Creation Of Rangpur

Creation Of Rangpur Embracing the Tradition & Culture of Rangpur

আমিও তৈরি করে ফেললাম 🤣🤣🤣
12/09/2025

আমিও তৈরি করে ফেললাম 🤣🤣🤣

Let's go together 📣📣📣
12/09/2025

Let's go together 📣📣📣

দুর্গাপূজা: এক গভীর আধ্যাত্মিক দর্শন এবং সার্বজনীনতার উৎসব​দুর্গাপূজা কেবল একটি ধর্মীয় উৎসব নয়, এর গভীরে লুকিয়ে আছে এ...
08/09/2025

দুর্গাপূজা: এক গভীর আধ্যাত্মিক দর্শন এবং সার্বজনীনতার উৎসব
​দুর্গাপূজা কেবল একটি ধর্মীয় উৎসব নয়, এর গভীরে লুকিয়ে আছে এক বিশাল আধ্যাত্মিক দর্শন যা মানব জীবনের বিভিন্ন দিককে স্পর্শ করে। এটি কেবল প্রতিমা পূজা নয়, বরং মানব চেতনার জাগরণ এবং আত্মশুদ্ধির এক প্রতীকী রূপ।
​দুর্গাপূজায় সার্বজনীনতা
​দুর্গাপূজা একসময় শুধুমাত্র জমিদার বা বিত্তশালীদের বাড়ির মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তা সার্বজনীন রূপ ধারণ করে। এর প্রধান কারণ হলো, এই পূজা কোনো বিশেষ গোষ্ঠীর মধ্যে আটকে না থেকে সবার জন্য উন্মুক্ত হয়েছে। এটি জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সবাইকে এক মিলনমেলায় একত্রিত করে। প্যান্ডেল তৈরি থেকে শুরু করে প্রতিমা স্থাপন, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং প্রসাদ বিতরণ—সবকিছুতেই সকল ধর্মের মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নেয়। এটি প্রমাণ করে যে, দুর্গাপূজা কেবল একটি পূজা নয়, এটি এক সামাজিক উৎসব যা সমাজের সকল স্তরের মানুষের মধ্যে সম্প্রীতি ও ভালোবাসা ছড়িয়ে দেয়।
​দেবী দুর্গা এবং আধ্যাত্মিক প্রতীকবাদ
​দেবী দুর্গা হলেন মহাশক্তির প্রতীক। তিনি শুধু মহিষাসুরকে বধ করেননি, বরং জগতের সকল অশুভ শক্তিকে দমন করার জন্য আবির্ভূত হয়েছেন। তাঁর দশটি হাত দশ দিকের প্রতীক, যা বোঝায় যে তিনি সমগ্র বিশ্বকে রক্ষা করেন। তাঁর হাতে থাকা অস্ত্রগুলো আমাদের ভেতরের খারাপ প্রবৃত্তিগুলোকে ধ্বংস করার প্রতীক:
​শঙ্খ: এটি জ্ঞানের প্রতীক, যা আমাদের ভেতরের অজ্ঞানতাকে দূর করে।
​ত্রিশূল: এটি সত্ত্ব, রজঃ, ও তমঃ—এই তিন গুণের ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার প্রতীক।
​খড়্গ: এটি জ্ঞান ও বিদ্যার প্রতীক যা অন্ধকার থেকে আলোর পথে নিয়ে যায়।
​অসুর নিধন এবং ভিতরের সংগ্রাম
​দুর্গাপূজার মূল কাহিনি হলো মহিষাসুর বধ। আধ্যাত্মিক দৃষ্টিকোণ থেকে, মহিষাসুর কোনো বাইরের শত্রু নয়, বরং আমাদের প্রত্যেকের ভেতরের অহংকার এবং অজ্ঞানতার প্রতীক। মহিষাসুর এমন এক অবস্থা, যেখানে মানুষ শুধু নিজের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণে মগ্ন থাকে এবং আত্মশুদ্ধির পথ থেকে বিচ্যুত হয়। দেবী দুর্গা যখন মহিষাসুরকে বধ করেন, তখন তা আসলে আমাদের অহংবোধের বিনাশের প্রতীকী রূপ। এটি আমাদের ভেতরের ষড়রিপু (কাম, ক্রোধ, লোভ, মোহ, মদ, মাৎসর্য) এবং অহংকারের বিরুদ্ধে এক নিরন্তর আধ্যাত্মিক যুদ্ধের বার্তা দেয়।
​প্রকৃতি এবং নারীশক্তি তথা মাতৃশক্তির উপাসনা
​দুর্গাপূজা হলো প্রকৃতি এবং নারীশক্তির প্রতি শ্রদ্ধার এক অসামান্য উদাহরণ।
​নবপত্রিকা: পূজার শুরুতে নবপত্রিকা স্থাপন করা হয়, যা ৯টি ভিন্ন উদ্ভিদের সমন্বয়ে গঠিত। এই ৯টি উদ্ভিদ আসলে প্রকৃতির ৯টি রূপের প্রতীক। এর মাধ্যমে বলা হয় যে, প্রকৃতির প্রতিটি উপাদানই পবিত্র এবং পূজনীয়। এটি আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে, প্রকৃতিকে রক্ষা করা আমাদের দায়িত্ব।
​মাতৃশক্তির উপাসনা: দেবী দুর্গা হলেন নারীশক্তির পরম রূপ। তিনি একাধারে মাতৃস্বরূপা, সংহারিণী এবং শক্তির উৎস। এই পূজা আমাদের শেখায় যে, সমাজে নারীকে শুধু সম্মান জানানোই নয়, বরং তাকে সমমর্যাদা এবং স্বাধীনতা দেওয়াও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি নারীর অন্তর্নিহিত শক্তির স্বীকৃতি।
​জগতের কল্যাণ তথা সৃষ্টিতে স্বস্তি ফিরিয়ে আনা
​দুর্গাপূজার চূড়ান্ত লক্ষ্য হলো জগতের কল্যাণ এবং সৃষ্টিতে শান্তি ফিরিয়ে আনা। দেবী দুর্গার আগমন মহিষাসুরের অত্যাচার থেকে জগৎকে রক্ষা করেছিল। একইভাবে, এই পূজা আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে, ব্যক্তিগত লোভ, হিংসা এবং অশুভ শক্তিকে পরাজিত করে সমাজে শান্তি ও স্বস্তি প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব। এটি শুধু নিজের মঙ্গলের জন্য নয়, বরং সমগ্র মানবজাতির এবং এই পৃথিবীর মঙ্গলের জন্য কাজ করার এক গভীর বার্তা দেয়। এই পূজা আমাদের শেখায় যে, সত্যিকারের আনন্দ তখনই পাওয়া যায় যখন আমরা নিজেদের ছোট গণ্ডি থেকে বেরিয়ে এসে বৃহত্তর কল্যাণের জন্য কাজ করি।
​সব মিলিয়ে, দুর্গাপূজা শুধুমাত্র আনন্দ-উৎসব নয়, এটি আত্মশুদ্ধি, নৈতিকতার শিক্ষা এবং ভেতরের অন্ধকার শক্তির বিরুদ্ধে এক আধ্যাত্মিক সংগ্রামের উৎসব। এটি আমাদের শেখায় যে, সত্যিকারের শক্তি বাইরে নয়, বরং আমাদের নিজেদের ভেতরেই নিহিত। 🙏🙏🙏
🙏

08/09/2025

Good Night
Dear Family 🌹🌹🌹

08/09/2025

কেমন আছেন সবাই

05/09/2025

আড্ডা ❤️❤️❤️

03/09/2025

আড্ডার টাইম ❤️❤️❤️

03/09/2025

জমকালো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে 👏👏👏

সূর্য অস্ত যাচ্ছে, আর তার শেষ আভাটুকু যেন মিশে যাচ্ছে মেঘে ঢাকা আকাশের ধূসরতার সাথে। পুরোনো কাঠের বেঞ্চিতে চুপচাপ বসে আছ...
03/09/2025

সূর্য অস্ত যাচ্ছে, আর তার শেষ আভাটুকু যেন মিশে যাচ্ছে মেঘে ঢাকা আকাশের ধূসরতার সাথে। পুরোনো কাঠের বেঞ্চিতে চুপচাপ বসে আছে রিয়া। তার চোখ দুটো লাল, ফোলা, আর অশ্রুর নোনা স্বাদ যেন আজও লেগে আছে ঠোঁটের কোণে। প্রতিটি শ্বাস-প্রশ্বাসের সাথে তার বুক চিরে বেরিয়ে আসছে এক অব্যক্ত যন্ত্রণা।
​বেঞ্চির পাশে পড়ে থাকা শুকনো পাতাটা যেন তারই জীবনের প্রতিচ্ছবি। একসময় সবুজ আর সতেজ ছিল, কিন্তু সময়ের সাথে সাথে শুকিয়ে বিবর্ণ হয়ে গেছে। রিয়া তার দু'হাতে মুখ ঢেকে বসে আছে। সে যেন চেষ্টা করছে বাইরের পৃথিবীর সব শব্দ, সব অনুভূতি থেকে নিজেকে আড়াল করতে। কিন্তু ভেতরের ঝড় তাকে অস্থির করে তুলছে।
​আজও তার মনে পড়ে সেই দিনটার কথা। শেষবার যখন সে প্রাণ খুলে হেসেছিল। এরপর সব যেন বদলে গেল। স্বপ্নগুলো কাঁচের টুকরোর মতো ভেঙে চৌচির হয়ে গেল। রিয়া চোখ বন্ধ করে। সে যেন চাইছে সময়ের কাঁটাটা যদি উল্টো দিকে ঘুরিয়ে দেওয়া যেত! যদি সব পুরোনো স্মৃতি মুছে ফেলা যেত!
​কিন্তু সে জানে, তা সম্ভব নয়। এই কষ্ট, এই শূন্যতা তাকে বয়ে বেড়াতে হবে আরও অনেক দিন। হয়তো সারা জীবন। একটি হালকা বাতাস এসে তার ভেজা চুলগুলোকে এলোমেলো করে দিয়ে গেল। রিয়া চোখ মেলে তাকায়। সামনের গাছগুলোর দিকে তাকিয়ে তার মনে হয়, প্রকৃতিও যেন তার নীরব কান্নার সাক্ষী।
​সন্ধ্যা নেমে আসছে। আলো ক্রমশ কমে আসছে। রিয়া ধীরে ধীরে বেঞ্চি থেকে উঠে দাঁড়ায়। তার ভেতরের কষ্টটা যেন জমাট বেঁধে গেছে। সে জানে না এরপর কী হবে। তবে, সে শুধু জানে, এই যন্ত্রণা তাকে হয়তো আরও শক্তিশালী করে তুলবে, অথবা চিরদিনের জন্য বিলীন করে দেবে কোনো এক গভীর অন্ধকারে।

02/09/2025

আজকের লালমনিরহাট এর প্রোগ্রামের অংশ 👉
লালন ব্যান্ডের পরিবেশনা ✅✅✅✅✅

তোমার নীরবতাই হোক সবচেয়ে বড় প্রতিবাদএকবার এক ব্যক্তি তার বাগানে একটি সুন্দর ফুল গাছ লাগালেন। প্রতিদিন তিনি সেই গাছে জল...
30/08/2025

তোমার নীরবতাই হোক সবচেয়ে বড় প্রতিবাদ
একবার এক ব্যক্তি তার বাগানে একটি সুন্দর ফুল গাছ লাগালেন। প্রতিদিন তিনি সেই গাছে জল দিতেন, যত্ন নিতেন। কিন্তু কিছু দুষ্টু লোক এসে প্রায়ই সেই গাছটির পাতা ছিঁড়ে দিত, ডাল ভেঙে দিত। লোকটি খুব হতাশ হয়ে পড়লেন। একদিন তিনি ঠিক করলেন, এবার যখন তারা আসবে, তিনি তাদের সঙ্গে ঝগড়া করবেন।
রাতে তিনি লুকিয়ে বসে রইলেন। মধ্যরাতে যখন সেই দুষ্টু লোকেরা এলো, তারা দেখল গাছের প্রতিটি ডালে অসংখ্য ফুল ফুটে আছে। ফুলের এমন সৌন্দর্য দেখে তারা মুগ্ধ হয়ে গেল। তাদের মনে লজ্জা এলো। তারা সেদিন আর গাছের কোনো ক্ষতি করল না, বরং মুগ্ধ হয়ে ফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করল। এরপর থেকে তারা আর কোনোদিন ওই বাগানে এলো না।
এই গল্পের সবচেয়ে বড় শিক্ষা হলো, ঘৃণা দিয়ে ঘৃণা জেতা যায় না। যখন কেউ তোমাকে আঘাত করে বা খারাপ ব্যবহার করে, তখন তার সঙ্গে ঝগড়া করে বা তাকে গালি দিয়ে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়। তখন তোমার নীরবতা, তোমার ভালো ব্যবহার এবং তোমার নিজের কাজই সবচেয়ে বড় প্রতিবাদ হয়ে ওঠে। তোমার ভেতরের সৌন্দর্য ও শক্তিই পারে বাইরের সব নেতিবাচকতাকে জয় করতে। তাই, তোমার শক্তি হোক তোমার নীরবতা, আর তোমার ভালো কাজই হোক তোমার জবাব।
😍

Address

Lalmonirhat
5500

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Creation Of Rangpur posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

Category