নিউ ইসলামিক সাজেশন

নিউ ইসলামিক সাজেশন 100% islamic prescription for Muslim ummah

তাবিজ কবজের কবলে ধ্বংস একটি সুখি পরিবার।আজ থেকে বহু বছর আগের কথা। ময়মনসিংহের কিশোরগঞ্জ জেলার করিমগঞ্জ থানার কোনো এক গ্রা...
23/06/2025

তাবিজ কবজের কবলে ধ্বংস একটি সুখি পরিবার।
আজ থেকে বহু বছর আগের কথা। ময়মনসিংহের কিশোরগঞ্জ জেলার করিমগঞ্জ থানার কোনো এক গ্রামে আমার ছোট খালামনির সাথে ঘটে যাওয়া ঘটনা। সালটা ২০১২।

বড় মামার বিয়ে নিয়ে সবার মনে অনেক আশা ছিলো। বাড়ির বড় ছেলের বিয়ে বলে কথা! নানু ও খালামনিরা অনেক জায়গায় বউ দেখতে শুরু করে। এরপর একদিন পাশের এলাকার একটা মেয়েকে পছন্দ হয়ে যায়। সেদিন আমি আর নানু বউ দেখতে গেছিলাম। আমাদের তাদের বাসায় রেখে তারা চলে গেছিলো আমাদের বাসায়। মানে নানু বাড়িতে। মামাকেও গিয়ে তারা দেখে আসে। একদিন এর মধ্যে কিভাবে জানি সব ঠিক হয়ে যায়। এক সাপ্তাহ পরেই বিয়ের তারিখ পরে। সবাই বউ পছন্দ হলেও মেঝো মামার বউ পছন্দ হয়নি। কিন্তু কেউ আর ঐ বিষয়ে পাত্তা না দিয়ে বিয়ে নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পরে।

এক সাপ্তাহ পরেই বড় মামা বিয়ে হয়ে যায়। বিয়ের কিছুদিন পর থেকে মামির কেমন একটা ব্যবহার অনুভব করা যায়। ছোট খালামনিকেও মামি কেন জানি দেখতে পারে না। বড় মামার সবচেয়ে আদরের ছিলো ছোট খালা মনি। কারণ হয়তো এটাই। এরপর ধীরে ধীরে মামি সবার থেকে আলাদা হয়ে যায়। মামার উপর জাদু প্রয়োগ করা শুধু করে দেয়। কিছুদিন এর মধ্যে মামার ভিতরে অনেক পরিবর্তন লক্ষ করি আমরা। মামা আমাদের কাওকে সহ্য করতে পারতো না। এভাবে মামা আমাদের ছেড়ে আলাদা হয়ে যায়। সেসময় এক বাড়িতে থেকেও পুরো ৪ বছর মামা আমাদের কারো সাথে কথা বলেনি। তাও নানু বলতেন মামা যদি এভাবে সুখে থাকে তাহলে কথা না বলুক! তাও নানুর কষ্ট নাই। আরে কেটে যায় ৫ বছর।

কিন্তু হঠাৎ একদিন আমার ছোট খালা মনির কোমরে পছন্দ ব্যাথা অনুভব করতে শুরু করে। আমরা সবাই ভেবেছিলাম, হয়তো এমনেই এমন ব্যাথা। ঔষধ খেলে আর ডক্টর দেখালে ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু দিনদিন খালামনির অবস্থা আরো খারাপ হতে শুধু করে। আমার তখন বয়স ছিলো ১৩, ১৪ বছর। আমাকে খালামনির ব্যাথার যন্ত্রণায় তার কোমরের উপর দাড় করিয়ে রাখতো, যাতে একটু আরাম পায়। এভাবে আরো দিন যেতে শুরু করলো। খালামনি যেনো মৃত্যুর দিন গুনতে শুরু করলো। কতো ডক্টর দেখালো নানু - অন্য খালামনিরা, তাও যেনো একটুও উন্নতির নাম নেই।

একদিন নানু খালামনিকে নিয়ে আমার বড় খালামনির বাড়িতে গেলো। সেখানে বড় খালামনির একজন চাচাশ্বশুর ছোট খালামনিকে দেখে বললো, "মেয়েটা তো শেষ হয়ে যাইতাছে! এখনি যদি ভালো কবিরাজ না দেখাও তোমরা, তাহলে ওরে বাঁচাইতে পারবা না!" সঙ্গে সঙ্গে বড় খালু কবিরাজ দেখা শুরু করলো। ২ দিন পরে একজন কবিরাজকে অনেক খোঁজা-খুঁজির পর পেলো। সে বড় খালামনিদের বাড়িতে আসলো। এসে ছোট খালামনিকে দেখেই তার মাথায় আসমান ভেঙে পরলো। আর বলতে লাগলো, খুব তারা তারি ছোট খালামনির চিকিৎসা শুধু করতে হবে। পরে দিন এ ছোট খালা মনি আর ঔ কবিরাজকে নিয়ে নানু আর বড় খালামনি নানু বাড়িতে চলে আসলো। সেদিন রাতেই কবিরাজ বতী বসালো। তারপর সে জানতে পারলো বড় মামি ছোট খালামনিকে বেদ (/বান) মারছে। আর বড় মামাকে নিজের বসে ঘোর করে রেখেছে।

তখন মামাকে এসব বললে মামা মোটেও বিশ্বাস করতেন না। কারণ মামাও অলরেডি তার বউ এর বসে। তখন কবিরাজ বলে যে মামি তার ভাইয়ের মাধ্যমেই নাকি জাদুটা করিয়েছে। তবে মামাকে বসে আনা ছাড়া মারাত্মক ক্ষতিকর কিছু করেনি। তখন কবিরাজ নানুকে জানায় যে খালামনিকে বেদ মারা হয়েছে। যেনো মৃত্যুর দিকে ধাবিত হয়। সাথে যেনো কোনো বিয়ের সম্বন্ধ না আসে। ভয়ের ব্যাপার এই যে, তখন খালামনির বেদ/জাদুর মেয়ার আর এক মাসের মতো অবশিষ্ট ছিলো। অর্থাৎ ঐ এক মাস পরে হয়তো তিনি শেষ হয়ে যেতেন! কবিরাজ তখন নানুকে জানায় জাদু কাটাতে কিছু উপকরণ লাগবে। যেমন সাত গাছের সাতটা ফুল, তিনটা সিংহ মাছ আর ১০০ হাত দড়ি। এরপর নানু কথামতো সব এনে দেয়।

পরদিন সন্ধ্যায় খালামনিকে নানুর বড় ঘরে জায়নামাজ বিছিয়ে বসিয়ে দেয় আর সাথে অনেক গুলো সূরা পরতে বলে দেয়,। আর সাথে বড় খালামনিকে বসিয়ে রাখে। কারণ সে যখন কাজ গুলো করবে তখন খালা মনির অবস্থা অনেক খারাপ হয়ে যাবে। তাই সাথে একজন থাকতে হবে।

তারপর কবিরাজ নিজের কাজ করা শুরু করে দেয়। এরপর কবিরাজ তুলা রাশির একজনের উপর জ্বীন হাজির করে। তারপর লোকটা নানুর রান্নার চুলার দুই হাত নিচ থেকে একটা তাবিজ তুলে আনে। তাবিজটা দেখে আমরা সবাই অবাক হই, কারণ ওটা বানোয়াট হবার কোনো সম্ভাবনাই ছিলোনা। আশেপাশের অনেক মানুষ জড় হয়। এরপর লোকটা চলে যায় নানুবাড়ির পেছনে বাথরুম এর কাছে। সেখানে ময়লার স্তপে নেমে পড়ে। সেখান থেকে আরেকটা তাবিজ ও তারপর পুকুর এর মাঝের দিক থেকে একটা পুতুল নিয়ে আসে। সাদা কাপড়ে মোড়ানো পুতুল। তবে পুতুলটা হাতে নেয়ার পর লোকটা জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। এরপর পানি থেকে তাকে তুলে আনা হয়।

এরপর তাবিজ খুললে দেখা যায় সেখানে খালামনির এক টুকরো কাপড় আর হাতের লখ পাওয়া যায়। এরপরের তাবিজ থেকে পাওয়া যায় খালামনি রচুল আর কাগজে আকা একটা মেয়ের অবয়ব। আর শেষে পুতুলটা দেখা যায় একটা মেয়ে মারা গেলে যেভাবে কাফন এর কাপড় দিয়ে লাশটাকে দাফন করে, ঠিক এ ভাবেই পুতুল টাকে তৈরি করা হয়েছিলো। পুতুল ছিলো খালামনি। খালামনির চুল, নখ , বেলের কাটা, সুই, লং দিয়ে পুতুলটাকে একটা সুতো দিয়ে বেধে রাখা হয়েছিলো। সাথে কোমরে একটা বেলের কাটা গেঁথে রাখা হয়েছিলো, যার ফলস্বরূপ খালামনির কোমরে ব্যাথা করতো। এরপর কবিরাজ সব আগুনে পুরিয়ে ফেলে। সাথে সাথে খালামনি জ্ঞান হারায়। এরপর শেষে কবিরাজ খালামনির শরীর বন্ধ করে রেখে যায়। সাথে বলে যায় বেশকিছু নিয়ম মানতে। এর কিছুদিনের মাঝেই খালামনি অনেকটা সুস্থ হয়ে যায় ও তার কিছুদিন পর খালামনির বিয়ে হয় ও সুন্দরভাবে সংসারজীবন চলতে থাকে।

তবে দুঃখজনক ব্যাপারটা হচ্ছে ঠিক ২ বছর পরে বড় মামা গলায় ফা স দিয়ে মারা য়ায়। কারণটা অজানাই থেকে গেছে।
গল্পটি নেয়া একজনের জীবনি থেকে। তবে আমাদের দেশ ধ্বংস হয়ে গেছে রাজনীতি নামক ভাইরাসে আর সমাজ ধ্বংস হয়ে গেছে কিছু গন্ড মুর্খ নেতাদের চামচাদের কারণে আর পরিবার নষ্ট হয়ে গেছে কিছু অসাধু তাবিজ পাটিদের কারণে। আল্লাহ এদের হেদায়েত দান করুন। নতুবা এদের ধ্বংস করে দেন। আমিন ছুম্মা আমিন
নজরুল ইবনে হাবীব মাগুরা সদর মাগুরা।

স্বামী-স্ত্রী আর তাদের তিন মাস বয়সের একটিবাচ্চা রাতে বিছানায় ঘুমাচ্ছে।😌😌হটাৎ😐তিন মাসের বাচ্চা রাত তিনটার সময় জোরে জোরে ...
20/06/2025

স্বামী-স্ত্রী আর তাদের তিন মাস বয়সের একটি
বাচ্চা রাতে বিছানায় ঘুমাচ্ছে।😌😌
হটাৎ😐
তিন মাসের বাচ্চা রাত তিনটার সময় জোরে জোরে কান্না করতে লাগলো। 😰বাচ্চার কান্না শুনে মা বাবা দুজনেরই ঘুম ভেঙ্গে গেলো।😧😧

স্বামী বললেন..😨

ওকে একটু থামাও.....!😩 আর মা বাচ্চাটিকে বুকে জরিয়ে নিয়ে এদিক-ওদিক হাঁটতে লাগলেন।😌
কিছুক্ষন পর ,বাচ্চাটির বাবা বিছানা থেকে উঠে ঘর থেকে বের হয়ে গেলেন। 😟

কিছুক্ষন পর বাচ্চাটির বাবা ঘরে ফিরে এলেন আর বাচ্চাটির মা তাকে জিজ্ঞাস করলেন..😐

কোথায় গেছিলে ?😐😐

তিনি বললেন ,😇😇

মায়ের কবরটা দেখতে গিয়েছিলাম।😌

বাচ্চাটির মা জিজ্ঞেস করলেন,😧

এত রাতে কেন ?😧😧

সে উত্তর দিল ,😇

আমাদের বাচ্চাটি যখন কাঁদতেছিলো তখন আমার খুব বিরক্ত লাগছিল।😥😥

কিন্তূ😇😇

তুমি ওকে কাঁধে নিয়ে আদর করতে করতে হাটতেছ।😌

কারন...😌😌

তুমি তার মা।😌😌

তখনি মনে পরে গেলো। হয়তো , আমি যখন ছোট ছিলাম তখন আমার মা ও আমাকে এভাবেই যত্ন করেছিলেন।😇😌😌

তাই মাকে দেখতে গেছিলাম।😌😘😍

আজ আমি মায়ের যত্নে এত বড় হয়েছি। কিন্তু
জানি না মা আমার সেখানে কতটুকু যত্নে আছেন।😰😥😔😔

পৃথিবীতে মা একমাত্র আপন।❤💖💖

হে আল্লাহ্ আপনি আমাদের মা
বাবার সেবা করার তৌফিক দিন। 💖যাদের মা বাবা পৃথিবীতে নেই😰😔😭

তাঁদের কে জান্নাত বাসি করুন।।😭😭

আমিন..!🤲🤲🤲

12/06/2025

মুনাফেকের মিথ্যাচার

মুনাফেকের বৈশিষ্ট্য হল মিথ্যা বলা, বিশেষ করে সে যতই আমলহীন, ঈমান বর্জন করুক না কেন নিজেকে মুমিনই প্রচার করে।

মুহাম্মদ ইবনু আবূ উমর (রহঃ) ….. আবূ হুরাইরাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, সাহাবাগণ জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর রসূল! কিয়ামতের দিন আমরা কি আমাদের রবকে দেখতে পাব? জবাবে তিনি বললেন, আকাশে মেঘ না থাকাবস্থায় দুপুরের সময় সূর্য দেখতে তোমাদের কোন কষ্ট হয় কি? সাহাবাগণ বললেন, জী না।
অতঃপর তিনি বললেন, আকাশে মেঘ না থাকাবস্থায় পূর্ণিমার চাঁদ দেখতে তোমাদের কোন কষ্ট হয় কি? সাহাবাগণ বললেন, জী না। তারপর তিনি বললেন, ঐ সত্তার কসম! যার হাতে আমার জীবন! চন্দ্ৰ-সূৰ্য কোন একটি দেখতে তোমাদের যেরূপ কষ্ট হয় না, তোমাদের রবকেও দেখতে তোমাদের ঠিক তদ্রুপ কষ্ট হবে না। আল্লাহর সাথে বান্দার সাক্ষাৎ হবে।
তখন তিনি বললেন, হে অমুক! আমি কি তোমাকে সম্মান দান করিনি, কর্তৃত্ব দান করিনি, জোড়া মিলিয়ে দেইনি, ঘোড়া-উট তোমার কাজে লাগিয়ে দেইনি এবং সুখ-স্বাচ্ছদের মাঝে তোমার পানাহারের ব্যবস্থা করিনি? জবাবে বান্দা বলবে, হ্যাঁ, হে আমার রব। তারপর তিনি বলবেন, তুমি কি মনে করতে যে, তুমি আমার মুখোমুখী হবে? সে বলবে, না, তা মনে করতাম না। তিনি বললেন, তুমি যেরূপভাবে আমাকে ভুলে গিয়েছিলে তদ্রুপভাবে আমিও তোমাকে ভুলে যাচ্ছি।

অতঃপর দ্বিতীয় অপর এক ব্যক্তির আল্লাহর সাথে সাক্ষাৎ হবে। তখন তিনি তাকেও বলবেন, হে অমুক! আমি কি তোমাকে সম্মান দান করিনি, নেতৃত্ব দেইনি, তোমার পরিবার (জোড়া মিলিয়ে) দেইনি, উট-ঘোড়া তোমার কাজে লাগিয়ে দেইনি এবং সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যে পানাহারের জন্য তোমাকে কি সুবিধা করে দেইনি? সে বলবে, হ্যাঁ করেছেন। হে আমার পালনকর্তা!

তারপর তিনি বললেন, আমার সাথে তোমার সাক্ষাৎ হবে এ কথা তুমি মনে করতে? সে বলবে, না। তখন আল্লাহ তা’আলা বলবেন, তুমি যেমন আমাকে ভুলে গিয়েছিলে অনুরূপভাবে আমিও তোমাদেরকে ভুলে যাব।

তারপর তৃতীয় অপর এক ব্যক্তির আল্লাহর সাথে দেখা হবে। এরপর তিনি আগের মতো অবিকল বলবেন। তখন লোকটি বলবে, হে আমার প্রতিপালক! আমি আপনার প্রতি এবং কিতাব ও রসূলগণের প্রতি ঈমান এনেছি। আমি সালাত আদায় করেছি, সাওম পালন করেছি এবং সাদাকা করেছি। এমনিভাবে সে যথাসাধ্য নিজের প্রশংসা করবে। এমতাবস্থায় আল্লাহ তা’আলা বলবেন, এখনই তোমার মিথ্যা প্রকাশিত হয়ে যাবে।

রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ তারপর তাকে বলা হবে, এখনই আমি তোমার উপর আমার সাক্ষী উপস্থিত করব। তখন বান্দা মনে মনে চিন্তা করতে থাকবে যে, কে তার বিপক্ষে সাক্ষী দিবে? তখন তার জবান বন্ধ করে দেয়া হবে এবং তার উরু, গোশত ও হাড়কে বলা হবে, তোমরা কথা বলো। ফলে তার উরু, গোশত ও হাড় তার আমলের ব্যাপারে বলতে থাকবে। এ ব্যবস্থা এজন্য করা হবে যেন, আত্মপক্ষ সমর্থন করার কোন সুযোগ তার অবশিষ্ট না থাকে। এ ব্যক্তি হচ্ছে মুনাফিক যার প্রতি আল্লাহ তা’আলা অসন্তুষ্ট। (মুসলিম-ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৭১৬৯, ইসলামিক সেন্টার ৭২২২)

চিন্তা করুন- রোজ কেয়ামতে যখন অনেকে নিজের অসহায়ত্ব, দ্বীন নিয়ে অবহেলা স্বীকার করে নিবে মুনাফেক তখনও সর্বশ্রোতা, সর্বশক্তিমান, যিনি সবার গোপন ও প্রকাশিত সবকিছু জানেন তার সম্মুখে মিথ্যাচার করার সাহস দেখাবে!! তাহলে সাধারণ মুসলিমদের সাথে ওদের মিথ্যাচার স্বাভাবিক নয় কি!?

অথচ বর্তমানে কুরআন-সুন্নাহর বিপরীত মুনাফেকদের (মিডিয়া ও আলেম) সংবাদ, নির্দেশনা, শিক্ষা মুসলিমরা এমনভাবে মেনে নিচ্ছে যেন এগুলো তাদের সফলতা দিবে। আর যখনি কেউ তাদের কুকর্ম জানিয়ে দেয়- ওরা ঈমান না এনে উল্টো পরহেজগার মুসলিমদের বিরোধিতা করে নিজেদের ঈমানদার দাবি করে।

আল্লাহতায়ালা বলেন-

‘মানুষদের মাঝে কিছু (লোক এমনও) আছে যারা (মুখে) বলে আমরা আল্লাহতায়ালা ও পরকালের প্রতি ঈমান এনেছি (আসলে) এরা মোটেই ঈমানদার নয়।’ (সুরা বাকারা, আয়াত-৮)।
লোকগুলো সমাজে মুসলিমদের সামনে ঈমানের দাবি করে। তারা শুধু মুখে ইসলামের কালেমা পড়ে। মুখের ভাষায় তারা মোহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে আদর্শ হিসেবে গ্রহণ করে এবং বলে আল্লাহতায়ালা ও পরকালের প্রতি তারা বিশ্বাসী। কিন্তু তাদের অন্তরে এই বিশ্বাস বদ্ধমূল নয়। তাই আল্লাহতায়ালা বলেছেন এরা ঈমানদার নয়। তবে তারা কেন এই কথা বলে?

এ প্রশ্নের জবাবে মহান আল্লাহরাব্বুল আলামিন বলেন-

‘এরা আল্লাহতায়ালা ও তার ঈমানদার বান্দাদের সাথে প্রতারণা করে যাচ্ছে। তারা অন্য কাউকে নয়, নিজেদেরই ধোঁকা দিয়ে যাচ্ছে। যদিও (এ ব্যাপারে) তারা কোনো প্রকারের চৈতন্য রাখে না।’ (সুরা বাকারা, আয়াত-৯)
মুনাফিকরা আল্লাহ ও ঈমানদারদের সাথে ধোঁকাবাজি করে। ঈমানের কথা বলে তারা নানাবিধ সুযোগ সুবিধা হাসিল করতে চায়। তারা যেন শক্তিশালী মুসলিম বাহিনীর রোষানলে না পড়ে এবং সামাজিক নিরাপত্তা লাভ করে, এরকম পার্থিব স্বার্থ হাসিলের জন্যই তারা ঈমানদারদের সাথে ধোঁকাবাজি করে চলাফেরা করে কিন্তু তাদের জ্ঞানের স্বল্পতার কারণে তারা বুঝতে পারে না যে, তারা নিজেরাই নিজেদের ধোঁকা দিচ্ছে। কারণ যে ব্যক্তি কোনো সৎকাজ করে সে তার নিজের কল্যাণের জন্যই করে আবার যে ব্যক্তি কোনো অন্যায় কাজ করে তার শাস্তিও তাকেই ভোগ করতে হবে। এর দ্বারা আল্লাহর কোনো লাভ বা ক্ষতি হবে না। কারণ মহান আল্লাহতায়ালা সৃষ্টি জগতের মুখাপেক্ষী নন বরং সবাই আল্লাহর মুখাপেক্ষী।

তারা এসব দেশে যেখানে মানুষের মাঝে ইসলামিক আবেগ বিদ্যামান সেখানে ইসলামের ছদ্মবেশ ধরে কিন্তু আবার ইসলামের শত্রুদের সাথেও ওদের বন্ধুত্ব থাকে। ওদের লেবাস, চলাফেরা মুসলিমদেরই ধোকা দেওয়ার অন্যতম হাতিয়ার।

আল্লাহতায়ালা পবিত্র কোরআনে উল্লেখ করে বলেন-

‘তুমি যখন তাদের দিকে তাকাবে তখন তাদের (বাইরের) দেহাবয়ব তোমাকে খুশি করে দেবে আবার যখন তারা তোমার সাথে কথা বলবে তখন তুমি (আগ্রহভরে) তাদের কথা শুনবেও।’ (সুরা মুনাফেকুন, আয়াত-৪)।
মহান আল্লাহ বলেন-

‘অবশ্যই মুনাফিকরা আল্লাহতায়ালাকে ধোঁকা দেয়, (মূলত এর মাধ্যমে) তিনিই (আল্লাহই) তাদের প্রতারণায় ফেলে দিচ্ছেন, এরা যখন নামাজে দাঁড়ায় তখন একান্ত আলস্য ভরেই দাঁড়ায় তারা কেবল লোকদের দেখায়। এরা আল্লাহতায়ালাকে কমই স্মরণ করে।’ (সুরা নিসা, আয়াত-১৪২)।
ওদের শাস্তি ভয়াবহ ও জানাজা নিষেধ

মহান আল্লাহ বলেন-

‘তুমি এদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করো কিংবা না করো (এ দু-টোই) তাদের জন্য সমান। (কারণ) আল্লাহতায়ালা কখনোই তাদের ক্ষমা করবেন না; আল্লাহতায়ালা কোনো নাফরমান জাতিকে হেদায়েত দান করেন না। (সুরা মুনাফেকুন, আয়াত-৬)।
আল্লাহতায়ালা বলেন-

'আল্লাহতায়ালা মুনাফিক পুরুষ ও মুনাফিক নারী এবং কাফেরদের জাহান্নামের ভয়াবহ আগুনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যেখানে তারা চিরকাল থাকবে।' (সুরা তাওবা, আয়াত-৬৮)

12/06/2025

ইন্নালিল্লাহ!! লাইলাহা ইল্লা আংতা সুবহানাকা ইন্নি কুংতু মিনাজ জলীমিন। ভয়াবহ! মর্মান্তিক! হৃদয়বিদারক! কী বলব, জানি না! প্রায় 200+ মানুষের মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে গুজরাতের বিমান দুর্ঘটনায়! বিমান যেখানে ভেঙে পড়েছে, সেখানে ছিল মেডিকেল হোস্টেল! সেখানেও মৃ ত্যুর আশঙ্কা! বিমানে প্রচুর বিদেশি যাত্রীও উপস্থিত ছিলেন! উপস্থিত ছিলেন গুজরাতের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী!শোক প্রকাশের ভাষা নেই আমার! মৃতদের পরিবারের জন্য সমবেদনা রইল। আল্লাহ সকল পরিবারকে ধৈর্যধারনের তৈফিক দান করুন। #নিউজ #ভারত ゚viralfbreelsfypシ゚viral

31/05/2025

ইন্না-লিল্লাহ মৌনর তানিয়ার হাজিদের হজে জাওয়া হলোনা। ঘটে গেলো fly us এ দূর্ঘটনা। হে আল্লাহ এমন বিপদ আর কাউকে দিওনা।
゚viralfbreelsfypシ゚viral #ইসলামিক #বিমান #দূর্ঘটনা #শেয়ার

30/05/2025

আল্লার কুদরতি ইশারায় বিমানবন্দরে অলৌকিক এক ঘটনা😲 কুদরতি ইশারায় এক হাজির জন্য দু-দুবার বিমান অবতরণ করলেন পাইলট...অবশেষে বুঝতে পারলেন কেনো বিমান উড়াতে পারছেন না।
゚viralfbreelsfypシ゚viral #ইসলামিক #শেয়ার

24/05/2025

শুক্রবার একই সঙ্গে জুমার নামাজ আদায় করেছি। আছরের সময় হঠাৎ তার মৃত্যুর খবর। আমি যেন কিছুতেই নিজেকে বিশ্বাস করাতে পারছি না।
#হঠাৎ #মৃত্যু #কবর ゚viralfbreelsfypシ゚viral #ইসলামিক #শেয়ার #মুছাপুরবাজার #ঘোড়ানাছ-দ:পাড়া

24/05/2025

হঠাৎ মৃত্যু! আমায় খুব অবাক করছে? আমি যেন কিছুতেই মানতে পারছিনা।
゚viralfbreelsfypシ゚viral #২৩-০৫_২০২৫
#শুক্রবার #ইসলামিক #শেয়ার #ঘোড়ানাছ #মুছাপুরবাজার #মাগুরাসদর

16/05/2025

হাসপাতাল থেকে রিলিজ হলে নিকটস্থ আত্মীয় স্বজনরা লাশ নিয়ে বাড়ি ফিরছিলো। পথি মধ্যে হঠাৎ মুষলধারে বৃষ্টি নেমে পড়লো। লাশের সাথে থাকা সকল আত্মীয় স্বজনরা লাশ কে রাস্তায় ফেলে বৃষ্টি ভেজা থেকে বাঁচতে দৌড়ে দোকান পাঠে উঠে। হায়রে নিষ্ঠুর জীবন!
゚viralfbreelsfypシ゚viral #ইসলামিক #শিক্ষা #গল্প #শেয়ার #

Address

Magura
7600

Telephone

+8801892808392

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when নিউ ইসলামিক সাজেশন posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to নিউ ইসলামিক সাজেশন:

Share