14/07/2025
পাথর মেরে যাকে হত্যা করা হল তাকে দেখা যাচ্ছে যুবদলের মঞ্চে। আর পাথর ছুঁড়ে যে হত্যা করল সে খুনিকে দেখা যাচ্ছে হাসনাত সারজিসের আর ছাত্রলীগের নেতার সাথে। ভিকটিমের পরিবার ইতিমধ্যে দাবি করেছেন সে খুনিকে আসামি পর্যন্ত করা হয় নাই। আশ্চর্যের বিষয় যে তিনজন প্রকাশ্যে পাথর ছুঁড়ে হত্যা করল, যে ভিডিও সারাদেশে ভাইরাল হল তা তো দৃশ্যমান সে তিন খুনির কাউকে আসামী করা হয় নাই। আসামি করা হল যুবদল নেতাদের অথচ ভিকটিমের পরিবার বলছে যুবদল নেতারা এ হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত নয় আর যারা জড়িত, যাদের ছবি প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে তাদের গ্রেফতার এবং আসামি কোনটাই করা হচ্ছে না। ভিডিও থেকে খুনিদের আসল পরিচয় এখন প্রকাশ্যে চলে এসেছে, গত জুলাই আন্দোলনে প্রকাশ্যে অস্ত্র হাতে ছাত্রদের ওপর গুলি ছুড়েছিল এখন তারা এনসিপির নেতাদের ক্যডার। গতকাল দেশের পরিস্থিতিটা ছিল যেন খুনি হাসিনার পুনরাবৃত্তি হয়েছিল,, যে আমরাই খুন করব আবার আমরাই প্রতিবাদ করব। সারাদেশে স্বাধীনতা বিরোধী আর কিছু কুলাঙ্গারের বাচ্চা নিজেদের অপকর্ম আড়াল করতে বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্বকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে দেশকে অস্থিতিশীল করার পায়তারা করছেন।
গত শুক্রবার দিন দেশে তিনটি হত্যাকাণ্ড সংগঠিত হয়েছে। খুলনায় যুবদল নেতাকে গুলি করে পায়ের রগ কেটে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। পায়ের রগ কেটে হত্যার রাজনীতি এদেশে কারা করে এদেশের মানুষ সে গুপ্ত সংগঠনকে জানে। একজন মসজিদের ঈমামকে খুতবা পছন্দ না হবার কারণে মসজিদের ভিতর প্রকাশ্যে সে একই গুপ্ত সংগঠনের জঙ্গিরা হত্যা করে। তৃতীয় হত্যাকাণ্ড হল ঢাকার হত্যাকাণ্ডটি। প্রত্যেকটা হত্যাকাণ্ডের মূল হোতা একটিই গোষ্ঠী। যারা দেশে একটা অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করে নির্বাচন বানচাল করতে চায়, গতকাল সারাদেশে সে গোষ্ঠীর অপতৎপরতা তার সাক্ষ্যই বহন করছে। সরকার যদি এদের মুখোশ উন্মোচন না করে বুঝতে হবে সরকারের একটি অংশও এর সাথে জড়িত। গতকালকে ঘটনা দেখে মনে হচ্ছে, হাসিনার অপরাজনীতি আবার নতুন রুপে ফিরে আসছে। বিএনপিকে আরো সাবধান হতে হবে। এখন বিএনপি কুলষিত হলে বাংলাদেশ কুলষিত হবে।