19/01/2024
কন্টেন্ট তৈরিতে যে টিপস গুলো জানলে আপনি প্রো লেভেল এর ব্রো হয়ে যাবেন
আপনি কন্টেন্ট তৈরি করলেই সেটা অডিয়েন্স গ্রহণ করবে এমনটি কিন্তু নয়। আপনাকে যেকোনো কন্টেন্ট তৈরি করার আগে ভেবে নিতে হবে সেখানে আপনি কতটা ভ্যালু এড করতে পারবেন। আপনি যখন সঠিক মাত্রায় ভ্যালু এড করতে পারবেন তখনই সেটা প্রচুর অডিয়েন্সদের মধ্যে গ্রহনযোগ্যতা লাভ করবে।
১. নির্দিষ্ট বিষয়ে ফোকাস করা:
অনেক গুলো বিষয় একসাথে না নিয়ে এসে নির্দিষ্ট একটি বিষয়ে ফোকাস করুন। আপনি সেই বিষয়টিকেই গুরুত্ব দিন যেটা আপনি ভাল জানেন এবং যেটাতে চ্যালেঞ্জ নিতে প্রস্তুত। ধরুন আপনি মধুর গুনাগুন নিয়ে ধারণা রাখেন সেক্ষেত্রে আপনি এই বিষয়ের উপরই সর্বোচ্চটা দেয়ার চেষ্টা করুন। একটি নির্দিষ্ট বিষয়ের সমস্যা সমাধান করুন।
২. প্রফেশনালদের সাহায্য নেয়া:
আপনার ব্রান্ড ইমেজ তৈরি করতে সব সময় একাই সব করবেন বা আপনাকেই এক্সপার্ট হতে হবে এমনটি নয়। প্রয়োজনে প্রফেশনাল কন্টেন্ট ডিজাইনার নিয়োগ দিন বা পরামর্শ নিন। যেহেতু বর্তমান সময়ে প্রতিযোগিতা খুব বেশি সেহেতু ঝুঁকি না নিয়ে এক্সপার্টদের সাহায্য নেয়াই ভাল। তবে শুরুটা যেভাবে আছে শুরু করতে পারেন।
৩. ধৈর্য রাখুন:
কখনো অধৈর্য হওয়া যাবে না, আপনি সব সময় দ্রুত সফলতা পেয়ে যাবেন এমনটি কিন্তু নয়। আপনাকে সময় দিতে হবে, জানতে হবে, ভুল করতে হবে এবং ভুলের কারণ গুলো খুঁজে বের করতে হবে। দীর্ঘ মেয়াদি সফলতার জন্য আপনাকে লেগে থাকতে হবে।
৪. পদক্ষেপ গুলো সংশোধন:
আপনার কোন কোন পদক্ষেপ ভুল হতেই পারে, এতে ভেঙে পড়ার কিছু নেই। আবার ফিরে যান নতুন করে ভাবুন এবং সমস্যা খুঁজে বের করুন, সংশোধন করে ধারণা গুলো পুনরায় প্রয়োগ করুন।
৫. নিজের জন্য উপযুক্ত কন্টেন্ট নির্বাচন:
আমরা জানি বর্তমান সময়ে ইমেইজ, কপিরাইট এবং ভিডিও কন্টেন্ট বেশি জনপ্রিয়, তাই বলে আপনাকে সব গুলো তৈরি করতে হবে এমনটি কিন্তু নয়। আপনি এমন ফরমেট বাছাই করুন যা আপনি ভাল পারেন। আপনি কন্টেন্টে যত বৈচিত্র্যতা আনতে পারবেন সেটি তত বেশি অডিয়েন্সদের দৃষ্টিগোচর হবে।
৬. রিসার্চ করা:
অডিয়েন্সদের জন্য উপযুক্ত কন্টেন্ট নির্বাচনে রিসার্চের বিকল্প নেই। আপনাকে জানতে হবে অডিয়েন্সরা কি ধরনের কন্টেন্ট চায়, তারা এই মুহূর্তে কোন কোন বিষয়ে আগ্রহী। আর এসব কিছু জানতে আপনি কম্পিটিটর রিসার্চ করতে পারেন, কম্পিটিশন এনালাইসিস করতে পারেন অন্যদের কন্টেন্টে কি গ্যাপ আছে সেটা বের করতে পারেন।
৭. কন্টেন্ট স্ট্রেটেজি তৈরি করা:
কন্টেন্ট ক্রিয়েশনে ঢুকার আগে সব গুলো বিষয় সাজিয়ে নিন। কোন কাজটির পর কোন কাজটি করবেন নির্দিষ্ট করুন এবং একটি সঠিক স্ট্রেটেজি তৈরি করুন। প্রথমবার ব্যর্থ হলে পুনরায় স্ট্রেটেজি পরিবর্তন করুন।
৮. সর্বশেষ:
হাই কোয়ালিটি কন্টেন্ট এবং সলিড কন্টেন্ট মার্কেটিং একটি দীর্ঘমেয়াদী বিষয় আপনি চাইলেই রাতারাতি কিছু করে ফেলতে পারবেন না। আপনাকে সফলতার জন্য লেগে থাকতে হবে এবং কাজ করে যেতে হবে।
আশা করছি এই মুহূর্তে আপনার কোন কন্টেন্ট গুলো তৈরি করা উচিত সে সম্পর্কে ভাল একটি ধারণা পেয়েছেন।
ধন্যবাদ সবাইকে