11/06/2025
কাজের পরিধির বাহিরে আমার সাথে কানেক্টেড থাকতে চাইলে এই পেইজ টাতে ফলো দিয়ে রাখতে পারেন ❤️
নিজের লেখা ডাইরি পরে ক্রিঞ্জ ফিল হয়েছে কখনো? ডাইরি লেখার অভ্যাস ছিল সেই ছোটবেলা থেকে। মাঝে মাঝে বসে বসে পড়তাম নিজের লিখা পাতাগুলা। অনেক সময় নিজের লিখা পড়ে হাসতাম, অনেক সময় মন খারাপ লাগতো। আর বেশির ভাগ সময়েই অনেক আগের লিখা পড়ে ক্রিঞ্জ ফিল হতো।
আবার আমাদের মত পারিবারিক অবস্থায় সেই ডাইরি সামলে রাখা টা ছিল আরো এক কঠিন ব্যাপার। যে কোন সময় এক্সপোজ হয়ে যেতে পারে আপনার লিখা ডাইরি। এ এক মহা ঝামেলা ছিল। আমার ডাইরির শুরু পাতায় লিখা থাকতো, *for the sake of Allah, do not read my diary* 😅 আল্লাহ্ তায়ালার ওয়াস্তা দিয়ে নিজের ডাইরির সম্ভ্রম রক্ষা করা লাগতো। মানে কি একটা ছেড়াবেড়া অবস্থা 😅 এখন তো সবাই ওপেনলি ফেবুতে, ইন্সটা তে অথবা টিকটকে যা মন চাচ্ছে করে ফেলতে পারছে। কিন্তু এই ৯০ দশকের যারা আমরা আছি তারা কিন্তু এখনোও কোন পোস্ট ও করে অনেক চিন্তা ভাবনা করে। এই আবার একটা চড় না খেয়ে ফেলি আবার এই পোস্ট এর জন্য 😅
আমার সাথে কলেজে একটা মেয়ে পড়তো। আমাদের একজন টিচার ছিলেন বাংলা পড়াতেন। উনাকে সবাই অনেক ভয় পেত। সরি টু সে উনি টিচিং এর নামে মানুষকে অপমান এবং ট্রমাই বেশি দিয়েছেন মনে হয়। উনার সাথে ভালো স্মৃতি খুব কমই আছে আমাদের। যাই হোক, উনার ক্লাসে একবার আমার সেই ক্লাসমেট বেঞ্চের ওপর বাংলা বই এর পাশে তার ডাইরি রেখে দিয়েছিল। জাস্ট রাখা ছিল। ম্যাডাম সেই ডাইরি নিয়ে পড়ে ফেলেন এবং সেটা ভিপির রুমে নিয়ে যাওয়া হয় এবং শেষ পর্যন্ত গার্ডিয়ান ডাকা হয়। ভাবা যায়? ইনভ্যাশন অফ প্রাইভেসি লিটারেলি ফর নো রিজন। আমার মনে হয় ওই মেয়ে আজও ওই দিনের ট্রমা মনে রেখেছে সাথে ওর বাবা-মা যে পরিমান অপদস্ত হয়েছিল তাও নিশ্চিত মনে রাখবার মত।
যাই হোক। ঘটনা হল আমার একজন খুব কাছের মানুষের মৃ*ত্যু*র পর তার লিখা একখানা ডাইরি আমার কাছে ছিল। অনেক ধরনের কথা ছিল তাতে। কিছু দু:খ, কিছু আফসোস কিছু অভিমান। আমার পড়ে খুব মন খারাপ হতো। বহু বছর সেই ডাইরি আমি ক্যারি করেছি। ভাবতাম তার আরো কাছের যারা আছেন তারা যদি এটা পড়েন তাদের মানসিক অবস্থা আরো খারাপ হবে। অবশেষে আমি ডাইরি টা বার্ন করে দিয়েছিলাম
একইভাবে আমার রিয়ালাইজেশন হয়েছিল। হায়াত কতটুক আছে আল্লাহ্ ভালো জানেন। কিন্তু আমার মৃ*ত্যু*র পর ঠিক এভাবেই লিখা গুলা থেকে যাবে এবং আমার কাছের মানুষেরাও এগুলা পড়ার পর ক*ষ্ট পাবেন। একেক সময়ে মনের অবস্থা একেক রকম থাকে। আমরা নিজেরাই এক সময়ে কান্না করি পরক্ষণেই আবার নিজেই হাসি যে কেন কান্না করেছিলাম। কিন্তু লিখে রাখার ফলে একই মেমরি রিলিভ করেছি বহুবার এবং আমার পরে অন্য কেও এগুলা পড়লে ক*ষ্ট পাবেন। এতকিছু ভাবনা চিন্তা করার পর শেষ মেশ নিজের ডাইরি গুলাও বার্ন করে ফেলি। থাকুক না আমার কথা আমার নিজের ভেতরেই।
কিছু কথা নাহয় শুধু আমি আর রব জানলাম। কাগজ এবং কলমেরও জানার দরকার কি আছে আদৌ?