসা)
কুরআন:
"তারা যদি তোমার ক্ষতিসাধনে আগ্রহী হয়, তবে আল্লাহই তোমার জন্য যথেষ্ট।"(সূরা আল-ফালাক, ১১৩:৫)
“আমি আশ্রয় নিচ্ছি হিংসুকের অনিষ্ট থেকে, যখন সে হিংসা করে।”
হাদীস:
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন,"হিংসা (হাসাদ) নেক আমলকে আগুন যেমন কাঠকে ধ্বংস করে তেমনি ধ্বংস করে দেয়।"(আবু দাউদ: ৪৯০৩)
২. রিয়া (লোক দেখানো আমল)
কুরআন:
“ওইসব লোকদের দুর্ভোগ যারা নামায পড়ে কিন্তু লোক দেখানোর উদ্দেশ্যে।”(সূরা আল-মাউন, ১০৭:৪-৬)
হাদীস:
নবী (সা.) বলেন, "সবচেয়ে ভয়ানক ছোট শিরক হলো রিয়া।"(মুসনাদ আহমাদ: ২৩৬৩০)
৩. কিবর (অহংকার/গর্ব)
কুরআন:
"আল্লাহ অহংকারকারীদের ভালোবাসেন না।"(সূরা নাহল, ১৬:২৩)
হাদীস:
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, "যার অন্তরে সরিষা দানার সমান অহংকার থাকবে সে জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না।"(সহীহ মুসলিম: ৯১)
মুখের তিনটি গুনাহ (প্রকাশ্য গুনাহ)
১. গীবত (পরনিন্দা)
কুরআন:
“তোমরা একে অন্যের গীবত করো না। কেউ কি তার মৃত ভাইয়ের গোশত খেতে পছন্দ করবে?” (সূরা হুজুরাত, ৪৯:১২)
হাদীস:
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, "গীবত হলো—তোমার ভাই সম্পর্কে এমন কিছু বলা যা সে অপছন্দ করে।" (সহীহ মুসলিম: ২৫৮৯)
২. মিথ্যা বলা
কুরআন:
"আল্লাহ মিথ্যাবাদী ও গোনাহগারকে পথ দেখান না।"(সূরা আল-মুমিন, ৪০:২৮)
হাদীস:
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, "মুমিন মিথ্যাবাদী হতে পারে না।"
(মুয়াত্তা ইমাম মালিক: ১৫৬১)
৩. লানত বা গালমন্দ করা
হাদীস:
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, "একজন মুমিন গালাগালকারী, লানতকারী, অশ্লীলভাষী বা কুরুচিপূর্ণ কথা বলা ব্যক্তি হতে পারে না।"(তিরমিযী: ১৯৭৭)
আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে এই ৬ টি গুনাহমুক্ত থাকার তাওফিক দান করুন।