
12/07/2025
এই লজ্জা কার? রাষ্ট্রের? নাকি আমাদের বিবেকের?
একজন মানুষ—পরিশ্রমী, নিরীহ। রাজনীতির ময়দানে নয়, জীবিকার তাগিদে দিনরাত ব্যস্ত ছিলেন।
কিন্তু তার অপরাধ?
সে জুলুমকারীর চাঁদা দেয়নি। তাই দিনের আলোয়, সবার সামনে, রাস্তার মাঝখানে তাকে কুপিয়ে হত্যা করা হলো।
হায়!
যে জাতি "লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ" বলে শুরু করেছিল স্বাধীনতার সংগ্রাম,
আজ সে জাতি নিস্তব্ধ দাঁড়িয়ে দেখে, এক মুসলমান ভাই আরেক ভাইয়ের রক্তে হাত রাঙায়।
আর কেউ প্রতিবাদ করে না। কেউ রুখে দাঁড়ায় না।
নবীজী (সা.) বলেছিলেন:
"তোমাদের মধ্যে কেউ যদি অন্যায় দেখে, তবে সে যেন তা নিজ হাতে প্রতিহত করে; যদি না পারে, তবে মুখে প্রতিবাদ করুক; তাও না পারলে অন্তরে ঘৃণা করুক, আর এটাই ঈমানের সর্বনিম্ন স্তর।"
— (সহীহ মুসলিম)
তবে আজ আমরা কোন স্তরে আছি?
হৃদয়ে কি আর ঘৃণা জন্মায়?
নাকি সে হৃদয়ও মরে গেছে?
খুনি যখন লাশের উপর দাঁড়িয়ে নাচে,
তখন জানি, এ শুধু একজনের মৃত্যু নয়—
এ জাতির আত্মার মৃত্যু।
ন্যায়বিচারের মৃত্যু।
উম্মাহর বন্ধনের মৃত্যু।
রাষ্ট্র চুপ, সমাজ চুপ, আর আমরা—আমরা মুখ ফিরিয়ে নেই।
এই নীরবতা কি কিয়ামতের দিন আমাদের জন্য সাক্ষ্য দেবে না?
হে আল্লাহ! আমাদের হিদায়াত দিন।
জুলুমের বিরুদ্ধে দাঁড়াবার সাহস দিন।
এই অন্ধকারে সত্যের দীপ্ত আলো জ্বালানোর তৌফিক দিন।
কারণ আপনি ন্যায়ের মালিক, আর আপনার কাছেই আমাদের ফিরে যেতে হবে। :- মইনুল মাতুব্বর।