
23/01/2025
🌹🌹 ছবিতে :~ ভুতপূর্ব #কাঞ্চি_শঙ্করাচার্য্য স্বামী #জয়েন্দ্র_সরস্বতী ও গৌড়ীয়বৈষ্ণবাচার্য্য নিত্যানন্দবংশজ প্রভুপাদ প্রাণকিশোর গোস্বামী।।🌹🌹
#প্রভুপাদ_প্রাণকিশোর_গোস্বামী গৌড়ীয় গগনের অন্যতম এক উজ্জ্বল নক্ষত্র ছিলেন। মহান পণ্ডিত, ঐতিহাসিক তথা গবেষক ছিলেন।
অগণিত গ্রন্থ প্রণয়ন,পর্যালোচনা এবং অশেষবিশেষভাবে তিনি গৌড়ীয় বৈষ্ণব ভাবাদর্শ প্রচারে অবদান রেখেছেন।
------এক নজরে প্রভুপাদ------
শুভ_নাম----প্রভুপাদ প্রাণকিশোর গোস্বামী।
বংশ_পরিচয়------দ্বাদশতম শ্রীনিত্যানন্দ বংশাত্মজ।
আবির্ভাব------১৩০৬ বঙ্গাব্দ ১৪ই অগ্রহায়ণ, বুধবার কৃষ্ণা একাদশী (ইং-২৭শে নভেঃ ১৮৯৯খ্রীঃ)।
আবির্ভাব_স্থান-----বড় গোঁসাইবাড়ী, ঢাকা নবাবপুর, বাংলাদেশ।
পিতা------শ্রীগৌরকিশোর গোস্বামী।
মাতা------শ্রীমতী সুশীলা গোস্বামী (ভট্টাচার্য্য)
শিক্ষা------৬ বৎসর বয়সে (১৯০৬) ঢাকা উকীল ইন্সটিটিউট বিদ্যালয়ে শিক্ষারম্ভ, ১৭ বর্ষে (১৯১৭) প্রথমবিভাগে মাধ্যমিক পাশ, ১৯ বর্ষে (১৯৭৯) ঢাকা জগন্নাথ কলেজ হইতে প্রথম বিভাগে আই. এ. পাশ, ২২ বর্ষে (১৯২২) প্রথম বিভাগে বি. এ. পাশ (সংস্কৃতে স্নাতক) ২৩ বর্ষে (১৯২৫) প্রথম বিভাগে ২য় স্থান নিয়া এম. এ. পাশ।
দীক্ষা------অধ্যয়নকালে ১৩২৪ বঙ্গাব্দে প্রভুপাদ অতুলকৃষ্ণ গোস্বামীর নিকট দীক্ষাগ্রহণ।
কর্মজীবন-----ফরিদপুর জিলাস্কুলে শিক্ষকতা, অধরচন্দ্র উচ্চবিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক, ঢাকা কলেজিয়েট স্কুলে সংস্কৃতে প্রধান শিক্ষক, ঢাকা ইম্পিরিয়াল সলিমুল্লা কলেজে অধ্যাপক, বঙ্গ ও আসাম সংস্কৃত বোর্ড ও ঢাকা সারস্বত সমাজের পরীক্ষক। কাশিমবাজার ভাগবত বিদ্যালয়ে আচার্য্য। ১৯২০খ্রীঃ অসহযোগ ও ১৯৩০খ্রীঃ আইন অমান্য আন্দোলন, ১৯৪২খ্রীঃ ভারতছাড় আন্দোলনে কারাবরণ।
গ্রন্থরচনা-----সোনার গৌরাঙ্গ, সঙ্কর্ষণ, ভারতবর্ষ, প্রাণগৌর, উজ্জীবন, কল্যাণ, তথা আনন্দবাজার, যুগান্তর, প্রতিদিন, East Bengal Times ইত্যাদি। তদতিরিক্ত বাঙলা, হিন্দী, ইংরাজীতে অসংখ্য প্রবন্ধ, বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় উভয় প্রকাশিত হয়।
বিশেষ_কৃতিত্ব------নবদ্বীপ নদীয়া ধর্মসভা কর্তৃক 'বিদ্যাভূষণ সাহিত্যরত্ন' উপাধি লাভ (১৯২৬)। নিখিল ভারত বৈষ্ণব সম্মিলনীর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। গীতা, ভাগবত ও চৈতন্য চরিতামৃত জয়ন্তী মহোৎসব প্রবর্তন (১৯৩৫-৫৩)। কলিকাতা বেতার কেন্দ্রের নিয়মিত ধর্মালোচক (১৯৫২)। নতুন দিল্লীতে অনুষ্ঠিত বিশ্বধর্ম সম্মেলনে গৌড়ীয় বৈষ্ণব ধর্মের প্রতিনিধিত্ব (১৯৫৭)। সঙ্কর্ষণ (১৯৫০), প্রাণগৌর (১৯৫৫), জয়গৌর (১৯৭১), শ্রীগৌরাঙ্গ (১৯৭৪) পত্রিকা প্রকাশ। নিখিলবঙ্গ সংস্কৃত সেবা সমিতির মহা সম্মেলনে প্রধান অতিথি (১৯৭৪)। শিলিগুড়ি বেতার কেন্দ্রের বৈষ্ণবধর্ম ও দর্শন বিষয়ে ভাষণ (১৯৭৫)। জ্যোতিষ সম্মেলনে অ্যাস্ট্রলজিক্যাল ও অ্যাস্ট্রনমিক্যাল সোসাইটি কর্তৃক সম্বর্দ্ধনা (১৯৭৯)। বঙ্গ বিহার উড়িষ্যা আসাম উত্তর প্রদেশাদি ভারতের বিভিন্নস্থানে ভাগবত সমাজ মন্দির হরিসভাদি স্থাপন।
তিরোভাব----১৩৮৬ বঙ্গাব্দে ৩রা ফাল্গুন, (ইং ১৯৮০, ১৬ই ফেব্রুঃ) অমাবস্যা, শনিবার, মধ্যাহ্ন-০১:০৫ মিঃ, (৮০ বৎসর বয়সে)
সংগ্রহে: Soumya Sudarshan