মহাত্মা লালন ফকির

মহাত্মা লালন  ফকির খাঁচার ভিতর অচিন পাখি
কেমনে আসে যায় ।

মহাত্মা লালন ফকির - বাউল সাধনার পথপ্রদর্শক:

লালন ফকির, বাউল গানের অমর সাধক, যিনি মানবতা, প্রেম, এবং সাম্যের বাণী প্রচার করেছেন। তাঁর গান ও দর্শনের মধ্যে নিহিত রয়েছে আধ্যাত্মিকতা ও মানবিকতার গভীর মর্ম। এই পেইজে আপনি লালন ফকিরের জীবনী, তাঁর রচিত গানের কথা, সুর এবং বাউল তত্ত্বের নান্দনিকতা সম্পর্কে জানতে পারবেন। তাঁর আদর্শ ও দর্শন আজও সমকালীন বিশ্বে প্রাসঙ্গিক। আসুন, লালনের বাণী ও সুরের জগতে ডুবে যা

ই, হৃদয়কে আলোকিত করি।

“মানুষ ভজলে সোনার মানুষ হবি” – এই বাণীর পথ ধরে, চলুন আমরা সবাই মানবতার সেবায় আত্মনিয়োগ করি।

সময় থাকলে পড়তে পারেন। আশাকরি ভালো লাগবে।জয় গুরু🙏কলমেঃ মনিরুল হক WhatsApp: 01722-273272
05/12/2024

সময় থাকলে পড়তে পারেন। আশাকরি ভালো লাগবে।
জয় গুরু🙏

কলমেঃ মনিরুল হক
WhatsApp: 01722-273272

আমার এ ঘরখানায় কে বিরাজ করে?__________ মহাত্মা ফকির লালন সাঁই মহাত্মা ফকির লালন সাঁইয়ের এই পদটি গভীর আধ্যাত্মিক প্রশ্ন...
05/11/2024

আমার এ ঘরখানায় কে বিরাজ করে?
__________ মহাত্মা ফকির লালন সাঁই

মহাত্মা ফকির লালন সাঁইয়ের এই পদটি গভীর আধ্যাত্মিক প্রশ্ন ও আত্ম-অন্বেষণমূলক। তিনি এই গানের মাধ্যমে মানবজীবনের এক অন্তর্নিহিত রহস্যকে তুলে ধরেছেন। পদটির প্রধান বিষয় হলো নিজ অস্তিত্ব ও আত্মার সন্ধান। লালন এখানে প্রশ্ন তুলেছেন সেই সত্ত্বা বা প্রাণের প্রতি, যা মানুষের জীবনের ভিত্তি, কিন্তু সে সত্তাকে আমরা সরাসরি উপলব্ধি করতে পারি না।

পদটির বিস্তারিত পর্যালোচনাঃ

১. অস্তিত্বের রহস্যঃ গানের প্রথম অংশে তিনি বলেছেন, "আমার এ ঘরখানায় কে বিরাজ করে? আমি জনম ভর একদিনও দেখলাম না রে।" এখানে "ঘরখানা" বলতে নিজের শরীর বা আত্মাকে বোঝানো হয়েছে, এবং "কে বিরাজ করে" বলতে সেই সত্ত্বাকে বোঝানো হয়েছে, যা আমাদের জীবনের ভিত্তি। এই সত্তা সর্বদাই আমাদের সাথে থাকে, কিন্তু সরাসরি দেখা যায় না, অনুভবও করা যায় না। এই সত্তার প্রতি লালন ফকিরের আগ্রহ, কিন্তু এই সত্তার রহস্যময় প্রকৃতি তাঁর কাছে অধরা থেকে যায়।

২. অদৃশ্য সৃষ্টিকর্তার অবস্থানঃ মহাত্মা লালন ফকির বলছেন, "নড়ে চড়ে ঈশান কোণে, দেখতে পাইনে এ নয়নে," অর্থাৎ ঈশান কোণে বা দেহের কোনো বিশেষ কোণে এই সত্তার অস্তিত্ব আছে বলে মনে হয়, কিন্তু চোখ দিয়ে একে দেখা যায় না। এটি মূলত প্রতীকী, যা বোঝায় আমাদের আত্মা বা অন্তর্গত সেই সত্ত্বা, যা আমাদের দেহের গভীরে বিরাজ করছে।

৩. অস্পর্শতার অনুভূতিঃ তিনি বলছেন, "হাতের কাছে যার ভবের হাট-বাজার, ধরতে গেলে হাতে পাইনে তারে।" এই লাইনটি আমাদের দেহের ভেতরের সেই প্রাণশক্তির প্রতীকী প্রকাশ করে। জীবনের হাট-বাজার, অর্থাৎ সমস্ত বস্তুগত ও জাগতিক অভিজ্ঞতা এই প্রাণশক্তির উপর নির্ভরশীল, কিন্তু তাকে ধরার চেষ্টা করলেও ধরা দেয় না।

৪. পরিচয়হীনতাঃ মহাত্মা ফকির লালন সাঁইজী এখানে আত্মার প্রকৃতি বোঝাতে প্রশ্ন তুলছেন—"জল কি হুতাশন, মাটি কি পবন," অর্থাৎ আত্মা কি জল, অগ্নি, মাটি, না বায়ু? এটি পঞ্চভূতের ধারণা। লালন ফকিরও এখানে আত্মার প্রকৃতি নিয়ে একটি নির্দিষ্ট ধারণা দেননি, বরং সন্দিহান ছিলেন।

৫. পরম সত্যের সন্ধানঃ শেষের দিকে মহাত্মা ফকির লালন সাঁই বলেছেন, "পর বলতে পরমেশ্বর, সে কেমন রূপ, আমি কিরূপ ওরে।" এখানে 'পরমেশ্বর' বলতে সেই চূড়ান্ত সত্ত্বা বা পরমাত্মাকে বোঝানো হয়েছে। তিনি জানতে চান যে, এই পরমাত্মার প্রকৃতি কী এবং আমি বা আমার অস্তিত্ব কী?

গানের সারমর্মঃ এই গানটি মহাত্মা লালন ফকিরের আধ্যাত্মিক চিন্তাধারা এবং আত্ম-অন্বেষণমূলক দর্শনের পরিচয় দেয়। মহাত্মা ফকির লালন সাঁই বিশ্বাস করতেন যে, এই জীবনই সত্যিকারের সাধনার ক্ষেত্র, এবং আত্মজ্ঞান বা নিজেকে চেনার মধ্যেই ঈশ্বরের প্রকৃত সন্ধান রয়েছে। ফকির লালন সাঁই এই পদে সেই আত্মার প্রকৃতি জানতে এবং অনুভব করতে চান, যা সর্বদা আমাদের মধ্যে বিরাজমান কিন্তু আমাদের জ্ঞানের সীমাবদ্ধতার কারণে অধরা থেকে যায়।

ফকির লালন সাঁই এই পদটির মাধ্যমে আমাদের সেই রহস্যময় আত্মার অনুসন্ধান করতে উদ্বুদ্ধ করেছেন, যা জীবনের সার্বিক আনন্দ এবং সার্থকতার মূল। তিনি বুঝিয়েছেন যে বাহ্যিক জগতকে চেনার আগে আমাদের নিজেদের চেনা উচিত। আত্মার প্রকৃতি বোঝা কঠিন, কিন্তু এই অনুসন্ধানই মানুষের জীবনের আসল লক্ষ্য।

©️ কলমে ✍️
মনিরুল হক [ Monirul Haque ]
কবি ও শিক্ষক
কুষ্টিয়া, বাংলাদেশ।
WhatsApp: 01722-273272

"সব লোকে কয় লালন কি জাত সংসারে"____________ মহাত্মা ফকির লালন সাঁই মহাত্মা ফকির লালন সাঁইয়ের “সব লোকে কয় লালন কি জাত স...
02/11/2024

"সব লোকে কয় লালন কি জাত সংসারে"
____________ মহাত্মা ফকির লালন সাঁই

মহাত্মা ফকির লালন সাঁইয়ের “সব লোকে কয় লালন কি জাত সংসারে” পদটি একটি অনবদ্য সৃষ্টি, যা সমাজে প্রচলিত জাতপাত ও ভেদাভেদের বিরুদ্ধে তার গভীর দার্শনিক এবং আধ্যাত্মিক দৃষ্টিভঙ্গিকে প্রকাশ করে। এখানে লালন ফকির মূলত প্রশ্ন তুলেছেন সমাজের জাতের ভিত্তিতে মানুষে মানুষে তৈরি করা ব্যবধান নিয়ে এবং এটাকে অমূলক ও তুচ্ছ প্রমাণ করতে চেয়েছেন। উনার মতে সবার উদ্ধে মানুষ সত্য এবং মানবতায় পরম ধর্ম।

লালন ফকির বলেন, জাতের আসল রূপ কী, তা তিনি কখনো দেখেননি। সমাজের প্রচলিত ধারণায় মানুষকে হিন্দু-মুসলিম, ব্রাহ্মণ-চণ্ডাল, ধনী-দরিদ্র, জাত-ধর্ম এইসব পরিচয়ে বিভক্ত করা হয়, কিন্তু লালনের দর্শনে এগুলোর কোনো আসল ভিত্তি নেই। তার মতে, এসব জাতিভেদ মানুষের মনগড়া, যা প্রকৃত সত্য থেকে আমাদের বিচ্ছিন্ন করে রাখে।

মহাত্মা ফকির লালন সাঁই-এর এই গানের বক্তব্যটি চারটি অংশে ভাগ করা যায়ঃ

প্রথম স্তবকঃ জাতের মূর্তির প্রতি সন্দেহ লালন সাঁই বলছেন যে, "সব লোকে কয় লালন কি জাত সংসারে," অর্থাৎ, লালন ফকিরকে সবাই প্রশ্ন করে, তিনি কোন জাতের? সাঁইজী বলেন, “জাতের কি রূপ দেখলাম না এই নজরে,” অর্থাৎ তিনি জাতের আসল চেহারা কখনো দেখেননি। এতে তিনি জাতের অবাস্তবতা ও মনুষ্যকৃত বিভাজন সম্পর্কে প্রশ্ন তুলেছেন।

দ্বিতীয় স্তবকঃ জাতের ভণ্ডামি লালন ফকির বুঝিয়েছেন যে, সমাজে ভিন্ন ধর্মের মানুষ বিভিন্ন পরিচয়ে পরিচিত, কেউ মালা পরে, কেউ তসবি গলায় ঝুলায়। এভাবে নিজ নিজ ধর্মের আচার-অনুষ্ঠান পালন করে, কিন্তু এতে প্রকৃত আত্মসংশোধনের কোনো বালাই নেই। প্রকৃতপক্ষে, সবাই একই মাটি থেকে তৈরি এবং মৃত্যুতে সবাই সমান হয়ে যায়। তাই জাতের ভিত্তিতে এইসব পৃথকীকরণ একধরনের ভণ্ডামি।

তৃতীয় স্তবকঃ মাটি ও মানুষের একতা লালন ফকির আরও বলেন যে, মানুষের জন্ম ও মৃত্যুতে জাত, ধর্ম, উচ্চ-নিচ সবই এক হয়ে যায়। জন্ম এবং মৃত্যু এই দুই ক্ষেত্রেই মানুষ একই অবস্থায় থাকে। এখানে লালন মূলত বুঝাতে চেয়েছেন যে মানুষকে তার কর্ম ও চরিত্র দিয়ে বিচার করা উচিত, জাত দিয়ে নয়।

চতুর্থ স্তবকঃ কাজের মাধ্যমে প্রকৃত বিচার শেষ স্তবকে লালন ফকির বলেছেন, ব্রাহ্মণ, চণ্ডাল, মৌলবি, বৈশ্য, এরা সবাই বিধির বিধানে এসেছে। এদের জন্মের সময় কোনো জাত বা ধর্মের পরিচয় ছিল না, সমাজই এ পরিচয় তৈরি করেছে। তাঁর মতে, আসল পরিচয় আসে কাজ থেকে, মনুষ্যত্বের চর্চা থেকে।

মহাত্মা লালন ফকির ছিলেন অসাম্প্রদায়িক ও মানবতাবাদী, যার দর্শনের মূল কথা ছিল মানবতা। তিনি বিশ্বাস করতেন যে জাতের কোনো প্রকৃত অস্তিত্ব নেই। তার দৃষ্টিতে, মানুষকে জাত বা ধর্মের বিচারে ভাগ করা যায় না। সমাজে প্রচলিত জাতপাতের প্রথাকে তিনি কুসংস্কার বলে মনে করতেন। তাই এই গানে তিনি জাতিভেদ প্রথাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে মানুষের মধ্যে একতার কথা বলেছেন।

লালন ফকিরের এই পদ আমাদের শেখায় যে মানবতা ও মনুষ্যত্বই সর্বোচ্চ আদর্শ। তাঁর মতে, জাত-ধর্মের ভিত্তিতে মানুষে মানুষে ভেদাভেদ দূর করতে হবে এবং সবাইকে এক সত্ত্বায় নিয়ে আসতে হবে। এই দর্শন আধুনিক যুগেও অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক, যেখানে মানুষ জাতি, ধর্ম, ভাষা ইত্যাদির ভিত্তিতে একে অপরের থেকে বিভক্ত হয়ে আছে।

মহাত্মা লালন ফকিরের এই পদে সমাজে পরিবর্তনের জন্য এবং মানুষের মধ্যে একতার বাণী ছড়ানোর জন্য একটি মূল্যবান উদাহরণ। জাতপাত ও ধর্মের ভেদাভেদকে তুচ্ছ করে তিনি বলেছেন, প্রকৃত ধর্ম হলো মানবতা। এই পদটি এখনো সমাজে প্রচলিত কুসংস্কার এবং অন্ধবিশ্বাসের বিরুদ্ধে এক ধরনের প্রতিবাদ, যা মানুষের মধ্যে পারস্পরিক ভালোবাসা, সহমর্মিতা, ও একতার প্রয়োজনীয়তা নির্দেশ করে।

🙏 আলেক সাঁই

©️ কলমে ✍️
মনিরুল হক [ Monirul Haque ]
কবি ও শিক্ষক
কুষ্টিয়া, বাংলাদেশ।
WhatsApp: 01722-273272

31/10/2024

"Know Thyself" কথাটির অর্থ হলো "নিজেকে জানো"। এটি গ্রিক দার্শনিক সক্রেটিসের বিখ্যাত উক্তি। এর মাধ্যমে তিনি বলতে চেয়েছেন, একজন মানুষের উচিত নিজের চিন্তা, বিশ্বাস, এবং আবেগের গভীরে প্রবেশ করে নিজের প্রকৃত সত্ত্বাকে বুঝতে চেষ্ট করা। নিজেকে জানা মানে নিজের শক্তি, দুর্বলতা, সীমাবদ্ধতা, এবং সম্ভাবনাগুলি বোঝা।

এই উপলব্ধি একজন মানুষকে আরও আত্মবিশ্বাসী এবং পরিপূর্ণ জীবনযাপন করতে সহায়তা করে।

আলেক সাঁই 🙏

আত্মতত্ত্বঃ=======মানবজীবনের গভীরে প্রবেশ করার মাধ্যমে জীবন ও জগতের প্রকৃত অর্থ উদঘাটনের প্রচেষ্টা মানবজাতির চিরন্তন আকা...
30/10/2024

আত্মতত্ত্বঃ
=======

মানবজীবনের গভীরে প্রবেশ করার মাধ্যমে জীবন ও জগতের প্রকৃত অর্থ উদঘাটনের প্রচেষ্টা মানবজাতির চিরন্তন আকাঙ্ক্ষা। এই অনুসন্ধানে গুরুত্বপূর্ণ একটি দিক হলো "আত্মতত্ত্ব," যা আমাদের সত্তার প্রকৃতিগত বিশ্লেষণ ও উপলব্ধির পথ নির্দেশ করে।

অর্থ ও সংজ্ঞাঃ
"আত্মতত্ত্ব" শব্দটি মূলত দুটি শব্দের সমন্বয়ে গঠিত – 'আত্মা' এবং 'তত্ত্ব'। আত্মা বলতে বোঝায় সত্তা বা জীবনের অদৃশ্য শক্তি, যা মানুষকে পরিচালিত করে। অপরদিকে, তত্ত্ব বলতে বোঝায় জ্ঞান বা বিজ্ঞান। সুতরাং, আত্মতত্ত্ব বলতে বোঝায় এমন একটি জ্ঞান বা বিজ্ঞান যা আত্মা বা সত্তার প্রকৃতি ও বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে বিশদ ধারণা দেয়।

নিজেকে জানো (Know thyself) উক্তিটি এথেনিয়ান নৈতিক দার্শনিক সক্রেটিস বলেছিলেন। তবে, এই উক্তিটি গ্রীক অঞ্চল ডেলফির অ্যাপোলো মন্দিরে খোদাই করা ছিল। যাইহোক নিজেকে জানা বা চেনার মধ্যেই সৃষ্টিকর্তাকেই জানা বা চেনা যায়।

আত্মতত্ত্বের প্রয়োজনীয়তা ও গুরুত্বঃ
আত্মতত্ত্বের মূল লক্ষ্য হলো মানুষের নিজ সত্তার প্রকৃতি বোঝা এবং সেটির সঙ্গে সম্পর্কিত জগতের বিভিন্ন রহস্য উন্মোচন করা। আত্মতত্ত্বের অনুশীলন মানুষকে তার প্রকৃত অবস্থান, জীবন ও জগতের অর্থ সম্পর্কে সচেতন করে তোলে। এটি জীবনের মানসিক ও আধ্যাত্মিক দিকগুলোকে উন্মোচন করে এবং আত্মোপলব্ধির মাধ্যমে মানবজীবনের প্রকৃত সুখের সন্ধান দেয়।

আত্মতত্ত্বের বিভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গিঃ
আত্মতত্ত্বের ধারণা নানা দৃষ্টিকোণ থেকে ব্যাখ্যা করা যায়। বিভিন্ন ধর্ম, দর্শন, ও আধ্যাত্মিক সম্প্রদায়ে আত্মতত্ত্বের বিভিন্ন ব্যাখ্যা রয়েছে:

1. হিন্দু দর্শন: হিন্দু দর্শনে আত্মাকে শাশ্বত ও অবিনশ্বর হিসেবে দেখা হয়, যা জীবনের সকল সীমাবদ্ধতার ঊর্ধ্বে। এটি চেতনাময় সত্তা, যা প্রকৃতির সঙ্গে সম্পর্কিত হলেও প্রকৃতির দ্বারা প্রভাবিত নয়। আত্মতত্ত্বের মাধ্যমে আত্মার প্রকৃত স্বরূপ সম্পর্কে জানা যায় এবং জীবাত্মা ও পরমাত্মার সংযোগে আত্মবিসর্জনের মাধ্যমে মুক্তি লাভের পথ নির্দেশ করে।

2. বৌদ্ধ দর্শন: বৌদ্ধ মতে, আত্মা স্থির বা অবিচল নয়। বৌদ্ধ দর্শন অনিত্য, দুঃখ, ও অনাত্মার ধারণা দ্বারা পরিচালিত। এখানে আত্মতত্ত্ব বলতে বোঝায় সত্যের সন্ধান এবং অজ্ঞানতার অবসান ঘটিয়ে জীবনের প্রকৃত অর্থ খুঁজে পাওয়া।

3. পশ্চিমা দর্শন: পাশ্চাত্য দার্শনিকরা আত্মার অস্তিত্ব নিয়ে নানা তর্ক ও বিশ্লেষণ করেছেন। অনেক দার্শনিক মনে করেন আত্মা একটি ভাবগত ধারণা, যা মানবচেতনার অংশ। সুতরাং, আত্মতত্ত্ব বলতে বোঝায় চেতনার গহনে প্রবেশ করা ও সত্য অনুসন্ধানের চেষ্টা।

4. সুফিবাদ: সুফিবাদে আত্মাকে আল্লাহর প্রতিচ্ছবি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এখানে আত্মতত্ত্বের মূলে রয়েছে আল্লাহর প্রেম ও সান্নিধ্য লাভ, যার মাধ্যমে মানব আত্মা পূর্ণতা লাভ করে। সুফি দর্শনের মূলমন্ত্র হলো নিজেকে আল্লাহর প্রেমে আত্মসমর্পণ করা ও আত্মাকে আল্লাহর সঙ্গে মিলিত করা।

আত্মতত্ত্বের চূড়ান্ত লক্ষ্য হলো আত্মোপলব্ধি বা আত্মজ্ঞান লাভ করা। আত্মোপলব্ধির মাধ্যমে মানুষ তার সত্যিকারের সত্তাকে উপলব্ধি করতে পারে এবং বাহ্যিক জগতের মোহ-মায়া থেকে মুক্তি লাভ করতে পারে। আত্মতত্ত্বের অনুশীলনের মাধ্যমে মানবজীবন শান্তিময় ও সমৃদ্ধ হয়। এটি আমাদের জীবনের লক্ষ্য নির্ধারণে সাহায্য করে এবং মানুষকে নৈতিক ও চারিত্রিকভাবে উন্নত করে তোলে।

বর্তমান আধুনিক সমাজে আত্মতত্ত্বের গুরুত্ব ক্রমবর্ধমান। প্রযুক্তি ও যান্ত্রিকতার যুগে মানুষ প্রায়শই অস্থির, উদ্বিগ্ন এবং মানসিকভাবে চাপগ্রস্ত থাকে। এই পরিস্থিতিতে আত্মতত্ত্বের চর্চা আমাদের মানসিক শক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে এবং জীবনের প্রকৃত অর্থ খুঁজে পাওয়ার পথ দেখায়। আত্মতত্ত্বের অনুশীলন আমাদের জীবনকে মূল্যবান করে তোলে এবং আমাদেরকে প্রকৃত সুখের সন্ধানে পরিচালিত করে।

আত্মতত্ত্ব একটি গভীর এবং বিস্তৃত বিষয়, যা মানবজীবনের প্রকৃতি, উদ্দেশ্য ও সত্যের সন্ধান প্রদান করে। এটি মানুষের জীবনে এক নতুন মাত্রা যোগ করে এবং আত্মোপলব্ধির মাধ্যমে মানবজীবনকে অর্থবহ করে তোলে। সুতরাং, আত্মতত্ত্বের অনুশীলন ও উপলব্ধির মাধ্যমে আমরা জগতের বিভিন্ন রহস্য উন্মোচন করতে পারি এবং জীবনকে আরও সুন্দর ও শান্তিময় করে তুলতে পারি।

©️ কলমে ✍️
মনিরুল হক [ Monirul Haque ]
শিক্ষক ও কবি
কুষ্টিয়া, বাংলাদেশ
WhatsApp: 01722-273272

Shout out to my newest followers! Excited to have you onboard! Maruf Himel, Masum Billah, Sukumar Sarkar, Mostafa Kamal ...
30/10/2024

Shout out to my newest followers! Excited to have you onboard! Maruf Himel, Masum Billah, Sukumar Sarkar, Mostafa Kamal Chowdhury, MD Ebrahim, Md. Mahbub Alam, Md Biplob, Sulayman Sarif, মোঃ স্বপন, Sohel Rana, দীপন দর্শন, Md Sajib Rana, Haricharan Dhar, Mohammod Arif, Hredoy Ahmed Ratul, আল্লাহর অলি কদমশাহ্, Prince Laden, Romez Raju, Md Liton, Shailen Chandra, Nandita Ahmed, বল বীর বীরত্বের কথা, Fuler Showr, Md Firoz Mamun, MD Mithun, তালুকদার হৃদয়, Md. Khairul Islam, Ràbbi Khan, Shahjady Shapla, Pronob Pk, MD Palash Mondel, Noyon Barmon, Md Mukul, MD Delwar Hossen Fakir, Juwel Rana, Bikash Chandra Mohanta, Md Johirul, দুর্জয় কুমার দাস, MD Milon Mhamud, Titas Nodya, Md Nayem Islam Khan, Md Torikul, SI Polash, Kutub Karikar, Mon Mena Na, Ahammad Rabby, MD Pintu, AB Alim, Manowar Hisain, Md Kawsar

29/10/2024

ফকির সাধুদের সাধুসঙ্গঃ

ফকির ও সাধুসঙ্গ বিষয়টি বাংলার আধ্যাত্মিক সংস্কৃতিতে গভীরভাবে প্রোথিত। সাধুরা সাধারণত দরবেশ, সুফি, ফকির, বৈষ্ণব কিংবা বাউল অনুসারী হয়ে থাকেন, যারা পার্থিব বিষয়বস্তুকে ছেড়ে আধ্যাত্মিকতার পথে জীবনের অর্থ খোঁজার জন্য ব্রতী হন। তাদের সাধুসঙ্গ হলো আত্মা ও মনকে শুদ্ধ করার উদ্দেশ্যে একত্রিত হওয়া এবং আধ্যাত্মিক চিন্তা-ভাবনা ও প্রার্থনার মধ্য দিয়ে সাধনা করা।

ফকির সাধুসঙ্গের মূল উদ্দেশ্যঃ ফকির সাধুসঙ্গের মূল উদ্দেশ্য হলো ঈশ্বরের সাথে নিবিড় সম্পর্ক তৈরি করা এবং মানবজাতির মধ্যে ভ্রাতৃত্ববোধের প্রসার ঘটানো। সাধুসঙ্গের মাধ্যমে সাধুরা নিজেদের মানসিক, আধ্যাত্মিক ও শারীরিক ত্যাগের মাধ্যমে সত্যের সন্ধান করেন। এর পাশাপাশি বিভিন্ন সাধনার মাধ্যমে মানবিক গুণাবলীর বিকাশ ঘটানোও এর একটি লক্ষ্য।

সাধুসঙ্গের বৈশিষ্ট্যসমূহঃ

১. অতীন্দ্রিয় দর্শন: সাধুসঙ্গের মাধ্যমে ফকির সাধুরা অতীন্দ্রিয় দর্শনের সন্ধান করেন, যেখানে তারা সৃষ্টিকর্তার সাথে নিজেকে মিশিয়ে ফেলার চেষ্টা করেন।

২. সংগীত: বাউল ও ফকির সাধুসঙ্গের প্রধান উপাদান সংগীত। লালন ফকির অনুসারীরা লালনের গান, আধ্যাত্মিক গান, ভজন, কীর্তন কিংবা বাউল গান গেয়ে তারা নিজেদের ভাবধারা প্রকাশ করেন।

৩. মানবপ্রেম: ফকির ও সাধুসঙ্গ মানবপ্রেমের ধারণাকে প্রসারিত করে। তাদের মতে, মানুষের প্রতি প্রেম ও সেবা সৃষ্টিকর্তাপ্রেমেরই একটি অঙ্গ।

৪. অহিংস জীবনযাপন: সাধুসঙ্গের অংশগ্রহণকারীরা সাধারণত অহিংস জীবনযাপন করে থাকেন যেখানে মাংস এবং অন্যান্য ভোগবাদী জীবনধারাকে বর্জন করা হয়।

৫. মুর্শিদ বা গুরুর প্রতি ভক্তি: সাধুসঙ্গের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো মুর্শিদের প্রতি সম্পূর্ণ ভক্তি ও আনুগত্য। সাধুরা তাদের মুর্শিদের নির্দেশনা ও উপদেশ মেনে জীবন যাপন করেন।

সাধুসঙ্গের মধ্যে সাধুরা একত্রিত হয়ে ভক্তিগীত, গুরু-শিষ্যের আলোচনা, তত্ত্বসঙ্গীত, এবং আধ্যাত্মিক শিক্ষার জন্য নানা আচার-অনুষ্ঠান পালন করেন। বাউল ও ফকির সাধুসঙ্গের মাধ্যমে সামাজিকভাবে অন্যকে অনুপ্রাণিত করার চেষ্টা করেন যাতে সবাই সত্য ও প্রেমের পথ বেছে নেয়।

সাধুসঙ্গ বাংলার জনগণের জীবনে আধ্যাত্মিক চেতনা এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ধারণা ছড়িয়ে দেয়। এর মাধ্যমে সাধুরা একটি সুস্থ, সুন্দর, এবং শুদ্ধ সমাজ গঠনের আহ্বান জানিয়ে থাকেন।

✍️ কলমে-
মনিরুল হক (Monirul Haque)
শিক্ষক ও কবি
WhatsApp: 01722-273272
ক্যামেরায়: Md Shaon Ahmed
সময়কালঃ ১৩৪ তম তিরোধান দিবস (আঁখড়া বাড়ি)
fans

💚 আমি ওপার হয়ে বসে আছি ওহে দয়াময় 💚____________মহাত্মা ফকির লালন সাঁই আলেক সাঁই 🙏                  ফকির লালন সাঁইয়ের গান ...
25/10/2024

💚 আমি ওপার হয়ে বসে আছি ওহে দয়াময় 💚
____________মহাত্মা ফকির লালন সাঁই

আলেক সাঁই 🙏
ফকির লালন সাঁইয়ের গান বা বাণী সমূহ সাধারণত তার গভীর দার্শনিক ভাবনাকে তুলে ধরে। "আমি ওপার হয়ে বসে আছি ওহে দয়াময়" এই লাইনটির মধ্যে লালনের ভাবধারা এবং দার্শনিক চিন্তাধারা প্রতিফলিত হয়। এই বাণী মূলত মানব জীবনের অস্থায়িত্ব এবং মুক্তির ধারণাকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে।

ফকির লালন সাঁই তার গানগুলিতে আত্মার মুক্তি, জীবনের অর্থ, এবং আল্লাহর প্রতি পূর্ণ আস্থা রাখার বিষয়গুলোকে গুরুত্ব দেন। এখানে "ওপার" শব্দটি পার্থিব জীবনের অন্তকে বোঝায়, যা মৃত্যুর প্রতীক। "ওপারে" অর্থাৎ মৃত্যুর পরে একজন কীভাবে তার শেষ লক্ষ্য, বা ঈশ্বরের সাথে মিলন ঘটাবে, সেই আধ্যাত্মিক প্রশ্নগুলোকে এই গান বা বাণীতে তুলে ধরা হয়েছে।

“ওহে দয়াময়” বলে তিনি আল্লাহর বা সৃষ্টিকর্তার প্রতি বিনীতভাবে আহ্বান করেছেন। দয়াময় বলতে তিনি সৃষ্টিকর্তার প্রতি নির্ভরশীলতার কথা বলেছেন, কারণ জীবনের পরিণতি একমাত্র তাঁর হাতে। লালনের দর্শনে সৃষ্টিকর্তা সব সময় মঙ্গলময় ও দয়াবান। মৃত্যুর পরে তার কাছে সমর্পণ করা যায়, যদি আমরা জীবনকালীন পাপ বা দুঃখ থেকে মুক্ত হতে পারি।

এই বাণীটির আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো, লালন এই পৃথিবীতে থাকাকালীন আত্মার অনন্ত জীবনকে উপলব্ধি করার কথা বলেন। এটাই মানবজীবনের চূড়ান্ত উপলব্ধি — দেহ ক্ষণস্থায়ী, কিন্তু আত্মা অবিনশ্বর। তার গানগুলোতে পার্থিব জগৎ এবং ওপারের জগতের সম্পর্ক, আত্মার মুক্তি, এবং মানুষের আত্মিক সত্তার সন্ধান স্পষ্টভাবে উঠে আসে।

সুতরাং, এই বাণীটির মধ্যে তিনি মৃত্যুকে ভয় না করে, বরং জীবনের আসল উদ্দেশ্য হিসেবে আত্মার মুক্তি এবং সৃষ্টিকর্তার সান্নিধ্য লাভের আকাঙ্ক্ষাকে তুলে ধরেছেন।

কলমে ✍️
Monirul Haque
WhatsApp: 01722-273272

মহাত্মা লালন ফকিরের তিরোধান দিবসে মেলার অব্যবস্থাপনা: দ্বায়ভার কার?মহাত্মা লালন ফকিরের তিরোধান দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সাধু-...
19/10/2024

মহাত্মা লালন ফকিরের তিরোধান দিবসে মেলার অব্যবস্থাপনা: দ্বায়ভার কার?

মহাত্মা লালন ফকিরের তিরোধান দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সাধু-সঙ্গ এবং মেলা, যা এক সময় আধ্যাত্মিক চর্চার প্রতীক হিসেবে দাঁড়িয়েছিল, এখন তা চরম বিশৃঙ্খলা ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। প্রতিদিন মানুষের ঢল নামলেও, এবারের লালন মেলায় সেই চিরাচরিত শাধু-গুরুদের মধ্যে তাদের নিজস্ব ভাব গাম্ভীর্যপূর্ণ শান্তি ও শৃঙ্খলার চরম অভাব দেখা যাচ্ছে। মেলার মূল লক্ষ্য ছিল শাধু-গুরুদের সেবা, আধ্যাত্মিক চর্চা এবং সাধারণ মানুষের মধ্যে লালনের জীবনদর্শন প্রচার করা। কিন্তু দুঃখের বিষয়, এবারের মেলা মহাত্মা লালনের মূল ভাবধারার সম্পূর্ণ পরিপন্থী হয়ে উঠেছে।

এক সময়, যখন মেলা ছিল না, তখন লালন অনুসারীগণ নিজেদের ভাবধারায় শুধুমাত্র সাধু-সঙ্গ করতেন। তখন কোনো অর্থনৈতিক বা অন্য কোনো উদ্দেশ্য ছিল না, শুধুই আধ্যাত্মিক সাধনা ও শান্তি। কিন্তু বর্তমানে মেলার বাণিজ্যিকীকরণ ও অনিয়ন্ত্রিত আয়োজনে তা ভয়ঙ্কর এক চেহারা নিয়েছে। মেলার আঙ্গিক এখন এমন যে, সেখানে আধ্যাত্মিকতা হারিয়ে গেছে এবং তা বানিজ্যিক ও গাঁজা সেবনের আখড়া হিসেবে গড়ে উঠেছে।

সবচেয়ে উদ্বেগজনক বিষয় হলো, মেলার মাঠে প্রকাশ্যেই গাঁজা বিক্রি হচ্ছে, যেন এটা কোনো নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য। শত শত জায়গায় গাঁজা বিক্রি হচ্ছে, কিশোর ছেলে-মেয়েরা তা অবাধে সেবন করছে। সবচেয়ে ভয়াবহ ব্যাপার হলো, এসব কিছু হচ্ছে আবার প্রশাসনের পাহারায়! যেন মনে হচ্ছে নেশাটাই মহাত্মা লালন ফকিরের ভাবধারার মূল উপজীব্য বিষয়।

মেলা শুরুর আগেই প্রকৃত শাধু-গুরুরা এই অশ্লীল কর্মকাণ্ড বন্ধের জন্য প্রতিবাদ জানিয়ে সমাবেশ করেছিলেন এবং জেলা প্রশাসকের সঙ্গে বৈঠকও করেছেন। কিন্তু তবুও কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এবারের মেলার পরিবেশ অন্যান্য বছরের তুলনায় সর্বোচ্চ লেভেলের ভয়ঙ্কর পর্যায়ে পৌঁছেছে, যেখানে আধ্যাত্মিকতা ভাবধারার কোনো স্থান মাত্র নেই।

প্রশ্ন হলো, এই পরিস্থিতির দ্বায়ভার কার? কেন প্রশাসন এতো উদাসীন? যেখানে আধ্যাত্মিক চর্চা ও সাধনার স্থান, সেখানে কীভাবে অবাধে মাদক সেবন ও বিক্রি চলতে পারে? কেন কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি?

এই প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজতে হবে। যদি লালন মেলার মূল উদ্দেশ্য ও ভাবধারা রক্ষা করতে হয়, তাহলে প্রশাসনের দায়িত্বশীলতা এবং সচেতন মহলের সহযোগিতা অত্যন্ত জরুরি। মেলার আধ্যাত্মিক মূল্যবোধ ফিরিয়ে আনতে, অবিলম্বে মাদকদ্রব্যের অবাধ বিক্রি ও সেবন বন্ধ করতে হবে। প্রকৃত শাধু-গুরুদের আধ্যাত্মিক চর্চার পরিবেশ ফিরিয়ে দিতে হবে।

আমরা আমাদের প্রানের কুষ্টিয়াকে নেতিবাচকভাবে বিশ্বের কাছে উপস্থাপিত হতে দিতে চাইনা। এখনই সময় আমাদের ঐতিহ্যকে রক্ষা করার এবং লালনের প্রকৃত ভাবধারায় ফিরে আসার।

©Monirul Haque
Teacher
Whatsapp: 01722-273272

ছবিঃ সংগৃহীত

18/10/2024

লালন মেলায় আজ ২য় দিনে মানুষের ঢল। শাধু-সেবা, শাধু-সঙ্গসহ মেলায় প্রশাসনিক কর্মকাণ্ডে চরম বিশৃঙ্খলা।
সবথেকে বড় সমস্যা, সবার সম্মুখেই শবজি বিক্রির দোকানের মত শত শত জায়গায় গাঁজা বিক্রি ও কিশোর ছেলে-মেয়েদের তা অবাধে সেবন করা, তাও আবার সেটাও হচ্ছে প্রশাসনের পাহারায়।

এর দ্বায়ভার কে নিবে?

Address

Kushtia

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when মহাত্মা লালন ফকির posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to মহাত্মা লালন ফকির:

Share