28/06/2025
জাপানীজরা সাধারণত ইংরেজীতে একটু দুর্বল হয়। তার উপর ওদের অধিকাংশই লাজুক স্বভাবের। এই দু'য়ে মিলে বিদেশীদের সাথে ওরা খুব একটা মিশতে চায়না কিংবা মিশতে পারেনা।
জাপানীজ হাই স্কুলে পডুয়া ছাত্র/ছাত্রীরা যেন এই সমস্যা কাটিয়ে উঠতে পারে সেজন্য আমার জাপানীজ ইউনিভার্সিটি প্রতি বছর একটা প্রজেক্টের আন্ডারে কিছু প্রোগ্রাম আয়োজন করে। এতে বিদেশী ছাত্র/ছাত্রী যারা এখানে পড়াশোনা করছে তারা জাপানীজ ছাত্র/ছাত্রীদের সাথে নানা বিষয়ে কথা বলে, তাদের সাথে একসাথে লাঞ্চ করে, নিজের দেশ, গবেষনার বিষয় ইত্যাদি নিয়ে গল্প করে। ওরাও জাপানের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলে। এই প্রোগ্রামের আরেকটি উদ্দেশ্য হলো ওদেরকে গবেষনার প্রতি আগ্রহী করে তোলা। আমি এরকম বেশ কয়েকটি প্রোগ্রামে গিয়েছি।
ওদের যে বিষয়টি আমাকে সবচেয়ে আকৃষ্ট করেছে তাহলো ওই বয়সেই বিজ্ঞান শিক্ষা এবং গবেষনার প্রতি ওদের অদম্য আগ্রহ। বড় হয়ে কী হতে চায় জিজ্ঞেস করলে ওদের একটা বড় অংশই গবেষক, প্রফেসর, ডাক্তার, ইন্জিনিয়ার ইত্যাদির পাশাপাশি প্রাইমারী/ ইলিমেন্টারী কিংবা হাই স্কুলে শিক্ষক হতে চায়।
অথচ আমাদের দেশের কয়জন শিক্ষার্থী মন থেকে বলবে, ওরা বড় হয়ে স্কুলের শিক্ষক হতে চায়?
কেন বলেনা?
একমাত্র কারণ বর্তমান বেতন স্কেল। খুবই বাজে একটি বেতন স্কেল। এই স্কেলে কেন মেধাবীরা আসবে?
আমার নিজের সন্তানকে আমি আসতে বলবো?
এজন্য প্রাইমারী থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত সকল শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র একটি পে-স্কেল জরুরী। ভীষণ জরুরী।
জাপানীজদের এই উন্নতি ও সমৃদ্ধির মূলে রয়েছে শিক্ষা ও গবেষনায় ওদের বিশাল বিনিয়োগ।
শুধু রাস্তা-ঘাট, ব্রীজ ইত্যাদি করে আমরা কখনোই উন্নত জাতি হিসেবে মাথা তুলে দাঁড়াতে পারবো না, যতক্ষন না আমরা একটা বিশ্বমানের শিক্ষাব্যবস্থা দাঁড় করাতে পারবো।
এই সহজ বিষয়টি আমাদের পলিসি মেকারগণ
যত দ্রুত অনুধাবণ করেন ততই মংগল।
Rezuanul Hoque