15/04/2025
আপনার সন্তানের সঠিক বিকাশ চাইলে ৮-১০ বছর বয়স থেকেই তাকে হালকা ওয়েট ও শরীরের ওজন (bodyweight) দিয়ে strength training শুরু করান। তবে অবশ্যই সেটা সঠিক টেকনিক ও পর্যবেক্ষণের (supervision) অধীনে যেন হয়।
গবেষণায় দেখা গেছে, ওয়েট লিফ্টিং যেভাবে শরীরের “গ্রোথে” সহায়তা করে:
১. গ্রোথ হরমোন রিলিজ বাড়ায়:
সঠিক ওয়েট লিফ্টিং (compound exercises যেমন squats, deadlifts) করলে শরীর থেকে বেশি growth hormone ও testosterone নিঃসরণ হয়, যা muscle development ও overall শরীরের উন্নয়নে সাহায্য করে।
২. মাংসপেশি ও হাড় শক্ত করে:
এটা শরীরের গঠন উন্নত করে, posture ভালো করে — যেটা মানুষকে লম্বা ও confident দেখাতে সাহায্য করে।
৩. সুস্থ metabolism ও immunity:
রেগুলার strength training করলে হরমোন ব্যালান্স ভালো থাকে, যা indirectly শরীরের উন্নয়ন বজায় রাখে।
অনেকেই ভয় পায় যে ওয়েট লিফ্টিং করলে হাইট বাড়া বন্ধ হয়ে যাবে বা গ্রোথ থেমে যাবে। কিন্তু সত্যি কথা হলো: না, সঠিকভাবে ওয়েট লিফ্টিং করলে গ্রোথের কোনো সমস্যা হয় না। বরং গ্রোথ আরও ভালো হয়। বিস্তারিতভাবে বললে যেখানে সমস্যা হতে পারে:
• যদি খুব অল্প বয়সে ভারি ওজন তোলা হয় (টেকনিক না জেনে)
• যদি ইনজুরি হয় (বিশেষ করে হাড়ের গ্রোথ প্লেট-এ)
• যদি পর্যাপ্ত বিশ্রাম, খাবার, বা রিকভারি না হয়
কখনো সমস্যা হয় না, যদি:
• ওয়েট লিফ্টিং সঠিক ফর্ম ও গাইডলাইনের মধ্যে করা হয়
• প্রশিক্ষকের তত্ত্বাবধানে করা হয়
• বয়স অনুযায়ী ওজন বেছে নেওয়া হয়
১৩-১৪ বছর বয়স থেকে অনেকেই সিরিয়াস ওয়েট ট্রেনিং শুরু করতে পারে তবে তখনও ফোকাস থাকতে হবে টেকনিক শেখা, হালকা ও মাঝারি ওজন দিয়ে কাজ করা, এবং ইনজুরি এড়িয়ে চলা।
১৬ বছর ও তার উপরে বয়স থেকে শরীরের হরমোনাল পরিবর্তন বেশি হয়, তখন শরীরও ভারী ওজন তোলার জন্য আরও প্রস্তুত থাকে।
উন্নত বিশ্বে অনেকেই ১৬ বছর হবার আগেই অলিম্পিকে অংশগ্রহণ করে ফেলে। ভারতীয় উপমহাদেশে সাধারণ মানুষের জানার ও বোঝার আগ্রহ কম থাকার কারনে এখানে কিশোর কিশোরীদের অধিকাংশই হয় হ্যাংলা পাতলা অথবা মোটা। যার ফলে অলিম্পিকস এ অংশগ্রহণ করার মত পর্যাপ্ত যোগ্য এ্যাথলেট তৈরি হয় না।