06/10/2025
ভাইরে ভাই, এমন ঘটনা ঘটানোও সম্ভব? সিনেমার ঘটনাও ফেল।
যাস্ট অবিশ্বাস্য।
ঘটনা আমাদের মানিকগঞ্জ শহরের স্বর্ণকারপট্টিতে।
সেখানের ‘অভিজুয়েলার্সে’র মালিক শুভর দোকানে গতকাল রাত ১১টার দিকে ডাকাতি হয়। মোটর সাইকেল যোগে ৬জন ডাকাত এসে স্বর্ণের দোকান লুটপাট করে, এসময় মালিক শুভর পিঠে ধা/রা/লো অস্ত্র দিয়ে বেশ কয়েতটি আঘাত করে।
ডাকাতদল চলে যাবার পর আশেপাশের মানুষ ছুটে এসে মালিক শুভকে হাসপাতালে পাঠায় ও পুলিশে ফোন দেয়।
ঘটনা এখানে শেষ হলে হতে পারতো। কিন্তু মুল ঘটনা অন্য জায়গায়।
পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে অপারোশনে নামে। এবং কয়েকঘন্টার মধ্যে আসামীদের ধরে ফেলে। আসামীদের মধ্যে রয়েছে আমান, মিলন, শরিফ, নয়ন ও সোহাগ।
ওদিকে আহত শুভর অবস্থা খারাপ হতে থাকলে তাকে ঢাকা পাঠানো হয়।
শহরে উত্তেজনা বাড়তে থাকে।
পুলিশ আসামীদের ধরে থানায় নিয়ে এসে উত্তম মাধ্যম দিলে ঘটনার মোড় অন্যদিকে চলে যায়।
আসামীরা যা বলে তা আপনি হয়তো আগে কোনদিন শুনেন নি
আসামীরা জানায়, তারা কোন ডাকাত নয়। তাদের দিয়ে নাটক করিয়েছে স্বয়ং শুভ, অর্থাৎ ঐ দোকানের মালিক।
এবং এই ঘটনা ঘটানোর জন্য তাদের নগদ পাঁচ লাখ টাকা প্রদান করা হয়েছে।
এবং, ঘটনার সত্যতা প্রমাণ করার জন্যই পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী শুভর পিঠে ছু/রি মারা হয়েছে।
অর্থাৎ, পুরো ঘটনা পরিকল্পনা অনুযায়ী পারফেক্টলি শেষ করেছে
এবার প্রশ্ন হল, শুভ এমন কাজ করতে গেল কেন?
এটা শুনলে মানুষের উপর থেকে আপনার বিশ্বাস উঠে যাবে।
বিষয়টি হচ্ছে, শুভর দোকান বেশ বড় দোকান। তার দোকানে অনেক স্বর্ণ জমা থাকে। অনেকে গহনা বানানোর জন্যও অনেক স্বর্ণ জমা রাখে। সব মিলিয়ে এই মুহুর্তে তার দোকানে ৩৯ ভরি ৭ আনা সোনা জমা ছিল।
শুভর টার্গেট ছিল, দোকানে ভয়াবহ ডাকাতি হয়ে সব লুটপাট করে নিয়ে গেছে খবর ছড়িয়ে সকলের আমানত রাখা স্বর্ণ আত্মসাত করা।
এবার চিন্তা করেন, একজন প্রতিষ্ঠিত স্বর্ণ ব্যবসায়ী যদি এমনটা করে তাহলে বিশ্বাস করবেন কাকে?
পুলিশ সম্পূর্ন স্বর্ণ উদ্ধার করেছে।
মানুষের সচেতনতার জন্য পোস্টটি শেয়ার করে সবার মাঝে ছড়িয়ে দিন।
ছবিঃ কিছুক্ষণ আগে মানিকগঞ্জ সদর থানায় সংবাদ সম্মেলন করে পুলিশ সমস্ত ঘটনার বিবরণ জানান।