25/08/2025
চন্দ্রগঞ্জে একই সঙ্গে এমপিওভুক্ত শিক্ষক ও নিকাহ রেজিস্ট্রার
বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ, শিক্ষা মহলে সমালোচনা
লক্ষীপুর জেলা প্রতিনিধি::::
লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চরশাহী ইউনিয়নের রামপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের এক এমপিওভুক্ত শিক্ষক একই সঙ্গে নিকাহ রেজিস্ট্রারের দায়িত্ব পালন করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নীতিমালা লঙ্ঘনের প্রশ্ন উঠেছে।
অভিযোগে জানা যায়, চরশাহী ইউনিয়নের রামপুর গ্রামের কাজী বাড়ির বাসিন্দা কাজী এমরান হোসেন রামপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক (ধর্মীয়) পদে কর্মরত। বর্তমানে তিনি ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বও পালন করছেন। পাশাপাশি তিনি একই ইউনিয়নের নিকাহ রেজিস্ট্রার পদেও বহাল আছেন।
আইনের বিধান
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নীতিমালা ও এমপিও কাঠামো ২০২০ সালের সংশোধিত বিধি অনুযায়ী, এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা একাধিক পদে চাকরি করতে পারবেন না। একসঙ্গে দুটি আর্থিক লাভজনক পদে নিয়োজিত থাকলে তার এমপিও বাতিল ও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের নিয়ম রয়েছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ
স্থানীয়দের দাবি, নিকাহ রেজিস্ট্রারের দায়িত্বে থেকেও কাজী এমরান হোসেন নিয়মিত কাজ করেন না। তিনি এ দায়িত্ব পালন করাচ্ছেন নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার বালুচরা হাছানিয়া আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মামুনুর রশিদের মাধ্যমে।
কাজী এমরানের বক্তব্য
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে কাজী এমরান হোসেন প্রথমে দাবি করেন, তার উভয় পদই বেসরকারি। পরে আবার বলেন, “এই দুটি প্রতিষ্ঠান আধা সরকারি।”
এছাড়া তিনি আরও দাবি করেন, “আমি একা নই, লক্ষ্মীপুর জেলায় প্রায় ২৫জন নিকাহ রেজিস্ট্রার আছেন যারা একই সঙ্গে দু’টি সরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করছেন। এ বিষয়ে জেলা রেজিস্ট্রার (ডিআরও) অবগত আছেন।”
সবশেষে তিনি বলেন, “যদি সরকারি বিধিমালায় একই সঙ্গে দুটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করা অবৈধ হয়, তবে আমি যেকোনো একটি পদ ছেড়ে দেব।”