Masum Talukder 123

Masum Talukder 123 ❤️M❤️L❤️

সকলের মতামত চাই ��  সম্পর্কে দশটি অজানা তথ্য১. প্রতিষ্ঠা এবং ইতিহাস: বিএমডব্লিউ, বায়ারিশে মোটরেন ওয়ার্ক এজি, ১৯১৬ সালে...
01/07/2025

সকলের মতামত চাই ��


সম্পর্কে দশটি অজানা তথ্য
১. প্রতিষ্ঠা এবং ইতিহাস: বিএমডব্লিউ, বায়ারিশে মোটরেন ওয়ার্ক এজি, ১৯১৬ সালে মিউনিখ, জার্মানিতে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, প্রথমে বিমানের ইঞ্জিন উৎপাদন করে। কোম্পানী 1920 এর দশকে মোটর সাইকেল উৎপাদনে রূপান্তরিত হয় এবং অবশেষে 1930 এর দশকে অটোমোবাইলে পরিণত হয়।

২। আইকনিক লোগো: বিএমডব্লিউ লোগো, যাকে প্রায়শই "রাউন্ডেল" বলা হয়, একটি কালো আংটি নিয়ে গঠিত যা নীল এবং সাদা চার চতুর্থাংশ দিয়ে ছেদ করে। এটি বিমানের কোম্পানির উত্সকে প্রতিনিধিত্ব করে, নীল এবং সাদা একটি স্পষ্ট নীল আকাশের বিরুদ্ধে একটি ঘূর্ণন প্রপেলার প্রতীক।

৩। প্রযুক্তিতে উদ্ভাবন: বিএমডব্লিউ অটোমোটিভ প্রযুক্তিতে উদ্ভাবনের জন্য বিখ্যাত। এটি ২০১৩ সালে বিশ্বের প্রথম বৈদ্যুতিক গাড়ি, বিএমডব্লিউ আই৩ চালু করে, এবং উন্নত ড্রাইভিং সহায়তা সিস্টেম (এডিএএস) এবং হাইব্রিড পাওয়ারট্রেন উন্নয়নে একজন নেতা হয়েছে।

৪. কর্মক্ষমতা এবং মোটরস্পোর্ট হেরিটেজ: মোটরস্পোর্টে বিএমডব্লিউ এর একটি শক্তিশালী ঐতিহ্য আছে, বিশেষ করে ভ্রমণের গাড়ি এবং ফর্মুলা 1 রেসিং এ। ব্র্যান্ড এর এম বিভাগ তাদের নিয়মিত মডেলগুলির উচ্চ-পারফরম্যান্স সংস্করণ তৈরি করে, যা তাদের নির্ভুলতা ইঞ্জিনিয়ারিং এবং উত্তেজনাপূর্ণ ড্রাইভিং গতিশীলতার জন্য পরিচিত।

৫। বিশ্বব্যাপী উপস্থিতি: বিএমডব্লিউ একটি বিশ্বব্যাপী অটোমোটিভ কোম্পানি

৬. বিলাসিতা এবং নকশা: বিএমডব্লিউ বিলাসিতা এবং স্বতন্ত্র নকশার সমার্থক, কারুশিল্প যা আধুনিক প্রযুক্তি এবং আরামের সাথে কমনীয়তা মিশ্রিত করে।

৭. টেকসই অনুশীলন: বিএমডব্লিউ স্থায়িত্বের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, তার যানবাহনের মধ্যে পরিবেশ বান্ধব উপকরণ এবং উৎপাদন প্রক্রিয়া অন্তর্ভুক্ত করে, পাশাপাশি বিএমডব্লিউ আই৪ এবং আইএক্স এর মত মডেলের সঙ্গে বৈদ্যুতিক যানবাহন প্রযুক্তির অগ্রগতি।

৮. গ্লোবাল ম্যানুফ্যাকচারিং: বিএমডব্লিউ বিশ্বব্যাপী অসংখ্য প্রোডাকশন সুবিধা পরিচালনা করে, যার মধ্যে আছে জার্মানি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, চীন এবং অন্যান্য দেশ আছে, যাতে একটি বিশ্বব্যাপী পৌঁছানোর এবং স্থানীয় উত্পাদনের নিশ্চিত হয়।

৯। ব্র্যান্ড পোর্টফোলিও: এর বিখ্যাত বিএমডব্লিউ ব্র্যান্ড ছাড়াও, কোম্পানী মিনি এবং রোলস-রয়েস এর মালিক, বিভিন্ন ধরণের অটোমোটিভ স্বাদ এবং বিলাসবহুল সেগমেন্টস সরবরাহ করে।

১০। সাংস্কৃত

২৩ জুন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ-এর ৭৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী—-বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এদেশের বৃহত্তম ও সর্ব প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী রাজনৈ...
22/06/2025

২৩ জুন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ-এর ৭৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী
—-

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এদেশের বৃহত্তম ও সর্ব প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান। আগামী ২৩ জুন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। গত সাড়ে সাত দশক ধরে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পথচলা ছিল ঐতিহ্যমণ্ডিত এবং গৌরবোজ্জ্বল। দীর্ঘ এই পথচলায় সংগঠনটি বাঙালি জাতির অধিকার ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। সুতরাং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা স্বয়ংক্রিয়ভাবে এই গৌরবের অংশীদার।

প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই আওয়ামী লীগ এদেশের গণমানুষের সংগঠন। এদেশের মানুষের মধ্যে জাতীয়তাবোধের বিকাশ এবং আত্মমর্যাদা প্রতিষ্ঠার সংকল্প সুদৃঢ় হয়েছে আওয়ামী লীগের হাত ধরে। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের গতিশীল নেতৃত্বে বিকশিত হয়েছে আওয়ামী লীগ। বঙ্গবন্ধুর অবিসংবাদিত নেতৃত্বে স্বাধীনতা সংগ্রামের পথ ধরে মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠাসহ এদেশের মানুষের যা কিছু মহৎ অর্জন তা আওয়ামী লীগের নেতৃত্বেই অর্জিত হয়েছে। নেতাকর্মীদের চরম ত্যাগ-তিতিক্ষা ও বিরামহীন লড়াই-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে রাজনীতির ময়দানে আওয়ামী লীগ আজ ৭৬ বছরের এক মহীরুহ। আওয়ামী লীগ তার গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে ধারণ করে শুধু সামনের দিকে এগিয়ে চলতে জানে। জনগণের অধিকার আদায় ও কল্যাণকর রাজনীতির প্রশ্নে আপসহীন থাকায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে বার বার চরম প্রতিবন্ধকতার শিকার হতে হয়েছে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ বার বার হত হলে কখনো মাথা নত করেনি। সকল প্রতিবন্ধকতা দূর করে সামনের দিকে এগিয়ে গেছে। পশ্চাৎমুখী বাংলাদেশের রূপ বদলে দিয়ে আধুনিক বাংলাদেশের রূপকার আওয়ামী লীগ।

১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ শাসনের অবসান এবং ভ্রান্ত দ্বি-জাতিতত্ত্বের ভিত্তিতে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠা। অতঃপর বাঙালি জাতির উপর পশ্চিম পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর অত্যাচার, নির্যাতন, চরম অবেহলা ও দুঃশাসনে নিষ্পেষিত বাংলার জনগণের মুক্তি ও অধিকার প্রতিষ্ঠায় ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন প্রতিষ্ঠিত হয় আওয়ামী লীগ। জন্মলগ্নে এই সংগঠনের নাম ছিল ‘পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ’। ১৯৪৯ সালের ২৩ ও ২৪ জুন ঢাকার কেএম দাস লেনে অবস্থিত ঐতিহাসিক ‘রোজ গার্ডেন’ প্রাঙ্গণে গণতন্ত্রের মানসপুত্র হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর অনুসারি মুসলিম লীগের প্রগতিশীল কর্মীদের নিয়ে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে ‘পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ’ নামে পাকিস্তানের প্রথম বিরোধী দলের আত্মপ্রকাশ ঘটে। সংগঠনটির প্রথম কমিটিতে মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী সভাপতি ও শামসুল হক সাধারণ সম্পাদক এবং জেলে থাকা অবস্থায় যুগ্ম-সম্পাদক নির্বাচিত হন শেখ মুজিবুর রহমান।

প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই ধর্মনিরপেক্ষ-অসাম্প্রদায়িক রাজনীতি, বাঙালি জাতীয়তাবাদ, গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি, শোষণমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠার আদর্শ এবং একটি উন্নত সমৃদ্ধ আধুনিক, প্রগতিশীল সমাজ ও রাষ্ট্রব্যবস্থা নির্মাণের রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক-সামাজিক ও সাংস্কৃতিক দর্শনের ভিত্তি রচনা করে আওয়ামী লীগ। যার পরিপ্রেক্ষিতে ১৯৫৫ সালের কাউন্সিলে অসাম্প্রদায়িক নীতি গ্রহণের মাধ্যমে সংগঠনটির নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় ‘পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগ’।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ শুধু এ দেশের প্রাচীন ও সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক সংগঠনই নয়, এটিই বাংলাদেশের রাজনীতির মূলধারা। স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয় ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ইতিহাস একসূত্রে গাঁথা। ১৯৪৮ সালে বাংলাকে পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে সূচিত ভাষা আন্দোলন ১৯৫২ সালে গণজাগরণে পরিণত হয়। অব্যাহত রাজনৈতিক নিপীড়নের শিকার তরুণ সংগ্রামী জননেতা শেখ মুজিবুর রহমান সেই সময়ে কারান্তরালে থেকেও ভাষা আন্দোলনে প্রেরণাদাতার গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা পালন করেন। ভাষা আন্দোলনের বিজয়ের পটভূমিতে ১৯৫৪ সালে প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন যুক্তফ্রন্টের কাছে মুসলিম লীগের শোচনীয় পরাজয় হয়। তারপরও প্রাসাদ ষড়যন্ত্রের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগকে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব থেকে দূরে রাখা হয়। নানা ঘটনা প্রবাহের মধ্য দিয়ে ১৯৫৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে প্রদেশে কোয়ালিশন মন্ত্রিসভা গঠিত হয়। পূর্ব বাংলায় আওয়ামী লীগ সরকার নিশ্চিত করে এক মুক্ত গণতান্ত্রিক পরিবেশ। আওয়ামী লীগের উদ্যোগেই মাতৃভাষা হিসেবে বাংলা অন্যতম রাষ্ট্রভাষার আনুষ্ঠানিক মর্যাদা লাভ করে। ২১শে ফেব্রুয়ারি ঘোষিত হয় জাতীয় ছুটির দিন ও ‘শহীদ দিবস’। আওয়ামী লীগ সরকারের উদ্যোগেই কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের নির্মাণকাজ প্রায় সম্পন্ন হয়। প্রতিষ্ঠিত হয় বাংলা একাডেমি। মাত্র ২০ মাসের রাষ্ট্র পরিচালনার সুযোগে চরম খাদ্যাভাব ও দুর্ভিক্ষাবস্থা থেকে বাঙালি জাতিকে রক্ষা করাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ সরকার যে সফলতা অর্জন করে তাতে জনগণের কাছে আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তা বহু গুণ বেড়ে যায়। সে সময় মন্ত্রিত্ব ত্যাগ করে জনগণের নেতা শেখ মুজিবুর রহমান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন এবং তৃণমূল পর্যায়ে সংগঠন গড়ে তোলার কাজে আত্মনিয়োগ করেন। এরপর আইয়ুব খানের এক দশকের স্বৈরশাসন-বিরোধী আন্দোলন, ’৬২ ও ’৬৪-এর শিক্ষা আন্দোলন, ’৬৪-এর সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা প্রতিরোধ, ’৬৬-এর ঐতিহাসিক ৬-দফা আন্দোলন, ’৬৮-এর আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা, ’৬৯-এর গণ-অভ্যুত্থান, ৬-দফাভিত্তিক ’৭০-এর নির্বাচনে ঐতিহাসিক বিজয়, ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ বঙ্গবন্ধুর “এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম” খ্যাত কালজয়ী ভাষণ ও পরবর্তীতে পাকিস্তানি শাসকদের বিরুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোলন, ২৫ শে মার্চের কালরাতে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী কর্তৃক ইতিহাসের নৃশংসতম গণহত্যার পর ২৬ শে মার্চের প্রথম প্রহরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণার মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে বাঙালি জাতি স্বাধীন জাতি-রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। অবশেষে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে দীর্ঘ ৯ মাসের এক রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ৩০ লাখ শহীদের রক্ত আর ২ লাখ মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে প্রতিষ্ঠিত হয় স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ।

স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও জাতীয় ঐক্যের রূপকার বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ বাঙালি জাতির স্বতন্ত্র জাতি-রাষ্ট্র ও আত্মপরিচয় প্রতিষ্ঠার সুমহান ঐতিহ্যের প্রতীক। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন বঙ্গবন্ধুর সরকার স্বাধীনতার মাত্র সাড়ে তিন বছরের মাথায় যুদ্ধ-বিধ্বস্ত বাংলাদেশকে যখন অর্থনৈতিক মুক্তির সংগ্রামে এগিয়ে নিতে নিবেদিত ঠিক তখনই স্বাধীনতাবিরোধী চক্র আন্তর্জাতিক শক্তির সহায়তায় ১৯৭৫-এর ১৫ই আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করে। বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যাসহ জাতীয় চার নেতা হত্যাকাণ্ডের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করার চতুর্মুখী ষড়যন্ত্র করা হয়।

১৯৮১ সালের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের কাউন্সিল অধিবেশনে সংগঠনের সভাপতি নির্বাচিত হন বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা। দীর্ঘ ৬ বছরের নির্বাসন শেষে ১৯৮১ সালের ১৭ মে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে বঙ্গবন্ধুকন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনা স্বদেশে প্রত্যাবর্তন করেন। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা নব উদ্যোমে সংগঠিত হয়। জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বাঙালি জাতির হারানো গণতান্ত্রিক অধিকার পুনরুদ্ধারের এক নবতর সংগ্রামের পথে যাত্রা শুরু করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পরে জননেত্রী শেখ হাসিনা গত ৪ দশকেরও বেশি সময় ধরে এ দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। শেখ হাসিনার নেতৃত্ব এ দলের নেতাকর্মীদের প্রেরণার উৎস এবং তা সংগঠনকে করেছে সমৃদ্ধ। শেখ হাসিনার আপসহীন, সুদক্ষ ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বে স্বৈরতন্ত্রের চৌহদ্দি পেরিয়ে গণতন্ত্রের স্বাদ পেয়েছিল বাংলার জনগণ। কালের বিবর্তনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আজ ডিজিটাল বাংলাদেশের পথ পেরিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশের স্বাপ্নিক অভিযাত্রী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।

বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামের পথপরিক্রমায় অনেক অশ্রু, ত্যাগ আর রক্তের বিনিময়ে বাঙালি জাতি ফিরে পায় ‘ভাত ও ভোটের অধিকার’; দীর্ঘ স্বৈরশাসনের অবসানের মধ্য দিয়ে শুরু হয় গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা। তার পর বঙ্গবন্ধুকন্যা, রাষ্ট্রনায়ক জননেত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্বে ও সুদক্ষ রাষ্ট্র পরিচালনায় সুশাসন, স্থিতিশীল অর্থনীতি, কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি ও খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন, উন্নয়নে গতিশীলতা, ডিজিটাল বাংলাদেশ, শিক্ষার প্রসার, স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণ, কর্মসংস্থান, বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধি, সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী, খাদ্য নিরাপত্তা, নারীর ক্ষমতায়নসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে যুগান্তকারী উন্নয়নের ফলে বিশ্বের বুকে বাঙালি জাতি একটি আত্মমর্যাদাশীল জাতি হিসেবে বিশ্বের বুকে প্রতিষ্ঠা পেয়েছিল। বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল রাষ্ট্রে উন্নীত হয়েছিল।

আজ আমাদের প্রাণপ্রিয় মাতৃভূমি দেশবিরোধী জঙ্গিবাদী গোষ্ঠী দখলে নিয়ে বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে থামিয়ে দিয়েছে। বাংলাদেশ রাষ্ট্র হিসেবে অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত হচ্ছে। কোথাও মানুষের জানমালের ন্যূনতম নিরাপত্তা নেই। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি চরম নাজুক। দেশের সর্বত্র মব সন্ত্রাস। দেশবিরোধী অপশক্তির প্রতিভূ অবৈধ দখলদার ফ্যাসিস্ট ইউনূস রাষ্ট্রক্ষমতা কুক্ষিগত করে নিজেদের খেয়াল খুশি মতো তার অপব্যবহার করছে। দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব বিদেশিদের কাছে বিকিয়ে দিচ্ছে। উন্নয়ন ও অগ্রগতির ধারায় চলমান বাংলাদেশের অর্থনীতি মুখ থুবড়ে পড়ছে। হাজার হাজার শিল্প-কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। লক্ষ লক্ষ শ্রমিক বেকার হয়ে পড়েছে। মানুষের জীবন-জীবিকা থমকে গেলেও বৃদ্ধি পেয়েছে ফ্যাসিস্ট ইউনূসের ব্যবসার পরিসর। নিজের ৬৬৬ কোটি টাকা কর পরিশোধের রায় প্রত্যাহার। গ্রামীণ ব্যাংকের ৫ বছরের কর মওকুফ করিয়ে নেওয়া হয়েছে। রাষ্ট্রের সর্বত্র দুর্নীতি চরম সীমায় পৌঁছেছে। বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে উপদেষ্টাদের যোগসাজশে পিএসরা ও পিওরা শত শত কোটি টাকার দুর্নীতি করছে। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বদলিতে মোটা অংকের ঘুষ আদান-প্রদান এখন ওপেন সিক্রেট। এই অবৈধ দখলদার ফ্যাসিস্ট ইউনূস গংরা রাষ্ট্রক্ষমতাকে ব্যবহার করে দেশটাকে লুটেপুটে খাচ্ছে। এর বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা সোচ্চার থাকার কারণে তাদের উপর নেমে আসছে অত্যাচার-নির্যাতনের নির্মম খড়গ। নারকীয় কায়দায় হামলা-মামলা করে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের মাধ্যমে বা রাষ্ট্রযন্ত্রের প্রত্যক্ষ মদদে আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করার পাঁয়তারা করছে। বাংলার জনগণে অধিকার আদায় ও প্রতিষ্ঠায় আপসহীন কণ্ঠকে রোধ করতে এই দেশবিরোধী অপশক্তি গণতন্ত্রের মানসকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনাসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের বিরুদ্ধে মিথ্যা-হয়রানিমূলক মামলা দিয়ে প্রহসনের বিচার করা হচ্ছে। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা এক সময় সকল প্রতিবন্ধকতা মোকাবিলা করে ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করে নতুন দিনের সূর্য ছিনিয়ে আনবে, ইনশাল্লাহ। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ ও চেতনাকে সমুন্নত রেখে ও ধারণ করে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও সমর্থকেরা শত প্রতিকূলতা ও ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে বরাবরের ন্যায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে মজবুত ভীতের উপর দাঁড় করাবে। আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের ইতিহাসের সঙ্গে জড়িত, মানুষের ভালোবাসায় সিক্ত এবং হৃদয়ে আশ্রিত রাজনৈতিক দল। এই দলকে নিশ্চিহ্ন করার যতো ষড়যন্ত্র করা হয়েছে, ততই এটা পরিশুদ্ধ হয়েছে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ হীরের টুকরার মতো যতো কাটার চেষ্টা করা হবে ততই দ্যুতি ছড়াবে।

আওয়ামী লীগের ইতিহাস, বাঙালি জাতির গৌরবোজ্জ্বল অর্জন ও সংগ্রামের ইতিহাস। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠাসহ বাঙালি জাতির যা কিছু শ্রেষ্ঠ অর্জন, তার মূলে রয়েছে জনগণের এই প্রতিষ্ঠানের নেতৃত্ব। জন্মলগ্ন থেকে এখন পর্যন্ত আওয়ামী লীগের শক্তির উৎস জনগণ, শক্তির উৎস সংগঠনের তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের শুভজন্মদিন ঐতিহাসিক ২৩ জুন অঙ্কুরিত হয়েছিল ‘স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার স্বপ্নসূত্র’।

*২৩ জুন ২০২৫, সোমবার, ৭৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কর্মসূচি*

****ধানমন্ডি বত্রিশ নম্বরের ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন।

***টুঙ্গিপাড়ার কর্মসূচি : টুঙ্গিপাড়ায় চিরনিদ্রায় শায়িত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন।


***আলোচনা সভা বা ভার্চুয়াল আলোচনা সভা।

*** খাদ্যসামগ্রী ও বস্ত্রসামগ্রী বিতরণের পাশাপাশি মানবিক কার্যক্রম পরিচালনা।

*বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের আহ্বান*

আগামী ২৩ জুন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে গণমানুষের এই রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানের ইতিহাস-ঐতিহ্য নিয়ে আলোচনা সভাসহ কেন্দ্রীয় কর্মসূচির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ কর্মসূচিসহ বিভিন্ন উপযোগী কর্মসূচি পালনের জন্য আওয়ামী লীগ, সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের জেলা/মহানগর, উপজেলা/থানা, পৌর/ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড শাখাসহ সকল স্তরের নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানানো যাচ্ছে।

জয় বাংলা
জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।

প্রেস বিজ্ঞপ্তি
২২ জুন, ২০২৫⁩

বিশেষ ঘোষণাঃ কোন দেশী বা বিদেশী টিভি বা ইউটিউব চ্যানেলে আওয়ামী লীগের নাম নিয়ে কেউ কোন বক্তব্য দিলে তা একান্তই তার ব্যক্ত...
24/05/2025

বিশেষ ঘোষণাঃ
কোন দেশী বা বিদেশী টিভি বা ইউটিউব চ্যানেলে আওয়ামী লীগের নাম নিয়ে কেউ কোন বক্তব্য দিলে তা একান্তই তার ব্যক্তিগত।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সেই বক্তব্যের দায়িত্ব নেবে না।

বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের যেকোনো বক্তব্য, বিবৃতি বা কর্মসূচী শুধুমাত্র দলীয় ওয়েবসাইট, ফেসবুক পেইজ, টুইটার, টেলিগ্রাম ও হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে প্রকাশিত হবে এবং এই বক্তব্যই অফিশিয়াল।

Special Announcement:
Any statement made by an individual—whether on local or foreign TV or YouTube channels—using the name of the Awami League is entirely personal.

The Bangladesh Awami League will not take responsibility for such statements.

Any official statement, announcement, or program of the Bangladesh Awami League will only be published through the party’s official website, page, Twitter, Telegram, and WhatsApp channels, and only these should be considered official.

বাংলাদেশের উন্নয়নের কারিগর। স্বাধীনতা বিরোধী জামাত-বিএনপির বিরুদ্ধে আমরা সর্বদা প্রস্তুত। শেখ হাসিনা সরকার বার বার দরকার...
22/05/2025

বাংলাদেশের উন্নয়নের কারিগর। স্বাধীনতা বিরোধী জামাত-বিএনপির বিরুদ্ধে আমরা সর্বদা প্রস্তুত। শেখ হাসিনা সরকার বার বার দরকার।

বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার হাত ধরো বাংলাদেশ গঠন করো।

জাগো বাঙালি জাগো এসেছে সময় বিজয় সুনিশ্চিত।

জানি শুধু চলতে হবে এই তরি বাইতে হবে

জানি শুধু চলতে হবে এই তরি বাইতে হবে

আমি যে সাগর মাঝি রে

জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু

19/05/2025

ঢাকায় একযোগে ৩৯টি স্পটে

নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের মিছিল

আজ ১৮ই মে (রবিবার) বিকেলে রাজধানী ঢাকার আসাদগেট, ধানমন্ডি, লালমাটিয়া, গুলিস্তান, বায়তুল মোকাররম, মৎস্য ভবন, কাকরাইল, সেগুনবাগিচা, মালিবাগ ও বিমানবন্দর এলাকাসহ বিভিন্ন স্থানে নিষিদ্ধ ঘোষিত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীদের 'ইউনূস হটাও' মিছিল করতে দেখা গিয়েছে।

ছবি: সংগৃহীত |

১৮ মে ২০২৫

জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু

President/General Secretary of the Student League of several district/metropolitan units has released the occupation of ...
18/05/2025

President/General Secretary of the Student League of several district/metropolitan units has released the occupation of the offices of Al-Hamdulillah Awami League Party.

Learn how to tell the truth.

Awami League means Chhattisgarh League. Please do not group yourselves in the middle, the leaders of the Chhattisgarh League do not name the Youth League. Nobody else went in front of the party office except Chhatraliga.



াংলা_জয়_বঙ্গবন্ধু #বাংলাদেশ #আওয়ামী-লীগ

ওনাকে এখনো কারা ভালোবাসেন তাদের দেখতে চাই।💖Facts About  1. Founding and History: BMW, Bayerische Motoren Werke AG, was f...
18/05/2025

ওনাকে এখনো কারা ভালোবাসেন তাদের দেখতে চাই।💖

Facts About

1. Founding and History: BMW, Bayerische Motoren Werke AG, was founded in 1916 in Munich, Germany, initially producing aircraft engines. The company transitioned to motorcycle production in the 1920s and eventually to automobiles in the 1930s.

2. Iconic Logo: The BMW logo, often referred to as the "roundel," consists of a black ring intersecting with four quadrants of blue and white. It represents the company's origins in aviation, with the blue and white symbolizi

15/05/2025

এটাই বাস্তব হা হা হা হা

ওনাকে যারা ভালোবাসেন তাদের দেখতে চাই-💖Facts About  1. Founding and History: BMW, Bayerische Motoren Werke AG, was founde...
14/05/2025

ওনাকে যারা ভালোবাসেন তাদের দেখতে চাই-💖

Facts About

1. Founding and History: BMW, Bayerische Motoren Werke AG, was founded in 1916 in Munich, Germany, initially producing aircraft engines. The company transitioned to motorcycle production in the 1920s and eventually to automobiles in the 1930s.

2. Iconic Logo: The BMW logo, often referred to as the "roundel," consists of a black ring intersecting with four quadrants of blue and white. It represents the company's origins in aviation, with the blue and white symbolizi

14/05/2025

জানি শুধু চলতে হবে এই তরি বাইতে হবে

জানি শুধু চলতে হবে এই তরি বাইতে হবে

আমি যে সাগর মাঝি রে তির হারা এই ডেউএর সাগর পারি দিব রে।

🛶জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু 🛶

https://www.facebook.com/nursajib.official/videos/3150381428436110/?mibextid=rS40aB7S9Ucbxw6v

Address

Mirpur

Website

https://www.youtube.com/@mdmasudurrohomanmasum8988

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Masum Talukder 123 posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share