Robi Zone

Robi Zone Your Social Media Agency and Tax Solution. We help businesses grow online and simplify taxes.
(2)

ওয়ারিশ দ্বারা প্রতারণার মাধ্যমে জমির মালিকানা হারালে – করণীয়📌 সমস্যা:যদি কোনো ভাই, বোন বা অন্য ওয়ারিশ—✅ মৃত বাবার সম্পত্...
25/09/2025

ওয়ারিশ দ্বারা প্রতারণার মাধ্যমে জমির মালিকানা হারালে – করণীয়

📌 সমস্যা:
যদি কোনো ভাই, বোন বা অন্য ওয়ারিশ—
✅ মৃত বাবার সম্পত্তি নিজের নামে নামজারি করে নেয়
✅ অথবা বাবার অজ্ঞতায় বা প্রতারণার মাধ্যমে দলিল করে নেয়

তাহলে আপনি কী করতে পারবেন আইনের দৃষ্টিতে?


🧾 উদাহরণ:
ধরা যাক— রহিম, করিম, সালমা—তিন ভাই-বোন। তাদের বাবা মৃত হাবিব সাহেব।

ঘটনা:
করিম নিজের নামে একাই বাবার জমির নামজারি করিয়ে নিয়েছে এবং অন্য দুই ভাই-বোনকে কিছুই জানায়নি।
অথবা করিম জীবিত বাবাকে ভুল বুঝিয়ে দলিল করিয়ে নিয়েছে।


⚖️ আইনি ব্যাখ্যা:
১. যদি বাবার মৃত্যুর পর নামজারি হয় (ওয়ারিশরা জীবিত):
এই ক্ষেত্রে সম্পত্তি সব ওয়ারিশের নামে সমান হারে নামজারি হওয়া উচিত।

🔹 আইন:
মুসলিম উত্তরাধিকার আইন (Sharia Law under Muslim Personal Law)
ভূমি ম্যানুয়াল এবং Mutation Rules

✅ এক বা একাধিক ওয়ারিশ যদি অন্যদের বাদ দিয়ে নিজের নামে সম্পত্তি মিউটেশন করে নেয়, সেটা জালিয়াতি বা প্রতারণার মাধ্যমে অধিকার আত্মসাৎ (fraudulent transfer) হিসেবে গণ্য হয়।


২. যদি বাবাকে ঠকিয়ে জীবদ্দশায় দলিল করিয়ে নেয়:
এই ক্ষেত্রে বিষয়টি হয়—
প্রতারণা (Section 415 of Penal Code)
undue influence (প্রভাব খাটিয়ে দলিল)
অথবা false representation

✅ আপনি আদালতে দলিল বাতিলের মামলা (Suit for Cancellation of Deed under Specific Relief Act, 1877 – Section 39) করতে পারবেন।


✅ করণীয় – ধাপে ধাপে গাইড:
🟠 ধাপ ১: সত্য ঘটনা ও কাগজপত্র সংগ্রহ করুন
খতিয়ান ও দলিল সংগ্রহ করুন (জমির বর্তমান মালিকানা যাচাই)
নামজারি কবে, কার নামে হয়েছে—তা জানুন
বাবার মৃত্যুর সনদ, আপনাদের সম্পর্ক প্রমাণ (ওয়ারিশ সনদ)

🟠 ধাপ ২: নোটিশ দিন (আইনি নোটিশ)

একজন অভিজ্ঞ আইনজীবীর মাধ্যমে ভাই/বোনকে আইনি নোটিশ পাঠান

🟠 ধাপ ৩: মামলা করুন (যদি সমাধান না হয়):

➤ ক. যদি দলিল হয় বাবাকে ঠকিয়ে:
মামলা: দলিল বাতিল ও প্রতারণার অভিযোগে (Specific Relief + Penal Code)
আদালত প্রমাণ চাইবে, বাবা কি জানতেন? দলিল কীভাবে হয়েছিল?

➤ খ. যদি নামজারি হয় অন্যদের বাদ দিয়ে:
মামলা: মিউটেশন বাতিল ও ওয়ারিশদের নামে পুনঃনামজারি।
মামলা হয় AC Land অফিসে আপিল, না হলে সিভিল কোর্টে ডিক্লারেটরি মামলা।

---

⚠️ গুরুত্বপূর্ণ:
প্রতারণার অভিযোগের সাক্ষ্যপ্রমাণ থাকা খুব জরুরি
বাবার বয়স, স্বাস্থ্যের অবস্থা, সাক্ষী, কাগজে টিপসই বা সাইন

23/09/2025

পুরাতন দলিল হারিয়ে গেছে? জানুন বের করার সহজ উপায় ও খরচ -

অনেক সময় হঠাৎ করেই একটি পুরাতন জমির দলিল খুঁজে বের করা প্রয়োজন হয়ে পড়ে। হতে পারে দলিলটি ২০ কিংবা ৩০ বছর আগের, এমনকি আরও পুরোনো। দলিলটি হয়তো দুর্ঘটনায় নষ্ট হয়ে গেছে বা কোথাও হারিয়ে গেছে, কিংবা আপনার কাছে শুধু দলিলের কপি ছিল—এখন তাও নেই। এমন পরিস্থিতিতে আইনি জটিলতা, মামলা মোকাদ্দমা বা জমি সংক্রান্ত বিরোধের মীমাংসার জন্য দলিলটি বের করা একান্ত প্রয়োজনীয় হয়ে পড়ে।

এই সমস্যার সমাধানে ও সহজ উপায়ে দলিল তল্লাশির নিয়মকানুন নিয়ে সম্প্রতি একটি ভিডিওতে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন অ্যাডভোকেট মোঃ আমির হামজা লিমন। তিনি জানান, দলিল হারিয়ে গেলে বা তথ্য না থাকলেও রেজিস্ট্রি অফিসের নির্ধারিত পদ্ধতিতে ও আইনি বিধি অনুসরণ করে দলিল খুঁজে বের করা সম্ভব।

👉 আইন কী বলে দলিল তল্লাশি নিয়ে?

রেজিস্ট্রেশন আইন, ১৯০৮ এর ৫৭(১) ধারা অনুযায়ী, যে কেউ নির্ধারিত ফি পরিশোধ সাপেক্ষে স্থাবর সম্পত্তি সংক্রান্ত রেজিস্টার বহি (১ নম্বর ও ২ নম্বর) এবং সংশ্লিষ্ট সূচিবহি পরিদর্শন করতে পারেন। একই আইনের ৬২ ধারায় বলা আছে, এই পরিদর্শনের ভিত্তিতে দলিলের সার্টিফায়েড কপি (নকল) সংগ্রহের সুযোগ রয়েছে। এছাড়াও উইল বা অছিয়ত দলিলের ক্ষেত্রেও তল্লাশি ও কপি সংগ্রহের জন্য ৩ ও ৪ নম্বর বহির তথ্য খোঁজা যায়।

৫৭(৪) ধারা অনুযায়ী, দলিল যদি ৩ বা ৪ নম্বর বহিতে লিপিবদ্ধ থাকে, তবে সাব-রেজিস্ট্রার অফিসের মাধ্যমেই তল্লাশি করতে হবে।

👉 তল্লাশির ফি ও পদ্ধতি

দলিল খুঁজে পাওয়ার জন্য সূচিপত্র ও রেজিস্টার বহি তল্লাশির ক্ষেত্রে একটি নির্দিষ্ট ফি পরিশোধ করতে হয়। উদাহরণস্বরূপ—

একটি নির্দিষ্ট বছরের জন্য তল্লাশি ফি: ২০ টাকা
অতিরিক্ত বছরের জন্য প্রতি বছর: ১৫ টাকা
রেজিস্টার বহির প্রতিটি পৃষ্ঠা পরিদর্শনের ফি: ১০ টাকা
তবে ফি’র সর্বোচ্চ সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে—একটি নির্দিষ্ট নাম বা সম্পত্তি সংক্রান্ত ভুক্তির ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ফি ১৫০ টাকা।

👆 দলিল খুঁজে পাওয়ার দুটি অবস্থা

এই ক্ষেত্রে দুটি ভিন্ন অবস্থা তৈরি হতে পারে। প্রথমত, আপনার কাছে যদি মূল দলিল থাকে, তবে সেটির শেষ পাতার উল্টো পৃষ্ঠায় দলিল নম্বর, সাল এবং কোন রেজিস্টার বইয়ের কোন পাতায় তা সংরক্ষিত আছে, সে সংক্রান্ত বিস্তারিত উল্লেখ থাকে। এই তথ্য দিয়ে সরাসরি রেজিস্ট্রি অফিস থেকে দলিলের নকল পাওয়া যায়—তল্লাশির প্রয়োজন পড়ে না।

কিন্তু যদি আপনার কাছে দলিল না থাকে বা কোন তথ্য না থাকে, তবে তল্লাশি আবশ্যক। এই ক্ষেত্রে রেজিস্ট্রি অফিসে ‘সূচিবহি’ নামে পৃথক দুটি রেকর্ড থাকে—একটি দলিলে উল্লিখিত ক্রেতা-বিক্রেতার নাম অনুযায়ী, অপরটি মৌজার নাম অনুযায়ী জমির বিবরণভিত্তিক। নির্ধারিত ফি জমা দিয়ে আপনি নিজে বা আপনার আইনজীবীর মাধ্যমে এই সূচিপত্র তল্লাশি করে আপনার কাঙ্ক্ষিত দলিলটি চিহ্নিত করতে পারবেন।

👎 বিনা ফিতে কবে পাওয়া যায়?

যদি দলিলের নকল চাওয়ার আবেদনের সঙ্গে নিবন্ধিত মূল দলিল বা তার সত্যায়িত অনুলিপি দাখিল করেন, তাহলে তল্লাশি ফি লাগবে না। এছাড়াও মামলা সংক্রান্ত নথিপত্র পরিদর্শনের জন্য আবেদন করলে কেবল একবার ফি প্রদান করলেই যথেষ্ট।

অ্যাডভোকেট আমির হামজা লিমনের মতে, পুরাতন দলিল হারিয়ে গেলে হতাশ না হয়ে নির্ধারিত নিয়ম অনুসারে রেজিস্ট্রি অফিসে তল্লাশি করলেই দলিল উদ্ধার সম্ভব। আইনের বিধান অনুসারে যে কেউ বৈধ প্রক্রিয়ায় প্রয়োজনীয় ফি দিয়ে দলিলের নকল তুলতে পারেন। জমি সংক্রান্ত আইনি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুরাতন দলিল পুনরুদ্ধার একান্ত প্রয়োজন এবং এ কাজে আইনই রয়েছে সাধারণ মানুষের সহায় হয়ে।

বিঃ দ্রঃ - নিজে জানুন এবং অন্য কে জানতে সাহায্য করুন।

20/09/2025

👉 জেনে রাখুন পরে কখনো কাজ দেবে....
১ কাঠা = ৭২০ বর্গফুট।
১ কাঠা = ৮০ বর্গগজ।
১ কাঠা = ১.৬৫ শতাংশ।
১ কাঠা = ১৬ ছটাক।
২০ কাঠা = ১ বিঘা।
৬০.৫ কাঠা = ১ একর।
=========================

১ একর = ১০০ শতাংশ।
১ একর = ৩ বিঘা ৮ ছটাক।
১ একর = ৬০.৫ কাঠা।
=========================

১ বিঘা = ১৪,৪০০ বর্গফুট।
১ বিঘা = ১৬০০ বর্গগজ।
১ বিঘা = ২০ কাঠা ।
১ বিঘা = ৩৩ শতাংশ।
=========================

১ শতাংশ =৪৩৫.৬ বর্গফুট ৬৫.৪৫ বর্গ ইঞ্চি।
১ শতাংশ = ১০০ অযুতাংশ।
৫ শতাংশ = ৩ কাঠা। = ১৩০৬.৮ বর্গফুট ।
=========================

১ অযুতাংশ = ৪ বর্গফুট ৫২.৩৬ বর্গ ইঞ্চি।
১ ছটাক = ৪৫ বর্গফুট।
=========================
চট্টগ্রামের অধিবাসীদের জন্য নিচের হিসাবটা উপযোগী।
১ কানি = ১৬,৯৯০ বর্গফুট।
১ কানি = ৩৯ শতাংশ।
১ কানি = ২৩.৫ কাঠা।
১ কানি = ২০ গন্ডা।
=========================

১ গন্ডা = ১৬৯৯০ বর্গফুট।
১ গন্ডা = ২ শতাংশ।
১ গন্ডা = ১.২১ কাঠা।
২০ গন্ডা = ১ কানি ।
=========================

কানিঃ
কানি দুই প্রকার। যথা- (ক) কাচ্চা কানি (খ) সাই কানি
কাচ্চা কানি
: ৪০ শতকে এক বাচ্চা কানি। কাচ্চা কানি ৪০ শতকে হয় বলে একে ৪০ শতকের কানিও বলা হয়।
সাই কানিঃ
এই কানি কোথাও ১২০ শতকে ধরা হয়। আবার কোথাও কোথাও ১৬০ শতকেও ধরা হয়।

কানি গন্ডার সাথে বিভিন্ন প্রকারের পরিমাপের তুলনা
২ কানি ১০ গন্ডা (৪০ শতকের কানিতে) = ১ একর
১ কানি = ১৭২৮০ বর্গফুট
১ কানি = ১৯৩৬ বর্গগজ
১ কানি = ১৬১৯ বর্গমিটার
১ কানি = ৪০ বর্গ লিঙ্ক
১ একর = ১০ বর্গ চেইন
১ একর = ১০০ শতক
১ একর = ৪,০৪৭ বর্গমিটার
১ একর = ৩ বিঘা ৮ ছটাক
১ একর = ৬০.৫ কাঠা
১ শতক = ১ গন্ডা বা ৪৩২.৬ বর্গফুট
বিঘা-কাঠার হিসাব
১ বিঘা = (৮০ হাত × ৮০ হাত) ৬৪০০ বর্গহাত
১ বিঘা = ২০ কাঠা
১ কাঠা = ১৬ ছটাক
১ ছটাক = ২০ গন্ডা

উপরোক্ত পরিমাপ পদ্ধতির মাধ্যমে এবার আপনি খুব সহজেই হিসাব করতে পারবেন আপনার ফ্ল্যাটটির পরিমাপ। তারপরও আপনাদের সুবিধার্থে আরও সহজভাবে তুলে ধরা হলো।
* ৩ কাঠার প্লটে মোট জমির পরিমাপ হয়= ২১৬০ বর্গফুট।
* ৫ কাঠার প্লটে মোট জমির পরিমাপ হয়= ৩৬০০ বর্গফুট।
* ১০ কাঠার প্লটে মোট জমির পরিমাপ হয়= ৭২০০ বর্গফুট।
এই হিসাব পদ্ধতির মাধ্যমে এবার আপনি ঠিক করুন আপনি আপনার জায়গায় কোন আয়তনের ফ্ল্যাট নির্মাণ করবেন।

20/09/2025

বাংলাদেশে কত ধরনের দলিল আছে? প্রতিটি দলিলের নাম, ব্যাখ্যা, উদাহরণ ও কখন করা যায় না:
– এক পোস্টে সব জেনে নিন!

🔰 ১. সাফ কবলা - বিক্রয় দলিল (Sale Deed)
📖 ব্যাখ্যা: মালিক তার জমি বা সম্পত্তি বিক্রি করলে এই দলিল রেজিস্ট্রি করতে হয়।
🧾 উদাহরণ: করিম ৫ শতক জমি রফিককে ৫ লাখ টাকায় বিক্রি করলো।

🚫 যখন করা যায় না:
যদি জমি নিজের নামে না থাকে
যদি দখল ছাড়া শুধু দাবি থাকে
যদি হস্তান্তরের বিনিময়ে টাকা না নেওয়া হয় (তাহলে এটি ‘দান’ হবে)

🔰 ২. দানপত্র দলিল (Gift Deed)
📖 ব্যাখ্যা: বিনা বিনিময়ে কোনো জমি বা সম্পত্তি কাউকে উপহার দিলে।
🧾 উদাহরণ: জনাব আজিজ ছেলেকে ১০ শতক জমি দিলেন।

🚫 যখন করা যায় না:
দাতার সম্মতি ছাড়া
নিজের নামে দান দলিল নিজেই করলে
মিথ্যা সম্পর্ক দেখিয়ে দান করলে

🔰 ৩. হেবা দলিল (Heba Deed)
📖 ব্যাখ্যা: ইসলামী শরীয়াহ অনুযায়ী জীবিত অবস্থায় কাউকে জমি বা সম্পদ দান করা।
🧾 উদাহরণ: পিতা জীবিত অবস্থায় মেয়ে ও ছেলেকে জমি ভাগ করে হেবা করলেন।

🚫 যখন করা যায় না:
হেবা দিলে দখলে না দিলে
মৃত্যুর পরে হেবা কার্যকর হয় না
নিজের সম্পদ অন্যের নামে হেবা দেখিয়ে নিজেই ভোগ করলে

🔰 ৪. বিলি-বণ্টননামা (Partition Deed)
📖 ব্যাখ্যা: একাধিক উত্তরাধিকারীর মধ্যে জমি বা সম্পত্তি ভাগ করা হলে।
🧾 উদাহরণ: তিন ভাই পৈতৃক জমি ভাগ করে নিল।

🚫 যখন করা যায় না:
একক মালিকানা জমিতে
অন্য উত্তরাধিকারীর সম্মতি ছাড়া

🔰 ৫. বন্ধক দলিল (Mortgage Deed)
📖 ব্যাখ্যা: ঋণের বিপরীতে জমি বন্ধক রাখলে এই দলিল করা হয়।
🧾 উদাহরণ: আবুল ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে জমি বন্ধক রাখলো।

🚫 যখন করা যায় না:
জমির মালিক না হলে
জমি মামলায় জড়িত থাকলে
পাওয়ার অব অ্যাটর্নি ছাড়া অন্যের নামে বন্ধক করলে

🔰 ৬. চুক্তিনামা / চুক্তিপত্র (Agreement Deed)
📖 ব্যাখ্যা: জমি বিক্রি বা অন্য বিষয়ে পারস্পরিক সম্মতিতে করা লিখিত চুক্তি।
🧾 উদাহরণ: রফিক ১ লাখ টাকা অগ্রিম দিয়ে জমি কেনার চুক্তি করলো।

🚫 যখন করা যায় না:
যদি চুক্তির পক্ষদ্বয় স্পষ্ট না হয়
যদি জমির মালিক সম্মতি না দেন
যদি চুক্তির শর্ত অস্পষ্ট হয়

🔰 ৭. ভাড়ানামা (Tenancy Agreement)
📖 ব্যাখ্যা: বাসা বা জমি ভাড়া দেওয়ার ক্ষেত্রে করা দলিল।
🧾 উদাহরণ: সালেহা বেগম তার ফ্ল্যাট ১৫,০০০ টাকায় ভাড়া দিলেন।

🚫 যখন করা যায় না:
মালিকানা ছাড়া
আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকলে
দখলদার ভাড়ায় দিলে

🔰 ৮. ওয়ারিশ সনদ / উত্তরাধিকার দলিল
📖 ব্যাখ্যা: মৃত ব্যক্তির সম্পত্তির উত্তরাধিকার নির্ধারণের কাগজ।
🧾 উদাহরণ: মৃত্যুজনিত কারণে স্ত্রী ও সন্তানরা ওয়ারিশ হয়।

🚫 যখন করা যায় না:
জীবিত ব্যক্তির নামে
জাল ওয়ারিশ বানিয়ে
মিথ্যা উত্তরাধিকার দেখিয়ে

🔰 ৯. নামজারি দলিল (Mutation Certificate)

📖 ব্যাখ্যা: জমি ক্রয়/উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত হলে খতিয়ানে নাম উঠানোর আবেদনপত্র।
🧾 উদাহরণ: আশরাফ দলিল করে নামজারি আবেদন করলেন।

🚫 যখন করা যায় না:
দলিল ছাড়া শুধুমাত্র দখলে থাকলে
জমি বিরোধপূর্ণ হলে
আদালতে নিষেধাজ্ঞা থাকলে

🔰 ১০. সদিচ্ছাপত্র বা উইল দলিল (Will Deed)

📖 ব্যাখ্যা: মৃত্যুর পরে সম্পদ কে পাবে তা লিখে যাওয়া দলিল।
🧾 উদাহরণ: মো. আলী মৃত্যুর পর মেয়ে যেন জমি পায় তা উইল করে গেলেন।

🚫 যখন করা যায় না:
অন্যের সম্পত্তি উইল করা যায় না
উইল প্রমাণ ছাড়া কার্যকর নয়
মৃত্যুর পরে হঠাৎ তৈরি করা উইল সন্দেহজনক

🔰 ১১. দেনাপাওনা দলিল (Loan Agreement)
📖 ব্যাখ্যা: ঋণ বা ধার নেওয়া-দেওয়ার লিখিত চুক্তিপত্র।
🧾 উদাহরণ: শাহীন ৫ লাখ টাকা ধার নিয়ে দেনা দলিল করলো।

🚫 যখন করা যায় না:
সুদের হার বেআইনি হলে
প্রমাণ ছাড়া কারো নামে দায় বসানো হলে

🔰 ১২. পাওয়ার অব অ্যাটর্নি (Power of Attorney)
📖 ব্যাখ্যা: অন্যকে নিজের হয়ে কাজ করার অনুমতি দেওয়া দলিল।
🧾 উদাহরণ: প্রবাসে থাকা রাহাত ভাইকে জমি বিক্রির দায়িত্ব দিলেন।

🚫 যখন করা যায় না:
মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তি হলে
যদি সম্পত্তি বিতর্কিত হয়
যদি পূর্বে বাতিল করা হয়ে থাকে

🔰 ১৩. এফিডেভিট (Affidavit)
📖 ব্যাখ্যা: সত্যতা প্রমাণে শপথনামা; যেমন বয়স, নাম, ঠিকানা সংশোধনে ব্যবহৃত হয়।
🧾 উদাহরণ: নামের বানান ভিন্ন হলে এফিডেভিট দেওয়া হয়।

🚫 যখন করা যায় না:
মিথ্যা তথ্য দিলে
আদালতের ভুল তথ্য দিয়ে শপথ করলে

🔰 ১৪. কাবলা দলিল (Kabala Deed)
📖 ব্যাখ্যা: বিক্রয় দলিলের স্থানীয় নাম।
🧾 উদাহরণ: জমি কেনার ক্ষেত্রে ব্যবহার হয়।

🚫 যখন করা যায় না:
মালিক ছাড়া অন্য কেউ কাবলা করতে পারেন না
দ্বৈত মালিকানা থাকলে সম্মতি ছাড়া হয় না

🔰 ১৫. পুনঃরপ্তানির দলিল (Reconveyance Deed)

📖 ব্যাখ্যা: বন্ধক ঋণ শোধ হওয়ার পর জমি ফেরত নেওয়ার দলিল।
🧾 উদাহরণ: আব্দুল ঋণ শোধ করে জমি নিজের নামে ফেরত নিলেন।

🚫 যখন করা যায় না:
ঋণ শোধ না করলে
বন্ধক এখনো সক্রিয় থাকলে

📌 সংক্ষিপ্ত তালিকা:
(দলিলের নাম + ইংরেজি নাম)

ক্র. দলিলের নাম ইংরেজি নাম
১ বিক্রয় দলিল - Sale Deed
২ দানপত্র দলিল - Gift Deed
৩ হেবা দলিল - Heba Deed
৪ বিলি-বণ্টননামা - Partition Deed
৫ বন্ধক দলিল - Mortgage Deed
৬ চুক্তিপত্র - Agreement Deed
৭ ভাড়ানামা - Tenancy Agreement
৮ ওয়ারিশ দলিল - Heirship Document
৯ নামজারি দলিল - Mutation Certificate
১০ উইল দলিল - Will Deed
১১ দেনাদার দলিল - Loan Agreement
১২ পাওয়ার অব অ্যাটর্নি - Power of Attorney
১৩ এফিডেভিট - Affidavit
১৪ কাবলা দলিল - Kabala Deed (local)
১৫ পুনঃরপ্তানির দলিল - Reconveyance Deed


━━━━━━━━━━━━━━━━━━━━━━
>>-------------------->>

20/09/2025

কেউ মারা গেলে তার সম্পত্তি উত্তরাধিকারীদের মধ্যে কতদিনের মধ্যে বন্টন করে নিতে হয়?

কোন বাঁধাধরা নিয়ম নেই, নেই কোনো নির্দিষ্ট সময়সীমাও। তবে, যৌক্তিক সময়ের মধ্যে উত্তরাধিকার বন্টন করে নিলে ভবিষ্যতের অনেক ঝামেলা এড়ান সম্ভব। যত দেরি হবে ততই অবিশ্বাসের দানা বাঁধবে। আর নতুন নতুন ওয়ারিশও সৃষ্টি হবার সম্ভবনা তৈরি হয়। তৈরি হয় নতুন নতুন মন মানসিকতার! নতুন মতামত, নতুন ধ্যানধারণাও!

আমাদের সমাজে অনেকেই মনে করেন, মৃত ব্যক্তির সম্পত্তি ভাগ করতে দেরি করলে কোনো সমস্যা নেই। তারা মনে করেন, এটি পারিবারিক বিষয়, সময় মতো হয়ে যাবে। অনেকেই যতটা প্রভাব আছে খাটাতে চেষ্টা করেন, নিজেদের সুবিধা মত সিদ্ধান্ত নেয়ার চেষ্টা করেন। অথচ এ সম্পর্কে সুষ্পষ্ট বিধান রয়েছে পবিত্র কোনআনে। আছে ফরায়েজ।

যদি আপনি সঠিক সময়ে ফারায়েজ অনুযায়ী সম্পত্তি বন্টন না করেন, তাহলে ভবিষ্যতে আপনাকেই আইনি জটিলতায় পড়তে হতে পারে। একজন আইনজীবী হিসেবে দেখেছি, অধিকাংশ পরিবারে এই কারণে সম্পর্ক নষ্ট হয়ে যায় এবং মামলা-মোকাদ্দমায় জড়িয়ে পড়ে। বিশেষ করে, ভাইবোনদের মধ্যে মধুর সম্পর্ক নিমিষেই শেষ হয়, এই পর্যায়ে!

দেরিতে ফরায়েজ বন্টনের আইনি জটিলতা-
ফরায়েজ হলো ইসলামি উত্তরাধিকার আইন, যা মৃত ব্যক্তির সম্পত্তি তার ওয়ারিশদের মধ্যে বন্টন করার একটি সুনির্দিষ্ট বিধান। এই আইন কোরআন, হাদিস এবং ইজমার ভিত্তিতে নির্ধারিত। দেরিতে ফরায়েজ বন্টন করলে বিভিন্ন ধরনের আইনি জটিলতা দেখা দেয়:

ওয়ারিশদের সংখ্যা বৃদ্ধি: যদি কোনো ওয়ারিশ মারা যান, তবে তার সন্তানরাও সম্পত্তির ওয়ারিশ হবেন। এর ফলে ওয়ারিশদের সংখ্যা বেড়ে যাবে এবং সম্পত্তি বন্টন আরও জটিল হয়ে উঠবে।

দখল ও প্রমাণ: যদি সম্পত্তি দীর্ঘদিন ধরে বন্টিত না হয়, তবে একজন ওয়ারিশ সেই সম্পত্তি দখল করে রাখতে পারেন। পরবর্তীতে তার কাছ থেকে সেই সম্পত্তি উদ্ধার করা কঠিন হয়ে পড়ে এবং এর জন্য দীর্ঘ আইনি লড়াই করতে হয়।

সম্পত্তির মূল্য বৃদ্ধি: যদি সম্পত্তি বন্টিত না হয়, তবে সময়ের সাথে সাথে এর মূল্য বেড়ে যায়। এর ফলে ওয়ারিশদের মধ্যে টাকার হিসাব নিয়ে নতুন করে ঝগড়া শুরু হয়।

মনে রাখবেন, সম্পত্তি বন্টন একটি গুরুত্বপূর্ণ আইনি প্রক্রিয়া। যদি আপনি এটি আইনসম্মতভাবে না করেন, তাহলে ভবিষ্যতে আপনাকে এর জন্য অনেক বড় মূল্য দিতে হতে পারে।

আপনার করণীয়
ওয়ারিশন সনদপত্র সংগ্রহ: দ্রুত ওয়ারিশন সনদপত্র সংগ্রহ করুন।
আইনি পরামর্শ: সম্পত্তি বন্টনের আগে একজন দক্ষ আইনজীবীর সঙ্গে পরামর্শ করুন।

আমাদের প্রতিদিনের জীবনে অতি প্রয়োজনীয় আইনকানুন জানতে ও আরও আইনি পরামর্শ পেতে আমাদের পেজ ফলো করুন।

সম্ভব হলে শেয়ার করে আপনার বন্ধু-স্বজনদেরও এ বিষয়ে সচেতন করুন।

BDS জরিপে জমির মালিকদের জন্য জরুরী সতর্কবার্তা!বাংলাদেশে শুরু হয়েছে BDS জরিপ (Bangladesh Digital Survey) 🛰️এবারের জরিপ হ...
20/09/2025

BDS জরিপে জমির মালিকদের জন্য জরুরী সতর্কবার্তা!

বাংলাদেশে শুরু হয়েছে BDS জরিপ (Bangladesh Digital Survey) 🛰️এবারের জরিপ হচ্ছে একেবারে আধুনিক ও ডিজিটাল পদ্ধতিতে। আগে CS, SA, RS রেকর্ডে যত ভুল হয়েছে, তা ঠিক করার শেষ সুযোগ এটা ✅তাই জমির মালিকদের অবশ্যই সচেতন হতে হবে, নইলে ভবিষ্যতে বড় বিপদ ⚠️

🔴 জমির মালিকদের জন্য ৬টি সতর্কবার্তা

1️⃣ সব কাগজপত্র গুছিয়ে রাখুন 📂
➡️ আপনার দলিল, খতিয়ান, নামজারি (মিউটেশন), কর রশিদ, উত্তরাধিকার সনদ– সব কিছু একত্রে রাখুন। জরিপ টিম প্রমাণ চাইবে, তখন যেন হাতড়াতে না হয়।

2️⃣ জমির দখল নিশ্চিত করুন 🏡
➡️ জরিপে শুধু কাগজ নয়, জমিতে বাস্তব দখলও গুরুত্বপূর্ণ। জমি ফাঁকা থাকলে বা অন্যের দখলে থাকলে নাম ওঠাতে সমস্যা হবে।

3️⃣ সঠিক তথ্য প্রদান করুন ✅
➡️ জরিপ কর্মকর্তাকে ভুল তথ্য দিলে তা পরবর্তীতে উল্টো বিপদ ডেকে আনবে। স্বচ্ছভাবে আপনার জমির আসল তথ্য দিন।

4️⃣ প্রতিবেশীর সীমানা মেলান 🤝
➡️ পাশের জমির মালিকদের সাথে সীমানা ঠিক করুন। সীমানা নিয়ে দ্বন্দ্ব থাকলে জরিপে ভুল হবে, পরে মামলা-মোকদ্দমা শুরু হবে।

5️⃣ ভুল দেখলে সঙ্গে সঙ্গে আপত্তি জানান ✍️
➡️ আপনার নাম বাদ পড়লে বা জমির পরিমাণ কম-বেশি হলে চুপ থাকবেন না। সঙ্গে সঙ্গে লিখিত আপত্তি আবেদন জমা দিন।

6️⃣ ডিজিটাল রেকর্ডের গুরুত্ব বুঝুন 🔒
➡️ একবার নাম সঠিকভাবে উঠলে এই ডিজিটাল রেকর্ড ভবিষ্যতে পরিবর্তন করা কঠিন হবে। তাই এবার যদি ভুল করেন, ভবিষ্যতে সন্তানরাই ঝামেলায় পড়বে।

✅ মনে রাখবেন– BDS জরিপে সতর্ক থাকলেই জমির মালিকানা হবে নিরাপদ ও ঝামেলামুক্ত।
❌ অবহেলা করলে জমির আসল মালিক হয়েও হয়তো মালিকানা হারাবেন।

20/09/2025

রেকর্ড আছে কিন্তু দলিল নাই তবুও জমি আপনার।

কিভাবে সেটা জানার জন্য পোস্ট টি পড়ুন । অন্যকে জানতে পোস্টটি শেয়ার করুন এবং নিজে সেভ করে রাখুন।
আপনি যদি বলেন যে, জমির রেকর্ড আছে কিন্তু দলিল নেই, তাহলে আপনার জমির মালিকানা নির্ধারণের জন্য কিছু আইনি শর্ত পূরণ করতে হবে। রেকর্ড (খতিয়ান) আপনার জমির মালিকানা সম্পর্কিত একটি সরকারী রেকর্ড, তবে শুধুমাত্র রেকর্ড থাকলেই মালিকানা আইনি স্বীকৃতি পাওয়া যাবে না, কারণ দলিল হচ্ছে আইনি দলিল যা জমির মালিকানা প্রতিষ্ঠা করতে সহায়ক।
এক্ষেত্রে, জমি আপনার হবে কিনা, তা নির্ভর করবে বেশ কিছু মূল পয়েন্টের উপর। নিচে আমি বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশ্লেষণ করছি:
১. অ্যাডভার্স পজেশন (Adverse Possession)
আপনার যদি জমির রেকর্ড থাকে কিন্তু দলিল না থাকে, তবে আপনি যদি সেই জমি অনেক বছর ধরে দখল করে রেখেছেন এবং অন্য কেউ যদি এই জমি দাবি না করে থাকে, তবে আপনি অ্যাডভার্স পজেশন বা অবৈধ দখলের অধিকার দাবি করতে পারেন।
আইনি শর্ত: বাংলাদেশে সাধারণত ১২ বছর অব্যাহত দখল করা হলে আপনি অ্যাডভার্স পজেশন আইন অনুযায়ী জমির মালিকানা দাবি করতে পারেন, যদি আপনার দখল অন্য কেউ চ্যালেঞ্জ না করে। তবে, এটি একটি জটিল আইনি প্রক্রিয়া এবং জমি মালিক বা অন্য কোনো পক্ষের বিরোধের মুখে পড়তে হতে পারে।
চলমান প্রক্রিয়া: এই প্রক্রিয়া শুরু করার জন্য আপনাকে আদালতে অ্যাডভার্স পজেশন এর আবেদন করতে হবে এবং জমির দখলের প্রমাণাদি সরবরাহ করতে হবে।
২. জমির রেকর্ড থাকা এবং দলিল তৈরি
আপনার জমির রেকর্ড যদি সঠিক থাকে এবং আপনি যদি সেই জমির দলিল তৈরি করেন, তবে আপনার আইনি মালিকানা প্রতিষ্ঠিত হবে। দলিল তৈরির মাধ্যমে আইনি মালিকানা প্রতিষ্ঠিত হবে এবং জমির রেজিস্ট্রেশন করতে হবে।
আইনি প্রক্রিয়া: আপনার জমির রেকর্ড যাচাই করার পর, আপনাকে নতুন দলিল তৈরি করতে হবে এবং সেই দলিল রেজিস্ট্রি অফিসে রেজিস্টার করতে হবে। এর পর, জমি আইনি মালিকানায় আপনার নামে স্থানান্তরিত হবে।
৩. ভূমি অফিসে যাচাই
আপনার জমির রেকর্ড যদি সরকারি ভূমি অফিসে সঠিকভাবে রেজিস্টারড থাকে, তবে আপনি সেই জমির মালিক হয়ে যেতে পারেন। তবে, আপনি জমি বিক্রির বা হস্তান্তরের জন্য আইনি দলিল তৈরি না করলেই পুরোপুরি মালিকানা প্রতিষ্ঠিত হবে না। তাই, আপনার জমির আইনি স্বীকৃতির জন্য দলিল তৈরি করা জরুরি।
আইনি প্রক্রিয়া: জমির রেকর্ড যদি সঠিক থাকে এবং কোনো আইনি সমস্যার সম্মুখীন না হন, তবে আপনি ভূমি অফিসে গিয়ে নতুন দলিল তৈরি এবং জমি রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন। এতে আপনার মালিকানা আইনি স্বীকৃতি পাবে।
৪. খাস জমি বা সরকারি জমি
যদি আপনি দাবি করা জমি খাস জমি বা সরকারি জমি হয়ে থাকে, তাহলে সেই জমি আপনার হতে পারে না। খাস জমি বা সরকারি জমি আইনি অনুমতি ছাড়া দখল করা যায় না এবং এমন জমির মালিকানা দাবি করার জন্য সরকার থেকে অধিকার অর্জন করতে হবে।
আইনি শর্ত: খাস জমি বা সরকারি জমির মালিকানা আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে অর্জিত হয়, যেখানে সরকারি নীতিমালা অনুসরণ করতে হয়।
৫. উত্তরাধিকারী বা প্রাপ্তি
আপনি যদি পূর্ববর্তী মালিকের উত্তরাধিকারী হন এবং জমির রেকর্ড আপনার নামে থাকলেও দলিল না থাকে, তবে আপনাকে নতুন দলিল তৈরি করে আইনি মালিকানা প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
আইনি প্রক্রিয়া: জমির পূর্ববর্তী মালিক মারা গেলে, তার উত্তরাধিকারী হিসেবে আপনি আইনি দলিল তৈরি করতে পারেন, তবে এর জন্য আপনাকে অংশীদারি আইন ও স্বীকৃতি নথি অনুযায়ী প্রমাণ সরবরাহ করতে হবে।
উপসংহার:
রেকর্ড থাকা মানে মালিকানা প্রমাণিত নয়, দলিল ছাড়া পুরোপুরি মালিকানা পাওয়ার জন্য আপনার নতুন আইনি দলিল তৈরি করতে হবে।
অ্যাডভার্স পজেশন (অবৈধ দখল) ব্যবহার করে, কিছু পরিস্থিতিতে ১২ বছরের অধিক সময় দখল করার মাধ্যমে আপনি জমির মালিকানা দাবি করতে পারেন, তবে এটি জটিল আইনি প্রক্রিয়া।
সরকারি জমি বা খাস জমি কখনো আপনার হতে পারে না, যদি না তা আইনি অনুমতি দ্বারা পরিগণিত হয়।
তাহলে, দলিল তৈরি এবং আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করে জমি আপনার হবে।

CS/SA/PS/RS/BS/Diara ভূমি জরিপ/রেকর্ড পরিচিতভূমি জরিপ হচ্ছে ভূমির মালিকানা সম্বলিত ইতিহাসের সরেজমিন ইতিবৃত্ত। আইনী সংজ্ঞ...
19/09/2025

CS/SA/PS/RS/BS/Diara ভূমি জরিপ/রেকর্ড পরিচিত

ভূমি জরিপ হচ্ছে ভূমির মালিকানা সম্বলিত ইতিহাসের সরেজমিন ইতিবৃত্ত। আইনী সংজ্ঞা হচ্ছে, The Survey Act, 1875 এর ২ ধারা অনুযায়ী, 'জরিপ'-এর অন্তর্ভুক্ত হইবে সীমানা চিহ্নিতকরণ, নদীতীর বরাবর ক্ষয়প্রাপ্ত বা বৃদ্ধিপ্রাপ্ত জমি, নদীর গতি পরিবর্তনের ফলে পুনঃউদ্ভব বা নূতন উদ্ভবকৃত জমির পরিমাণ নির্ধারণ এবং জরিপের সহিত যুক্ত পূর্ববর্তী সকল কার্যক্রম।
একটি ভূমির মালিক কে এবং তার সীমানা কতটুকু এটা ভূমি জরিপের মাধ্যমে নকশা/ম্যাপ নির্ণয় করা হয়। এই নকশা এবং ম্যাপ অনুসারে মালিকানা সম্পর্কিত তথ্য যেমন ভূমিটি কোন মৌজায় অবস্থিত, এর খতিয়ান নম্বর, ভূমির দাগ নম্বর, মালিক ও দখলদারের বিবরণ ইত্যাদি প্রকাশিত হয় যাকে খতিয়ান বলে। রেকর্ড বা জরিপ প্রচলিতভাবে খতিয়ান বা স্বত্ত্বলিপি বা Record of Rights (RoR) নামেও পরিচিত।
আমাদের দেশে পরিচালিত ভূমি জরিপ বা রেকর্ড গুলো হচ্ছেঃ
1. CS-Cadastral Survey (1888)
2. SA- (1956)
3. PS - Pakistan Survey
4. RS -Revitionel Survey
5. BS- Bangladesh Survey (1990)
6. সিটি জরিপ
7. দিয়ারা জরিপ

১) সি.এস. জরিপ/রেকর্ড (Cadastral Survey)
"সিএস" হলো Cadastral Survey (CS) এর সংক্ষিপ্ত রূপ। একে ভারত উপমহাদেশের প্রথম জরিপ বলা হয় যা ১৮৮৮ সাল হতে ১৯৪০ সালের মধ্যে পরিচালিত হয়। এই জরিপ ১৮৮৫ সালের বঙ্গীয় প্রজাতন্ত্র আইনের ১০ম পরিচ্ছেদে অনুসারে সিলেট ও পার্বত্য জেলা ব্যতীত সারা দেশে পরিচালিত হয়। উক্ত জরিপের মাধ্যমে জমির বিস্তারিত মৌজা নকশা (ম্যাপ) প্রস্তুত করা হয় এবং প্রত্যেক মালিকের জন্য দাগ নম্বর উল্লেখপূর্বক ভূমির বাস্তব অবস্থা, আয়তন, শ্রেণী, পরিমাণ, খাজনার পরিমাণ ইত্যাদি উল্লেখপূর্বক খতিয়ান প্রস্তুত করা হয়। এ জরিপ পি-৭০ সীটে কিস্তোয়ারের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়।
সিএস জরিপ ১৮৮৮ সালে কক্সবাজারের রামু থানা হতে আরম্ভ হয় এবং ১৯৪০ সালে দিনাজপুর জেলায় শেষ হয়। সে সময়ে সিলেট জেলা আসাম প্রদেশের অধীন থাকায় সিলেট জেলায় সিএস জরিপ হয়নি। তবে জরুরী বিবেচনায় ১৯৩৬ সালের সিলেট প্রজাস্বত্ব আইনের (Sylhet tenancy Act) আওতায় সিলেট জেলার ক্যাডাস্ট্রাল সার্ভে ১৯৫০ সালে আরম্ভ করা হয় এবং পরবর্তীতে রাষ্ট্রীয় অধিগ্রহন ও প্রজাস্বত্ব আইন ১৯৫০ এর অধীনে ঐ জরিপ ১৯৬৩ সালে শেষ হয়।
সি.এস. জরিপে সময় প্রস্তুতকৃত খতিয়ানে জমিদারগণের নাম খতিয়ানের উপরিভাগে এবং দখলকার রায়তের নাম খতিয়ানের নিচে লেখা হত। সে সময় জমিদারগণ সরকার পক্ষে জমির মালিক ছিলেন এবং রায়তগণ প্রজা হিসেবে শুধুমাত্র ভোগ দখলকার ছিলেন। প্রথম জরিপ এই জরিপ এবং প্রস্তুতকৃত নকশা ও খতিয়ান খুবই নিখুঁত ও নির্ভরযোগ্য হিসেবে এখনো গ্রহণীয়। মামলার বা ভূমির জটিলতা নিরসনের ক্ষেত্রে এই জরিপকে বেস হিসেবে অনেক সময় গণ্য করা হয়।
২) এস.এ. জরিপ (State Acquisition Survey)
১৯৫০ সালে জমিদারী অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ব আইন পাশ হওয়ার পর সরকার ১৯৫৬ সালে সমগ্র পূর্ববঙ্গ প্রদেশে জমিদারী অধিগ্রহনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। ২/৪/১৯৫৬ তারিখে এই আইনের ৩ ধারার আওতাধীন বিজ্ঞপ্তির মূলে সরকার কর্তৃক সকল জমিদারি দখল নেয়ার পর উক্ত এ্যাক্টের ১৭ ধারা মোতাবেক যে খতিয়ান প্রস্তুত করা হয় তা এস এ খতিয়ান বলে পরিচিত।
মূলত, জমিদারী ও মধ্যস্বত্ব বিলোপ করে জমিদারগণকে প্রদেয় ক্ষতিপূরণ তালিকা প্রণয়ন এবং ভূমি মালিকগণকে/রায়তকে সরকারের সরাসরি নিয়ন্ত্রণে আনয়ন করার লক্ষ্যে সে সময় একটি সংক্ষিপ্ত জরিপ ও রেকর্ড সংশোধনী কার্যক্রম পরিচালিত হয় যা পরবর্তীতে এসএ খতিয়ান বলে পরিচিত পায়।
১৯৫৬ হতে ১৯৬২ পর্যন্ত এই জরিপ পরিচালিত হয়। জরিপে ভূমি মালিকের নাম ও জমির বিবরণাদি সম্বলিত হাতেলেখা রেকর্ড/খতিয়ান প্রস্তুত করা হয়। সে সময় এই রেকর্ড মোট তিন কপি প্রস্তুত করা হয় যার মধ্যে একটি জেলা রেকর্ড রুমে, এক কপি তহশলি (ইউনিয়ন ভূমি অফিস) অফিসে এবং অন্যটি সার্কেল পরিদর্শক (উপজেলা রাজস্ব) অফিসে প্রদান করা হয়। জরুরী তাগিদে জমিদারগন হইতে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে এই জরিপ বা খাতিয়ান প্রণয়ন কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছিল।
৩) পি.এস. জরিপ (Pakistan Survey)
এস.এ. জরিপকেই পি.এস. জরিপ বলে। ১৯৫৬ হতে ১৯৬২ পর্যন্ত এই জরিপ পরিচালিত হয়।
৪) আর.এস. জরিপ (Revisional Survey)
সি.এস. জরিপ সম্পন্ন হওয়ার সুদীর্ঘ ৫০ বছর পর এই জরিপ পরিচালিত হয়। জমির অবস্থা, প্রকৃতি, মালিক, দখলদার ইত্যাদি হালনাগাদ করার লক্ষ্যে এ জরিপ সম্পন্ন করা হয়। এস.এ. জরিপের সময় সরেজমিনে তদন্ত বা জরিপ কার্যক্রম পরিচালনা হয়নি। জমিদারদের থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে এস.এ জরিপ বা খাতিয়ান প্রস্তুত করা হয়েছিল যার কারণে অনেক ত্রুটি-বিচ্যুতি থেকে যায়। এই ত্রুটি-বিচ্যুতি দূর করার জন্য সরকার দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরেজমিনে ভূমি জরিপ করার সিদ্ধান্ত নেয় যা আর.এস বা Revisional Survey জরিপ হিসেবে পরিচিত। এই জরিপে প্রস্তুতকৃত নকশা (ম্যাপ) এবং খতিয়ান নির্ভুল হিসেবে গ্রহণীয়।
৫) বিএস জরিপ (Bangladesh Survey)
বিএস জরিপ হলো মূলত বাংলাদেশ সার্ভে এর সংক্ষিপ্ত রূপ। ১৯৫০ সালের জমিদারি অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ব আইন অনুযায়ী এই জরিপ কার্য পরিচালিত হয়। ১৯৯৮ সাল হতে বর্তমানে চলমান জরিপকে বিএস খতিয়ান বা সিটি বলা হয়। যা এখনো সারা দেশে চলমান। শুধুমাত্র ঢাকা মহানগরীতে বিএস খতিয়ানকে সিটি জরিপ বলা হয় এই সিটি জরিপের আরেক নাম ঢাকা মহানগর জরিপ। আর এস জরিপের পর বাংলাদেশ সরকার ১৯৯৮ সাল থেকে এ জরিপের উদ্যোগ নেয় এ যাবৎকালে এটিই হলো আধুনিক জরিপ।
৬.সিটি জরিপ (City Survey)
সিটি জরিপ এর আর এক নাম ঢাকা মহানগর জরিপ। আর.এস. জরিপ এর পর বাংলাদেশ সরকার কর্তিক অনুমতি ক্রমে এ জরিপ ১৯৯৯ থেকে ২০০০ সালের মধ্যে সম্পন্ন করা হয়। এ যাবত কালে সর্বশেষ ও আধুনিক জরিপ এটি। এ জরিপের পরচা কম্পিউটার প্রিন্ট এ পকাশিত হয়।

৭) দিয়ারা জরিপ কি?
দিয়ারা জরিপ হলো দরিয়া সম্পর্কিত জরিপ। জেগে উঠা নতুন ভূখন্ড (চর) জেলা প্রশাসকের চাহিদার ভিত্তিতে সিকস্তি পয়স্তির কারণে ভৌগলিক সীমারেখা ও স্বত্বের পরিবর্তন হলে নদী ও সমুদ্র তীরবর্তী এলাকায় নতুন জরিপ করা হয়। এ সমস্ত জরিপে নকশা ও রেকর্ড প্রস্তুত করা হয়।
এটি অতি পুরাতন জরিপ। ক্যাডাস্ট্রাল জরিপ আরম্ভ হয় ১৮৮৮ সালে, পক্ষান্তরে দিয়ারা জরিপ আরম্ভ হয় ১৮৬২ সালে। দিয়ারা জরিপে সাধারন জরিপের জন্য প্রযোজ্য সকল স্তর অনুসরন করে পয়স্তি ভূমির (চর) নক্সা ও রেকর্ড প্রস্তুত করা হয় দিয়ারা সেটেলমেন্ট অফিসারের নেতৃত্বে ৪টি (রাজশাহী, নরসিংদী, চট্টগ্রাম ও বরিশাল) বেশ কয়েকটি আঞ্চলিক অফিস ও ক্যাম্পের মাধ্যমে সারাদেশের সুনির্দিষ্ট কিছু মৌজায় এ জরিপ কাজ পরিচালিত হয়।

19/09/2025

পুরাতন দলিলে ব্যবহৃত ১৩০ টি শব্দের অর্থ

👉দলিলে লিখিত অনেক শব্দ আছে,যার সংক্ষিপ্ত রুপ ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এমনও কিছু শব্দ আছে যা খুব কম ব্যবহার হয়। যারা পুরাতন দলিলের ব্যবহৃত শব্দের অর্থ বোঝেন না,তাদের জন্য বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
১) মৌজা 👉 গ্রাম।
২) জে.এল নং 👉 মৌজা নং/গ্রাম নম্বর।
৩) ফর্দ 👉 দলিলের পাতা।
৪) খং 👉 খতিয়ান।
৫) সাবেক 👉 আগের/পূর্বের বুজায়
৬) হাল 👉 বর্তমান।
৭) বং 👉 বাহক, অর্থাৎ যিনি নিরক্ষর ব্যক্তির নাম লিখে।
৮) নিং 👉 নিরক্ষর।
৯) গং 👉 আরো অংশীদার আছে।
১০) সাং 👉 সাকিন/গ্রাম।
১১) তঞ্চকতা 👉 প্রতারণা।
১২) সনাক্তকারী 👉 যিনি বিক্রেতাকে চিনে।
১৩) এজমালী 👉 যৌথ।
১৪) মুসাবিদা 👉 দলিল লেখক।
১৫) পর্চা 👉 বুঝারতের সময় প্রাথমিক খতিয়ানের যে নকল দেওয়া হয় তাকে পর্চা বলে।
১৬) বাস্তু 👉 বসত ভিটা।
১৭) বাটোয়ারা 👉 বন্টন।
১৮) বায়া 👉 বিক্রেতা।
১৯) মং 👉 মবলগ/মোট
২০) মবলক 👉 মোট।
২১) এওয়াজ 👉 সমপরিমাণ কোন কিছু বদলে সমপরিমাণ কোন কিছু বদল করাকে এওয়াজ বলে।
২২) হিস্যা 👉 অংশ।
২৩) একুনে 👉 যোগফল।
২৪) জরিপ 👉 পরিমাণ।
২৫) এজমালী 👉 কোনো ভূমি বা জোতের একাধিক শরীক থাকিলে তাহাকে এজমালী সম্পত্তি বা এজমালী জোত বলে।
২৬) চৌহদ্দি 👉 সীমানা।
২৭) সিট 👉 নকশার অংশ বা মৌজার অংশের নকশাকে সিট বলে।
২৮) দাখিলা 👉 খাজনার রশিদ।
২৯) নক্সা 👉 ম্যাপ।
৩০) নল 👉 জমি পরিমাপের নিমিত্তে তৈরী অংশ দণ্ড।
৩১) নাল 👉 চাষাবাদের উপযোগী ভূমি।
৩২) পিং 👉 পিতা।
৩৩) জং 👉 স্বামী।
৩৪) দাগ নং 👉 জমির নম্বর।
৩৫) এতদ্বার্থে 👉 এতকিছুর পর।
৩৬) স্বজ্ঞানে 👉 নিজের বুঝ মতে।
৩৭) সমূদয় 👉 সব কিছু।
৩৮) ইয়াদিকৃত 👉 পরম করুণাময় সৃষ্টিকর্তার নামে শুরু করিলাম।
৩৯) পত্র মিদং 👉 পত্রের মাধ্যমে।
৪০) বিং 👉 বিস্তারিত।
৪১) দং 👉 দখলকার।
৪২) পত্তন 👉 সাময়িক বন্দোবস্ত।
৪৩) বদল সূত্র 👉 এক জমি দিয়া অন্য জমি গ্রহণ করা।
৪৪) মৌকুফ 👉 মাপ।
৪৫) দিশারী রেখা 👉 দিকনির্দেশনা।
৪৬) হেবা বিল এওয়াজ 👉 কোন জিনিসের পরিবর্তে ভূমি/জমি দান করাকে হেবা বিল এওয়াজ বলে।
৪৭) বাটা দাগ 👉 কাটা দাগ এটি ভগ্নাংশ আকারে থাকে, যার উপরের সংখ্যা আগের দাগ এবং নিচের সংখ্যা এই দাগের বাটা।
৪৮) অধুনা 👉 বর্তমান।
৪৯) রোক 👉 নগদ।
৫০) ভায়া 👉 বিক্রেতার পূর্বের ক্রয়কৃত দলিল।
৫১) দান সূত্র 👉 কোনো ভূমি দলিল মূলে দান করিলে দান গ্রহণকারী দান সূত্রে ভূমির মালিক বলিয়া গন্য হয়।
৫২) দাখিল খারিজ 👉 কোনো জোতের ভূমি ও জমা হইতে কতেকাংশ ভূমির খরিদ্দার ওয়ারিশ সূত্রে প্রাপ্ত ব্যাক্তিকে পৃথকভাবে নাম জারি করিয়া দিলে তাহাকে দাখিল খারিজ বলে।
৫৩) তফসিল 👉 তালিকা, কোনো দলিলের নিম্নভাগে লিখিত সম্পত্তির তালিকাকে তফসিল বলে।
৫৪) খারিজ 👉 যখন কোনো সরকার বা জমিদার কোনো প্রজাকে তাহার অংশীদারের জমা হইতে পৃথকভাবে খাজনা দিবার অনুমতি দেন তখন তাহাকে খারিজ বলে।
৫৫) খতিয়ান 👉 প্রত্যেক মৌজার এক বা একাধিক ভূমির জন্য একত্রে যে রেকর্ড সৃষ্টি করা হয় তাহাকে খাতিয়ান বলা হয়। খতিয়ানে তৌজি নম্বর, পরগনার নাম, জে.এল বা গ্রামের নাম, খতিয়ান নম্বর, স্বত্ত্বের বিবরণ মালিকের নাম, তাহার পিতা ও গ্রামের নাম, দাগ নম্বর, প্রত্যেক দাগের উত্তর সীমানা, ভূমির প্রকার অর্থাৎ (ডাঙ্গা, ধানী, ডোবা, পতিত, গর্ত, হালট, ইত্যাদি) দখলকারের নাম, ভূমির ষোল আনা পরিমাণ, হিস্যা ও হিস্যা মত পরিমাণ একর লিখিত থাকে।
৫৬) জরিপ 👉 সাধারণত কর নির্ধারণ ভিত্তিতেই এই সার্ভে করা হইয়া থাকে।
৫৭) এওয়াজ সূত্র 👉সমপরিমাণ কোনো ভূমি বা জিনিসের বদলে সমপরিমাণ কোনো ভূমি বা জিনিস প্রাপ্ত হইলে তাহাকে এওয়াজ সূত্রে প্রাপ্ত বলা হয় ইহাকে বদল সূত্রও বলে।
৫৮) অছিয়তনামা 👉 যদি কোনো ব্যাক্তি মৃত্যুর পূর্বে তাহার ওয়ারিশ বা আত্বীয় স্বজনকে তার স্থাবর- অস্থাবর সম্পত্তির বাটোয়ারা সম্পর্কে দলিল মূলে কোনো নির্দেশ দিয়া যান তবে তাহাকে অছিয়তনামা বলে। মৃত্যুর পর উক্ত অছিয়ত প্রবলের জন্য জেলা জজ সাহেব হইতে অনুমতি লইতে হয় হিন্দু ধর্মে উহাকে উইল বলে।
৫৯) তফসিল 👉 বিক্রিত জমির তালিকা।
৬০) নামজারী 👉 অন্যান্য অংশীদার থেকে নিজের নাম খতিয়ানে খোলাকে নামজারী বলে।
৬১) অধীনস্থ স্বত্ত্ব 👉 উপরিস্থিত স্বত্ব বা জমিদারী স্বত্বের অধীনে কোনো স্বত্ত্ব সৃষ্টি করিলে তাহাকে অধীনস্থ স্বত্ত্ব বা নীচস্থ স্বত্ত্ব বলে।
৬২) আলামত 👉 ম্যাপের মধ্যে গাছপালা, বাড়ীঘর, মন্দির, মসজিদ, গোরস্থান, জলভূমি, ইত্যাদি বুঝাইবার জন্য ব্যবহৃত চিহ্নকে আলামত বলে।
৬৩) আমলনামা 👉 কোনো ব্যক্তি অন্যের নিকট হইতে কোনো ভূমি নিলাম বা খোস – খরিদ করিয়া ভূমিতে দখল লওয়ার যে দলিল প্রাপ্ত হয় তাহাকে আমনামা বলে।
৬৪) আসলি 👉 মূল ভূমি।
৬৫) আধি 👉 উৎপন্ন ফসলের অর্ধেক ভূমির মালিক, অর্ধেক প্রজায় রাখিলে তাহাকে আধি বা বর্গ বলে।
৬৬) ইজারা 👉 ঠিকা। নির্দিষ্ট খাজনায় নির্দিষ্ট সময়ের জন্য তালুক বা মহলাদির বন্দোবস্ত দেওয়া বা নেওয়া।
৬৭) ইয়াদদন্ত 👉 স্মারকলিপি।
৬৮) ইন্তেহার 👉 ঘোষণাপত্র।
৬৯) এস্টেট 👉 ১৭৯৩ সালে সরকার বাহাদুর যে সমস্ত মহাল স্থায়ীভাবে বন্দোবস্ত দিয়াছেন তাহাদিগকে জমিদারী বা এস্টেট বলে।
৭০) ওয়াকফ 👉 ধর্মীয় কাজের উদ্দেশ্যে আল্লাহর নামে উৎসর্গকৃত সম্পত্তি।
৭১) কিত্তা 👉 চারিটি আইন দ্বারা বেষ্টিত ভূমি খন্ডকে এক একটি কিত্তা বা পট বলে।
৭২) কিস্তোয়ার জরিপ 👉 গ্রামের অন্তর্গত জমিগুলো কিত্তা কিত্তা করে জরিপ করার নাম কিস্তোয়ার
৭৩) কিস্তি 👉 নির্দিষ্ট তারিখ অনুযায়ী টাকা দিবার অঙ্গীকার বা ব্যবস্থা।
৭৪) কায়েম স্বত্ত্ব 👉 চিরস্থায়ীভাবে বন্দোবস্ত দেওয়া ভূমিকে কায়েম স্বত্ত্ব বলে।
৭৫) কবুলিয়ত 👉 মালিকের বরাবরে স্বীকারোক্তি করিয়া কোনো দলিল দিলে তাহাকে বকুলিয়ত বলে। কবুলিয়াত নানা প্রকার। যথা- রায়তি, দর রায়তি, কোর্ফা ও আদি বর্গা কবুলিয়াত।
৭৬) কটকোবালা 👉 সুদের পরিবর্তে মহাজনের দখলে জমি দিয়া টাকা কর্জ করত: যে দলিল দেওয়া হয় তাহাকে কটকোবালা বল।
৭৭) কান্দা 👉 উচ্চ ভূমি। গোবামের সন্নিকটস্থ ভূমিকেও কান্দা বলে।
৭৮) কিসমত 👉 মৌজার অংশকে কিসমত বলে।
৭৯) কোলা ভূমি 👉 বসত বাড়ীর সংলগ্ন নাল জমিকে কোলা ভূমি বলে।
৮০) কোল 👉 নদীর কোনো ছোট অংশ তাহার প্রধান স্রোতের সহিত বা হইতে সংযুক্ত হইয়া গেলে তাহাকে কোল বলে।
৮১) খানাপুরী 👉 প্রাথমিক স্বত্ত্ব লিপি। ইহা রেকর্ড অব রাইটস তৈরির ধাপ। খসড়া ও খতিয়ানের কলাম বা ঘর পূরণ করাই ইহার কাজ।
৮২) খামার 👉 ভূম্যধিকারী খাস দখলীয় ভূমিকে খামার, খাস-খামার, নিজ জোত বা কমত বলে।
৮৩) খাইখন্দক 👉 ডোবগর্ত, খাল, নালা ইত্যাদি চাষের অযোগ্য ভূমিকে খাইখন্দক বলে।
৮৪) খিরাজ 👉 কর, খাজনা।
৮৫) খানে খোদাঃ মসজিদ।
৮৬) খসড়াঃ জমির মোটামুটি বর্ণনা।
৮৭) গর বন্দোবস্তিঃ যে জমির কোনো বন্দোবস্ত দেওয়া হয় নাই।
৮৮) গরলায়েক পতিতঃ খাল, নালা, তীরচর, ঝাড়, জঙ্গল ইত্যাদি অনাবাদি ভূমিকে গরলায়েক পতিত বলে।
৮৯) গির্বিঃ বন্ধক।
৯০) চক 👉 থক বসত ম্যাপের এক একটি পটকে চক বলে।
৯১) জমা বন্দী 👉 খাজনার তালিকা।
৯২) চাকরাণ 👉 জমিদার বাড়ীর কাজ-কর্ম নির্বাহ করণার্থে ভোগ-দখল করিবার নিমিত্তে যে জমি দেওয়া হয় তাহাকে চাকরাণ বলে।
৯৩) চাঁদা 👉 জরিপ কার্যে নির্দিষ্ট করা স্টেশনকে চাঁদা বলে।
৯৪) চটান 👉 বাড়ীর সন্নিকটস্থ উচ্চ পতিত স্থানকে চটান বলে।
৯৫) চালা 👉 উচ্চ আবাদি ভূমি (পুকুরের পাড় ইত্যাদি)
৯৬) চর 👉 পলিমাটি গঠিত ভূমি।
৯৭) জবর-দখল 👉 জোরপূর্বক দখল।
৯৮) জমা 👉 এক বা একাধিক ভূমির জন্য একত্রে যে খাজনা দেওয়া হয় তাহাকে এক একটি জমা বলে।
৯৯) জোত 👉 এক প্রকার প্রজাস্বত্ত্ব।
১০০) জজিরা 👉 নাব্য নদীতে যে দ্বীপ গঠিত হয় তাহাকে জজিরা বলে।
১০১) জায়সুদী 👉 হস্তান্তরকরণ ক্ষমতা ব্যতীত কিয়ং কালের জন্য বন্ধক। অর্থাৎ মহাজনের নিকট বন্ধক দিয়া যদি এই মর্মে টাকা কর্জ করা যায়, যে যতদিন পর্যন্ত আসল টাকা পরিশোধ না হইবে ততদিন পর্যন্ত মহাজন উক্ত জমি ভোগ-দখল করিতে থাকিবেন, তবে তাহাকে জায়সুরি বলে।
১০২) জালি 👉 এক প্রকার ধান যাহা জলাভূমিতে জন্মে।
১০৩) টেক 👉 নদী ভগ্নস্থান ভরাট হইয়া যে পয়স্তি উৎপন্ন হয় তাহাকে টেক বলে।
১০৪) টাভার্স 👉 ঘের জরিপ।
১০৫) ঠিকা রায়ত 👉 নির্দিষ্ট মেয়াদে সাময়িকভাবে দখলকারকে ঠিক রায়ত বলে অথবা যে রায়তের কোনো দখলি স্বত্ত্ব নেই।
১০৬) ঢোল সহরত 👉 কোনো ক্রোক, নিলাম ইস্তেহার বা দখলি পরওয়ানা সরজমিনে ঢোল পিটাইয়া জারি করাকে ঢোল সহরত বলে।
১০৭) তামিল 👉 আদেশ মোতাবেক রেকর্ড সংশোধন করা।
১০৮) তামাদি 👉 খাজনা আদায় করার নির্দিষ্ট সময় অতিক্রম হইলে তাহাকে তামাদি বলে।
১০৯) তুদাবন্দী 👉 সীমানা নির্দেশ।
১১০) তহশিল 👉 খাজনাদি আয়ের নিমিত্ত নির্দিষ্ট এলাকাকে তহশিল বলে।
১১১) তলবানা 👉 সমন জারির সময় পিয়নকে প্রদত্ত ফিস।
১১২) তলববাকী 👉 বকেয়া খাজনা আদায়ের কিস্তি।
১১৩) তালুক 👉 নিম্নস্থ স্বত্ত্ব।
১১৪) তরমিমঃ শুদ্ধকরণ।
১১৫) তরতিব 👉 শৃংখলা।
১১৬) তৌজি 👉 ১৭৯৩ সালে চিরস্থায়ী বন্দোবস্তীয় ভূমির জন্য কালেক্টরীতে যে রেজিষ্ট্রী বই থাকে তাহাকে তৌজি বলে। প্রত্যেক তৌজির ক্রমিক নম্বর থাকে। জমিদারের অধীন প্রজার জোতকেও তৌজি বলা হয়।
🔸১১৭) দিয়ারা 👉 পলিমাটি দ্বারা গঠিত চর।
১১৮) দর পত্তনী 👉 পত্তনীর অধীন।
১১৯) দখলী স্বত্ত্ব বিশিষ্ট প্রজা 👉 দখলদার হিসেবে যে প্রজার স্বত্ত্ব আছে।
১২০) দশসালা বন্দোবস্ত 👉 দশ বৎসরের মেয়াদে বন্দোবস্ত দেওয়াকে দশসালা বন্দোবস্ত বলে।
১২১) দিয়ারা 👉 পলিমাটি দ্বারা গঠিত চর।
১২২) দাগ নম্বর 👉মৌজা নকশায় প্রত্যেক প্লটের যে সিরিয়াল নম্বর বসান হয়,তাহাকে দাগ নম্বর বলে।
১২৩) দরবস্ত 👉 সমুদয়।
১২৪) নথি 👉 রেকর্ড।
১২৫) দেবোত্তর 👉 দেবতাদিগকে প্রদত্ত নিষ্কর ভূমি।
১২৬) দেবিচর 👉 যে সকল বালুচর সাধারণ জোয়ারের পানিতে ডুবিয়া যায় তাহাদিগকে দেবিচর বলে।
১২৭) দিঘলি 👉 নির্দিষ্ট পরিমাণ খাজনা আদায়কারী একপ্রকার প্রজা।
১২৮) নক্সা ভাওড়ন 👉 পূর্ব জরিপ অনুসারে গ্রামের সীমাগুলো এখন আর ঠিক মতো পাওয়া যায় না। ফলে সীমানা লইয়া প্রায়ই জমিদারের মধ্যে ঝগড়া বাঁধে। পূর্বের ফিল্ডবুক অনুসারে প্রত্যেক লাইনের মাপ ও বিয়ারিং লইয়া, লাইনটি প্রথমে যেখানে যেভাবে ছিল, তা চিহ্নিত করিয়া, কোন জমি কোন মৌজার অন্তর্গত,তাহা ঠিক করার নামই,নক্সা ভাওড়ান বা রিলেইং বাউন্ডারীজ।
১২৯) নামজারী 👉 ভূম্যধিকারী সরকারের সাবেক নামের পরিবর্তে খরিদ্দার অথবা ওয়ারিশ সূত্রে প্রাপ্ত ব্যক্তির নাম রেজিস্ট্রী করাকে নামজারী বলে।
🔸১৩০) নাম খারিজ বা জমা খারিজ 👉 ১৬ আনা জোতার মোট জমা হইতে নামজারীকৃত ওয়ারিশ বা খরিদ্দারের দখলীয় জমির জমা ১৬ আনা জোতার জমার হার অনুসারে জাম ভাগ করিয়া দিয়া পৃথক জমা সৃষ্টি করাকে নাম খারিজ বা জাম খারিজ বলে।

Address

Godown Road
Lakshmipur
3700

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Robi Zone posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share