Ayaan's mom

Ayaan's mom Honesty is the best policy
(2)

স্ত্রীর মন—যে জায়গাটাতে যত্ন নয়, সবচেয়ে বেশি অবহেলা হয়:একজন পুরুষ জীবনের অনেক কিছু গুছিয়ে রাখে। সংসার চালায়, দায়িত্ব নেয়...
28/06/2025

স্ত্রীর মন—যে জায়গাটাতে যত্ন নয়, সবচেয়ে বেশি অবহেলা হয়:

একজন পুরুষ জীবনের অনেক কিছু গুছিয়ে রাখে। সংসার চালায়, দায়িত্ব নেয়, কাজ করে, বিল মেটায়—সবই ঠিকঠাক থাকে। কিন্তু যে জায়গাটাতে তার সবচেয়ে বেশি মনোযোগ দেওয়া উচিত, সবচেয়ে বেশি যত্ন দেখানো দরকার, সেটা অনেক সময় অবহেলার ছায়ায় ঢেকে যায়।
সেই জায়গাটা হলো—তার স্ত্রীর মন।

একটা মেয়ে যখন কাউকে ভালোবেসে নিজের জীবন সঁপে দেয়, সে শুধু একটা ছাদ চায় না। সে চায় ভালোবাসার ছায়া, বোঝার কোমলতা, অনুভবের সঙ্গ।
সে চায়, কেউ তাকে মন দিয়ে শুনুক। তার না বলা কথাগুলো পড়তে শিখুক। ক্লান্ত দুপুরগুলোতে কেউ বলুক, "তুমি কেমন আছো?" — এটুকু স্নেহই অনেক মেয়ের কাছে বিশ্রামের মতো।

কিন্তু বাস্তবতা বড় কঠিন।
কিছু না বললেই বুঝে নেওয়ার কথা বলা হয়, অথচ কেউ বোঝে না।
দুঃখের কথা বললে বলা হয়, “তুমি অতিরিক্ত ভাবো”, “সবসময় অভিযোগ করো”।
আর এইরকম দিনে দিনে স্ত্রী নিঃশব্দ হয়ে যায়।
সে আর প্রশ্ন করে না, অভিযোগ তো দূরের কথা—দেখে না, বলে না, শুধু চুপ থাকে। কারণ সে জানে, তার অনুভূতির দাম নেই এখানে।

এই নীরবতা থেকেই জন্ম নেয় ভিতরগত এক ভাঙন, যা অনেক সংসারে টেরও পাওয়া যায় না—তবু প্রতিদিন একটু একটু করে মরে যায় সম্পর্ক।
একটা সংসার টিকে থাকে শুধু খরচ চালিয়ে নয়, টিকে থাকে ভালোবাসা দিয়ে, বোঝাপড়া দিয়ে, একে অপরের অনুভবকে গুরুত্ব দিয়ে।

একজন স্ত্রী কি চায়?
সে চায়, তার কষ্টগুলো কেউ নিজের মতো করে বুঝে নিক।
সে চায়, তার হাসিমুখের পেছনের ক্লান্তিটা কেউ খেয়াল করুক।
সে চায়, যখন সে ভেঙে পড়ে তখন কেউ তাকে বলে, "আমি আছি।"

একটা মেয়ে যখন সংসার করে, সে রান্না বা কাপড় ধোয়ার জন্য করে না—সে করে ভালোবাসা দিয়ে। কিন্তু যদি সেই ভালোবাসার কোনো প্রতিধ্বনি না থাকে, তাহলে একটা সময় সে শূন্য হয়ে পড়ে।
তখন সে শুধু কাজ করে যায়—ভিতরে কিছুই থাকে না।
এই অবস্থাটাই সবচেয়ে ভয়ংকর, কারণ তখন সে আর কিছু আশা করে না।

তাহলে কী করণীয়?

পুরুষের কাছে সব সমাধান টাকা নয়, সিদ্ধান্ত নয়।
একটু সময় দিন, একটু মনোযোগ দিন।
চোখে চোখ রেখে জিজ্ঞেস করুন, "তুমি সত্যিই ভালো আছো তো?"
তার ছোট ছোট কাজগুলোকে কৃতজ্ঞতা দিয়ে মূল্য দিন।
আর যেকোনো তুলনা এড়িয়ে চলুন—স্ত্রী আপনার সঙ্গী, প্রতিযোগী নয়।

অনেক সময় পুরুষরা ভাবে, “আমি তো সব দায়িত্ব পালন করছি!”
হ্যাঁ, দিচ্ছেন। কিন্তু দায়িত্ব পালন আর হৃদয় বোঝা এক জিনিস নয়।
স্ত্রীর মনটা নিছক দায়িত্বের জায়গা নয়—ওটা যত্নের, মমতার জায়গা।

একজন স্ত্রী যখন অনুভব করে যে, তার মনটাকেও গুরুত্ব দেওয়া হয়—সে নিজের সমস্তটা দিয়ে পরিবারকে আঁকড়ে ধরে রাখে।
আর যদি সেই মনটাই ভেঙে পড়ে, তবে সংসারের ভিতরে ভিতরে এক অদৃশ্য অন্ধকার জন্ম নেয়।

শেষ কথায় শুধু এটুকু বলা যায়:
একজন পুরুষ যদি একটিবার স্ত্রীর চোখে গভীরভাবে তাকায়, তাহলে সে বুঝবে—সেই চোখে লুকিয়ে আছে অনেক প্রশ্ন, অনেক আশা, আর ভীষণরকম এক ভালোবাসা।
যেটা শুধু একটু যত্ন, একটু বোঝার অপেক্ষায় থাকে… প্রতিদিন।

27/06/2025

একটু ভেবে দেখুন তো আল্লাহ আমাদের সবকিছু দিয়েছেন চিন্তা করার ক্ষমতা,আবেগ, অনুভূতি, বিবেক, কিন্তু এ মূল্যবান জিনিস গুলোর সঠিক ব্যবহার করতে জানি না

26/06/2025

বাঙালি নিজের বিপদকে আল্লাহর পরীক্ষা মনে করে, আর অন্যের বিপদকে বলে পাপের শাস্তি।

🔸 চিন্তা অনেক, জীবন নিয়ে ভয়ও আছে...কিন্তু কখনও কি ভেবে দেখেছেন—জীবনটা কিন্তু পুরোপুরি আপনার।সিদ্ধান্ত আপনাকেই নিতে হবে, ...
26/06/2025

🔸 চিন্তা অনেক, জীবন নিয়ে ভয়ও আছে...
কিন্তু কখনও কি ভেবে দেখেছেন—জীবনটা কিন্তু পুরোপুরি আপনার।
সিদ্ধান্ত আপনাকেই নিতে হবে, অন্যদের কথায় নয়।

ভিড়ে চলতে গেলে অনেক বাজে কথা কানে আসবে,
তাদের কাজই হলো নেগেটিভিটি ছড়ানো—
ইগনোর করুন।
সবার কথায় রিয়েক্ট করা, সবার মন জুগানো আপনার কাজ না।

✅ যাদের মুখে বন্ধুত্ব, ভিতরে হিংসা—
তাদের থেকে দূরে থাকুন।
✅ অপ্রয়োজনীয় তর্ক এড়িয়ে চলুন।
✅ নিজের শক্তি, সময় বাঁচান।

📚 বই পড়ুন, প্রিয়জনকে সময় দিন, গাছ লাগান, ছবি আঁকুন, প্রার্থনা করুন।
জীবনটা সত্যিই সুন্দর—
শুধু সঠিক মানুষদের বেছে নিন, বাকিদের “শব্দদূষণ” হিসেবে এড়িয়ে চলুন।

তুমি জানো তুমি কে — সেটাই যথেষ্ট।
তোমার শান্তিই তোমার আসল জয়।

#জীবনের_পাঠ
#নিজেকে_ভালোবাসো
#নেগেটিভতা_থেকে_দূরে
#নিজের_পথে_চলো
#আত্মউন্নয়ন
#মনকে_শান্ত_রাখো
#পজিটিভ_থাকো
#লাইফ_মোটিভেশন

#ভালোথাকার_কৌশল
#সময়ের_মূল্য_বোঝো
#নিজেকে_চেনো
#সঠিক_সিদ্ধান্ত

🍁কথার সৌন্দর্যই সাফল্যের চাবিকাঠিএকদিন এক রাজামশাই স্বপ্নে দেখলেন—তার মুখের সব দাঁত পড়ে গেছে। তিনি খুব চিন্তিত হয়ে এক ...
23/06/2025

🍁কথার সৌন্দর্যই সাফল্যের চাবিকাঠি

একদিন এক রাজামশাই স্বপ্নে দেখলেন—তার মুখের সব দাঁত পড়ে গেছে। তিনি খুব চিন্তিত হয়ে এক জ্যোতিষীকে ডেকে পাঠালেন এবং স্বপ্নের কথা বিস্তারিতভাবে বললেন।

প্রথম জ্যোতিষীটি স্বপ্নের ব্যাখ্যা করে বললেন,
"মহারাজ, এই স্বপ্নের অর্থ হলো আপনার চোখের সামনেই আপনার পরিবারের সকল প্রিয়জন মারা যাবে। আপনি একা বেঁচে থাকবেন।"

এ কথা শুনে রাজা ভীষণ রেগে গেলেন। এমন অশুভ কথা বলার জন্য তিনি সেই জ্যোতিষীকে মৃত্যুদণ্ড দিলেন।

পরে রাজামশাই আরেকজন জ্যোতিষীকে ডেকে পাঠালেন এবং একই স্বপ্নের কথা বললেন।

দ্বিতীয় জ্যোতিষীটি মনোযোগ দিয়ে স্বপ্ন শুনে মৃদু হেসে বললেন,
"মহারাজ, আপনার আয়ু আপনার পরিবারের সকল সদস্যের চেয়ে দীর্ঘ হবে। আপনি দীর্ঘদিন সুস্থভাবে রাজত্ব করবেন।"

রাজা খুব খুশি হলেন এবং আনন্দের সঙ্গে সেই জ্যোতিষীকে পুরস্কৃত করলেন।

দুই জ্যোতিষী একই অর্থ বললেও পার্থক্য ছিল কেবল ‘কথা বলার ধরনে’। একজন পেল মৃত্যুদণ্ড, আর অন্যজন পেল পুরস্কার।

তাই বলা যায়, কথা বলার ভঙ্গিই পারে আপনার ভাগ্য নির্ধারণ করতে।
মধুর ভাষণ মানুষের হৃদয় জয় করে, আর তির্যক ভাষা আনে বিপদ।
সুন্দরভাবে কথা বলা শুধু সৌজন্যের পরিচয় নয়—এটা এক বিশেষ গুণ।

মানুষ কখনও পাহাড়ে হোঁচট খায় না, হোঁচট খায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ইট পাথরের টুকরাতে। পাহাড়ের মতো বিশাল কিছুর সামনে আমরা সতর্ক ...
22/06/2025

মানুষ কখনও পাহাড়ে হোঁচট খায় না, হোঁচট খায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ইট পাথরের টুকরাতে। পাহাড়ের মতো বিশাল কিছুর সামনে আমরা সতর্ক থাকি, প্রস্তুত থাকি। কিন্তু ইট পাথরগুলো আমাদের দৃষ্টি এড়িয়ে যায়, যে কারণে প্রায়ই আমরা ইট পাথরে পা হড়কে পড়ে যাই।

জীবনের মতোই, সম্পর্কের পথও এরকমই। একটি সম্পর্ক – সেটা প্রেম, বন্ধুত্ব, দাম্পত্য কিংবা পারিবারিক যাই হোক না কেন – কখনোই বড় কোনো ইস্যুতে ভেঙে পড়ে না। সম্পর্ক ভাঙে ছোট ছোট ভুল বোঝাবুঝি, অবহেলা, না বলা কথার ভেতরে জমে থাকা কষ্ট, কিংবা সময়মতো একটুখানি মনোযোগ না দেওয়ার কারণে। এই ছোট ছোট অপ্রাপ্তিগুলো প্রথমে হয়ত তেমন একটা গুরুত্ব পায় না, কিন্তু দিনে দিনে সেগুলো জমতে জমতে পাহাড়ের চেয়েও বড় হয়ে ওঠে। একটা সময়ে গিয়ে যখন আর বোঝাপড়ার কোনো রাস্তা খোলা থাকে না, বিচ্ছেদ হয়ে ওঠে একমাত্র সমাধান।

আমরা অনেক সময় ভাবি, “এতো ছোট একটা বিষয়, ও এতটা রাগ করল কেন?” কিন্তু ওই ছোট্ট বিষয়টাই হয়ত তার কাছে বড় ছিল। হয়ত সে প্রতিদিন একটু কথা বলে হালকা হতে চেয়েছিল, হয়ত ও একটুখানি বেশি সময় চেয়েছিল, হয়ত আপনার কোনো একটা বাক্য বা অভিব্যক্তি তার মনে অনেক গভীর ক্ষত তৈরি করেছে। একটি ক্ষতের জন্য সবসময় বড় অস্ত্র লাগে না, ক্ষত গভীর হয় তখনই যখন অনুভূতির জায়গায় আঘাত লাগে।

তাই একটি সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে হলে বড় কিছু করার প্রয়োজন পড়ে না। প্রয়োজন পড়ে ছোট ছোট যত্নের, সামান্য খেয়ালের, একটুখানি বোঝাপড়ার।

সময়মতো একটি মেসেজ, ক্লান্ত দিনে এক কাপ চা, কষ্টে থাকা মানুষটার পাশে নীরব উপস্থিতি, কিংবা কেবল মন দিয়ে তার মনের কথাগুলো শোনা — এই ছোট্ট ছোট্ট কাজগুলোই আজীবনের বন্ধন গড়ে তোলে।

সম্পর্ক মানে একে অপরের জায়গায় নিজেকে কল্পনা করতে পারা। তার অনুভূতিকে তার দৃষ্টিভঙ্গি থেকে উপলব্ধি করার চেষ্টা করা। একটুখানি কেয়ার, একটুখানি সম্মান, একটুখানি গুরুত্ব দেওয়া, একটুখানি সহানুভূতি — এগুলোই একটি সম্পর্কের মেরুদণ্ড।

মনে রাখবেন, সম্পর্ক একটি সুন্দর বাগানের মতো। প্রতিদিন সেখানে একটু করে পানি দিতে হয়, আগাছা পরিষ্কার করতে হয়, খেয়াল রাখতে হয় সূর্যের আলো পড়ছে কিনা। অবহেলা করলেই তা শুকিয়ে যায়। তাই সম্পর্কের ছোট ছোট বিষয়গুলোকে অবহেলা নয়, বরং যত্নে আলিঙ্গন করা উচিত। কেননা, জীবনের সবথেকে বড় সুখ লুকিয়ে থাকে ওই ছোট ছোট খুঁটিনাটিতেই!
~সংগৃহীত

আমাদের যাপিত জীবনে কত কিছুই না ঘটে—চাকরির টেনশন, ব্যবসার চাপ, বন্ধু বা সহকর্মীর সাথে ভুল বোঝাবুঝি, লেনদেনের ঝামেলা। এসবে...
19/06/2025

আমাদের যাপিত জীবনে কত কিছুই না ঘটে—চাকরির টেনশন, ব্যবসার চাপ, বন্ধু বা সহকর্মীর সাথে ভুল বোঝাবুঝি, লেনদেনের ঝামেলা। এসবের মাঝে রাগ হওয়াটা অস্বাভাবিক কিছু নয়। রাগ, কষ্ট, হতাশা—এসব মানুষের জীবনের একটি অংশ। এটা মানবিক বিষয়।

কিন্তু প্রশ্ন হলো—আপনার এই ব্যক্তিগত রাগ কি আপনার সন্তানদের উপরও প্রভাব ফেলবে? এই রাগের বিষ কি তাদের কোমল মনটাকে বিষাক্ত করে তুলবে?

ধরুন, আপনি বাইরের কারো সাথে ঝগড়ায় জড়ালেন। সেটা হতে পারে সহকর্মীর সাথে, বসের সঙ্গে, কিংবা ব্যবসার ক্লায়েন্টের সাথে। এই রাগের আগুন বহন করে যদি আপনি ঘরে নিয়ে আসেন, তাহলে সবচেয়ে আগে দগ্ধ হবে কারা?

আপনার স্ত্রী। আপনার সন্তান।

একটু ভেবে দেখুন—আপনার ৬ বছরের ছোট্ট মেয়ে আপনার মুখ দেখে ভয় পায়। আপনার ছোট্ট ছেলেটি কাছে এসে কিছু বলতে চায়, কিন্তু চুপ করে সরে যায়। তারা জানে, “বাবা আজ রেগে আছেন।”

এমনটা যদি ঘন ঘন হতে থাকে, তাহলে সেই ভয় একসময় স্থায়ী হয়ে যাবে। আর ভয় যখন স্থায়ী হয়ে যায়, তখন বাবাদের সাথে সন্তানদের এক অস্বাভাবিক দূরত্ব বেড়ে যায়। চাইলেও তারা বাবার কাছে আসতে চায় না, ভয় পায়, আতঙ্কে থাকে।

সন্তানরা আপনার রেগে থাকা অবস্থাটা বোঝে, কিন্তু প্রকাশ করে না। অনেক বাবা-মা ভাবেন, “ও তো ছোট, কিছু বুঝে না।” আসলে সন্তানেরা সব বোঝে, কিন্তু বলার মত শক্তি তাদের বয়স অনুসারে তৈরি হয় না। তারা বলতে গিয়েও গুছিয়ে বলতে পারেনা। যার কারণে কিছু বলা থেকে তারা বিরত থাকে। আপনার কণ্ঠের ধরণ, চোখের দৃষ্টি, দরজা বন্ধ করার শব্দ—সবই তারা টের পায়। কিন্তু তারা প্রতিক্রিয়া দেখায় না। কারণ তারা ভয় পায়। তারা মনে করে, "আমার কিছু বলার অধিকার নেই।"

আর এই ভয় থেকেই জন্ম নেয় আত্মগ্লানি, মানসিক দূরত্ব। কারো কারো মাঝে আবার দেখা দেয় স্থায়ী মানসিক ক্ষত।

একটা বাস্তব দৃশ্য চিন্তা করুন। বাবা রেগে গিয়ে দরজা ধাক্কা দিয়ে ঢুকলেন, মুখে কথা নেই, চোখে আগুন। মেয়ে খেলতে খেলতে চুপসে গেল। ছেলে বই নিয়ে বসেছিল, কলমটা হাত থেকে পড়ে গেল, কিছু না বলেই ঘরে চলে গেল। স্ত্রী কিছু বলার চেষ্টা করল, কিন্তু তার কণ্ঠ থেমে গেল। আর আপনি ভাবলেন, “আমি তো কিছু বলিনি!”

হ্যাঁ, আপনি কিছু বলেননি। কিন্তু আপনার রাগের আবহ পুরো ঘরকে এক মিনিটেই কাঁপিয়ে দিল।

আমরা কি এটাই চাই?

আমরা কি এটা চাইতে পারি? না, কখনোই না। শান্ত হয়ে ঘরে ফিরুন। দরজা পেরুনোর আগে মনে মনে বলুন—“রাগটা বাইরে ফেলে এলাম। পরিবার আমার শান্তির জায়গা।”

সন্তানদের দেখুন। তাদের চোখের দিকে তাকান। দেখুন কত মায়াভরা চোখে আপনার দিকে তাকিয়ে আছে তারা। দীর্ঘক্ষণ ধরে আপনার আগমনের অপেক্ষা করছে। তারা আপনার হাসি চায়, আপনার স্নেহ চায়, আপনার সাহচর্য চায়।

তাদের এই চাওয়া পূরণ করুন। দেখবেন, আপনার নিজের রাগও কমে গেছে। পরিবার থেকে যে প্রশান্তি আপনি পাবেন, তা বাইরের শত ঝামেলাকেও নিঃশেষ করে দিতে পারবে।

মনে রাখবেন, আপনার একদিনের রাগ যেন সন্তানদের সারা জীবনের অভিজ্ঞতা না হয়ে দাঁড়ায়।

এজন্য বলব, রাগ যেখানে করে আসছেন সেখানেই রেখে আসেন। বাইরের রাগ বাইরেই থাকুক। অযথা ঘরে এনে সন্তানদের মন-মানসিকতা নষ্ট করবেন না। সন্তানরা মাসুম। তারা সব সময় আপনাকে স্বাভাবিক দেখতে পছন্দ করে। আপনি যখন রেগে থাকবেন, তখন তাদের মধ্যে এক অস্বাভাবিক আতঙ্ক বিরাজ করবে। এই আতঙ্ক থেকে তারা সহজে বের হতে পারবে না। এটা খুবই ভয়ংকর। মুখ ফুটে কিছু বলবেও না, আমার প্রতিক্রিও দেখাবে না। বরং ভিতর থেকে নিজের সাথে নিজেই লড়াই করতে থাকবে।

09/06/2025

মানুষ ভুল করলে শোধরানো যায় কিন্তু মানুষটাই যদি ভুল হয় তাহলে তাকে আর শোধরানো যায় না

06/06/2025

তাক্বব্বালাল্ল-হু মিন্না ওয়া মিংকুম।
ঈদ মুবারক🐄

🌑রাগী মেয়েরা কখনোই দীর্ঘসময় টিকতে পারে না। তাদের রাগ🔥 যেমন দগদগে আগুনের মতো, তেমনি অভিমানও হয় নিঃশব্দ এক বিষের মতো 🖤 ত...
03/06/2025

🌑
রাগী মেয়েরা কখনোই দীর্ঘসময় টিকতে পারে না।
তাদের রাগ🔥 যেমন দগদগে আগুনের মতো, তেমনি অভিমানও হয় নিঃশব্দ এক বিষের মতো 🖤
তারা কাছের মানুষের আঘাত💔 সহজে সয়ে নিতে পারে না। ভিতরে ভিতরে কেঁপে ওঠে, কিন্তু মুখে বলে না কিছুই,,,,,

চোখের কোণে জমে থাকা কান্না গুলো 😞
একসময় আর বাঁধ মানে না-চুপিসারে গড়িয়ে পড়ে একটার পর একটা অশ্রুকণা 🥲

নিজেকেই অজান্তে ভেঙে ফেলে, তবুও কারও চোখে পড়ে না সেই ভাঙনের চিহ্ন।

কেউ বুঝতে পারে না, কেউ জানতে চায় না,,,

ধীরে ধীরে তারা নিঃশব্দ হতে শিখে যায় রাগ - অভিমান, কষ্ট-সব চেপে রেখে 🌫️

একসময় কেবল একটা শরীর বেঁচে থাকে, যার ভিতরটা অনেক আগেই থেমে গেছে 🕯️

তখন লোকে অবাক হয়ে বলে-

"তুই তো অনেক চুপচাপ হয়ে গেছিস, আগে তো কত প্রাণবন্ত ছিলি!"

কিন্তু কেউ বোঝে না,
সেই প্রাণটাই তো হারিয়ে গেছে বহু আগেই - চুপ করে, নিঃশব্দে 😶‍🌫️

—একজন রাগী মেয়ে, যে আজও বেঁচে আছে নিঃশব্দে... 🖤 M**I.

Address

Rangpur
5520

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Ayaan's mom posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Ayaan's mom:

Share