30/10/2024
একটা ছেলেকে ইন্টারভিউ বোর্ডে জিজ্ঞেস করা হলো , আচ্ছা বলো দেখি তোমার একটা পজিটিভ দিকের কথা যেটা দিয়ে তুমি আমাদের ইম্প্রেস করতে পারো ।
ছেলেটা একটু ভেবে নিয়ে উত্তর দিলো , স্যার আমার সিভির দিকে তাকালে দেখবেন আমার রেজাল্ট খুব একটা ভালো না । এরপরেও ৯৫ জন কে টপকে রিটেন এক্সামে ১ম হয়ে আপনাদের সামনে বসে ভাইভা দিচ্ছি স্যার । এইটাই আমার সব থেকে পজিটিভ দিক ।
বোর্ড থেকে উত্তর এলো ,এটা কি আর অমন পজিটিভ দিক ? ব্যাখ্যা করো তো !!
ছেলেটার উত্তর , স্যার আমার সাথে মাধ্যমিক এ rank করা একটা ছেলে এক্সাম দিতে এসেছে । আমার সাথে HS এ rank করা একটা ছেলেও এক্সাম দিতে এসেছে ।
মানুষের অনেক কথাই শুনেছি বেকার জীবনে আমি । এতোকিছু শোনার পরেও নিজেকে তৈরি করে আজকে এই জায়গায় আসছি স্যার । রিটেনে টিকে যাওয়ায় আপনারা আমাকে ডেকেছেন । নইলে ডাকতেন না । স্যার ,আমি মনে করি এইটাই আমার সব থেকে পজিটিভ দিক ।
আমি ফাইট করতে জানি । হারতে জানি না । আমি জানি এইখানে আমার চাকুরী না হলেও আরেকটা জায়গায় আমি ঠিক চাকুরী জুটিয়ে নিতে পারবো । বোর্ড তার এটিচিউডে ইম্প্রেস হয়েছিল । জবটা পেলো সেই ছেলেটাই ।
দিস ইজ কলড এটিচিঊড ।
কোন মোটিভেশনাল ভিডিও দেখে এই মনোভাব আসে না ।
সারাদিন বসে ইউটিউবিং করে এই মনোভাব গড়ে তোলা যায় না!
এই মনোভাব আর সাহস আসে অদম্য পরিশ্রম থেকে ।
সকাল বেলা অফিসে যাওয়ার সময় আমি দুই ধরনের ছেলে দেখি ।
একদল আছে বসে বসে বইয়ের পাতা উল্টায় । আরেকদল আছে সারারাত স্পেশাল ওয়ানের সাথে কথা বলে দিনের বেলা দুপুর ১ টা অব্দি ঘুমাতে থাকে ।
দুইজনের রেজাল্ট কখনোই একরকম হবে না । সবাই চ্যালেঞ্জ নিতে পারে না । যতো গভীর গর্তে পড়বেন চ্যালেঞ্জ ঠিক ততোটাই কঠিন হবে ।
বেকারত্বের টেস্ট কি জিনিস সেটা এক্সাম দিয়ে ফেল না করা পর্যন্ত টের পাবেন না । যেদিন টের পাবেন সেদিন বুঝে ফেলবেন পায়ের নিচে আর মাটিটা নাই । ওইদিন ক্লাস ফাইভের বৃত্তিও কাজে আসবে না । কোন মোটিভেশনাল গল্পও কান দিয়ে ঢুকবে না ।
জীবন থেকে যদি পালাতেই থাকেন , তাহলে জীবনও আপনাকে তাড়িয়েই বেড়াবে । আর যদি ফেস করতে শিখেন , চোখ বুজে চ্যালেঞ্জ নিতে শেখেন তাহলে দেখবেন একটা না একটা প্ল্যাটফর্ম পেয়ে গেছেন ।
ভুল করাটা সমস্যা নয় । ভুল না শোধরানোটাই সব থেকে বড় সমস্যা ।ধৈর্য্য হারাবেন না। চেষ্টা চালিয়ে যান।
(জানি যত সুন্দর লেখনীই কালেক্ট করি না কেন, খুব কম মানুষই লাইক দিবে।