Bibekbangla

Bibekbangla শিকড়ের সন্ধানে। বিবেক বাংলা। একটি অন?

আমাদের কথা
বিবেকবাংলা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল কিন্তু এটিকে আমরা এমনটি দেখছি না। বিবেক দিয়ে সাজানো সব লেখনির অভিপ্রায় এখানে। যেখানে বিবেকের ঘাটতি সেখানেই আমরা উপস্থিত আর বিবেকের কাছে দায়বদ্ধ আর প্রত্যেক মানুষের কাছে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বিবেককে জাগানোর। সমাজের সকল শ্রেনীর সকল পেশার সকল গোত্রের মানুষের কাছে আমরা বিবেক হয়ে দাঁড়িয়ে আছি, ছিলাম আর থাকবো। হোক বিবেকের জয়, ফিরে আসুক মনুষ্য বিবেক-এটাই আমাদের পথচলা।
সম্পাদক, বিবেকবাংলা

09/07/2025

একটি সেতুর কারনে….স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর নির্মিত একটি সেতু পরিবর্তন এনেছে গ্রামের যোগাযোগ ব্যবস্থা ও গ.....

09/07/2025

একটি সেতুর কারনে….

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর নির্মিত একটি সেতু পরিবর্তন এনেছে গ্রামের যোগাযোগ ব্যবস্থা ও গ্রামীণ অর্থনীতির। দুর্ভোগ মুছে দিয়েছে দশটি গ্রামের বিশ হাজারের বেশি মানুষের। সেতুটি রত্নাই নদীর ওপর। এটি লালমনিরহাট সদর উপজেলার মোগলহাট ইউনিয়নের দুড়াকুটি-মেঘারাম সড়কে।

আগে রত্নাই নদী পাড়ি দিতে হতো নৌকায় আর শুস্ক মৌসুমে ভরসা ছিলো ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকো। ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করতে হতো ইউনিয়ন পরিষদ, দুড়াকুটি হাটসহ জেলা সদরের গন্তব্যে পৌঁছতে। এখন এক মিনিটের পথ। এ পরিবর্তন এনেছে ১২০ মিটার দৈর্ঘ্য ও ৮ মিটার প্রশস্তের সেতুটি।

ছয় কোটি বিশ লাখ টাকা ব্যয় নির্মিত সেতুটির নির্মাণকাজ শুরু হয় ২০১৬-২০১৭ অর্থবছরে। ঠিকাদার ছিলেন প্রয়াত গোলাম রব্বানী। আর্থিক অসঙ্গতির কারনে সময়মতো সেতুর কাজ সম্পন্ন হচ্ছিল না। বিপাকে পড়ে যান এলজিইডি কর্তৃপক্ষ। হতাশাগ্রস্থ হন স্থানীয়রা।

নানা জটিলতার পর অবশেষে সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ হয় ২০২২ সালে। প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয় সংযোগ সড়ক নির্মাণে। জমি অধিগ্রহন ছাড়াই সেতু নির্মাণের নকশা করা হয়েছিল। সেতু সংলগ্ন জমি পেতে চরম বেগ পেতে হয় এলজিইডি কর্তৃপক্ষকে। এজন্য মিলেনি বাড়তি বরাদ্দের। মুল বরাদ্দের অর্থে জমির জটিলতা নিরসন করতে সময় লেগে যায়।

নির্মাণ করা হয় সংযোগ সড়ক। ২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে সেতুর ওপর দিয়ে চলাচল শুরু হয় স্থানীয়দের। এখন চব্বিশ ঘন্টায় সেতুর ওপর দিয়ে পথচারী ও যানবাহন চলাচল করছে। স্থানীয়দের মাঝে স্বস্তি ফিরেছে।

ফুটেজ ও রিপোর্ট: দূর্জয় রায়
কণ্ঠ: কিন্তু রায়

04/07/2025

ফুটেজ দূর্জয় রায়

04/07/2025

শ্রীশ্রী জগন্নাথ দেবের পবিত্র উল্টো রথযাত্রা অনুষ্ঠিত

ফুটেজ : দূর্জয় রায়

02/07/2025

সংস্কার ছাড়া একতরফা নির্বাচনে যাবে না এনসিপি: নাহিদ ইসলাম
পদযাত্রায় ‘জুলাই সনদ’ বাস্তবায়নের ডাক

একতরফা ও সংস্কারবিহীন নির্বাচনের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান জানিয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, “সংস্কার ছাড়া কোনো নির্বাচনে আমরা অংশগ্রহণ করবো না। এ ধরনের নির্বাচন জনগণের হতে পারে না।” তিনি আরও বলেন, “একটি সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আয়োজনের জন্য যে মৌলিক সংস্কারের প্রয়োজন, তা সম্পূর্ণ করতে হবে।”

বুধবার সন্ধ্যায় লালমনিরহাট শহরের মিশন মোড় চত্বরে ‘জুলাই পদযাত্রা’র পথসভায় এসব কথা বলেন তিনি। এর আগে বিকেলে শহরের ফায়ার সার্ভিস রোডের এমটি হোসেন ইনস্টিটিউট প্রাঙ্গণে জড়ো হন দলীয় নেতা-কর্মীরা। সেখান থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার পথ পায়ে হেঁটে মিশন মোড়ে আসেন তারা। পদযাত্রাপথে পথচারী ও স্থানীয়দের সঙ্গে মতবিনিময়ও করেন নেতারা।

নাহিদ ইসলাম বলেন, “জুলাই সনদ এই মাসেই আদায় করতে হবে। রাজপথে নামা তারই অংশ। নতুন সংবিধান, জুলাই ঘোষণাপত্র এবং ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনাসহ তার সহযোগীদের বিচার নিশ্চিত করতে হবে। গত ১৬ বছরে আওয়ামী লীগ সরকার জনগণের মৌলিক অধিকার কেড়ে নিয়েছে।”
তিনি অভিযোগ করেন, “যারা সহিংস রাজনীতিতে জড়িত ছিল, সন্ত্রাসী ছিলো তাদের এখনও গ্রেপ্তার করা হয়নি। বরং বিভিন্ন জায়গায় পুনর্বাসনের চেষ্টা চলছে। এটা জনগণের সঙ্গে প্রতারণা।”

উত্তরাঞ্চলের অবহেলিত উন্নয়ন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “লালমনিরহাটসহ গোটা উত্তরাঞ্চলের উন্নয়ন বৈষম্য দূর করতে চাই আমরা। তরুণদের জন্য তথ্যপ্রযুক্তি ও কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করব।”
তিনি দাবি করেন, “একদল স্বপ্নবান তরুণের রক্তের বিনিময়ে এনসিপি গঠিত হয়েছে। তাদের আকাঙ্ক্ষা পূরণ করাই আমাদের লক্ষ্য। আমরা নতুন বাংলাদেশ গড়েছি, এবার সেটিকে এগিয়ে নিতে হবে সংস্কার, বিচার ও নতুন সংবিধানের মধ্য দিয়ে।”

পথসভায় দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, “স্বৈরশাসকদের উত্তরসূরিরা এখনো দেশকে লুটেপুটে খাচ্ছে। খুনি, ধর্ষক ও দুর্নীতিবাজরা স্বাধীনতার সুফল ভোগ করছে। নতুন বাংলাদেশে এদের কোনো জায়গা থাকবে না।”

লালমনিরহাটের পথসভায় আরও উপস্থিত ছিলেন এনসিপির মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম, কেন্দ্রীয় মুখ্য সমন্বয়ক নাসিরুদ্দিন পাটোয়ারী, সদস্যসচিব আখতার হোসেন, সিনিয়র যুগ্ম সদস্যসচিব ডা. তাসনিম জারা, যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন ও কৈলাস রবিদাসসহ কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা।

ফুটেজ ও রিপোর্ট: দূর্জয় রায়

ভুয়া সনদে আল নাহিয়ান ট্রাস্টে চাকরিসাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রীর চার আত্মীয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগসাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জা...
01/07/2025

ভুয়া সনদে আল নাহিয়ান ট্রাস্টে চাকরি
সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রীর চার আত্মীয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ

সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদের চার আত্মীয় ভুয়া শিক্ষাগত সনদ ব্যবহার করে শেখ জায়েদ বিন সুলতান আল নাহিয়ান ট্রাস্ট এবং এর অধীনস্থ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে চাকরি নিয়েছেন—এমন গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। ট্রাস্টটি সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধিন পরিচালিত হয়।
বর্তমানে সাবেক মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ দুর্নীতি ও হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে রয়েছেন। তার বাড়ি লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলায়।

সম্প্রতি চারজনের নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে লালমনিরহাট জেলা প্রশাসকের কাছে ৪২ পৃষ্ঠার একটি লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন সদর উপজেলার মহেন্দ্রনগর এলাকার বাসিন্দা লাভলু শেখ। অভিযোগ যাচাই-বাছাই করে জেলা প্রশাসক সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর বিষয়টি পাঠিয়েছেন বলে জানা গেছে।

জানা গেছে, সাবেক মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদের শ্যালিকার মেয়ে উম্মে হাবিবা, মামাতো ভাইয়ের মেয়ে আরিফা খানম, তার স্বামী নুরুল আলম হবু এবং মামাতো ভাইয়ের ছেলের স্ত্রী আমিনা খাতুন শেখ জায়েদ ট্রাস্ট ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোতে নানা পদে চাকরি পান। তাদের অধিকাংশের বিরুদ্ধে ভুয়া সনদে চাকরিতে যোগদান ও যোগ্যতাবিহীনভাবে নিয়োগের অভিযোগ রয়েছে। তাদের বাড়ি লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলায়।

লাভলু শেখ বলেন, “ক্ষমতার অপব্যবহার করে আত্মীয়তার সুবাদে অযোগ্য প্রার্থীদের গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগ দিয়ে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানকে অবমাননা করা হয়েছে। আমার অভিযোগের সঙ্গে প্রমাণস্বরূপ ডকুমেন্ট যুক্ত রয়েছে। আশা করি, নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে সত্য বেরিয়ে আসবে।”

অভিযোগপত্রের তথ্য অনুযায়ী, উম্মে হাবিবা ২০২১ সালে এইচএসসি পাস নিয়ে ট্রাস্টের প্রশাসনিক কর্মকর্তা পদে চাকরি পান, যেখানে ন্যূনতম স্নাতকোত্তর ডিগ্রি আবশ্যিক ছিল। তাকে পরবর্তীতে ঢাকার মিরপুরে অবস্থিত আল নাহিয়ান শিশু পরিবারের উপতত্ত্বাবধায়কের অতিরিক্ত দায়িত্বও দেওয়া হয়। তার বিরুদ্ধে ট্রাস্টের ফ্লাট ভাড়া তুলে তা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে।
আরিফা খানম ২০১৮ সালে সহকারী শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পান। অভিযোগ, তিনি বিএড ডিগ্রির জাল সনদ জমা দেন।
আমিনা খাতুন ২০২১ সালে বিএড ও এমএড ডিগ্রি ছাড়াই সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ পান।
নুরুল আলম হবু ২০১৬ সালে সহকারী শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পান, তার শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ নিয়েও রয়েছে জালিয়াতির অভিযোগ।

এই চারজনই দীর্ঘদিন ধরে প্রতিষ্ঠানগুলোতে প্রভাব বিস্তার করে আসছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। লালমনিরহাট আল নাহিয়ান শিশু পরিবারের কয়েকজন কর্মকর্তা-কর্মচারীর দাবি, “তারা পতিত আ.লীগ সরকার আমলে এতটাই প্রভাবশালী ছিলেন যে, তাদের বিরুদ্ধে মুখ খোলার সাহস কেউ পেত না। অনেক সময় দায়িত্বও ঠিকমতো পালন করতেন না।” তাদের মধ্যে বর্তমানে ২জন কর্মরত আছেন লালমনিরহাটে, বাকি ২জন ঢাকার মিরপুর ও বনানীতে রয়েছেন।

অভিযোগ প্রসঙ্গে উম্মে হাবিবা বলেন, “আমি যোগ্য বলেই চাকরি পেয়েছি। সাবেক মন্ত্রীর আত্মীয় হওয়াটাই যেন দোষ হয়ে গেছে।”
আরিফা খানম বলেন, “আমার সনদ পুরোপুরি বৈধ। তদন্ত হলে প্রমাণ দিতে প্রস্তুত।”
আমিনা খাতুন ও নুরুল আলম হবু অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, “আমাদের বিরুদ্ধে বানোয়াট অভিযোগ আনা হয়েছে। এটি একটি পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র।”

লালমনিরহাটের জেলা প্রশাসক এইচ এম রকিব হায়দার বলেন, “প্রাপ্ত অভিযোগটি আমলে নিয়ে তা সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। এটির সাথে অভিযুক্তদের নিয়োগ সংক্রান্ত সকল ডকুমেন্ট সংযুক্ত করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট দপ্তর তদন্ত করে সত্যতা পেলে বিধিমোতাবেক ব্যবস্থা নেবে।”

রিপোর্ট: দূর্জয় রায়

প্রেমের টানে কাঁটাতার ডিঙিয়ে বাংলাদেশে, প্রেমিক এখন কারাগারেসীমানা পেরিয়ে এসেছে ভালোবাসা, তবে শেষমেশ গন্তব্য হলো কারাগার...
30/06/2025

প্রেমের টানে কাঁটাতার ডিঙিয়ে বাংলাদেশে, প্রেমিক এখন কারাগারে

সীমানা পেরিয়ে এসেছে ভালোবাসা, তবে শেষমেশ গন্তব্য হলো কারাগার। প্রেমিকার টানে কাঁটাতারের বেড়া ডিঙিয়ে বাংলাদেশে ঢুকে পড়া ভারতীয় যুবক আরিয়ান মির্জাকে (২২) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
রবিবার (২৯ জুন) রাতে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার ডাউয়াবাড়ী ইউনিয়নের উত্তর বিছনদই এলাকায় প্রেমিকার বাড়ি থেকে তাকে আটক করা হয়। পরদিন সোমবার লালমনিরহাট জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তোলা হলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

আটক আরিয়ান মির্জা ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মুর্শিদাবাদ জেলার বহরমপুর শহরের বাসিন্দা। তার বাবার নাম রাজেস মির্জা।

প্রেমের জন্য সীমান্ত ডিঙোনোর ঘটনা বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে নতুন নয়। তবে অনেক সময়ই এমন ভালোবাসা আইনের কাঁটাতারে জড়িয়ে পড়ে, ঠিক যেমনটি হয়েছে আরিয়ানের বেলায়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, ফেসবুকে পরিচয়ের সূত্র ধরে ডাউয়াবাড়ীর এক যুবতীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়ান আরিয়ান। প্রেম চলছিল দুই বছর ধরে। অবশেষে প্রেমিকার ‘বিয়ের আশ্বাসে’ উদ্বুদ্ধ হয়ে সীমান্ত পেরিয়ে প্রেমিকার বাড়িতে চলে আসেন তিনি—তবে কোনো বৈধ কাগজপত্র ছাড়াই।
রবিবার সকালে অনুপ্রবেশ করলেও সন্ধ্যার পর স্থানীয়দের নজরে পড়ে বিষয়টি। পুলিশ খবর পেয়ে রাত ১১টার দিকে প্রেমিকার বাড়ি থেকে তাকে আটক করে।

জিজ্ঞাসাবাদে আরিয়ান মির্জা পুলিশকে বলেন, “দুই বছর ধরে আমরা প্রেম করছি। তাকে ভালোবেসে আমি কাঁটাতার পার হয়েছি। আমার প্রেম নিষ্পাপ ও সত্যিকারের। আমি এখনো তাকে ভালোবাসি, সারাজীবন ভালোবেসে যাবো। যদি প্রেমে খাঁটি হই, একদিন ওকে নিশ্চয়ই পাবো।”

প্রেমিকার বক্তব্যে খানিকটা দ্বিধা-দ্বন্দ্বের ছাপ পাওয়া যায়। তিনি বলেন, “ফেসবুকে পরিচয় থেকে আমাদের প্রেমের শুরু। তবে আমি তার বাড়ি-ঘর বা পরিবার সম্পর্কে কিছুই জানি না। একক সিদ্ধান্তে সে বাংলাদেশে এসেছে। বিষয়টি আমার জন্য খুবই বিব্রতকর হলেও আমি মুগ্ধ—তার ভালোবাসার সাহস দেখে।”

হাতীবান্ধা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহমুদুন নবী বলেন, “ভারতীয় নাগরিক আরিয়ান মির্জা পাসপোর্ট ছাড়াই বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। তাকে আটক করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে পাসপোর্ট আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।”

রিপোর্ট: দূর্জয় রায়

27/06/2025

লালমনিরহাটে হিন্দু সেজে মন্দিরে প্রবেশ করায় পাঁচ নারী আটকলালমনিরহাটে হিন্দু সেজে মন্দিরে প্রবেশ করায় পাঁচ নারী...

27/06/2025

লালমনিরহাটে হিন্দু সেজে মন্দিরে প্রবেশ করায় পাঁচ নারী আটক

লালমনিরহাটে হিন্দু সেজে মন্দিরে প্রবেশ করায় পাঁচ নারীকে আটক করেছে পুলিশ। শুক্রবার দুপুরে সদর উপজেলার বানিয়াদীঘি এলাকায় শ্রীশ্রী রাধা গিরিধারী মন্দিরে এ ঘটনা ঘটে। আটককৃতদের থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

আটক নারীরা হলেন—ময়মনসিংহ জেলার মুক্তাগাছা উপজেলার কলতাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা লিপি আক্তার (২৫), রোসা খাতুন (২২), বুশ নাহার (৩৫), শিল্পী খাতুন (২০) ও রেজিনা খাতুন (২৮)। তাদের প্রত্যেকের বাড়ি একই গ্রামে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার রথযাত্রা উপলক্ষে মন্দিরে বিপুল সংখ্যক ভক্তের সমাগম ঘটে। এ সময় পাঁচ নারী হাতে শাঁখা ও কপালে সিঁদুর পরে ভক্তদের সঙ্গে মিশে পড়েন। তারা পূজার্চনায় অংশগ্রহণ করার পাশাপাশি মন্দির এলাকায় ঘোরাফেরা করছিলেন। তবে তাদের গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হওয়ায় উপস্থিত ভক্তদের কয়েকজন বিষয়টি পুলিশকে জানান।
পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সুনির্দিষ্ট কোনো উত্তর না পাওয়ায় মন্দির কর্তৃপক্ষের অফিস কক্ষে এনে পুনরায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তখন তারা নিজেদের প্রকৃত পরিচয় স্বীকার করেন। তবে কী উদ্দেশ্যে তারা হিন্দু সেজে মন্দিরে প্রবেশ করেছিলেন, সে বিষয়ে সন্তোষজনক ব্যাখ্যা দিতে পারেননি।

শ্রীশ্রী রাধা গিরিধারী মন্দিরের অধ্যক্ষ মহাকৃষ্ণ প্রেম দাস ব্রহ্মচারী বলেন, “শ্রীজগন্নাথ দেবের রথযাত্রা উপলক্ষে এ মন্দিরে হাজারো ভক্তের সমাগম হয়। সেই ভিড়ে মিশে পড়েন পাঁচ ভিন্নধর্মী নারী। তারা হয়তো কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটাতে চেয়েছিলেন, তবে পুলিশের তৎপরতায় তা রোধ করা সম্ভব হয়েছে।”

লালমনিরহাট সদর থানার অফিসার্স ইনাচর্জ (ওসি) মোহাম্মদ নুরনবী বলেন, “আটক নারীরা একটি সংঘবদ্ধ চক্রের সদস্য। তারা ধর্মীয় অনুষ্ঠানে ভিড়ের মধ্যে ঢুকে নারীদের কাছ থেকে স্বর্ণালংকার, মোবাইল ফোন, টাকা-পয়সা ও অন্যান্য জিনিস হাতিয়ে নেয়। এই ঘটনার নেপথ্যে অন্য কোনো উদ্দেশ্য ছিল কি না, সেটিও আমরা খতিয়ে দেখছি।”
তিনি আরও জানান, পাঁচ নারীকে থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ফুটেজ ও রিপোর্ট: দূর্জয় রায়

27/06/2025

শ্রীশ্রী জগন্নাথ দেবের রথযাত্রায় হাজারো ভক্তের ঢলউৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত রথযাত্রালালমনিরহাটে ধর্মীয় ভাবগম....

27/06/2025

শ্রীশ্রী জগন্নাথ দেবের রথযাত্রায় হাজারো ভক্তের ঢল
উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত রথযাত্রা

লালমনিরহাটে ধর্মীয় ভাবগম্ভীর পরিবেশে এবং হাজারো ভক্ত-অনুরাগীর অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হয়েছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব — শ্রীশ্রী জগন্নাথ দেবের রথযাত্রা।

শুক্রবার বিকেলে সদর উপজেলার বানিয়াদীঘি এলাকার ঐতিহ্যবাহী শ্রীশ্রী রাধা গিরিধারী মন্দির থেকে বিশাল আয়োজনে রথযাত্রার শুভ সূচনা হয়। সূর্য ওঠার আগ থেকেই মন্দির প্রাঙ্গণে ভক্তদের ভিড় বাড়তে থাকে। বর্ণিল সাজে সজ্জিত রথে অবস্থান নেন শ্রী জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রা। রথযাত্রা শুরুর আগে মন্দিরে অনুষ্ঠিত হয় বিশেষ পূজা, আরতি ও হরিনাম সংকীর্তন।

রথযাত্রা মন্দির থেকে শুরু হয়ে শহরের মিশন মোড়, হাসপাতাল রোড, সাপ্টানা বাজার, কালীবাড়ী, বিডিআর রোড, নয়পারহাট, বাহাদুর মোড়, প্রদক্ষিণ করে। শহরের অলিগলিতে, সড়কের ধারে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষ হাতজোড় করে রথের দর্শন নেন। অনেকে আবার রশিতে টেনে রথ টানার সৌভাগ্য অর্জনে অংশ নেন।
রথের পেছনে নারী-পুরুষ-শিশুদের দীর্ঘ শোভাযাত্রা চলে, যারা হরিনাম গীত, ঢাক-ঢোল ও শঙ্খধ্বনির সঙ্গে এগিয়ে যান। অনেকেই রঙিন ধ্বজা-পতাকা, ফুল, এবং ধর্মীয় পতাকা হাতে নিয়ে রথযাত্রাকে উৎসবমুখর করে তোলেন।

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার বালারহাট থেকে আসা ভক্ত সুবাস চন্দ্র বর্মণ (৭৫) জানান, তিনি প্রতিবছরই শ্রীশ্রী জগন্নাথ দেবের রথ যাত্রায় অংশগ্রহন করেন। রথে রশি টানেন। প্রসাদন গ্রহন করেন। ‘আমরা বিশ্বাস করি রথের রশি টানলে মঙ্গল প্রাপ্তি হয়।’
পাটগ্রাম উপজেলার সরকারেরহাট এলাকা থেকে আসা গঙ্গাধর রায় (৬০) জানান, বানিয়াদীঘির শ্রীশ্রী রাধা গিরিধারী মন্দিরের রথ যাত্রা জেলার সবচেয়ে বড় উৎসব। তিনি প্রতিবছর এখানে আসেন। রথের রশি টেনে ভগবানের আর্শীবাদ লাভ করেন।

শ্রীশ্রী রাধা গিরিধারী মন্দিরের অধ্যক্ষ মহাকৃষ্ণ প্রেম দাস ব্রহ্মচারী বলেন, “লালমনিরহাটের বানিয়াদীঘি রথযাত্রা শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য বহন করে। প্রতিবছরের মতো এবারও ভক্তদের উপস্থিতি ছিল বিপুল। সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে রথযাত্রা শেষ হওয়ায় আমরা সকল ভক্ত ও স্থানীয় প্রশাসনের প্রতি কৃতজ্ঞ।”
তিনি আরও জানান, নয়দিন পর ‘উল্টো রথযাত্রার’ মাধ্যমে শ্রীজগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রা দেবীকে পুনরায় মন্দিরে ফিরিয়ে আনা হবে। এ সময়টুকু মন্দিরে প্রতিদিনই চলবে বিশেষ পূজা, ধর্মীয় আলোচনা ও প্রসাদ বিতরণ।

লালমনিরহাট সদর থানার ওসি (তদন্ত) বাদল কুমার মন্ডল জানান, রথযাত্রা উপলক্ষে লালমনিরহাট জেলা পুলিশ ও ট্রাফিক বিভাগ পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ও যান চলাচল নিয়ন্ত্রণে বিশেষ ব্যবস্থা নেয়। মন্দির প্রাঙ্গণ ও শোভাযাত্রার রুটে ছিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর টহল।

রথযাত্রাকে ঘিরে পুরো শহর জুড়ে ছিল উৎসবমুখর পরিবেশ। ধর্মীয় উৎসব হলেও, এটি হয়ে উঠেছিল সর্বজনীন এক মিলনমেলা। লালমনিরহাট ছাড়াও আদিতমারী উপজেলার মহিষাশহর রথেরপাড় এলাকায়, কুড়িগ্রাম শহরে, রংপুর ও তারাগঞ্জে রথযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সবখানে ছিলো উৎসবমুখর পরিবেশ।

ফুটেজ ও রিপোর্ট: দূর্জয় রায়

কুড়িগ্রাম আঞ্চলিক হাঁস প্রজনন খামারে সরবরাহ সংকটচাহিদামতো হাঁসের বাচ্চা পাচ্ছেন না খামারিরাকুড়িগ্রামের আঞ্চলিক হাঁস প্রজ...
16/06/2025

কুড়িগ্রাম আঞ্চলিক হাঁস প্রজনন খামারে সরবরাহ সংকট
চাহিদামতো হাঁসের বাচ্চা পাচ্ছেন না খামারিরা

কুড়িগ্রামের আঞ্চলিক হাঁস প্রজনন খামারে চাহিদামতো হাঁসের বাচ্চা না পাওয়ায় স্থানীয় খামারিদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। তারা বলছেন, অগ্রিম বুকিং দিয়েও সময়মতো বাচ্চা বা হ্যাচারী ডিম মিলছে না। এতে হাঁস পালনে লাভের মুখ দেখা কঠিন হয়ে পড়েছে বলে অভিযোগ তাদের।

২০১৬ সালে দারিদ্র্য বিমোচনের লক্ষ্যে তিন একর জমির ওপর এই খামারটি প্রতিষ্ঠা করা হয়। বর্তমানে ইংল্যান্ডের খাকি ক্যামেল ও চীনের জিংডিং জাতের উন্নতমানের হাঁসের বাচ্চা সরবরাহ করা হয় এখান থেকে। খামারটি প্রতিবছর ৫০ হাজার হাঁসের বাচ্চা সরবরাহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করলেও বাস্তব চাহিদা প্রায় দুই লাখেরও বেশি।

হাঁস পালনকারীরা বলছেন, খামার থেকে একেকটি বাচ্চা ২৫ টাকায় পাওয়া যায়, অথচ বাজারে একই জাতের বাচ্চার দাম ৮০ থেকে ১০০ টাকা। খামার থেকে পর্যাপ্ত সরবরাহ না থাকায় অনেকে বাইরে থেকে বেশি দরে তা কিনছেন। কেউ কেউ অভিযোগ করেছেন, কর্তৃপক্ষ পছন্দের কিছু খামারিকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে।

যাত্রাপুরের খামারি নূর ইসলাম (৫৫) বলেন, “দেশি হাঁস বছরে ডিম দেয় ৮০-১০০টি। কিন্তু খাকি ক্যামেল ও জিংডিং জাতের হাঁস দেয় ২৩০-২৫০টি। অথচ এই জাতের বাচ্চা ও হ্যাচারী ডিমের জন্য বারবার ধরনা দিয়েও সরকারি খামার থেকে পাওয়া যাচ্ছে না।”

মোগলবাসার আরেক খামারি জাহিদ হোসেন (৫০) বলেন, “আমি প্রতিবছর ২৫০ থেকে ৩০০টি বাচ্চা খামার থেকে সংগ্রহ করি। উন্নত জাতের এসব হাঁস পালনে লাভ হচ্ছে ঠিকই, কিন্তু চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ না পাওয়ায় উৎপাদন বাড়ানো যাচ্ছে না।”

চর গোড়কমন্ডলের খামারি মনছের আলী (৪৫) জানান, হাঁস পালন করে স্বাবলম্বী হতে চান কুড়িগ্রামসহ উত্তরাঞ্চলের অনেক খামারি। চাহিদার ভিত্তিতে হাঁসের বাচ্চার উৎপাদন ও সরবরাহ বাড়াতে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন। তা না হলে এই খাতের সম্ভাবনাময় ভবিষ্যৎ বাধাগ্রস্ত হতে পারে।

প্রজনন খামার সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে খামারে রয়েছে ৮০০টি লেয়ার হাঁস এবং ১৪০টি হাঁসা। প্রতি লেয়ার হাঁস বছরে ডিম দেয় ২৩০ থেকে ২৫০টি। খামারে ৬টি লেয়ার শেড, ১টি গ্রোয়িং শেড এবং ১টি বোর্ডিং শেড রয়েছে।

প্রজনন খামারের পোল্ট্রি ডেভেলপমেন্ট অফিসার মো. আসাদুজ্জামান বলেন, “প্রতি বছর ৫০ হাজার বাচ্চা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও আমরা তার চেয়েও বেশি বাচ্চা উৎপাদন করছি। তবে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকেও চাহিদা আসায় চাষিদের প্রত্যাশা পূরণ সবসময় সম্ভব হয় না।”
তিনি বলেন, “শেড, লেয়ার হাঁস ও হাঁসার সংখ্যা বাড়াতে আমরা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। আমাদের কাছে বাচ্চা বা ডিম থাকলে কোনো চাষিকে খালি হাতে ফেরানো হয় না।”

রিপোর্ট: দূর্জয় রায়

Address


Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Bibekbangla posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

  • Want your business to be the top-listed Media Company?

Share