07/10/2023
= যারা হাড্ডি ষাড় গাভী
অথবা অতিরিক্ত শুকনা গরু মোটাতাজা করতে চান তারা এ ভাবে খাদ্য তৈরি করে খাওয়াতে পারেন আশা করি ডাবল ফলাফল পাবেন।
ভূট্টা ভাঙ্গা ৩০ কেজি ৩% প্রোটিন
ধানের কুড়া ২০ কেজি ০.২% প্রোটিন
DORB/রাইস ব্রান ১০ কেজি ১.৮% প্রটিন
মুসুরির ভূষি ১৭ কেজি ৩.৭% প্রোটিন
সয়াবিন খৈল ১০ কেজি ৪.৪% প্রোটিন
শরিষা খৈল ১০ কেজি ৩.৫% প্রোটিন
শুটকির গুড়া ৩ কেজি ১.৮% প্রটিন
মোট খাদ্য ১০০ কেজি মোট প্রটিন ১৮.৪ কেজি।
আমার এলাকার দাম অনুযায়ী প্রতি কেজি খাবারে খরচ হবে ৩৬ টাকা ১০ পয়সা।
এটা হলো আপনার ১০০ কেজি খাদ্য তৈরীর প্রক্রিয়া।
এখন খাবারটার মান আরো উন্নত করতে মাংস উৎপাদন করার জন্য সহায়ক কিছু প্রয়োজনীয় অ্যামাইনো এসিড ভিটামিন, ক্যালসিয়াম ও সঠিকভাবে হজম এবং বিষক্রিয়া না ওর জন্য বাড়তি কিছু পাউডার যুক্ত করতে হবে।
প্রতি ১০০ কেজি খাবারে যে সকল পাউডার মিশ্রন করবেন।
প্রয়োজনীয় সাপ্লিমেন্ট
১/ডিসিপি পাউডার ১.৫ কেজি
২/ডিবি পাউডার ২৫০ গ্রাম
৩/লাইমস্টোন ১.৫ কেজি
৪/ফ্যাট ২৫০ গ্রাম
৫/সিআর ৫০ গ্রাম
৬/রুমেইনই ১০০ গ্রাম
৭/লাইসিন ৫০০ গ্রাম
৮/টক্সিন বাইন্ডার ২০০ গ্রাম
৯/মেথিওনিন ৩০০ গ্রাম
১০/এনজাইম ২৫০ গ্রাম
১১/কলিন ২০০ গ্রাম
এই সকল পাউডারের খরচ হবে আরো ১ হাজার টাকার মতো।
এবং সব মিলিয়ে খাদ্যে টোটাল প্রোটিনের পরিমাণ 20%+ থাকবে ইনশাল্লাহ।
এখন আসুন আপনাদের সকলের বোঝার সুবিধার জন্য খাবারের টোটাল খরচের একটা হিসেব করি।
আমি আমার এলাকার দাম অনুযায়ী হিসেব করছি।
ভূট্টা ভাঙ্গা ৩০ কেজি ৯০০ টাকা
ধানের কুড়া ২০ কেজি ৩০০ টাকা
DORB ১০ কেজি ৩৪০ টাকা
মুসুরির ভূষি ১৭ কেজি ৬৮০ টাকা
সয়াবিন ১০ কেজি ৭০০ টাকা
শরিষা ১০ কেজি ৪৮০ টাকা
শুটকির গুড়া ৩ কেজি ২১০ টাকা
টোটাল ৩৬১০ টাকা ১০০ কেজি খাদ্য
মেজিসিন ১০০০ টাকা ৫ কেজি ১০০ গ্রাম
টোটাল খরচ ৩৬১০+১০০০=৪৬১০ টাকা।
ওজন আসবে ১০৫ কেজি ১০০ গ্রাম
অর্থাৎ প্রতি কেজি পড়ল ৪৬১০÷১০৫= ৪৩ টাকা ৯০ পয়সা অর্থাৎ ৪৪ টাকা।
বর্তমান বাজারে এক কেজি গমের ভূষি দাম ৪১-৪২ টাকা।
এই হিসেবে আমার কাছে মনে হয় খাদ্য মিক্সিং করলে কম খরচে অধিক পুষ্টি নিশ্চিত করা যায়।
আমি একজন সাধারণ মানুষ এবং প্রান্তিক খামারি কোন পুষ্টিবিদ নই আমি নিজে যেভাবে যা করি সেটাই শেয়ার করি।
বিঃদ্রঃ আমার প্রোফাইলে অনেক ধরনের খাদ্যের নমুনা দেওয়া আছে তাই অনেকে বুঝতে পারেন না কোনটা খাওয়াবেন।
আসলে আমার পোস্টটি একটু ভালো করে খেয়াল করলে দেখতে পাবেন প্রত্যেকের খাদ্য নমুনার পরিবর্তনের পিছনে আলাদা আলাদা কারণ থাকে।
আমি নিজে কি ধরনের খাবার ব্যবহার করি সেটাও দেওয়া আছে।
আপনারা আপনাদের এলাকা থেকে যে জিনিসের দাম কম সেই সেটা বেশি দিয়ে খাবার মিক্সিং করার চেষ্টা করবেন তাহলে খরচ কিছুটা কম হবে।
পোস্টটা শেয়ার করে টাইম লাইনে রেখে দিতে পারেন আশা করি পরবর্তীতে কাজে লাগবে।
সবাই ভালো থাকবেন আল্লাহ্ আপনাদের সকালে ব্যবসায় বরকত দান করুন আল্লাহাফেজ।
ইনভাইট করুন অনুরোধ রইল আপনার বন্ধুদের ইনভাইট করেন
ধন্যবাদ