
26/06/2025
" আপনাদের আবারও বলি সৎসঙ্গের টাকায় ইষ্টভৃতির টাকায় না আমি হাত দি , না আমার পরিবারের কেউ ওই টাকা ব্যবহার করে । ওই টাকায় আমাদের পেট চলেনা ।
এই যে এই মন্দির (অমরধাম) দেখছেন বা যত মন্দির আছে কোনোটাই আমার বা আমার বাবার বা আমার ঠাকুরদার নয় , ছিলও না । সব সৎসঙ্গের নামে । এর পাশের যে বাড়িটা সেটাও সৎসঙ্গের নামে ।
শুধুমাত্র তার পাশে একটি বাড়ি আছে, যেটা আমার মায়ের ( বড় বৌরানিমা ) নামে আছে । ওটা আমার মাকে আমার মামা বাড়ির দাদু কিনে দিয়েছিলেন।
বাকি কিছু নেই আমাদের নামে । পুরোটাই দয়ালের ।
আমি নিজের ব্যবস্থা করে নিয়েছি। তা দিয়েই আমি এই গাড়ির ভাড়া , খাওয়া-দাওয়া , যেখানে যায় সেখানের খরচা সবকিছু দি । না আমি প্রণামী নি , আমি কারো কাছ থেকে টাকা নি।
তাই আপনাদের কোন অজুহাত আমি শুনবো না।
বাবাকে ছোট থেকে দেখে আসছি। উনি আচার্য্য । সকালে ওঠেন সেই উষাকালে , তারপরে নাম জপ , ইষ্টভৃতি এসব করে তিনি প্রার্থনায় যান । সেখান থেকে আসেন , এসে চা টুকু খেয়ে বসে পড়েন নিজের বই পত্র নিয়ে লেখাপড়া করতে । তারপর বেরিয়ে যান নামের সময়ে আশ্রমের উদ্দেশ্যে। আবার সেখান থেকে সাড়ে নটা - দশটার দিকে বাড়ি ঢুকেন । এক গ্লাস জল খেতে না খেতে ওনার নাটমন্ডপে বসার সময় হয়ে যায় ।
শুরু হয়ে যায় নিবেদন শোনা , এদিক ওদিক সকলের কথা শোনা .... এসব করতে করতে দুপুর গড়িয়ে যায় তারপর তিনি উপরে এসে হালকা কিছু খাওয়া-দাওয়া করে, এত গোটা দিনের পরে মায়ের সাথে হয়তো তার একবার কথা হয় । তারপর একটু যদি টিভি দেখেন না হলে আবার নিজের কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েন ।
এই করতে করতে বিকেল হয় তারপর আবার প্রার্থনায় যাওয়া , সেখান থেকে এসে এক কাপ কফি খাওয়ার সময় হতে না হতে আবার নাট মন্ডপে বসার সময় হয়ে যায় । তারপর রাত এগারোটায় নাট মন্ডপ থেকে ফিরে এসে তিনি ঘুমিয়ে যান ।
কারণ সেই সকালে আবার তিনটে চারটে থেকে পুরো দিন চালু হয় । এভাবেই নিজের পুরো জীবনটা সৎসঙ্গের জন্য তিনি দিয়েছেন ।
আমি এখন এভাবে জীবন ব্যতীত করছি। একদিন আসবে আমিও জানি আমাকে বাবার মত এভাবেই চলতে হবে।
তাই আমরা সৎসঙ্গকে নিজেদের পুরোটাই দিয়ে দিয়েছি। তাই সৎসঙ্গের পুরোটাই আমরা ব্যবহার করতে পারি। আপনিও দিয়ে দেন দেখবেন পুরোটাই আপনার হয়ে গেছে । "
পূজ্যপাদ শ্রীশ্রী অবিনদার আমৃতকথা -( বিশেষ উল্লেখ্য - শ্রীশ্রী আচার্য্যদেবের দিনলিপি )
সৎসঙ্গ অমরধাম(57)
২৪শে জুন ২০২৫ ইং , রাত্রি ১০.৩০ - ১০.৪০*