Daily Madaripur Sangbad-দৈনিক মাদারীপুর সংবাদ

Daily Madaripur Sangbad-দৈনিক মাদারীপুর সংবাদ মাদারীপুর জেলাসহ সকল সংবাদ পেতে আমাদ?

শিবচর উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা ও উত্তর বহেরাতলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থী নুরুল হক শিকদারকে আটক করেছে শিবচর থানা  পুলিশ...
12/06/2025

শিবচর উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা ও উত্তর বহেরাতলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থী নুরুল হক শিকদারকে আটক করেছে শিবচর থানা পুলিশ। আজ রাতে তাকে আটক করা হয়।

29/05/2025

যৌতুক না পেয়ে দ্বিতীয় বিয়ে, প্রথম স্ত্রীকে মেরে ফেলার চেষ্টার অভিযোগ দালাল মিঠু কাজী ও তার ভাই মিলন কাজীর বিরুদ্ধে ।
মাদারীপুর প্রতিনিধি : মাদারীপুর সদর কালির বাজার (মিরিকদিয়া) এলাকায় যৌতুক না পেয়ে দ্বিতীয় বিয়ে করেছেন মিলন কাজী নামে এক যুবকর বিরুদ্ধে। এছাড়া প্রথম স্ত্রীকে মেরে ফেলার চেষ্টার অভিযোগ মানবপাচার চক্রের অন্যতম দালাল মিঠু কাজী ও তার ভাই মিলন কাজীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় মাদারীপুর আদালতে মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী ওই নারী।
জানা যায়, মাদারীপুর সদর উপজেলার কালির বাজার ( মিরিকদিয়া) এলাকার মিলন কাজী (৩৬) ও রেকসোনা বেগমের আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়ে হয় কয়েক বছর আগে। তখন রোকসানার বাবা ১৫ লক্ষ টাকা যৌতুক ও এবং দুই ভরি স্বর্ণালংকার দিয়ে মেয়েকে দিয়ে দেন। নেশাগ্রস্ত মিলন কাজী সমস্ত টাকা নেশা করে সব টাকা খরচ করে ফেলে। এছাড়া স্বর্ণালংকার বিক্রি করে পর্যন্ত নেশা করে। এক পর্যায়ে সে রোকসানার বাবার বাড়ি থেকে আরও পাঁচ লক্ষ টাকা এনে দিতে বলে। টাকা দিতে রাজি না হলে দুটি সন্তান সহ রোকসানাকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। এই সুযোগে মিলন কাজী আরেকটি বিয়ে করে। এ ঘটনা জানতে রোকসানা মিলন কাজীর বাড়িতে গেলে মানবপাচার চক্রের অন্যতম সদস্য মিঠু কাজী ও তার ভাই মিলন কাজী তাকে বেধড়ক মারধর করে। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে। এ ঘটনায় মাদারীপুর আদালতে মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী ওই নারী।

তার স্ত্রীকে যৌতুকের কারণে প্রতি নিয়ত মারপিট করত । যৌতুকের টাকা না দিতে পারার কারণে। একপর্যায়ে তাকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়। স্ত্রী রেকসোনা বেগম (৩০) দুটি সন্তান নিয়ে নিরুপায় হয়েই স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলা করার পরে রেক্সোনা বেগমের স্বামী বিভিন্ন সময় মামলা তুলে নেওয়ার জন্য বিভিন্ন ভাবে ভয় ভীতি এবং চাপ প্রয়োগ করতে থাকেন। একপর্যায়ে আপস করার কথা বলে তাকে বাড়িতে ডেকে নিয়ে যায়। বাড়িতে ডেকে নিয়ে তাকে মেরে ফেলার জন্য স্বামী মিলন কাজী স্বামীর বড় ভাই মিন্টু কাজী এবং পরিবারের আরও সদস্যরা মিলে প্রাণে মেরে ফেলার জন্য চেষ্টা চালায়। এমনটাই অভিযোগ করেছেন রেক্সোনা বেগম নামে এক নারী।

ভুক্তভোগী রেকসোনা বেগম বলেন, আমার যখন বিবাহ হয় তখন আমার বাবা ১৫ লক্ষ টাকা যৌতুক । এবং দুই ভরি স্বর্ণালংকার। দিয়ে আমাকে দিয়ে দেন। কিন্তু আমার স্বামী নেশাগ্রস্ত হওয়ায় সেই সমস্ত টাকা নেশা করিয়া খরচ করে ফেলে। এবং আমার স্বর্ণালংকার বিক্রি করে পর্যন্ত নেশা করেন। একপর্যায়ে সে আমার বাবার বাড়ি থেকে আমাকে আরো পাঁচ লক্ষ টাকা আনিয়া দিতে বলে। আমার দুটি সন্তান সহ মেয়ে (সানিকা) যার বয়স ১২ বছর । ছেলে(রাহিম কাজী )যার বয়স ৯ বছর। যৌতুকের টাকা আনার জন্য বাপের বাড়ি পাঠিয়ে দেয়। এই সুযোগে সে আরেকটি বিয়ে করে।

28/05/2025

সরকারি শিশু পরিবারের (খাগদী) সেমিনার

27/05/2025
মাদারীপুরে নির্বাচন অফিসারের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ স্টাফ রিপোর্টার : মাদারীপুরের শিবচর উপজেলা নির্বাচন অফিসারের বিরুদ্ধে ...
25/05/2025

মাদারীপুরে নির্বাচন অফিসারের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ
স্টাফ রিপোর্টার :
মাদারীপুরের শিবচর উপজেলা নির্বাচন অফিসারের বিরুদ্ধে অনিয়মিত অফিস করা, সংশোধনের আবেদন বাতিল করে দেয়া এবং নতুন ভোটার হওয়ার জন্য আবেদন করা ব্যক্তিদের সাথে খারাপ আচরণ ও বিদেশগামীদের হয়রানীসহ নানা অভিযোগ উঠেছে। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেন অভিযুক্ত। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস জেলা কর্মকর্তার।
জানা যায়, মাদারীপুরের শিবচর উপজেলা নির্বাচন অফিসার হাসান আল মাহমুদের বিরুদ্ধে নিয়মিত ও যথাসময়ে অফিস না করা। অপ্রয়োজনীয় কাগজপত্রের কথা বলে নতুন ভোটারদের দিনের পর দিন সময় নষ্ট করা। প্রবাসীদের এনআইডির সমস্যা সমাধান না করে কালক্ষেপণ করার অভিযোগ উঠেছে। যার কারনে প্রবাসীরা পাসপোর্ট রিনিউ করতে পারে না। বিধায় অনেক প্রবাসী ফ্লাইট এর টিকিট বাতিল করতে হয় এবং তারা আর্থিক ক্ষতিগ্রস্থ হয়। এছাড়া তিনি একজন বুয়েটের ছাত্র পরিচয় দিয়ে নিজেকে উপস্থাপনা করেন। এতে গ্রামে হত দরিদ্র ও নিরক্ষর গরিব মানুষেরা বিচলিত হয়ে যায়। এছাড়া সেবা নিতে আসা লোকদের সাথে প্রকাশ্যে খারাপ ব্যবহার করেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। সম্প্রতি জুনায়েত মাতুব্বর ও মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ নামে দুই ভুক্তভোগী লিখিত অভিযোগ করেন আঞ্চলিক কর্মকর্তা বরাবর। বিষয়টি আমলে নিয়ে ব্যবস্থা নেয়ার আরজিও জানানো হয় অভিযোগে।
অভিযোগ অস্বীকার হাসান আল মাহমুদ বলেন, অভিযোগ সত্যি নয়। আমি নিয়ম মেনে সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করি। খারাপ আচরণের অভিযোগ সত্যি নয়। খারাপ আচরণ করলে অফিস স্টাফরা করতে পারে।
জেলা নির্বাচন অফিসার মো: ফরিদ আহমেদ বলেন, এমন কোন অভিযোগ আমার কাছে আসেনি। এলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

02/04/2025

পালিত ছেলের অত্যচারে বাড়ি ছাড়া বাব-মা, ঘর পুড়িয়ে মামলা দেয়ার চেষ্টার অভিযোগ
স্টাফ রিপোর্টার :
মাদারীপুরে পালিত ছেলের অত্যাচারে বাড়ি ছাড়া বাবা-মা। অভিযোগ এড়াতে ঘর পুড়িয়ে মামলা দেয়ার চেষ্টার অভিযোগ পালিত ছেলের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি মাদারীপুর সদর উপজেলার ঘটমাঝি ইউনিয়নের আমড়াতলা গ্রামে। জয়নাল আবেদিন খা ও খাদিজা বেগমের পালিত পুত্র সাইদুর খা অভিযোগ অস্বীকার করেন। ঘটনাটি পারিবারিক কলহের জেরে তাই স্থানীয় গন্যমান্যরা মিমাংসার দায়িত্ব নিয়েছেন। মিমাংসা না হলে অভিযোগ তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছে পুলিশ ।
জানা যায়, মাদারীপুর সদর উপজেলার ঘটমাঝি ইউনিয়নের আমড়াতলা গ্রামে জয়নাল আবেদিন খার সন্তান না হওয়ার কারনে সাইদুর নামে একটি শিশুকে দত্তক আনেন। সেই ছেলেকে লালন পালন করে বড় করতে থাকেন জয়নাল আবেদিন খা ও খাদিজা বেগম দম্পতি। তার মাঝে তাদের নিজের ঘরে জন্ম নেয় খাইরুল ইসলাম খান ( সোহাগ ) মমতাজ বেগম , সেতারা বেগম, নাদিরা বেগম, লিজা বেগম নামে এক ছেলে ও চার মেয়ে। সাইদুর খাঁকে লালন পালন করে বড় করে বিবাহ দেন জয়নাল খা দম্পতি। এছাড়া ভবিষ্যতে পালিত পুত্র সাইদুর খাঁ যাতে জমি থেকে বঞ্চিত না হয় তাই তাকে ৬ শতাংশ জমি লিখে দেন বাবা জয়নাল খা। তবে তখন কৌশলে সাইদুর খা দানপত্র দলিন না নিয়ে সাফ কবলা দলিল নেয়। বর্তমানে সাইদুর খাঁ আরও জমি দাবি করলে পারিবারিক কলহের সৃষ্টি হয়। সেই কলহের জেরে ঘটনার এক পর্যায়ে জয়নাল খাঁ দম্পত্তিকে মারধোর করে সাইদুর খাঁ ও তার পরিবার। ওই ঘটনায় থানায় অভিযোগ দেন জয়নাল খা। অভিযোগ থেকে বাচতে নিজের ঘর পুড়িয়ে বাবার বিরুদ্ধে মামলা দেয়ার চেষ্টার অভিযোগ উঠে সাইদুর খাঁর বিরুদ্ধে। এছাড়া জয়নাল খাঁর স্বজন রেজওয়ান খন্দকার ও আরিফ খন্দকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়েরের চেষ্টা চালায় সাইদুর খাঁ। রেজওয়ান খন্দকার ও আরিফ খন্দকার আদালতে কর্মরত (সরকারী চাকুরী) থাকলেও তাদের বিরুদ্ধে ঘর পোড়ানোর মিথ্যা মামলা দেয়ার চেষ্টা করছে বলে জানায় ভুক্তভোগী জয়নাল আবেদিন। সব ধরনের ঝামেলা থেকে মুক্তি চান ভুক্তভোগী জয়নাল খাঁ।
জয়নাল আবেদিন খাঁর স্ত্রী খাদিজা বেগম বলেন, অনেক কষ্ট করে সাইদুরকে লালন পালন করেছেন তিনি। এখন সেই পালিত সন্তান তাদের মারধোর করে, বাড়ি থেকে বের করে দেয়। তার গর্ভের সন্তানদের প্রাণে মেরে ফেলার চেষ্টা করছে সমস্ত সম্পত্তি একা ভোগ করতে। সাইদুরের বিচার দাবি করেন তিনি।
ভুক্তভোগী জয়নাল আবেদিন খাঁ বলেন, অনেক বছর সন্তান না হওয়ায় সাইদুর খাকে দত্তক আনেন সে। বসবাসের জন্য ঘরবাড়ি নির্মান করতে ৬ শতাংশ জমি লিখেও দেন। সেই জমি নিয়েও অযুক্তিক আরও জমি দাবি করছে সাইদুর খা। এ নিয়ে দ্ব›েদ্বর জেরে তাকে,তার স্ত্রী ও সন্তানদের মারধোর করে সাইদুর খা। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দিলে মামলা থেকে বাচতে নিজের ঘর পুড়িয়ে মামলা দেয়ার চেষ্টা করছে সাইদুর খা। এ ঘটনার সঠিক তদন্ত করে সাইদুর খার সঠিক বিচার দাবি করেন তিনি।
রেজওয়ান খন্দকার মুঠোফোনে বলেন, সে আদালতে (সরকারী) চাকুরী করেন, থাকেন ঢাকায়। বছরে দু-এক বার বাড়িতে আসেন তিনি।তাকে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে এ ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত করার চেষ্টা করছে সাইদুর খাঁ। সঠিক তদন্ত করে প্রকৃত দোষিদের বিচার দাবি করেন তিনি।
অভিযোগ অস্বীকার করে সাইদুর খা বলেন, সে কাউকে মারধোর করেননি। সে জমি কিনেছে তার বাবার কাছ থেকে। আরও কিছু জমি দাবি করেন তিনি।
এ বিষয়ে সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি ) মোকসেদুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা থানায় এসে মিমাংশা করে দেয়ার কথা বলে সময় নিয়েছে। মিমাংশা না হলে অভিযোগ তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আওয়ামী লীগের দুঃশাসন আমলে কেন্দুয়া ইউনিয়ন বাহাদুরপুরের কমলেশ ভক্ত আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়েছেন। সে আওয়ামী লীগের সক্রিয় ...
05/03/2025

আওয়ামী লীগের দুঃশাসন আমলে কেন্দুয়া ইউনিয়ন বাহাদুরপুরের কমলেশ ভক্ত আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়েছেন। সে আওয়ামী লীগের সক্রিয় দোসর। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার আগে যিনি এলাকায় দিন মজুর হিসেবে মাছ বিক্রি করে জীবন যাপন করতেন। এখন সে কেন্দুয়া ইউনিয়নের হাতেগোনা দু-একজনের পয়সাওয়ালার মধ্যে একজন। সে আওয়ামী লীগের আমলে যত দুর্নীতি আছে সবই করেছেন এমপি গোলাপকে হাত করে । আওয়ামী লীগের আমলে দুর্নীতি করে বনে যান কোটিপতি। আওয়ামী লীগ ক্ষমতা আসার পর পিছু ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। স্বৈরাচার হাসিনার আমলের তিনি পাঁচজনকে ভূয়া মুক্তিযোদ্ধা বানিয়ে প্রত্যেক এর থেকে পাঁচ লক্ষ টাকা নিয়ে মুক্তিযোদ্ধার সনদ পাইয়ে দেন। আওয়ামী লীগের এমপি প্রার্থীদের নির্বাচন দিয়েছেন লক্ষ লক্ষ টাকা। এমনকি ছাত্র আন্দোলনের সময় কলাবাড়ি বাস স্ট্যান্ড তার নেতৃত্বে ছাত্রদের বিপক্ষে আন্দোলন করে। এত কিছু করার পরেও তিনি ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছেন বলে আক্ষেপ স্থানীয়দের। তাই প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছে সচেতন মহল।
ইসকনের ওই সদস্যকে আইনের আওতায় আনার জোর দাবি কেন্দুয়াবাসীর।
স্থানীয়রা জানায়, সে আওয়ামী লীগের বড় নেতা হয়ে কিভাবে ধরাছোঁয়ার বাইরে আছে। এলাকার রাডার পিলার তুলে ভারতে বিক্রি করে এত টাকার মালিক হয়েছেন। প্রশাসনের উচিৎ সব তদন্ত করা।

02/03/2025

মানবপাচারের অপরাধে আটক

মাদারীপুরে নেশাদ্রব্য খাইয়ে ধর্ষন, বিচার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন।স্টাফ রিপোর্টার :মাদারীপুর শহরের শকুনী এলকার এক নারীকে নেশাদ...
22/02/2025

মাদারীপুরে নেশাদ্রব্য খাইয়ে ধর্ষন, বিচার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন।
স্টাফ রিপোর্টার :
মাদারীপুর শহরের শকুনী এলকার এক নারীকে নেশাদ্রব্য খাইয়ে ধর্ষনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযুক্ত রাহাত ওরফে শুভ (৩০) সদর উপজেলার ঘটমাঝি গ্রামের মতিউর রহমমান সেলিম ওরফে সেকান্দার শেখের ছেলে । এ ঘটনায় মাদারীপুর সদর মডেল থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী ঐ নারী। সঠিক তদন্ত করে এ ঘটনার সঠিক বিচার চেয়ে শনিবার দুপুরে নতুন শহর এলাকায় সংবাদ সম্মেলন করে ভুক্তভোগী ঐ নারী।
সংবাদ সম্মেলনে ঐ নারী বলেন, মাদারীপুর সদর উপজেলার ঘটমাঝি গ্রামের মতিউর রহমমান সেলিম ওরফে সেকান্দার শেখের ছেলে শুভ তার আত্মীয় হয়। আত্মীয়তার সম্পর্কের সুবাদে রাহাত ওরফে শুভ (৩০) মাঝেমধ্যে তার পিত্রালয়ে আসিত । শুভ একজন প্রাইভেট কার চালক হওয়ায়, পারিবারিক প্রয়োজনে তার গাড়ি ভাড়া নিয়ে বিভিন্ন আচার অনুষ্ঠানে যাওয়া হত। পারিবারিক খুটিনাটি বিষয় নিয়ে ঐ নারীর স্বামীর সাথে তার মনোমালিন্য সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে যোগযোগ প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। সে সুযোগে শুভ ঐ নারীর স্বামীর সাথে তাকে মিলিয়ে দেয়ার কথা বলে ২০২৪ সালের ১১ নভেম্বর সন্ধ্যায় প্রাইভেটকার যোগে তার স্বামীর কর্মস্থল রাজবাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে বাসা থেকে নিয়ে যায়। পরে শহরের পাকদী এলাকায় নিয়ে তার গাড়ির মালিকের বাসায় একটু কাজ আছে বলে গাড়ি থামায়। তখন ঐনারীর মুখমন্ডলে একটি নেশা জাতীয় দ্রব্য মেশানো রুমাল দিয়ে চেপে ধরে। পরেঐ নারী অচেতন হইয়া পড়িলে শুভ ঐ নারীকে মাদারীপুর শহরের পাকদী এলাকার কাইয়ুম মিয়ার ভাড়া বাসায় নিয়া যায়। সে সময় রাহাত ওরফে শুভঐ নারীকে ধর্ষণ করে এবং স্মার্টফোনে ধর্ষণের সম্পূর্ণ ভিডিও ধারন করে এবং কিছু অশ্লীল ছবি তুলে রাখে। রাত ১০ টার দিকে ঐ নারীর জ্ঞান ফিরিলেঐ বাসায় কেন আনা হয়েছে জানতে চায়ঐ নারী। পরে অভিযুক্ত শুভ কিছু অশ্লীল ছবি ও ভিডিও দেখিয়ে বলে কাউকে এ ঘটনা বললে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুক, ইউটিউবে ছেড়ে দেয়ার হুমকি দেয় । ভয়ে ঐ নারী কিছু বলতে পারেনি। পরে তাকে তার বাসায় দিয়া আসে শুভ। শুভকে অনেক অনুনয় বিনয় করে তার মোবাইল ফোন হইতে অশ্লীল ছবি ও ভিডিও কাটার অনুরোধ করা হয়। অভিযুক্ত শুভ ছবি এবং ভিডিও ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে মাদারীপুর শহরসহ ঢাকাতে স্বামী স্ত্রীর পরিচয় বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করে ঐ নারীকে ধর্ষণ করে শুভ। এছাড় বিভিন্ন সময়ঐ নারীর নিকট থেকে নগদ মোট ৩,৩০,০০০/- (তিন লক্ষ ত্রিশ হাজার) টাকা হাতিয়ে নেয়। তাছাড়া ব্রাক,আশা ও সিএসএস এনজিও থেকেঐ নারীকে স্ত্রী সাজিয়ে মোট ২ লক্ষ টাকা লোন তুলে নেয়। যার কিস্তি ঐ নারীকেই পরিশোধ করতে হয়। বিষয়টি শুভর পরিবারকে জানালে তারা কোন কর্ণপাত করেনি।
সর্বশেষ চলতি বছরের ০৮ জানুয়ারী বিকেলে ঘটমাঝি গ্রামে অভিযুক্তের বসত বাড়িতে যাওয়ার জন্য বলে।ঐ নারী সেখানে যেতে না চাইলে অভিযুক্ত শুভঐ নারীর হটসএপে অশ্লীল ছবি সেন্ট করে এবং বলে তার কথামত সেখানে না গেলে অশ্লিল ছবি ও ভিডিও ফেইসবুক ও ইউটিউবে ছড়াইয়া দেয়ার হুমকিও দেয়। বাধ্য হয়েঐ সন্ধ্যায় ভুক্তভোগী ঐ নারী অভিযুক্তের বাড়িতে গেলে অভিযুক্ত তার মামার নির্মাণাধীন ফাঁকা বিল্ডিং এর ভিতরে কৌশলে নিয়া যায়। সেখানে নিয়ে ভিডিও চিরতরে ডিলিট করার ওয়াদা করে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে তাকে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে। ভিডিও ডিলিট করতে বললে লোকজন জড় করে তার মান সম্মান নষ্ট করার ভয় দেখায়।এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ঐ নারী মাদারীপুর সদর মডেল থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করে। এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন ভুক্তভোগী ঐ নারী।

মাদারীপুরের কেন্দুয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সহ সভাপতি জহির ঢালীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার রাতে তাকে গ্রেফতার করা হয়।...
20/02/2025

মাদারীপুরের কেন্দুয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সহ সভাপতি জহির ঢালীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার রাতে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তার বিরুদ্ধে কয়েকটি মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। স্থানীয়দের দাবি আওয়ামী সরকারের আমলে সে ক্ষমতার অপব্যবহার করে অনেক অন্যায় অবিচার করেছেন সাধারণ জনগণের উপর।

মাদারীপুরে দুর্নীতির তদন্তের তোয়াক্কা না করে বদলী ঠেকাতে মরিয়া হিসাব রক্ষকস্টাফ রিপোর্টার :মাদারীপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জ...
05/10/2024

মাদারীপুরে দুর্নীতির তদন্তের তোয়াক্কা না করে বদলী ঠেকাতে মরিয়া হিসাব রক্ষক
স্টাফ রিপোর্টার :
মাদারীপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের প্রধান হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা কাওছার মিয়াকে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে সম্প্রতি বদলী করা হয় টাঙ্গাইলে । সেখানে যোগদান না করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে যোগযোগ করে ফরিদপুরের মধুখালী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বদলীর আদেশ করান তিনি। সেখান থেকে মাদারীপুরে স্ব-পদে ফিরে আসার জোড় চেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে করা হয় তদন্ত কমিটি। তদন্তের মুখোমুখি হওয়ার চেয়ে তার কাছে বদলীটা মুখ্য হয়ে দাড়িয়েছে বলেও শোনা যায়। দুর্নীতির তদন্তের তোয়ক্কা না করে বদলী ঠেকাতে মরিয়া ওই হিসাব রক্ষক । তদন্ত কমিটি তদন্ত রিপোর্ট দিলে স্বাস্থ্য দপ্তর পরবর্তী ব্যবস্থা নিবে বলে জানান সিভিল সার্জন।
জানা যায়, মাদারীপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের প্রধান হিসাব রক্ষক কাওছার মিয়ার অনিয়ম ও দুর্নীতির কারনে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনকারীদের পক্ষে কয়েকজন ছাত্র। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে সম্প্রতি তাকে বদলী করা হয় টাঙ্গাইল জেলায় । সেই আদেশের পরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে যোগযোগ করে ফরিদপুরের মধুখালী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বদলীর আদেশ করান তিনি। সেখান থেকে মাদারীপুরে স্ব-পদে ফিরে আসার জোড় চেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। দুর্নীতির অভিযোগে গঠিত সেই তদন্তের তোয়ক্কা না করে বদলী ঠেকাতে মরিয়া ওই হিসাব রক্ষক । সুধী মহলের ভাষ্য মাদারীপুরে কি এমন মধুর হাড়ি পেয়েছেন তিনি। কাওছার অফিস সহকারী পদে যোগদান করেন ১৯৯৩ সালে । পরে পদন্নতি পেয়ে শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপে¬ক্সে প্রধান হিসাবরক্ষক পদে যোগাদান করে ২০০৯ সালে । পরে মাদারীপুরে প্রধান হিসাবরক্ষকের পদ খালি হলে ২০১৩ সালে যোগদান করেন মাদারীপুরে। তার বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ ছিল । তাই সরকারের পট পরিবর্তন হলে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষে কামরুল হাসান, সফিকুর রহামন ও কাজী মাসুদ হাসান নামে তিনজন লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগে ছয়টি কারন উল্লেখ করা হয়। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে শরীয়তপুরের সিভিল সার্জন ডা: আবুল হাদি মোহাম্মদ শাহ পরানকে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। পহেলা অক্টোবর সেই তদন্ত কমিটি অভিযোকারীদের ও অভিযুক্ত প্রধান হিসাব রক্ষককের উপস্থিতিতে তদন্ত করেন। তদন্তের দিনে এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট নয় এমন কিছু নিজস্ব লোককে নিজের পক্ষে সাফাই দিতে নিয়ে আসারও অভিযোগ রয়েছে কাওসার মিয়ার বিরুদ্ধে। তদন্ত প্রতিবেদন অল্পদিনের মধ্যেই স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে জমা দেয়া হবে ও তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য দপ্তর মাদারীপুর ।
এ বিষয়ে কয়েকজনের সাথে কথা বললে তারা জানা যায়, মাদারীপুর সদর হাসপাতালে অনিয়ম ও দুর্নীতির মূল হোতা এই হিসাব রক্ষক। এমন কোন খাত নেই যেখানে তার দুর্নীতির হাত পড়েনি। তার ছিল একক আধিপত্য। স্থানীয় কিছু প্রভাবশালীদের হাত করে ও তাদের সুবিধা দিয়ে তিনি অনিয়ম করতেন নিয়মিত । সম্প্রতি তাকে টাঙ্গাইলে বদলী করা হলেও সে সেখানে না গিয়ে ফরিদপুরের মধুখালীতে বদলীল আদেশ করান। এখন তিনি জোর চেষ্টা করছেন মাদারীপুরে আসার জন্য। কি এমন মধুর হাড়ি তার মাদারীপুরে। মাদারীপুর হাসপাতাল দুর্নীতিমুক্ত রাখতে তাকে মাদারীপুর হাসপাতালে না আনাই ভাল। তার বিরুদ্ধে স্বাস্থ্য দপ্তর ব্যবস্থা নিবে এমনটাই প্রত্যাশা।
এ বিষয়ে কাওসার মিয়ার নিকট জানতে চাইলে তিনি কথা বলতে রাজি হননি।
এই বিষয়ে জানতে তদন্ত কমিটির প্রধান ও শরীয়তপুরের সিভিল সার্জন ডা: আবুল হাদি মোহাম্মদ শাহ্ পরানের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করেও তাকে পাওয়া যায়নি বলে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
এই বিষয়ে মাদারীপুরের সিভিল সার্জন ডাঃ মুনীর আহমদ খান বলেন, কাওসার মিয়ার বদলি হয়েছিল টাঙ্গাইলে। সেখান থেকে সে ফরিদপুরের মধুখালীতে বদলী হয়েছেন । তার বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্ত হয়েছে। প্রতিবেদন স্বাস্থ্য দপ্তরে জমা দিলে স্বাস্থ্যদপ্তর তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবে।

Address

Madaripur

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Daily Madaripur Sangbad-দৈনিক মাদারীপুর সংবাদ posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Daily Madaripur Sangbad-দৈনিক মাদারীপুর সংবাদ:

Share