SKC ইসলামের আলো

  • Home
  • SKC ইসলামের আলো

SKC ইসলামের আলো মহান আল্লাহ একমাত্র সর্বশক্তিমান

🇧🇩 দেশের আকাশে দেখা গিয়েছে মুহাররম মাসের চাঁদ। 📌 নাজাতে মূসার (আঃ) শুকরিয়ার নিয়তে আশুরার ছিয়াম পালন করলে পূর্ববর্তী এক ব...
27/06/2025

🇧🇩 দেশের আকাশে দেখা গিয়েছে মুহাররম মাসের চাঁদ।

📌 নাজাতে মূসার (আঃ) শুকরিয়ার নিয়তে আশুরার ছিয়াম পালন করলে পূর্ববর্তী এক বছরের গুনাহ মাফ হবে ইনশাআল্লাহ।

🔰🔥সৌদিতে আগামী ৫ ই জুলাই (শনিবার) এবং বাংলাদেশে আগামীম ৬ ই জুলাই (রবিবার) পবিত্র আশূরার দিন অর্থাৎ ১০ই মহররম।

➡️ এদিন আল্লাহর হুকুমে মিসরের অত্যাচারী সম্রাট ফেরাঊন তার সৈন্যদল সহ নদীতে ডুবে মরেছিল এবং মূসা (আঃ) ও তাঁর সাথী বনু ইস্রাঈলগণ ফেরাঊনের কবল থেকে মুক্তি পেয়েছিলেন। তাই আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশের উদ্দেশ্যে মূসা (আঃ) এদিন ছিয়াম রাখেন’।[মুসলিম হা/১১৩০ (১২৮)।] সেকারণ এদিন নাজাতে মূসার শুকরিয়ার নিয়তে ছিয়াম রাখা মুস্তাহাব। যা রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) ও ছাহাবায়ে কেরাম নিয়মিতভাবে পালন করতেন।

🛑◼️ আশূরার ছিয়াম রাখলে পূর্ববর্তী এক বছরের গুনাহ মাফ হবে ইনশাআল্লাহ। (মুসলিম হা/১১৬২)

🔰◼️ আশূরার দিন নাজাতে মূসার শুকরিয়ার নিয়তে ছিয়াম পালন করতে হবে।

🔰সৌদিসহ আরব বিশ্বের জন্য:
🔥আশূরার ছিয়াম ৪ ও ৫ই জুলাই (শুক্রবার ও শনিবার ) অথবা ৫ ও ৬ই জুলাই ( শনিবার ও রবিবার) পালন করতে হবে।

🔰বাংলাদেশ ভারতের জন্য:
🔥আশূরার ছিয়াম ৫ ও ৬ই জুলাই ( শনিবার ও রবিবার ) অথবা ৬ ও ৭ই জুলাই ( রবিবার ও সোমবার ) পালন করতে হবে।

🛑◾ নবী করীম (ছাঃ) রামাযানের ছিয়ামের পর আশূরার দিন ছাড়া কোন দিনকে অন্য দিন অপেক্ষা মাহাত্ম্যপূর্ণ মনে করতেন না’। {ছহীহ তারগীব হা/১০০৬}

◼ ইবনু আববাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, صُومُوا التَّاسِعَ وَالْعَاشِرَ وَخَالِفُوا الْيَهُودَ ‘তোমরা ৯ ও ১০ তারিখে ছিয়াম রাখ এবং ইহুদীদের বৈপরীত্য কর’। সুতরাং মুহাররমের দু’টি ছিয়াম পালন করা উত্তম। এক্ষেত্রে দশ তারিখের আগের দিন বা পরের দিন ছিয়াম রাখা যেতে পারে। তিরমিযী হা/৭৫৫;; বায়হাক্বী হা/৮৬৬৫
____________________________________________

27/06/2025

রোমানদের বিজয়ে সাহাবায়ে কিরামের খুশি হওয়ার মতো ইরানীদের বিজয়ে কি আমরা খুশি হব?
এ প্রশ্নের উত্তর পাল্টা প্রশ্নের আকারেই দিতে হচ্ছে। সেটি হল,
"যখন মুসলিমরা রোমানদের বিজয়ে খুশি হয়েছিল, তখন কি রোমানরা মুসলিমদের হত্যা করছিল, তাদেরকে ড্রিল দিয়ে নির্যাতন করছিল, তাদের বাড়ী ও মসজিদ ধ্বংস করছিল?"

🎯 শিয়াদের প্রতি সিম্পেথাইজরা যুক্তি দেয় যে,
"যেহেতু ইসরাইল ফিলিস্তিনিদের উপর জুলুম করছে, তাই শত্রুর শত্রু ইরানই আমাদের বন্ধু। অন্তত তারা ইসরাইলের বিরুদ্ধে লড়ছে!" এ যুক্তি কতটুকু গ্রহণযোগ্য?
🔻 প্রশ্ন হচ্ছে,
🟥 "তাহলে কি রোমানদের বিজয়ের সময় মুসলিমরা তাদেরকে মুসলিমদের বন্ধু মনে করেছিল?"
উত্তর:
না! মুসলমানরা রোমানদের বিজয়ে খুশি হয়েছিল কেবল এই কারণে যে তারা মজুস পারসিদের তুলনায় কম শত্রুতা করেছে— তখনকার সময়ের রোমানরা মুসলিমদের হত্যা করেনি, শহর ধ্বংস করেনি, কিংবা মসজিদে আগুন দেয়নি।
🧨 অথচ ইরান কী করেছে/করছে?
ইরান:
ইরাক ও সিরিয়ায় লক্ষ লক্ষ সুন্নি মুসলমান হত্যা করেছে – বিশেষ করে শিশু, মহিলা, আলেম, হাফেজ।
আসাদ সরকারের সহযোগী হয়ে সিরিয়ায় বারবার ব্যারেল বোমা, কেমিক্যাল বোমা চালিয়েছে।
হুথিদের অস্ত্র দিয়ে ইয়েমেন ধ্বংস করেছে।
লেবাননে হিজবুল্লাহ দিয়ে সুন্নিদের নিপীড়ন করেছে ও করে চলেছে।
ইরাকি মিলিশিয়া দিয়ে সুন্নি শহরগুলো জ্বালিয়ে দিয়েছে, নির্দয়ভাবে আবাল বৃদ্ধ বনিতাদের হত্যার মহোৎসব চালিয়েছে।
👉 তাহলে আপনি কিভাবে বলেন, ইরান মুসলিমদের পক্ষে?
⚖️ তুলনা – রোমান বনাম ইরান:
রোমানরা শির্কে লিপ্ত ছিল। আর এখনকার ইরানীরা রাফেযীরাও শির্কে লিপ্ত।
রোমানরা ইসলামের বিরোধিতা করছিল তবে দূর থেকে। পক্ষান্তরে ইরান (শিয়া ফার্সি রাষ্ট্র) সঠিক ইসলাম বিরোধিতায় খুবই সক্রিয়।
রোমানরা তখনও প্রতিরক্ষাহীন কোনও মুসলিমদের নিশানা করা শুরু করেনি। অপরদিকে ইরানী শিয়ারা সুন্নিদের সরাসরি নিশানা করে।
রোমানরা তখনও সাহাবিদের ব্যাপারে শত্রুতা প্রদর্শন করেনি। অন্যদিকে ইরানী শিয়াদের অবস্থান হচ্ছে প্রকাশ্য গালি, লানত প্রদান।
রোমানরা তখনও মুসলিমদের হত্যা করেনি, তাদের মসজিদ ধ্বংস করেনি, কিন্ত ইরানী শিয়াদের আমরা দেখি যে তারা সুন্নিদের হত্যা করেই চলেছে, এ প্রতিহিংসা যুগ যুগ ধরে চালিয়ে যাচ্ছে, তারা সুন্নিদের
লক্ষ লক্ষমসজিদ ধ্বংস করেছে ও করে চলেছে। বহু মসজিদ বোমা ও আগুনে পুড়িয়েছে।
রোমানরা সে সময় পর্যন্ত আমাদের নবীর স্ত্রীগণের ব্যাপারে কোনও উচ্চবাচ্চ করেছিল না। এর বিপরীতে ইরানী শিয়াদের প্রতি তাকালে দেখবেন যে তারা উম্মুল মু’মিনীনদের সম্মানহানি করেই চলেছে। প্রকাশ্যে অপমান করে যাচ্ছে।
📌 সারকথা:
রাসূলের যুগে সাহাবীদের দ্বারা রোমানদের বিজয়ের সংবাদে খুশি হওয়ার তুলনা করে বলছেন যে, “যেহেতু ইরান ইসরাইলের শত্রু, তাই আমরা ইরানের পক্ষ নেব।” এ কথা ঠিক না।
❗ কেননা বাস্তবতা হলো –
ইরান সুন্নি মুসলিমদের প্রতি যতটা রক্তপিপাসু, ইস*রাইলও ঠিক তেমনি সুন্নিদের প্রতি ভয়ংকর পিশাচ আচরণ করে।
👉 অতএব, মুসলিমদের উচিত:
আকীদা ও ইতিহাস ভিত্তিক দৃষ্টিভঙ্গি রাখা,
"শত্রুর শত্রু" যুক্তিতে অন্ধ সমর্থন না দেওয়া,
বরং আসল মিত্র ও শত্রুকে চিনে নেয়া।
🔚 উপসংহার:
রোমানদের বিজয়ে মুসলিমরা খুশি হয়েছিল, কারণ তারা তখনকার দিনে সবচেয়ে বড় তাওহিদ-শত্রু পারসিদের বিরুদ্ধে বিজয়ী হয়েছিল, তবে রোমানরা তখন মুসলিমদের সরাসরি হত্যা করছিল না।
কিন্তু আজ যারা মুসলিমদেরই বেশি হত্যা করে, তাদের বিজয়ে খুশি হওয়া বা তাদেরকে “মুসলিমদের পক্ষের শক্তি” ভাবা — একটি ভয়াবহ ভুল, এমনকি ঈমানের জন্য বিপজ্জনক।

23/06/2025

প্রিয় নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর অংশগ্রহণ করা ২৭ টি যু$দ্ধে উভয়পক্ষে মারা গেছে মোট চারশ মানুষ। তাদের প্রত্যেকে আবার ছিলেন সামরিক যো$দ্ধা।

আজকের পৃথিবীতে এক বো$মার আঘাতেই চারশর বেশি মানুষ মারা যায়। যাদের বেশিরভাগই আবার নারী-শিশু-বৃদ্ধ সহ বেসামরিক সাধারণ মানুষ।

এরপরও আপনাকে বলতে হবে আজকের পৃথিবী সভ্য!

নবীজি (সা.) এবং তাঁর সৈনিকেরা কখনো কোনো নারী কিংবা শিশুর গায়ে ফুলের টোকাও দেননি। অথচ আজ প্রতিটি রণাঙ্গণে কান পাতলেই শোনা যায় নারী ও শিশুর আর্তনাদ।

এরপরও আপনাকে বলতে হবে, আজকের পৃথিবী অনেক মানবিক!

নবীজি (সা.) কখনো উপাসনালয়ে থাকা যাজকদের হ$ত্যা করেননি। অথচ আজ বেছে বেছে ধর্মীয় উপাসনালয় ও ধর্মীয় নেতাদের টার্গেট করা হয়।

এরপরও আপনাকে বলতে হবে, আজকের পৃথিবী সংখ্যালঘুদের ব্যাপারে সংবেদনশীল!

নবীজি (সা.)-এর খলিফা আবু বকর (রা.) যুদ্ধের সময় সৈনিকদের গাছপালা ও ফসল নষ্ট করতে নিষেধ করেছেন। অথচ আজ নির্বিচারে কা$র্পেট বো$মা মেরে পরিবেশ ও প্রকৃতি ধ্বংস করা হয়।

এরপরও আপনাকে বলতে হবে, আজকের পৃথিবী অনেক বেশি পরিবেশ সচেতন।

নবীজি (সা.) লাশের সাথে অমানবিক আচরণ করতে নিষেধ করেছেন। অথচ আজ মৃত লাশ নিয়ে পৈশাচিক আনন্দ করা হয়।

এরপরও আপনাকে বলতে হবে, আজকের পৃথিবী মানবাধিকারের উর্বরভূমি

নবীজি (সা.) সম্মুখ যু$দ্ধেও প্রতিপক্ষের আক্রমণের অপেক্ষা করতেন, আক্রমণের আগে তাদের শেষবারের মতো দাওয়াত দিতেন, অথচ আজ ক্ষমতাধরেরা যখন যেখানে খুশি এমনকি রাতে আঁধারে ঘুমন্ত মানুষের ওপর হামলা করে।

এরপরও আপনাকে বলতে হবে, আজকের পৃথিবী শান্তিকামী।

22/06/2025

সবাইকে ভালো ভাবে পুরোটা পড়ার অনুরোধ করছি, সবার উপকারে আসবে ইনশাআল্লাহ।
নারী-পুরুষের নামাযের পদ্ধতি একই।
পুরুষ যেভাবে নামাজ পড়বে ঠিক একই নিয়মে নারী ও নামাজ পড়বে।

পুরুষ ও মহিলার নামাযের পদ্ধতি একই প্রকার। সুতরাং মহিলাও ঐরুপ একই তরীকায় নামায পড়বে, যেরুপ ও যে তরীকায় পুরুষ পড়ে থাকে। কারণ, (নারী-পুরুষ উভয় জাতির) উম্মতকে সম্বোধন করে রসূল (ﷺ) বলেছেন, “তোমরা সেইরুপ নামায পড়, যেরুপ আমাকে পড়তে দেখেছ।” (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত ৬৮৩নং) আর উভয়ের নামায পৃথক হওয়ার ব্যাপারে কোন দলীলও নেই।

সুতরাং যে আদেশ শরীয়ত পুরুষদেরকে করেছে, সে আদেশ মহিলাদের জন্যও এবং যে সাধারণ আদেশ মহিলাদেরকে করেছে তাও পুরুষদের ক্ষেত্রে পালনীয় -যদি বিশেষ হওয়ার ব্যাপারে কোন প্রকার দলীল না থাকে। যেমন, “যারা সতী মহিলাদের উপর মিথ্যা অপবাদ আরোপ করে, অতঃপর চারজন সাক্ষী উপস্থিত করে না, তাদের জন্য শাস্তি হল ৮০ কোড়া---।” (কুরআন মাজীদ ২৪/৪) পরন্তু যদি কেউ কোন সৎ পুরুষকে অনুরুপ অপবাদ দেয়, তবে তার জন্যও ঐ একই শাস্তি প্রযোজ্য।

সুতরাং মহিলারাও তাদের নামাযে পুরুষদের মতই হাত তুলবে, পিঠ লম্বা করে রুকূ করবে, সিজদায় জানু হতে পেট ও পায়ের রলাকে দূরে রেখে পিঠ সোজা করে সিজদাহ করবে। তাশাহ্‌হুদেও সেইরুপ বসবে, যেরুপ পুরুষরা বসে। উম্মে দারদা (রাঃ) তাঁর নামাযে পুরুষের মতই বসতেন। আর তিনি একজন ফকীহ্‌ ছিলেন। (আত্‌-তারীখুস স্বাগীর, বুখারী ৯৫পৃ:, বুখারী, ফাতহুল বারী, ইবনে হাজার ২/৩৫৫) আর মহিলাদের জড়সড় হয়ে সিজদাহ করার ব্যাপারে কোন হাদীস সহীহ নয়। (সিলসিলাহ যায়ীফাহ, আলবানী ২৬৫২ নং) এ জন্যই ইবরাহীম নাখয়ী (রহঃ) বলেন, ‘নামাযে মহিলা ঐরুপই করবে, যেরুপ পুরুষ করে থাকে।’ (ইবনে আবী শাইবা, সিফাতু স্বালাতিন নাবী (ﷺ), আলবানী ১৮৯পৃ:)

পক্ষান্তরে দলীলের ভিত্তিতেই নামাযের কিছু ব্যাপারে মহিলারা পুরুষদের থেকে ভিন্নরুপ আমল করে থাকে। যেমন:-

১। বেগানা পুরুষ আশে-পাশে থাকলে (জেহরী নামাযে) মহিলা সশব্দে কুরআন পড়বে না। (আলমুমতে’, শারহে ফিক্‌হ, ইবনে উষাইমীন ৩/৩০৪) যেমন সে পূর্ণাঙ্গ পর্দার সাথে নামায পড়বে। তাছাড়া একাকিনী হলেও তার লেবাসে বিভিন্ন পার্থক্য আছে।

২। মহিলা মহিলাদের ইমামতি করলে পুরুষদের মত সামনে না দাঁড়িয়ে কাতারের মাঝে দাঁড়াবে।

৩। ইমামের ভুল ধরিয়ে দেওয়ার উদ্দেশ্যে মহিলা পুরুষের মত ‘সুবহা-নাল্লাহ্‌’ না বলে হাততালি দেবে।

৪। মহিলা মাথার চুল বেঁধে নামায পড়তে পারে, কিন্তু (লম্বা চুল হলে) পুরুষ তা পারে না।

এ সব ব্যাপারে দলীলসহ্‌ বিস্তারিত আলোচনা যথাস্থানে দ্রষ্টব্য।

অনেক মহিলা আছে, যারা মসজিদে বা বাড়িতে পুরুষদের নামায পড়া না হলে নামায পড়ে না। এটা ভুল। আযান হলে বা নামাযের সময় হলে আওয়াল অক্তে নামায পড়া মহিলারও কর্তব্য। (মুত্বাসা ১৮৮-১৮৯পৃ:)

21/06/2025

"আল্লাহুম্মা সাল্লি ওয়া সাল্লিম আলা নাবিয়্যিনা মুহাম্মাদ"
🌿 অর্থ: "হে আল্লাহ! আমাদের নবী মুহাম্মাদ ﷺ-এর প্রতি আপনি রহমত ও শান্তি বর্ষণ করুন।"

21/06/2025

আফগানিস্তানে ২০০১ সালে আমেরিকা হামলা চালায়, তখন সহযোগিতা করেনি কোন মুসলিম রাষ্ট্র!
(ওসামা বিন লাদেন শহীদ)

ইরাকে ২০০৩ সালে আমেরিকা হামলা চালায়, তখনও সহযোগিতা করেনি কোন মুসলিম রাষ্ট্র।
(সাদ্দাম হোসেন শহীদ)

লিবিয়া ২০১১ সালে আমেরিকা হামলা চালায়, তখনও সহযোগিতা করেনি কোন মুসলিম রাষ্ট্র।
(গাদ্দাফি শহীদ)

মিশরে ২০১১ সালে আমেরিকার সহযোগিতায় সিসি যখন গণহত্যা চালিয়ে ক্ষমতা দখল করে, তখনও সহযোগিতা করেনি কোন মুসলিম রাষ্ট্র।
(মুরসি শহীদ)

২০২৪ আমেরিকার ও ইজরায়েল মিলে ইব্রাহিম রাইসিকে শহীদ)
এখন ইরান ২০২৫ সালে আমেরিকার সহযোগিতায় ইসরাইলের হামলা, এখনো সহযোগিতা করবে না কোন মুসলিম রাষ্ট্র।
(আলী খোমেনী যে কোন সময় শহীদ হতে পারে)

অবশিষ্ট রইল বাংলাদেশ-পাকিস্তান Vs ভারত।
তখনো সহযোগিতা করবে না কোন মুসলিম রাষ্ট্র।
এভাবেই কি নিভে যাবে মুসলিম রাষ্ট্রের প্রদীপ গুলো!

এখনো সময় আছে এক হও "মুসলিম"
হে আল্লাহ ,আপনি ইরানকে গায়েবি সাহায্যে বিজয় দান করুন,আমিন।🤲

এটি সত্যি হলে কয়েকটি ঘটনা ঘটবে।১।ইরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরীর ঘোষণা দিবে২।সর্বাত্মক যুদ্ধের জন্য ইরান প্রস্তুতি নিয়ে ফেলে...
20/06/2025

এটি সত্যি হলে কয়েকটি ঘটনা ঘটবে।
১।ইরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরীর ঘোষণা দিবে

২।সর্বাত্মক যুদ্ধের জন্য ইরান প্রস্তুতি নিয়ে ফেলেছে

৩।খোমেনীকে হত্যা করলেও ক্ষমতার পালাবদল হচ্ছেনা

৪।আমেরিকা ও তাদের মিত্রদের স্বপ্ন অধরাই থেকে যাচ্ছে।

19/06/2025

‘মরো অথবা পালাও’, "ইসরাইলিদের যে কোনো একটি বেছে নিতে বললো" ***ইরান***

18/06/2025

ইরানের আয়তনঃ ১৬,৪৮,১৯৫ বর্গকিলোমিটার।
হিজ্রাইলের আয়তনঃ ২২,০৭২ বর্গকিলোমিটার।

আয়তনের হিসেবটা দিলাম কেন, তা একটুপর বুঝবেন। তবে পুরোটা লেখা পড়তে হবে!

ইতিহাসের কোন বড় যুদ্ধ ই অন্যদেশ অ্যাটাকে এসে জিতেছে বা খুব বেশী সাফল্য পেয়েছে এমন নজির খুব কম। সে যত শক্তিশালী সামরিক দেশ ই হোক না কেন!

আমি যেটুকু জানি সেখান থেকে যদি বলি তাহলে ধরুন....

পাকিস্তানের বাংলাদেশ আক্রমন!
এখানে ১৯৭১ সালে সেরা সামরিক শক্তি নিয়েও বাংলাদেশ দখলে এসে পরাজিত হয়েছে পাকিস্তান। ইতিহাসটা সবার ই জানা!

ভিয়েতনামে আমেরিকার আক্রমন!
এই যুদ্ধকে আমেরিকার প্রথম পরাজিত যুদ্ধ বলা হয়ে থাকে। দক্ষিন কোরিয়াকে সাথে নিয়ে ভিয়েতনাম আক্রমন করে আমেরিকা, দীর্ঘ ২১ বছর চলা যুদ্ধেও জিততে পারেনি আমেরিকা!

আফগানিস্তানে আমেরিকার আক্রমন!
এটা তো এই কিছুদিন আগেই ঘটলো, আমেরিকার সৈন্যরা কিভাবে আফগান ছেড়ে পালালো তা সবার চোঁখের সামনেই ঘটা কাহিনী!

এবার আসি মূল প্রসঙ্গেঃ ইরান এমন একটি দেশ যেটা হিজ্রাইলের চেয়ে আয়তনে ৭৫ গুন বড়। আবার বলি ৭৫ গুন বড়!

এর চেয়ে বড় কথা ইরানের ভৌগিলিক অবস্থান। চাইলেই যে ইরানে স্থল অভিযান করতে পারবে হিজ্রাইল, এমনটা না। এটা করতে হলে লাখ সৈন্য হারাতে হবে হিজ্রাইলকে। ইরানে যেমন রয়েছে সমুদ্র অঞ্চল 'হরমুজ প্রণালি' তেমনটা রয়েছে বিস্তর পাহাড়ি অঞ্চল ও মরুভুমি!

ঠিক এই অবস্থানের কারনেই ২০টা বছর আফগানিস্তানে থেকেও 'তালিবান'কে হারাতে পারে নাই আমেরিকা। সেখানে ইরান তো তালিবানের চেয়ে শতগুন শক্তিশালী!

ইরানের কাছে যে পরিমান মিসাইল আছে তা দৈনিক ২০টা করে মারলেও ৮-৯ মাস সুন্দরে পার করে দিতে পারবে। অথচ হিজ্রাইলের একমাত্র শক্তিই হলো এয়ার স্ট্রাইক, যেটা লম্বা সময় ধরে ২ হাজার কিঃমিঃ দুরত্বে মাসের পর মাস রান করা সম্ভব না!

ইরানকে পুরোপুরি ধ্বংস করতে হলে ফাইটার জেট দিয়ে চোষে বেড়াতে হবে ইরানের এই সাড়ে ১৬ লাখ আয়তনকে। অন্যদিকে ইরানের একটি জেলার সমান 'হিজ্রাইল'কে ধ্বংস করতে ইরানের মিসাইল ই যতেষ্ট!

হিজ্রাইল যে কারনে ইরানে হামলা করলো সেটা হলো পারমানবিক স্থাপনা গুলো গুঁড়িয়ে দেয়া। কিন্তু হিজ্রাইল আটকে গেছে ইরানের প্ল্যানের কাছে। কেননা ইরানের বেশীরভাগ পারমানবিক আস্তানা ই হলো মাটির নিচে। যেটা ধ্বংস করার কোন অস্ত্র নেই হিজ্রাইলের কাছে। একমাত্র আমেরিকার কাছেই আছে মাটির নিচের স্থাপনাও ধ্বংস করার অস্ত্র, সেজন্য আব্বু ডেকে আমেরিকাকে এই যুদ্ধে জড়াতে চাইছে হিজ্রাইল!

হিজ্রাইলের গর্বের একটা জিনিস ছিলো আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। সেটাও কয়েক স্তরের, যেটা ছিলো সবচেয়ে আলোচনায় সেটা হলো 'আয়রন ডোম' যেটা হামাস-হিজবুল্লাহ কিংবা হুতিদের ছোড়া মিসাইলকে আটকে দিয়ে ব্যাপক প্রশংসা পেয়েছে!

কিন্তু ইরান এখানে একটা গেইম খেলে....হিজ্রাইলের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গুলোকে একটা শত্রু আরেকটা বানিয়ে দিয়েছে ইরান। তাই ইরানের ছোড়া মিসাইল আটকানো তো থাক পরের কথা, নিজেদের সিস্টেম ই কন্ট্রোল করতে পারছে না হিজ্রাইল। এই কারনে প্রতিদিন ২৮৫ মিলিয়ন ডলার খরচ করতে হচ্ছে হিজ্রাইলকে!

হিজ্রাইলকে বাচাচ্ছে একমাত্র তাদের বাঙ্কার ব্যবস্থা। তারা জানেই তারা যুদ্ধ জড়াবে, তাই প্রতিটা ভবনের নিচেই তারা শেল্টারের ব্যবস্থা করে রেখেছিলো। ইরান থেকে মিসাইল লক করার পরেই সব হিজ্রাইলীদের ফোনে এলার্ম বাজে সাথে সাইরেন তো আছেই। তারপরেই সব হিজ্রাইলি বাঙ্কারে ঢুকে বসে থাকে। যার জন্য ইরানের এতো মৃত্যুর বিপরীতে হিজ্রাইলে মৃত্যু কম!

ইরানের সর্ব্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনি আজ জাতির উদ্দেশ্যে ভাষন দিয়েছেন 'বলেছেন তাদের যুদ্ধ এখন থেকে শুরু' তারা কোন প্রকাশ আপোষ কিংবা স্যারেন্ডার করবে না। বরং আমেরিকাকে উল্টো হুমকি দিয়েছে যে ইরানের বিরুদ্ধে ওরা যুদ্ধে অংশ নিলে মধ্যপ্রাচ্যের সব আমেরিকান সামরিক ঘাঁটি উড়াই দিবে ইরান। হরমুজ প্রণালিতে মাইন বসানোর হুমকিও দিয়েছে!

এই যুদ্ধটা যদি ইরান বনাম হিজ্রাইলের ভেতরেই চলে তবে হিজ্রাইল শেষ, এটা শিউর। কারন ইরান কখনোই মাথা নত করবে না। আর যদি আমেরিকা যোগ দেয় তবে তারপরে অনেককিছুই হতে পারে এই যুদ্ধে!'

17/06/2025

Aal-e-Imran ৩:১০৯

وَلِلّٰهِ مَا فِي السَّمٰوٰتِ وَمَا فِي الْاَرْضِ ؕ وَاِلَي اللّٰهِ تُرْجَعُ الْاُمُوْرُ

Bangla - Taisirul Quran

যা কিছু আসমানে আছে আর যমীনে আছে সব আল্লাহরই এবং যাবতীয় বিষয়াদি আল্লাহর দিকেই ফিরে যাবে।

Bangla - Tafsir Ahsanul Bayaan

গগনে ও ভুবনে যা কিছু আছে, সব কিছুই আল্লাহর; আল্লাহরই কাছে সব কিছু ফিরে যাবে।

13/06/2025

‎মৃত ব্যক্তির সম্মুখে সকাল ও সন্ধ্যায় (জান্নাত ও জাহান্নামে তার আবাসস্থল) পেশ করা হয়।

‘আবদুল্লাহ্‌ ইবনু ‘উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
🔘 আল্লাহর রাসূল (সাঃ) বলেছেন,
তোমাদের কেউ মারা গেলে অবশ্যই তার সামনে সকাল ও সন্ধ্যায় তার অবস্থান স্থল উপস্থাপন করা হয়।
যদি সে জান্নাতী হয়, তবে (অবস্থান স্থল) জান্নাতীদের মধ্যে দেখানো হয়।
আর সে জাহান্নামী হলে, তাকে জাহান্নামীদের (অবস্থান স্থল) দেখানো হয়।
আর তাকে বলা হয়, এ হচ্ছে তোমার অবস্থান স্থল, ক্বিয়ামত দিবসে আল্লাহ তোমাকে পুনরুত্থিত করা অবধি।

সহিহ বুখারী, হাদিস নং ১৩৭৯
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
সোর্স: আল হাদিস অ্যাপ,

13/06/2025

দুনিয়া ধ্বংস হয়ে পরকালের জীবন শুরু হলে, সে জীবন হবে অনন্ত কালের। অন্তহীন হবে জান্নাত, অন্তহীন হবে জান্নাতীরা। না জান্নাত ধ্বংস হবে, আর না জান্নাতীরা বৃদ্ধ ও মরণাপন্ন হবে। বরং তারা চিরতরের জন্য ইচ্ছাসুখে সেখানে বসবাস করবে। মহান আল্লাহ বলেন,

لَا يَذُوقُونَ فِيهَا الْمَوْتَ إِلَّا الْمَوْتَةَ الْأُولَىٰ ۖ وَوَقَاهُمْ عَذَابَ الْجَحِيمِ

অর্থাৎ, (ইহকালে) প্রথম মৃত্যুর পর তারা সেখানে আর মৃত্যু আস্বাদন করবে না। আর তিনি তাদেরকে জাহান্নামের শাস্তি হতে রক্ষা করবেন। (দুখানঃ ৫৬)

إِنَّ الَّذِينَ آمَنُوا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ كَانَتْ لَهُمْ جَنَّاتُ الْفِرْدَوْسِ نُزُلًا (107) خَالِدِينَ فِيهَا لَا يَبْغُونَ عَنْهَا حِوَلًا (108)

অর্থাৎ, নিশ্চয় যারা বিশ্বাস করে ও সৎকর্ম করে, তাদের অভ্যর্থনার জন্য আছে ফিরদাউসের উদ্যান। সেথায় তারা স্থায়ী হবে; এর পরিবর্তে তারা অন্য স্থানে স্থানান্তরিত হওয়া কামনা করবে না। (কাহ্‌ফঃ ১০৭-১০৮)

إِنَّ هَٰذَا لَرِزْقُنَا مَا لَهُ مِن نَّفَادٍ

অর্থাৎ, নিশ্চয় এটি আমার (দেওয়া) রুযী; যার কোন শেষ নেই। (স্বাদঃ ৫৪)

مَّثَلُ الْجَنَّةِ الَّتِي وُعِدَ الْمُتَّقُونَ ۖ تَجْرِي مِن تَحْتِهَا الْأَنْهَارُ ۖ أُكُلُهَا دَائِمٌ وَظِلُّهَا ۚ تِلْكَ عُقْبَى الَّذِينَ اتَّقَوا ۖ وَّعُقْبَى الْكَافِرِينَ النَّارُ

অর্থাৎ, সাবধানীদেরকে যে জান্নাতের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে তার বিবরণ এইরূপঃ ওর পাদদেশে নদী প্রবাহিত, ওর ফলমূলসমূহ ও ছায়া চিরস্থায়ী; যারা সাবধানী এটা তাদের পরিণাম। আর অবিশ্বাসীদের পরিণাম হল জাহান্নাম। (রা’দ ৩৫)

মহানবী (ﷺ) বলেন, “যে ব্যক্তি জান্নাতে প্রবেশ করবে, সে চিরসুখে থাকবে, সে কোন কষ্ট পাবে না, তার পরিচ্ছদ পুরাতন হবে না এবং তার যৌবনও শেষ হবে না।” (মুসলিম ২৮৩৬নং)

রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, জান্নাতীরা যখন জান্নাতে প্রবেশ করে যাবে, তখন একজন ঘােষণাকারী ঘােষণা করবে যে, তোমাদের জন্য এখন অনন্ত জীবন; তোমরা আর কখনো মরবে না। তোমাদের জন্য এখন চির সুস্বাস্থ্য; তোমরা আর কখনো অসুস্থ হবে না। তোমাদের জন্য এখন চির যৌবন; তোমরা আর কখনো বৃদ্ধ হবে না। তোমাদের জন্য এখন চির সুখ ও পরমানন্দ; তোমরা আর কখনো দুঃখ-কষ্ট পাবে না। (মুসলিম)।

এ ছাড়া হাদীসে এসেছে যে, মৃত্যুকে দুম্বার আকারে নিয়ে এসে যবেহ করা হবে এবং বলা হবে, হে জান্নাতীগণ! তোমরা চিরকাল বাস কর, আর কোন মৃত্যু নেই৷ হে জাহান্নামীগণ! তোমরা চিরকাল বাস কর, আর কোন মৃত্যু নেই।' (বুখারী-মুসলিম)

প্রকাশ থাকে যে,

فَأَمَّا الَّذِينَ شَقُوا فَفِي النَّارِ لَهُمْ فِيهَا زَفِيرٌ وَشَهِيقٌ (106) خَالِدِينَ فِيهَا مَا دَامَتِ السَّمَاوَاتُ وَالْأَرْضُ إِلَّا مَا شَاءَ رَبُّكَ ۚ إِنَّ رَبَّكَ فَعَّالٌ لِّمَا يُرِيدُ (107) وَأَمَّا الَّذِينَ سُعِدُوا فَفِي الْجَنَّةِ خَالِدِينَ فِيهَا مَا دَامَتِ السَّمَاوَاتُ وَالْأَرْضُ إِلَّا مَا شَاءَ رَبُّكَ ۖ عَطَاءً غَيْرَ مَجْذُوذٍ (108)

অর্থাৎ, অতএব যারা দুর্ভাগ্যবান, তারা তো হবে দোযখে; তাতে তাদের চীৎকারও আর্তনাদ হতে থাকবে। তারা অনন্তকাল সেখানে থাকবে, যতকাল আকাশমন্ডলী ও পৃথিবী বিদ্যমান থাকবে; যদি না তোমার প্রতিপালকের অন্য ইচ্ছা হয়। নিশ্চয় তোমার প্রতিপালক যা ইচ্ছা করেন, তা সম্পাদনে সুনিপুণ। পক্ষান্তরে যারা সৌভাগ্যবান, তারা থাকবে বেহেস্তে। সেখানে তারা অনন্তকাল থাকবে, যতকাল আকাশমন্ডলী ও পৃথিবী বিদ্যমান থাকবে; যদি না তোমার প্রতিপালকের অন্য ইচ্ছা হয়। এ হবে অফুরন্ত অনুদান। (হূদঃ ১০৬-১০৮)

এই আয়াতসমূহ দ্বারা কিছু মানুষ এই বিভ্রান্তির শিকার হয়েছে যে, জাহান্নামের আযাব কাফেরদের জন্যও চিরস্থায়ী নয়; বরং সাময়িক। অর্থাৎ, ততদিন থাকবে, যতদিন আকাশ ও পৃথিবী থাকবে। (তারপর শেষ হয়ে যাবে।) কিন্তু এই কথা ঠিক নয়। কারণ এখানে (مَا دَامَتِ السَّمَاوَاتُ وَالْأَرْضُ) কথাটি আরববাসীদের দৈনন্দিন কথাবার্তা ও পরিভাষা অনুযায়ী অবতীর্ণ হয়েছে। আরববাসীদের অভ্যাস ছিল যে, যখন তারা কোন বস্তুর চিরস্থায়িত্ব প্রমাণ করার উদ্দেশ্য হত, তখন তারা বলত, (هذا دائم دوام السموات والارض) “এই বস্তু আকাশ ও পৃথিবীর মত চিরস্থায়ী।” সেই পরিভাষাকে কুরআনে বর্ণনা করা হয়েছে, যার অর্থ কাফের ও মুশরিকরা চিরকালব্যাপী জাহান্নামে থাকবে, যা কুরআন বিভিন্ন স্থানে, (خالدين فيها) শব্দ দ্বারা বর্ণনা করেছে। তার দ্বিতীয় এক অর্থ এও করা হয়েছে যে, আকাশ ও পৃথিবী থেকে উদ্দেশ্য হল ‘জিনস’ (শ্রেণী)। অর্থাৎ, ইহলৌকিক আকাশ ও পৃথিবী; যা ধ্বংস হয়ে যাবে। কিন্তু এ ছাড়া পারলৌকিক আকাশ ও পৃথিবী পৃথক হবে। যেমন কুরআনে তার পরিষ্কার বর্ণনা এসেছে (يَوْمَ تُبَدَّلُ الْأَرْضُ غَيْرَ الْأَرْضِ وَالسَّمَاوَاتُ) অর্থাৎ, যেদিন এই পৃথিবী পরিবর্তিত হয়ে অন্য পৃথিবী হবে এবং আকাশমন্ডলীও।” (ইব্রাহীম ৪৮) আর পারলৌকিক উক্ত আকাশ ও পৃথিবী, জান্নাত ও জাহান্নামের মত চিরস্থায়ী হবে। এই আয়াতে সেই পারলৌকিক আকাশ-পৃথিবীর কথা বলা হয়েছে, ইহলৌকিক আকাশ-পৃথিবীর কথা নয়, যা ধ্বংস হয়ে যাবে। (ইবনে কাসীর) এই উভয় অর্থের যে কোন অর্থ নেওয়া হলে আয়াতের উদ্দেশ্য পরিস্ফুটিত হয়ে যাবে এবং উপস্থাপিত সমস্যা দূর হয়ে যাবে। ইমাম শওকানী (রঃ) এর আরো কয়েকটি অর্থ বর্ণনা করেছেন, যা জ্ঞানীরা দেখতে পারেন। (ফাতহুল কাদীর)।

আয়াতে উল্লিখিত ব্যতিক্রমের কয়েকটি অর্থ বর্ণনা করা হয়েছে। তার মধ্যে সব থেকে সঠিক অর্থ এই যে উক্ত ব্যতিক্রম তওহীদবাদী মুমিন পাপীদের জন্য। এই অর্থ অনুযায়ী এর পূর্ব আয়াতে (شقي) (দুর্ভাগ্যবান) শব্দটি ব্যাপক ধরতে হবে। অর্থাৎ কাফের ও পাপী মু’মিন উভয়কে বুঝাবে। আর (إِلَّا مَا شَاءَ رَبُّكَ) দ্বারা পাপী মু’মিনরা ব্যতিক্রম হয়ে যাবে। আর مَا شَاءَ তেمَا হরফটিمن এর অর্থে ব্যবহার হয়েছে। দ্বিতীয় ব্যতিক্রমটিও পাপী মুমিনদের জন্য। অর্থাৎ, অন্য মু’মিনদের মত এই গোনাহগার মু’মিনরা প্রথম থেকে শেষ অবধি জান্নাতে থাকবে না। বরং শুরুতে কিছু দিন তাদেরকে জাহান্নামে থাকতে হবে, পরে আল্লাহর ইচ্ছায় আম্বিয়া ও মুমিনদের সুপারিশে তাদেরকে জাহান্নাম থেকে বের করে জান্নাতে প্রবেশ করানো হবে, যেমন সহীহ হাদীস দ্বারা এ কথা প্রমাণিত।

(غَيْرَ مَجْذُوذٍ) এর অর্থ হল (غير مقطوع) অর্থাৎ, এমন অফুরন্ত অনুদান যা শেষ হওয়ার নয়। এই বাক্য দ্বারা এই কথা পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে যে, যে সকল পাপী মুমিনদেরকে জাহান্নাম থেকে বের করে জান্নাতে প্রবেশ করানো হবে, তারা ক্ষণস্থায়ী নয়, বরং চিরস্থায়ী হবে এবং সকল জান্নাতীগণ আল্লাহ প্রদত্ত অনুদান ও তার নিয়ামত দ্বারা উপকৃত হতে থাকবে, তা কোন কালে কখনও শেষ হবে না। (তফসীর আহসানুল বায়ান)

Address


Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when SKC ইসলামের আলো posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to SKC ইসলামের আলো:

Shortcuts

  • Address
  • Alerts
  • Contact The Business
  • Claim ownership or report listing
  • Want your business to be the top-listed Media Company?

Share