মোঃ শফিকুল ইসলাম Md. Shafiqul Islam

মোঃ শফিকুল ইসলাম Md. Shafiqul Islam সকল প্রশংসা মহান আল্লাহ তা' আলার জন্য।

18/06/2025

★ইহুদী ধর্মের জাতির পিতা এবং ইসলাম ধর্মের জাতির পিতা একজনই, হযরত ইব্রাহীম(আঃ)
হযরত ইব্রাহীম(আঃ) এর দুই পুত্র, হযরত ইসহাক(আঃ) হযরত ইসমাইল(আঃ)।
হযরত ইসহাক(আঃ) এর পুত্র ছিলেন হযরত ইয়াকুব(আঃ), উনার আরেক নাম ইসরাইল।
এই ইয়াকুব(আঃ) এর বংশ'কে মহান আল্লাহ্ তা'আলা বনি-ইসরাইল নামে সম্বোধন করেছেন।

হযরত ইয়াকুব(আঃ) এর ১২সন্তানের মধ্যে ১জনের নাম ছিলো ইয়াহুদা। এই ইয়াহুদা এর বংশই পরবর্তীতে সবচেয়ে বেশি বিস্তার লাভ করে। তাই
বনি-ইসরাইল এর আরেক নাম ইহুদী।

ইহুদী ধর্ম আর বংশ দুটোই আলাদা।
সব ইহুদী বংশের লোক ইহুদী ধর্মের হলেও সব ইহুদী ধর্মের লোকই ইয়াহুদার বংশ নয়।
এই ইয়াহুদাই কিন্তু তার আপন ভাই হযরত ইউসুফ(আঃ) কে কূপে ফেলে হত্যা করতে চেয়েছিল!

৪ হাজার বছর আগে হযরত ইসহাক(আঃ) এর মৃত্যুর পর হযরত ইয়াকুব(আঃ) আল্লাহর নির্দেশে শাম নগরী (সিরিয়া) থেকে কেনানে হিজরত করেন। এই কেনানই বর্তমানের ফিলিস্তিন।

এরপর কেনানে (ফিলিস্তিন) দুর্ভিক্ষ দেখা দিলে ইয়াহুদা তার সব ভাই এর সাথে মিশরে চলে যায় এবং মিশরে বসবাস শুরু করে।

মিশরের তখনকার রাজা ছিলেন ইউসুফ(আঃ), যিনি ইয়াকুব(আঃ) এর ১২সন্তানের মধ্যে ১১তম। সেই কারণে ইয়াহুদা ও তার বংশ মিশরে অনেক দাপটের সাথে থাকতে শুরু করে।

তারপর কালের পরিক্রমায় ক্ষমতা যায় ফারাও রাজাদের হাতে। ফেরাউন এসে বনি-ইসরাইল'দের এত অত্যাচার শুরু করে যে এরা সারাদিন 'ইয়া নাফসী' 'ইয়া নাফসী' করতো।
তখন আল্লাহ্ তাদের কাছে পাঠালেন মূসা(আঃ) আর তাওরাত কিতাব। মুসা(আঃ) ফেরাউনকে নীলনদে ডুবানোর মাধ্যমে বনি-ইসরাইল মুক্তি পায়।
তারপর মূসা(আঃ) সবাইকে নিয়ে কেনানে (ফিলিস্তিন) ফিরে যান। পরে তারা সেখানে গিয়ে আল্লাহর অশেষ রহমত পাওয়া সত্ত্বেও হযরত মুসা(আঃ) এর ওফাতের পর আবার আল্লাহ্‌ কে ভুলে যায়, গরু পুজা সহ নানা রকম অনাচার শুরু করে।

তারপর তাদের মধ্যে ক্ষমতার লোভে নিজেদের একতা ভেঙ্গে যায়, ভিনদেশীরা তাদের এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে তাদের আবার গোলাম বানিয়ে অত্যাচার করতে থাকে।
এর ১০০বছর পরে হযরত দাউদ(আঃ) আর উনার ছেলে হযরত সুলাইমান(আঃ) এর মাধ্যমে মহান আল্লাহ তা'আলা আবারও এই অত্যাচার থেকে তাদেরকে মুক্তি দেন।

কিন্তু হযরত সুলাইমান (আঃ) এর মৃত্যুর পর ইহুদীরা আবার শয়তানের পূজা শুরু করে। তাদের ভিতরে থাকা ধর্ম ব্যবসায়ীরা তাওরাত কিতাবের মধ্যে নিজেদের সুবিধামত সংযোজন-বিয়োজন করার মতন ধৃষ্টতা দেখায়।
তারা তাওরাতে সংযোজন করে যে, " মহান আল্লাহ্ তায়ালা হযরত ইসহাক(আঃ) এর স্বপ্নে কেনানকে ইহুদীদের জন্য প্রমিজ ল্যান্ড হিসেবে দিয়েছেন, এটা তাদের জয় করে নিতে হবে।
এটাকে তারা 'জ্যাকব লেডার ড্রিম' বলে।

তাদের এমন নির্লজ্জতা ও ধৃষ্টতার কারণে তারা বারবার আল্লাহর শাস্তির মুখে পড়েছে। যেমনঃ
কখনো গৃহহীন হয়ে যাযাবরের মতো ঘুরেছে,
ব্যাবিলনীয় সাম্রাজ্যের দ্বারা গণহত্যার শিকার হয়েছে,
রোমান সাম্রাজ্যের দ্বারা সিরিয়া থেকে আরব দেশে বিতাড়িত হয়েছে।
মহানবী(সাঃ) এর সময় তারা আরব দেশ থেকে বিতাড়িত হয়ে চলে যায় ইউরোপে।
আর হযরত উমার(রা:) ফিলিস্তিন ও আল-আকসা বিজয় করেন।
আজ ইসরায়েলের এতো ঘনিষ্ঠ বন্ধু ইউরোপও তখন তাদেরকে আশ্রয় দেয়নি।

বনি-ইসরাইলের এমন পরিণতির কারণ মহাননআল্লাহ তায়ালা এর শাস্তির পাশাপাশি তাদের ব্যবহার!
তখনকার লোকদের ভাষ্যমতে, তারা অত্যন্ত ধূর্ত প্রকৃতির মানুষ ছিল।
তাদেরকে যে জায়গায় আশ্রয় দেয়া হতো সেই জায়গাতেই তারা তাদের প্রতিবেশীর জমি দখল করতো!

ইহুদীরা বেশিরভাগ ব্যবসায়ী ছিল আর তাদের ব্যবসা অন্যদের থেকে কৌশলগতভাবে আলাদা ছিলো, যার কারণে যাযাবরের মতো ঘুরলেও তাদের অর্থ-সম্পদ ভালোই ছিল। সেই অর্থ-সম্পদ এর দাপট দেখিয়ে তারা সেইসব এলাকার স্থানীয় লোকদের উপরই ছড়ি ঘুরাতো।
তাই তারা সেইসব এলাকার রাজা ও বাসিন্দাদের দ্বারা বার বার বিতাড়িত হতো।

বিভিন্ন ঘাত-প্রতিঘাত সহ্য করার পর তারা একসময় বুঝতে পারে যে, যেকোনো সমাজকে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে গেলে শিক্ষা ও অর্থের বিকল্প নেই।
তাই তারা শিক্ষা অর্জন ও অর্থ উপার্জনের উপর গুরুত্ব দেয়।
তারা বিশ্বাস করে, কেনান তাদের জন্য সৃষ্টিকর্তা কর্তৃক বরাদ্দকৃত ভূমি।
তারা এটাও বিশ্বাস করে যে, একসময় তাদের একজন মসিয়াহ্‌(দাজ্জাল) এসে তাদের এই ভূমিকে উদ্ধার করে দিবে।

১৮ শতাব্দীতে ইহুদীরা তাদের ধর্ম-পরিচয় গোপন করে ইউরোপে বসবাস শুরু করে।
তখন থিওডোর হার্জেল নামে তাদেরই একজন ব্যবসায়ী ফিলিস্তিনকে নিজেদের দখলে আনার লক্ষ্যে ১৮৯৭ সালে জিওনিজম আন্দোলন শুরু করে ইহুদীদের'কে আবারও নতুন করে স্বপ্ন দেখানো শুরু করে।
এই আন্দোলনকে যারা সমর্থন করে, তাদেরকে জিওনিস্ট বলে।

যেহেতু ইহুদীরা অনেক শিক্ষা অর্জন আর অর্থ উপার্জন করেছিলো, তাই তাদের মধ্যে কিছু সংখ্যাক মানুষ ইউরোপে ধর্ম গোপন করে থাকলেও কেউ কেউ মেধার জোরে ইউরোপে গুরুত্বপূর্ণ পদ দখল করতে, বিজ্ঞানী হিসেবে স্বীকৃতি পেতে শুরু করে।
তখন তারা শুধুমাত্র পদ দখল করেই থেমে থাকেনি, সেই সাথে নিজেদের একটা রাষ্ট্র গঠনেও প্রচুর সমর্থন সংগ্রহ করার চেষ্টা করতে থাকে।

তখন ইউরোপের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিলো, তাদেরকে আফ্রিকার উগান্ডায় থাকার ব্যবস্থা করে দেয়া হবে।
ঠিক এমন সময় শুরু হয় প্রথম বিশ্বযুদ্ধ।

প্রথম বিশ্বযুদ্ধের আগে যুক্তরাজ্য নিজেদের অস্ত্র সংরক্ষণের জন্য এক ধরনের গ্লিসারিন ইউজ করতো, যেটা আসতো জার্মানি থেকে।
কিন্তু যুদ্ধের সময় জার্মানি যুক্তরাজ্যের বিপক্ষে থাকায় গ্লিসারিন সরবরাহ বন্ধ করে দেয়।

তখন যুক্তরাজ্যকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসে চাইম ওয়াইজম্যান নামক একজন ইহুদী গবেষক ও ব্যবসায়ী। তিনি গ্লিসারিন এর বদলে এসিটোন দিয়ে অস্ত্র সংরক্ষণের পদ্ধতি শিখিয়ে দেন এবং যুদ্ধে প্রচুর অর্থ সহায়তা দেন।
তার এমন অভূতপূর্ব অবদানের জন্য যুদ্ধের পর যুক্তরাজ্য যখন তাকে পুরস্কৃত করতে চায়, তখন সে জানায় যে তার একমাত্র পুরস্কার হবে তাদের প্রমিজল্যান্ড মানে ফিলিস্তিনে তাদের বসবাসের সুযোগ করে দেয়া!
এখানে উল্লেখ্য, চাইম ছিলেন জিওনিজম আন্দোলনের একজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য।

ফিলিস্তিন তখন ছিল উসমানী সালতানাতের দখলে। প্রথম বিশ্বযুদ্ধে পরাজয়ের পর তুরস্কের ক্ষমতা একেবারে নিঃশেষ হয়ে যায়। সেই সুযোগে ধাপে ধাপে ইহুদী'রা ফিলিস্তিনে প্রবেশ করতে থাকে।
প্রথমে তারা ফিলিস্তিনিদের কাছে ঘর ভাড়া করে থাকতে শুরু করে, তারপর বেশি দামের লোভ দেখিয়ে সেগুলো কিনতে থাকে।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জার্মানি পরাজয়ের পর পুরো বিশ্বের ক্ষমতা ইউরোপের হাতে চলে যায়।
ইহুদীরা তখন স্থানীয় ফিলিস্তিনিদেরকে অত্যাচার-জোর-জবরদস্তি করা শুরু করলে ফিলিস্তিনিরা প্রতিবাদ করে।

তখনই ইউরোপ থেকে ঘোষণা আসে, পুরো ফিলিস্তিনের ৫৫ ভাগ থাকবে ফিলিস্তিনিদের দখলে আর বাকি ৪৫ ভাগ হবে ইহুদীদের।
৬লাখ ইহুদীর জন্য ৪৫% আর ১২কোটি ফিলিস্তিনির জন্য ৫৫% জায়গা!

জাতিসংঘ থেকে স্বীকৃতি পাওয়ার পর ইহুদীরা ইজরায়েল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করে।নবগঠিত এই রাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হয় চাইম ওয়াইজম্যান।

ইজরায়েল রাষ্ট্র গঠন হওয়ার ঠিক ৬ মিনিটের মধ্যে আমেরিকা তাদেরকে স্বীকৃতি দেয়!

আর এভাবেই যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যক্ষ মদদে তারা হযরত ইয়াকুব(আঃ) এর সাথে কেনানে আসা যাযাবর থেকে আজকে গাজাকে ধ্বংসকারী দানবে পরিণত হয়েছে!

আর বিশ্বের সকল মুসলিম রাষ্ট্রমপ্রধানেরা মুখে কুলুপ এঁটে চুপ করে বসে আছে, আর চোখে ঠুলি পরে সবকিছুকে না দেখার ভান করছেন!

Copy past.

🇵🇸

"খাবার রেডি, সবাই খেতে এসো"এই কথাটা কখনোই বলবেন না। বিশেষত নিজের সন্তানদের সামনে তো নয়ই।আপনার পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা ...
17/06/2025

"খাবার রেডি, সবাই খেতে এসো"
এই কথাটা কখনোই বলবেন না। বিশেষত নিজের সন্তানদের সামনে তো নয়ই।

আপনার পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা দাওয়াত খেতে আসেনি বাসায়, যে আপনি সব কিছু সাজিয়ে তাদের খেতে ডাকবেন।

খাবার টেবিলে রেডি করার সময় বাড়ির অন্যান্য সদস্যদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করুন।

একজন পানি ভরবে জগে, অন্যজন প্লেট আনবে, আরেকজন টেবিলে ভাত, তরকারী নিয়ে যাবে। সালাদ কাটার দায়িত্ব দিন অপর একজনের কাঁধে।

সদস্যসংখ্যা বেশি হলে একেকদিন একেকজনের পালা তৈরি করে দিন।

আপনার সন্তানদের এটা শেখাবেন না, যে, খাবার রেডি করে মুখের সামনে সাজানোর দায়িত্ব মায়ের আর তাদের দায়িত্ব শুধু খাওয়া।

শুধু তাই নয়, খাবার শেষে নিজের প্লেট ধুয়ে রাখতে শেখান।

সম্পূর্ণ কপি পোস্ট।।

15/06/2025

ইনসুলিন রেজিস্টেন্স — শয়তানের আধুনিক ফাঁদ, দেহের অপবিত্রতা আর আত্মার ভারী হওয়া…

আমরা আজকাল নতুন নতুন নাম শিখছি —
ডায়াবেটিস, ফ্যাটি লিভার, উচ্চ রক্তচাপ, থাইরয়েড, ইনফার্টিলিটি, হার্টের সমস্যা…
আসলে এসব অনেক রোগের পেছনে লুকিয়ে আছে একটা মূল কথা — ইনসুলিন রেজিস্টেন্স।

এই ইনসুলিন রেজিস্টেন্স কী?

এটা শুরু হয় আমাদের প্রতিদিনের অতিরিক্ত খাওয়া দিয়ে।
প্রসেসড খাবার, চিনিযুক্ত খাবার, মিষ্টি পানীয়, ময়দা, ফাস্টফুড — এসব খেতে খেতে দেহের ভেতরে আস্তে আস্তে চিনির বোঝা জমতে থাকে।

প্রতিটা কোষের ভেতরে বেশি বেশি ফ্যাট জমে জমে কোষ ক্লান্ত হয়ে পড়ে।
শরীর তখন ইনসুলিনের কথা শুনতে চায় না। ইনসুলিন তার কাজ ঠিকমত করতে পারে না।

এটাকে বলে — ইনসুলিন রেজিস্টেন্স।

👉 এভাবে দেহের ভেতর শুরু হয়:
• টক্সিন জমা
• স্নায়ু দুর্বলতা
• chronic inflammation (অন্তর্দাহ, প্রদাহ)
• হরমোনের গোলমাল
• রোগের মিছিল

✅ সমস্যা এখানেই শেষ না…
এই দেহের ভারী হওয়া আসলে আত্মার ওপরও প্রভাব ফেলে।
শরীর ক্লান্ত → নামাজে মন বসে না
মাথা ভার → কুরআন পড়তে ইচ্ছে করে না
অশান্ত মন → দোয়া করতেও অলসতা লাগে।

কিন্তু আল্লাহ আমাদের আগেই বলে দিয়েছেন:

وَكُلُوا وَاشْرَبُوا وَلَا تُسْرِفُوا
“তোমরা খাও, পান কর, কিন্তু সীমালঙ্ঘন করোনা।”
(সূরা আরাফ ৩১)

✅ আমাদের রাসূল ﷺ-ও বারবার বুঝিয়েছেন:

“কেউ তার পেটের চেয়ে নিকৃষ্ট কোনো পাত্র ভর্তি করে না। সামান্য কয়েক লোকমা আদম সন্তানের জন্য যথেষ্ট।”
(তিরমিজি)

এই সীমালঙ্ঘনটাই আসলে শয়তানের ফাঁদ।
শয়তান চায় আমরা লোভ করি, বেশি খাই, শরীর ভারী হই, যেন ইবাদতে অলসতা আসে।

কিন্তু আল্লাহর রাস্তা খুব সুন্দর:
• রোজা → কোষ থেকে টক্সিন বের করে
• হালাল-পরিমিত খাবার → কোষের ভার লাঘব করে
• হাঁটা → রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়
• ঘুম → শরীর রিপেয়ার করে
• প্রশান্তি → কর্টিসল কমিয়ে আত্মা শান্ত করে

এই হলো প্রকৃত “কোষের পবিত্রতা”।

✅ দেহ পবিত্র → আত্মা হালকা
✅ আত্মা হালকা → ইবাদতে মজা
✅ ইবাদত মিষ্টি → দোয়া কবুল

💡 আজ নিজেকে প্রশ্ন করি:
আমি কি শুধু খাবারের স্বাদ নিচ্ছি?
নাকি আল্লাহর ইবাদতের স্বাদ খুঁজছি?

🌸 যারা নিজের কোষকে পবিত্র রাখে, তারা দুনিয়া ও আখিরাতে সফল।
©

ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।মো: ঝন্টু আলীসাবেক শিক্ষার্থী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। প্রাণ রসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞা...
14/06/2025

ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।

মো: ঝন্টু আলী
সাবেক শিক্ষার্থী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
প্রাণ রসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের ১৩-১৪ সেশনের মেধাবী শিক্ষার্থী।

কর্মকাল:
১/বেপজার পরীক্ষায় মেধা তালিকায় প্রথম হয়ে সহকারী সচিব।
২/ সহকারী পুলিশ সুপার, ৪০তম বিসিএস।
৩/ সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, রংপুর, ৪১তম বিসিএস।

ছোট্ট এই জীবনে কত অর্জন। ক্যান্সার আক্রান্ত হয়ে অনেক কষ্ট সহ্য করে ভারতের হায়দ্রাবাদে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ ভারতীয় সময় রাত ১১:৩০ মিনিটে মারা গেছে।
মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন তাকে জান্নাতুল ফেরদৌস দান করুন। সবাই ওর জন্য দোয়া করবেন।

জীবন নিয়ে অভিযোগ করে কোন লাভ নেই। যার জন্য যতটুকু বরাদ্দ এর বেশি কিছুই হবে না। সবকিছু অনিশ্চিত হলেও একমাত্র মৃত্যুই নিশ্চিত।

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন কুরআনে ইরশাদ করেন-
كُلُّ نَفْسٍ ذَآىِٕقَةُ الْمَوْتِ ؕ (সূরা আল-ইমরান, ১৮৫)
"প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে"।

"জীবন হলো মৃত্যুর কাছ থেকে চেয়ে নেওয়া কিছু সময় মাএ"

মৃত্যু ছাড়া মানুষের একান্ত নিজের কিছু নেই,
জীবন অন্যরা ভাগ করে নেয়—খুব প্রকাশ্যেই।
©

07/06/2025

একটি শোক সংবাদ
হাফিজপুর কোনাপাড়া নিবাসী
প্রিয় ভাই টাইলস্ মিস্ত্রী আবু তাহের , Kalam Afrat এর পিতা মো: আ:রাশিদ আজ ১২:৩০ ইন্তেকাল করিয়াছেন।
ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
আল্লাহ তাআ'লা যেন উনাকে জান্নাতুল ফেরদৌসের মালিক হিসাবে কবুল করেন।

03/06/2025

সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন বৃদ্ধিঃ বাস্তবতা ও বিভ্রান্তি :-

সম্প্রতি সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন বাড়ানো হয়েছে,এমন শিরোনামে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচার-প্রচারণা চলছে। কিন্তু এই প্রচারণার পেছনের প্রকৃত চিত্র অনেক সময় স্পষ্টভাবে তুলে ধরা হয় না, যার ফলে সাধারণ মানুষের মাঝে বিভ্রান্তি তৈরি হচ্ছে।

উদাহরণস্বরূপ, ২০তম গ্রেডের একজন সরকারি কর্মচারীর পূর্বের মূল বেতন ছিল ৮,২৫০ টাকা। আগে তিনি ৫% হারে ১,০০০ টাকা বিশেষ ভাতা পেতেন। বর্তমান বর্ধিত হারে ১৫% অনুযায়ী এই বিশেষ ভাতা হবে ৮,২৫০ × ১৫% = ১,২৩৭.৫০ টাকা। অর্থাৎ, বিশেষ ভাতা বাবদ তার মোট বেতন বাড়ছে মাত্র ২৩৭.৫০ টাকা।

এই সামান্য বেতন বৃদ্ধি বাস্তবে কর্মচারীদের জীবনমানের ওপর খুব একটা প্রভাব ফেলে না। কিন্তু কিছু গণমাধ্যম যখন অতিরঞ্জিত বা বিভ্রান্তিকর শিরোনাম ব্যবহার করে "বেতন ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে" বলে প্রচার করে, তখন সাধারণ মানুষের মধ্যে ভুল ধারণা জন্ম নেয়। এর ফলে বাজারে দ্রব্যমূল্য অকারণে বাড়ার প্রবণতা দেখা দিতে পারে।

তাই গণমাধ্যমের দায়িত্বশীল ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তারা যদি বেতন বৃদ্ধির তথ্য সুনির্দিষ্টভাবে তুলে ধরে,যেমন কোন গ্রেডে কত টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে, তা বিশ্লেষণ করে উপস্থাপন করে,তবে অনেক বিভ্রান্তি দূর হবে এবং জনসচেতনতাও বাড়বে।

সরকারি চাকরিজীবীদের প্রকৃত বেতন বৃদ্ধির চিত্র তুলে ধরতে স্বচ্ছতা ও বাস্তবতার প্রতিফলন থাকা উচিত,তবেই সঠিক অর্থে জনগণ উপকৃত হবে।
©

03/06/2025

বিশেষ সুবিধার বিষয়ে সাংগঠনিক #বিবৃতি
****অনতিবিলম্বে পে কমিশন গঠন চাই***

বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারি দাবী আদায় ঐক্য পরিষদের প্রত্যাশা ছিল ৯ম পে-স্কেল প্রদানের জন্য পে-কমিশন গঠন করে দেয়া এবং অন্তর্বর্তীকালের জন্য ৫০ ভাগ মহার্ঘ ভাতা। যা বেসিকের সাথে যোগ হবে। কিন্তু পেলাম বেসিকের ১০-১৫ ভাগ। তাছাড়া পূর্বের সরকারের দেয়া বিশেষ ভাতা প্রত্যাহার করায় ২০তম গ্রেডের কর্মচারীদের বেতন বৃদ্ধি পেয়েছে মাত্র ২৩৭.৫০ টাকা। কর্মচারীদের এ বৃদ্ধি কতটুকু কল্যাণকর হবে প্রধান উপদেষ্টা মহোদয় বিষয়টি গুরুত্বের সাথে অনুধাবন করবেন। কারণ, আপনি একদিকে প্রধান উপদেষ্টা অপরদিকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বের জন্য কর্মচারীদের অবিভাবকও বটে। এই লজ্জাস্কর বেতন বৃদ্ধি আমরা চাইনি। বিগত সরকার ছিল স্বৈরাশাসক, আর আপনি বৈষম্য বিরোধী সরকার। বিগত সরকার যেভাবে বেতন বৃদ্ধি করেছিলেন। ঠিক সেভাবেই বেতন বৃদ্ধি করা হয়েছে। এ বিষয়ে কর্মচারীদের কোন সংগঠনের মতামত জানার প্রয়োজনীয়তা বর্তমান সরকার মনে না করায় এ ঘটনা ঘটেছে। যা কর্মচারীদের মনে কষ্টের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমি উক্ত সংগঠনের মূখ্য সমন্বয়ক হিসেবে এ আদেশ বাতিল করে ৯ম পে-স্কলের জন্য পে-কমিশনের গঠন করার অনুরোধ করছি।

মোঃ ওয়ারেছ আলী
মূখ্য সমন্বয়ক
বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী দাবি আদায় ঐক্য পরিষদ
Chief Adviser GOB
©

একটি শোক সংবাদ।।হাফিজপুর উত্তরপাড়া নিবাসী  মোহাম্মদ আবেদ আলী মেলেটারি আজ বিকেল ৫:৩০ মিনিটে উনার নিজ বাড়িতে ইন্তেকাল কর...
02/06/2025

একটি শোক সংবাদ।।

হাফিজপুর উত্তরপাড়া নিবাসী মোহাম্মদ আবেদ আলী মেলেটারি আজ বিকেল ৫:৩০ মিনিটে উনার নিজ বাড়িতে ইন্তেকাল করিয়াছেন, ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।

28/05/2025

সরকারি চাকুরিজীবিরা যদি সরকারের আদেশ অমান্য করে বা দুর্নীতি করে বা কাজে অবহেলা করে তাহলে বিদ্যমান আইন ও বিধিমালা অনুসারেই শাস্তি দেওয়া সম্ভব। তাহলে কি কারণে নতুন করে 'অনানুগত্য' বা 'ইনসাবোর্ডিনেশন'- এর মতো অসংজ্ঞায়িত ও বায়বীয় বিষয়ে শাস্তির বিধান রেখে নতুন অধ্যাদেশ জারি করতে হলো এটা একটা রহস্য।

সরকার গঠিত জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের সুপারিশে সরকারি কর্মচারিদের অনিয়ম, দুর্নীতি, অবহেলা দূর করতে অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশ করা হয়েছে কিন্তু সেখানেও অনানুগত্যের জন্য চাকুরি থেকে অপসারণের কোন আইন করবার সুপারিশ আমার চোখে পড়েনি।

সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা ২০১৮ অনুসারে যেসব কারণে সরকারি চাকুরিজীবিদের সাময়িক বহিস্কার থেকে শুরু করে চাকুরি থেকে বরখাস্ত করবার মতো গুরুতর শাস্তি দেওয়া যায়, তার মধ্যে 'অসদাচরণ' অন্যতম।

এই বিধিমালাতে 'অসদাচরণ বলতে কি বোঝায় সেটাও স্পষ্ট ব্যাখ্যা করা হয়েছে। অসদাচরণ হলো:

১) ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার আইনসংগত আদেশ অমান্য,
২) কর্তব্যে অবহেলা
৩) আইনসংগত কারণ ব্যতিরেকে সরকারের আদেশ, পরিপত্র, নির্দেশ অবজ্ঞা
৪) কর্তৃপক্ষের কাছে কোনো সরকারি কর্মচারীর বিরুদ্ধে অসংগত, ভিত্তিহীন, হয়রানিমূলক, মিথ্যা অথবা তুচ্ছ অভিযোগ দাখিল
৫) অন্য কোনো আইনে বা বিধি-বিধানে যেসব কাজ অসদাচরণ হিসেবে গণ্য তেমন কাজ করা।

খেয়াল করে দেখেন, এখানে উর্ধতন কর্মকর্তার যে কোন আদেশ অমান্যকে শাস্তিযোগ্য করা হয়নি, আইনসংগত আদেশ অমান্যর কথা বলা হয়েছে।

কিন্তু নতুন অধ্যাদেশে অনানুগত্যকে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে কিন্তু "অনানুগত্য" বলতে কি বোঝায় এবং কার প্রতি অনানুগত্য(সরকার, রাষ্ট্র নাকি উর্ধ্বতন কর্মকর্তা) কোন কিছুই বলা হয়নি।

আগের বিধিমালায় যেমন আইনসংগত আদেশ অমান্যর কথা বলা আছে, নতুন অধ্যাদেশে এরকম কোন শর্তের উপস্থিতি নেই। ফলে অনানুগত্যের মতো অসংজ্ঞায়িত বিধান ব্যবহার করে সরকার বা সরকারের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা অধস্তন কর্মকর্তাকে যে কোন কিছু করতে বাধ্য করার সুযোগ তৈরী হবে। এবং সরকারি কর্মকর্তাদের দিক থেকেও যে কোন গুরুতর অন্যায় করবার অযুহাত হিসেবে এই অনানুগত্যের বিধান ব্যবহার করবার সুযোগ তৈরী হবে। সরকারি কর্মকর্তারা ভোট জালিয়াতির কাজে সহায়তা করলেও আপনি তাদেরকে দোষ দিতে পারবেন না, তারা আনুগত্যের বিধানকে অযুহাত হিসেবে ব্যবহার করবে। কিন্তু বিদ্যমান অসদাচরণের বিধানে আইনসংগত আদেশের কথা বলা থাকায়, ভোট জালিয়াতির মত বেআইনি কাজে অংশগ্রহণের পক্ষে কোন অযুহাত দেওয়া সম্ভব নয়।

নতুন অধ্যাদেশের আরেকটা যে বিষয় সমস্যাজনক মনে হয়েছে, তা হলো শাস্তি দেওয়ার প্রক্রিয়া।

আগের বিধিমালায় শাস্তি দেওয়ার ধাপগুলো ছিল এরকম:

অভিযোগ গঠন > কারণ দর্শানোর নোটিশ > জবাব দাখিল > শুনানি> তদন্ত কমিটি গঠন > তদন্তের ফলাফল নিয়ে কারণ দর্শানোর নোটিশ > সরকারি কর্মকমিশনে পরামর্শের জন্য পাঠানো > শাস্তির সিদ্ধান্ত

নতুন বিধিমালায় শাস্তি দেওয়ার ধাপগুলো এরকম:

অভিযোগ গঠন > কারণ দর্শানোর নোটিশ > জবাব দাখিল > শুনানি> শুনানির উপর ভিত্তি করে কারণ দর্শানোর নোটিশ > শাস্তির সিদ্ধান্ত

খেয়াল করবার বিষয় হলো, এখানে তদন্তের কোন বিধান রাখা হয়নি এবং সরকারি কর্মকমিশনে পাঠানোরও কোন ব্যবস্থা রাখা হয়নি। দীর্ঘসূত্রিতা দূর করতে সরকারি কর্মকমিশনে পাঠানোর ব্যবস্থাটি বাদ দেওয়া যেতে পারে কিন্তু তদন্ত করবার বিধান বাদ দেওয়াটা মনে হয় ঠিক হয়নি। কারণ কোন বিভাগের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ কাউকে রাজনৈতিক কারণ বা শত্রুতা বশত বাদ দিতে চাইলে নিরপেক্ষ তদন্ত ছাড়াই কাউকে চাকুরি থেকে বহিস্কার করতে পারবে। কর্তৃপক্ষ আগে থেকেই সিদ্ধান্ত নিয়ে রাখলে অভিযুক্তের পক্ষ থেকে যত যৌক্তিক কারণই দেখানো হোক না কেন, শাস্তি দিতে কোন সমস্যা হবে না। কিন্তু তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে তদন্তের ব্যবস্থা থাকলে অন্যায় সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা কঠিন হতো।

প্রয়োজনে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা ২০১৮ সংশোধন করে শাস্তির দীর্ঘসূত্রিতা কমানোর জন্য কারণ দর্শানোর নোটিশ, জবাব, শুনানি, তদন্তের সময় এগুলো আরো সুনির্দিষ্ট ও কম সময়ে করবার বিধান করা যেতে পারে। কিন্তু এসব প্রক্রিয়াগত সুরক্ষা তুলে দিয়ে অনানুগত্যর মতো অসংজ্ঞায়িত আচরণের শাস্তির বিধান রাখা বোধহয় ঠিক হবে না।
©

Address

VILL+POST/HAFIZPUR, MONOHARDI, NARSINGDI
Monohardia
1652

Telephone

+8801518928795

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when মোঃ শফিকুল ইসলাম Md. Shafiqul Islam posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to মোঃ শফিকুল ইসলাম Md. Shafiqul Islam:

Share