12/04/2025
একজন পুরুষ সে হতে পারে রিকসাচালক , চাকরিজীবি বা ধনী, তার স্ত্রীর কাছে সে একমাত্র একটি জিনিস ই চায়, - সম্মান। ঘরের বাইরে সে যে ই হোক, ঘরে এসে সে কতৃত্ব চায়, রাজার মতো করে থাকতে চায়। একজন পৌরষজাত পুরুষ সব মেনে নিবে, কিন্তু স্ত্রীর বেয়াদবী, গলা বড় করে কথা বলা, তর্ক করা কিংবা অসম্মান কোনদিন ই মন থেকে মেনে নিতে পারে না।
মহিলাদের আল্লাহ মায়া দিয়ে বানিয়েছেন সফট্ হয়ে মায়া ছড়ানোর জন্য। পুরুষকে শারীরিক শক্তি আর মানসিক দৃঢ়তা দিয়েছেন, পরিশ্রম করা আর মানসিক চাপ নিয়ে পরিবারের ভরন পোষন করার জন্য।
নারীরা অসহায় ধরে নিয়েই নারীবাদের নামে তাদের অধিকারের কথা বলা হয় কিন্তু একজন পুরুষের অধিকার কি? সে শারীরিক শত কষ্ট, মানসিক চাপ সহজে মেনে নিবে কিন্তু স্ত্রীর কাছ হতে অসম্মান নয়।
একজন বাবা যখন সন্তানদের শাসন করে, মায়ের উচিত তাকে সাপোর্ট করা। তা না করে, সন্তানদের সামনেই যখন স্বামীকে শাসায় বা সন্তানদের পক্ষে গিয়ে স্বামীকে সন্তানদের সামনে ছোট করে, তখন সে ভাবে, কেন ,কার জন্য কষ্ট করবো?
একজন ভাল স্ত্রী মানে অনুগত স্ত্রী, আত্ন সমর্পন করা স্ত্রী। যে সকল নারী উদ্যত , অহংকারী, তাদের সকল অহংকার ধুলোয় মিশে যায়, যখন তার যা ছিল , তা হারায়। স্বামী হারানোর পরে যখন সে বাস্তবতা টের পায়।
মুড সুইংসের অজুহাতে নারীদের খারাপ আচরণ মেনে নেওয়া বন্ধ করুন। অনেক সময় সমাজ থেকে এমন বার্তা আসে যে, নারীদের রাগ, রুক্ষতা, বা অসম্মানজনক আচরণ সহ্য করা উচিত, কারণ এটি তাদের "মুড খারাপ" বা "খারাপ সময়" কাটানোর ফল। কিন্তু বাস্তবতা হলো, এটি শৃঙ্খলার অভাব এবং অপরিপক্কতার প্রতিফলন।
একজন পরিণত এবং সুশৃঙ্খল মানুষ তার আবেগকে নিয়ন্ত্রণ করতে জানে। জীবনের চাপ, হতাশা, বা আবেগের ভার নারী-পুরুষ সবার জীবনেই আসে, কিন্তু তা অন্যের প্রতি রুক্ষ আচরণের অজুহাত হতে পারে না। যদি কেউ বারবার "মুড খারাপ" বলে রাগ ঝাড়ে, অসম্মান করে, কিংবা আপনাকে তার হতাশার শিকার বানায়, তবে বুঝতে হবে এটি তার গভীর সমস্যা।
এ ধরনের আচরণ শুধু সাময়িক বিষয় নয়, বরং অপরিপক্কতার লক্ষণ। এটি বোঝায় যে, সেই ব্যক্তি তার দায়িত্ব অন্যের ওপর চাপিয়ে দেয় এবং নিজের আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে অক্ষম।
আপনার দায়িত্ব হলো নিজের আত্মসম্মান রক্ষা করা। খারাপ আচরণ কখনোই গ্রহণযোগ্য নয়। সম্পর্ক পারস্পরিক সম্মান ও সমঝোতার জায়গা, যেখানে রাগ বা হতাশার ভার চাপিয়ে দেওয়া যায় না।
সমাধান কী হতে পারে?
১. পরিষ্কার করে সীমা নির্ধারণ করুন এবং তাকে জানান যে, এই ধরনের আচরণ মেনে নেওয়া সম্ভব নয়।
২. তাকে সময় দিন নিজেকে শুধরানোর। তবে যদি সে পরিবর্তন করতে না চায়, আপনাকে নিজেকে রক্ষা করতে হবে।
মনে রাখবেন, বারবার খারাপ আচরণ শুধু সম্পর্ক নয়, পুরো পরিবারকেও ধ্বংস করে। আজকের "মুড খারাপ" ভবিষ্যতের অন্তহীন ঝগড়া এবং মানসিক অশান্তি ডেকে আনতে পারে।
নিজের মানসিক শান্তি এবং জীবনের ভারসাম্য বজায় রাখা জরুরি। জীবন খুব ছোট, এটি এমন কারও সঙ্গে কাটান, যিনি আপনার সম্মান ও মানসিক শান্তিকে গুরুত্ব দেন। একজন দায়িত্বশীল নারী জানেন সম্পর্কের মূল ভিত্তি হলো পারস্পরিক সম্মান। খারাপ আচরণ মেনে নেওয়া মানে নিজের প্রতি অবিচার করা। তাই সচেতন হন, নিজের জন্য সেরা জীবন বেছে নিন।