12/10/2024
আওয়ামীলীগের বি এন পি জুজু …....
স্বাধীনতা যুদ্ধের পূর্ব মুহূর্তে যখন পুর্ব পাকিস্তানের জনগনের আওয়ামীলীগের নেতাদের খুব প্রয়োজন ছিলো তখন তাদের নেতা শেখ মুজিব নিজ থেকে পাকিস্তানের কাছে নিজেকে বন্দী করে পাকিস্তান চলে যান আর বাকি সব নেতারা পুর্ব পাকিস্তানের মানুষদের পাকিস্তানী বাহিনীদের হাতে রেখে পালাতে ব্যস্ত থাকেন।
দেশের এই ক্রান্তিক মুহুর্তে দিশেহারা জনগণের ত্রাতা হয়ে হাজির হয়েছিলেন মেজর জিয়াউর রহমান।"উই রিভোল্ট "এবং কালুরঘাট বেতারকেন্দ্রে স্বাধীনতার ঘোষনার মাধ্যমে দেশে আপামর জনসাধারণকে যুদ্ধের জন্য ঝাপিয়ে পড়তে ঘোষণা দেন।যেখানে স্বাধীনতার ঘোষনা দেয়ার কথা ছিলো রাজনৈতিক দলের নেতা হিসেবে শেখ মুজিব বা তার অবর্তমানে তাজ উদ্দিন আহমেদের কিন্তু ঘোষণা আসে তৎকালীন পাকিস্তানের মেজর জিয়াউর রহমানের থেকে,আর এখানেই মেজর দেশ প্রেমিক জিয়াউর রহমানের কাছে শেখ মুজিব তথা আওয়ামীলীগের প্রথম পরাজয়।
স্বাধীনতার পর যখন নতুন বাংলাদেশকে সীমাহীন দুর্নীতি আর দুর্ভিক্ষের রাষ্ট্রে পরিনত করে শেখ মুজিব স্বপরিবারে নিহত হোন আর বাংলাদেশকে রেখে যান তলা বিহীন ঝুড়ি হিসেবে।ক্ষমতা দখলের কামড়াকামড়িতে যখন আওয়ামীপন্থীরা ব্যস্ত, সেই অস্থির সময়ে জিয়াউর রহমান পুনরায় দেশের দায়িত্ব নিজের কাধে নিয়ে বি এন পি নামক বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল গঠন করে বাংলাদেশের মানুষকে দ্বিতীয়বারের মতো রক্ষায় এগিয়ে আসেন।বাংলাদেশকে সার্বিক দিক থেকে পুন গঠিত করে একটি উন্নয়নশীল রাষ্ট্রে পরিনত করেন।শেখ মুজিবের ব্যর্থ রাষ্ট্র ব্যবস্থা থেকে বের করে বাংলাদেশকে সফল রাষ্ট্রের দিকে নিয়ে যান, জিয়াউর রহমানের এই সাফল্যর কাছে আরেকবার আওয়ামীলীগ তথা শেখ মুজিবের পরাজয় হয়।
স্বৈরাচার এরশাদের কবল থেকে দেশকে রক্ষার পিছনেও বি এন পির অবদান বেশি।এরশাদের পর ১৯৯১ এ বি এন পি যখন ক্ষমতায় এসে এরশাদের হাতে ধ্বংস হয়ে যাওয়া রাষ্ট্রীয় মেকানিজম পুনরায় সচল করে বি এন পি।
২০০১ সালে পুনরায় যখন বি এন পি ক্ষমতায় এসে বিগত সময়ে আওয়ামীলীগের রেখা যাওয়া সীমাহীন দুর্নীতি আর সন্ত্রাস দমনে "অপরেশন ক্লিন হার্ট " নামে অভিযান পরিচালনা করেন যা সন্ত্রাস আর দুর্নীতি দমনে কার্যকরী ভুমিকা পালন করে।সর্বপরি বলা যায়, বাংলাদেশ যতবারই ক্রান্তিলগ্ন পাড় করেছিলো ততবারই বি এন পি ত্রাতা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।
আওয়ামীলীগ যেখানে গলা উচু করে প্রচার করে, তারা বাংলাদেশের সবচেয়ে পুরাতন দল কিন্তু কার্যত দেখা যায় বাংলাদেশের যখন প্রয়োজন তখনই এই তথাকথিত পুরাতন জনপ্রিয় দল নিজেদেরবন্দী করে নিস্ক্রিয় করে রাখে।বাংলাদেশের প্রয়োজনে তাদের নিস্ক্রিয় থাকার অন্যতম কারণ হচ্ছে,আওয়ামীলীগ তথা শেখ পরিবার কখনো বাংলাদেশের জন্য রাজনীতি করে নাই তারা রাজনীতি করেছে মূলত নিজেদের ক্ষমতার উচুতে নিয়ে যাওয়ার জন্য এবং সেই ক্ষমতা পেয়ে বাংলাদেশকে কলোনির মত ব্যবহার করেছে বারংবার ।
আওয়ামীলীগ যতবার বাংলাদেশের প্রয়োজনে ফেইল করেছে ততবারই বিএনপি বাংলাদেশের ক্রান্তি লগ্নে সফলতার সাথে এগিয়ে এসেছে এবং বাংলাদেশকে ক্রান্তিকাল থেকে উদ্ধার করেছে।
বারবার বিএনপির কাছে আওয়ামীলীগের এই নৈতিক পরাজয়,তারা মেনে নিতে পারে না।আওয়ামীরা ধরেই নিয়েছিলো তাদের ছাড়া বাংলাদেশের মানুষের কোনো গতি থাকবে না।আওয়ামী বা শেখ পরিবার যেভাবে দেশ রাখবে সেভাবেই দেশের জনগন থাকতে বাধ্য হবে কিন্তু এই মনোবাসনা পুরন হয় নাই শুধু মাত্র জিয়াউর রহমান তথা বিএনপির জন্য।
এই ক্ষোভ থেকে আওয়ামীলীগাররা বি এন পির নামে অযাচিত প্রোপাগাণ্ডা ছড়ায় যার সাথে বাস্তবতার কোনো মিল নাই।আওয়ামীলীগের বাটপারি, ধান্দাবাজী,গুম,খুন, হত্যার বিপরীতে কাউন্টার দেয়ার মতো দল একমাত্র বি এন পি।যা অলরেডি ৫৩ বছরে প্রমাণিত। আওয়ামীরা বি এন পি ভীতি থেকেই জনগণের সামনে বি এন পি জুজু নামে একটা ফেইক ন্যারেটিভ দাড় করায় জনগণকে বি এন পি থেকে আলাদা করতে চায়।কিন্তু ইতিহাস সাক্ষী যতবার আওয়ামীলীগ,বি এন পিকে জনগণের থেকে দূরে সরাতে চেয়েছে ততবারই জনগণ বি এন পিকে আরো আপন করে নিয়েছে।বাংলাদেশে একমাত্র বি এন পিই হচ্ছে স্বাধীনতার দল,জনগণের মুক্তির দল।বাংলাদেশের জনগণের সাধের স্বাধীনতা লাভের জন্য অবশ্যই শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের হাতে গড়া,দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার আগলে রাখা এবং দেশ নায়ক তারেক রহমানের স্বপ্নের দল, বাংলাদেশ জাতিয়তাবাদী দল (বিএনপির) কাছে বারংবার আসতে হবে।
ধন্যবাদ।
Anik Ahmed
যুগ্ম সম্পাদক (তথ্য ও গবেষণা) কেন্দ্রীয় কমিটি।
জিয়া সাইবার ফোর্স ZCF