15/07/2025
সোহাগ ছিল এক নাম, এক মুখ চেনা,
পুরান ঢাকার ব্যস্ত গলিতে ছিল তার খোঁজ মেলে।
ভাঙারির দোকান, ঘামে গড়া সংসার,
হাসিমুখে কাটাতো দিন, ছিল না কোনো অহংকার।
একদিন হঠাৎ এলো কিছু অন্ধ রূপী শকুন,
চাঁদা চাইলো, হুমকি দিলো, দেখালো বিষাদ ধূম।
'না' বলেছিলো সোহাগ, মাথা নোয়ায়নি,
সেই অপরাধেই কি জীবনটা এমন নৃশংস যায় কেড়ে নি?
পাথরের ঘা, লাঠির আঘাত—শরীর ভাঙলো হাড়ে হাড়ে,
চারপাশে ছিল মানুষ, তবুও কেউ এগিয়ে এলো না সাহসে।
নির্বাক সমাজ, ক্যামেরা হাতে দাঁড়িয়ে দেখলো দৃশ্য,
মানবতা আজ মরে যায়, অন্যায়ে কাঁপে না দৃষ্টিশক্তি।
সোহাগ নেই আজ, নিঃশব্দ তার ঘর,
ছেলে-মেয়ে চায় বাবাকে, বুক ভাসায় চোখের জল।
এ দেশ কি তবে চাঁদাবাজদের দেশ?
প্রতিবাদে যারা দাঁড়ায়, তাদেরই জায়গা কেবল শেষ?
সোহাগের মৃত্যু শুধু একটি নাম নয়,
এ এক গল্প—এক বিদ্রোহের পরিচয়।
এই কবিতা নয় শুধু শোকের ভাষা,
এ এক প্রশ্ন—বিচার কবে আসবে প্রকাশ্যে স্পষ্ট ভাষা?