21/02/2025
""কার সাথে তোমার বিয়ে হয়েছে জানো তুমি ""
কান্নারত মুখটা তুলে তাকালো রিদি।তাকাতেই কিছুক্ষণ হা হয়ে থাকল।ধবধবে সাদা এক হূরপরি তার সামনে দাড়িয়ে আছে।যাকে এক দেখায় সবার নজরে কারবে।হাইট,ফিগার,বেশভুসা,রুপ দেখে যেকোন মানুষ তার দিক থেকে চোখ ফেরাতে পারবে না।
রিদি কান্না ভুলে অবাক হয়ে প্রশ্ন করল,
তুমি কি পরি!!
রিদির কথায় মেয়েটি অবাক হয়ে বলল,
তোমার আমাকে পরি মনে হচ্ছে!!!
রিদির সরল উওর,
হ্যাঁ!!কি সুন্দর গো তুমি!!
মেয়েটি ছোট্ট একটি নিঃশ্বাস ফেলে আবারো বললো,
কার সাথে বিয়ে হয়েছে তোমার জানো???
বিয়ের কথা মনে হতেই রিদি আবারো ডুকরে কেঁদে উঠলো।কি ভয়ংকর এক লোক!! কালকের কথা মনে পড়তেই রিদির পুরো শরীর কাঁটা দিয়ে উঠল।
শহর থেকে কিছু দূরে ফুলতুলি নামের একটা গ্রাম।সেই গ্রামেই বেড়ে উঠা রিদির। শত মায়ের অত্যাচার নির্যাতন সহ্য করেই বেড়ে উঠা রিদির।বাবা থেকেও না থাকার মতোই।রিদির উপর বিশেষ কোন গুরুত্ব নেই তার। শত মায়ের কথায় উঠে আর বসে তার বাবা।রিদির ৬বছর বয়সে মা মারা যায়।তখন থেকেই রিদির উপর শুরু হয় অত্যাচার।রিদির মাকে বিয়ে করার ২বছর পরেই সুন্দরী আমেনাকে বিয়ে করে রুপেশ মির্জা।তখনো রিদির জন্ম হয়নি। বিয়ের কয়েকমাস পরেই আমেনা কনসিভ করে।আর সুন্দরী মেয়ের জন্ম হয়।নাম তার আলিশা।আলিশার যখন ৪ বছর তখন রিদির জন্ম হয়।রিদিদের তখন যৌথ পরিবার।দুই চাচা সহ সবাই থাকত মিজা বাড়িতে। কিন্তু রিদির মা দিয়া মারা যাবার পর শুরু হয় অশান্তি।জায়ে জায়ে শুরু হয় ঝরগা বিবাদ। আমেনা আলাদা হতে চাইলে রিদির দাদি বাধা দেয় নি।সবাইকে যার যার ভাগ বুঝিয়ে আলাদা করে দিয়েছে।তবে মিজা বাড়িতে এখন তার বড়ো চাচা থাকে। রিদির বড় চাচা মানুষটা একজন স্কুল শিক্ষক।দুই ছেলে মেয়ে।বড় মেয়ে রিয়া ।মেয়ের বিয়ে হয়েছে সে এখন শশুর বাড়িতে থাকে।আর ছেলে রাদিফ বর্তমান পড়াশুনার সুবাদে শহরে থাকে।
বড় চাচা একজন শিক্ষক।সেই সুবিধার্থে ই রিদি এস এস সি পর্যন্ত দিয়েছে। পড়াশোনায় বেশ ভালো হলেও আমেনা তাকে সব সময় কাজের ওপর রাখে ।তবুও নিজের চেষ্টায় আর চাচার সহযোগিতায় অনেক ভালো পরিক্ষা দিয়েছে। রেজাল্ট ও দিয়েছে। মোটামুটি ভালোই করেছে। কিন্তু আমেনা তাকে আর পড়াবে না বলে দিয়েছে।
সেদিন ছিল বৃহস্পতিবার,
হাতের রান্না শেষ করে বেড-এ বসতেই হুরমুর করে রুমে ঢুকে আলিশা।
এই রিদি শুনেছিস!!!
কি আপু!!!
কাল আমাকে পাএপক্ষ দেখতে আস