06/08/2025
ড. ইউনূস আজকে নির্বাচনের ঘোষণা দিয়ে দিয়েছেন।১লা ফেব্রুয়ারি-১৭ ফেব্রুয়ারির মধ্যে হবে জাতীয় নির্বাচন।
তার মানে কিছুদিন পরই আমাদের কাছ থেকে পুরোপুরি বিদায় নিবেন তিনি।
আজকে জাতীর উদ্দেশ্যে ভাষণ দিতে গিয়ে আফসোসের সুরে অনেকগুলো কথা বলছিলেন তিনি।তার চেহারাটাও ছিল বেশ মনমরা।
এই মানুষটার জন্যে আফসোসই হয়। অনেকগুলো স্বপ্ন পূরণের ইচ্ছা নিয়ে এসেছিলেন এই দেশে। কিন্তু সেসবের অনেককিছুই রয়ে গেছে অপূর্ণ।
তিনি প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে চেয়ারে বসার পর থেকে দেশে এ পর্যন্ত ১৭৪ টা আন্দোলন হয়েছে, ভয়াবহ বন্যা হয়েছে, বিমান দূর্ঘটনা হয়েছে, আরও কতশত অযাচিত ঘটনা ঘটেছে।
তারমধ্যে সেনাপ্রধান কমান্ড চেইন মানে না, পুলিশরা নিরাপত্তা দিতে পারে না, বিএনপি কথা শুনে না, হাসিনার রয়ে যাওয়া আমলারা কাজ করে না।
পিলখানার বিডিআর হত্যাকান্ডের মামলাটাও নতুন করে তদন্ত করা শুরু করেছিলেন ইউনূস কিন্তু সেনাপ্রধান ওয়াকার সেটাতেও বাঁধা দিলেন।
এতসব কিছুর ভিড়ে নিয়ে আসা স্বপ্নগুলো আর পূরণ করতে পারেননি তিনি।
তবুও চেষ্টা করেছিলেন ড. ইউনূস। চেয়েছিলেন নিজের ফেইস ভ্যালু ব্যবহার করে বৈদেশিক বিনিয়োগ আনতে,
দেশটাকে একটু ঠিকঠাক করতে। কিছু কাজ করেছিলেনও, দেশের রিজার্ভও ৩০ বিলিয়ন হয়েছিল।
কিন্তু বাকিগুলো করতে গিয়ে দেখলেন এদেশের সবাই ই দুর্নীতিতে জড়িত, চাঁদাবাজি রোগে আক্রান্ত।
আপনি ড. ইউনূসকে সুদখোর বলে গালি দিতে পারেন, গুজবে কান দিয়ে আমেরিকার দালাল বলতে পারেন কিন্তু কেউ আপনাকে গ্রেফতার করবে না, জেলে ভরবে না।
কিন্তু অন্য কোন সরকার প্রধান আসলে তার বিরুদ্ধে এভাবে বলার সুযোগটা আর পাব না আমরা। দুর্নীতি, চাঁদাবাজি দেখেও দাঁতে দাঁত চেপে সহ্য করে থাকতে হবে তখন।
ইউনূস সরকার চেয়েছিলেন যুদ্ধবিধ্বস্ত একটা দেশের মতো হয়ে যাওয়া বাংলাদেশটাকে একটু ঠিকঠাক করতে। কিন্তু দিনশেষে একরাশ কষ্ট নিয়েই ফিরে যাবেন নিজের পুরনো ঠিকানায়।
ড. ইউনূসের মতো আন্তর্জাতিক মানের আর একজনকেও আমরা খুঁজে পাব না।
যুদ্ধে পরাজিত সৈনিকেরা যেমন ক্লান্ত দেহ নিয়ে কোনরকম ঘরে ফিরে তেমনি ড. ইউনূসও ফিরে যাবেন, সেদিন হয়তো ঠিকই আফসোস করব আমরা!
লেখা- Ibrahim Khalil Shawon