আসুন! শিরক এবং বিদ'আত মুক্ত জীবনযাপন করিঃ
মহান আল্লাহ্ বলেন,
“নিশ্চয়ই আল্লাহ তাঁর সাথে অংশী স্থাপন করলে তাকে ক্ষমা করবেন না, কিন্তু এর চেয়ে ছোট পাপ যাকে ইচ্ছা ক্ষমা করবেন এবং যে কেউ আল্লাহর অংশী স্থির করে, সে মহাপাপে আবদ্ধ হয়েছে"। ( সূরা নিসা: ৪/৪৮ )
অপর আয়াতে মহান আল্লাহ্ বলেছেন,
"নিশ্চয়ই যে আল্লাহর সাথে শিরকে লিপ্ত হয়, আল্লাহ্ তার জন্য জান্নাতকে হারাম করে দেন এবং জাহান্নাম অবধারিত করে দেন"। (
সুরা আল মাই'দা: ৭২ )
তাহলে স্পষ্ট বুঝা গেল শিরক কত বড় অপরাধ। তাই আল্লাহ্ ছাড়া অন্য কোন পীর, বুজর্গ, আলেম, মুফতী ইত্যাদিকে নিজের অভিভাবক হিসেবে গ্রহণ করবেন না। তাদের কাছ থেকে ইলম শিখা যায় কিন্তু অভিভাবক হিসেবে গ্রহণ করা হারাম।
মহান আল্লাহ্ বলেন,
"তোমাদের প্রতিপালকের পক্ষ থেকে যা অবতীর্ণ হয়েছে তোমরা তার অনুসরণ কর এবং আল্লাহকে বাদ দিয়ে অন্য কোণ আউলিয়াদের অনুসরণ করো না"। ( সুরা আ'রাফ: ৩ )
মহান আল্লাহ তা'আলা বলেন,
"যে আল্লাহর উপর নির্ভর করে আল্লাহ্-ই তো তার জন্য যথেষ্ট"। ( সুরা তালাক: ৩ )
নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন,
“যে ব্যক্তি এমন আমল করবে যার ব্যাপারে আমার শরী'আতের নির্দেশনা নেই, উহা প্রত্যাখ্যাত”। ( মুসলিম হা/৩২৪৩ )
তিনি অপর হাদিসে বলেন,
"নিঃসন্দেহে সর্বোত্তম কথা হচ্ছে আল্লাহর কিতাব, সর্বোত্তম পদ্ধতি হচ্ছে রাসুলুল্লাহ (ছাঃ) এর পদ্ধতি। আর নিকৃষ্ট কাজ
হচ্ছে শরীয়াতে নতুন কিছু সৃষ্টি করা, এবং প্রত্যেক বিদ'আত হচ্ছে ভ্রষ্টতা।" ( মুসলিমঃ ৭৬৮ )
রাসুল (ছাঃ) বলেছেন,
"যে আমার সুন্নাহ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিবে সে আমার দলভুক্ত নয়"। [ বুখারীঃ৫০৬৩ ]
রাসুল (ছাঃ) আরও বলেছেন,
"বিদআতিরা হাউযে কাওছারের পানি পান করা হতে বঞ্চিত হবে।" [ মুসলিমঃ ৪২৪৩ ]
তাই বিদআত থেকে বেঁচে থাকা প্রত্যেক মুসলিমের জন্য অপরিহার্য। আর ঐ সব শিরক বিদ'আত এবং পথভ্রষ্টতা থেকে বাঁচার জন্য আকড়ে ধরুন ও অনুসরন করুন শুধু মাত্র তাই যা আল্লাহ ও তার রাসূল (ছাঃ) আমাদেরকে বলেছেন।
আল্লাহর রাসূল (ছাঃ) বলেন,
“তোমাদের মাঝে দুটি জিনিস রেখে যাচ্ছি, তা যদি তোমরা শক্তভাবে আঁকড়ে ধর, তবে কোন দিন পথভ্রষ্ট হবে না; তা হল- আল্লাহর কিতাব ও আমার সুন্নাহ।" ( মুয়াত্তা মালিক, মিশকাত ১ম/হাঃ ১১৭ )
অর্থাৎ কুরআন ও হাদীছকে আমাদের জন্য আঁকড়ে ধরা একান্ত আবশ্যক। অর্থাৎ এটা জীবনের জন্য Compulsory.
রাসুল (ছাঃ) বলেছেন,
"যে ব্যক্তি ইলম অর্জনের পথে গমন করে আল্লাহ্ তার জান্নাতের রাস্তা সহজ করে দেন।" (সহিহ মুসলিমঃ ২৬৯৯)
দ্বীনের জ্ঞান অর্জন করা ফরজ। এটি এত গুরতর ফরজ যে, শুধুমাত্র এই একটি ফরজ লঙ্ঘন করার কারনেই জাহান্নামে নিক্ষিপ্ত হওয়ার কারণ হিসেবে যথেষ্ট।
তাই আসুন!দ্বীনের জ্ঞান চর্চা করি এবং শিরক ও বিদ'আত মুক্ত জীবনযাপন করি।
আল্লাহ্ আপনাকে এবং আমাকে পৃথিবী এবং আখিরাতে সার্বিক কল্যাণ দান করুন।
আমীন ।