15/07/2025
থার্ড ইয়ারে উঠলে নাকি autopsy দেখতে হবে, মিনিমাম ১০ টা দেখতেই হবে!
নানান কারণে দেখা হচ্ছিলো না, অবশেষে গতদিন দেখার সুযোগ হলো। autopsy শুরু হবার ১ ঘন্টা পর গিয়েছিলাম ভুলবশত, তাই খুব একটা বেশি কিছু দেখতে পারি নি।কেবল মাত্র deadbody গুলো দেখলাম, সেগুলো কাটাছেড়ার পর্ব শেষে সেলাই এর জন্য অপেক্ষা করছে!
তিনটা deadbody ছিলো সেদিন মর্গে, একটা মধ্যবয়সী লোকের, একটা বাচ্চা ছেলের, আর একটা মহিলার।মধ্যবয়সী লোকটা খুব সম্ভব রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন, উঁচু থেকে পড়ে রিবস ভেংগে lung damage করে দিয়েছিলো।আমার মাথায় তখন অন্য চিন্তা- আচ্ছা, জীবদ্দশায় এই লোকটা একটা পরিবারের কর্তা ছিল, তার কঠোর পরিশ্রম পরিবারের লোকেদের মুখের অন্ন জোগাতো।আজ সেই লোকটির ঠাই হয়েছে মর্গের হাড় হিম করা ঠান্ডায়, চারপাশে কতগুলো উৎসুক চোখ তাকে দেখছে, কারণ তাদের ও তো আগামীতে মানুষকে সেবা দেওয়ার জন্য এগুলো জানতে হবে!
দ্বিতীয় deadbody টা একটা বাচ্চার, ট্রেনে কাটা পড়ে মরে গিয়েছে। বাবা মা কে জানা যায় নি খুব সম্ভবত। মাথায় বেশ কয়েকটা আঘাত এর সাইন দেখলাম!আমার ছোট ভাইয়ের বয়সী একদম বাচ্চাটা!কে জানে, বাবা মা না থাকায় হয়তো নিজের খাবার নিজেকেই জোগাড় করতে হতো ছেলেটিকে, সেই উদ্দেশ্যেই হয়তো রেললাইনের মত জায়গায় এই বয়সে ঘোরাঘুরি করছিল!আহারে জীবন!
তৃতীয় deadbody টি ছিল একজন নারীর, hanging এর case!মহিলার হাতে তখনো চুড়ি, নেইলপলিশ!না জানি কত যত্ন করে হাতে নেইলপলিশ লাগিয়েছিলেন, তখন জানতেন ও না যে, এই নখের রঙ উঠবার আগে জীবনের রঙ ফিকে হয়ে যাবে!
এসব দেখে বের হয়ে আসার সময় মনে হলো, দিনশেষে একটা স্বাভাবিক সুন্দর মৃত্যুর উপরে একজন মানুষের আর কিছু চাওয়া থাকতে পারে না!
© রেহনুমা