05/04/2025
বিমসটেকের সভাপতি হলেন ডক্টর ইউনূস। বিমসটেক জিনিসটা কী?
বঙ্গোপসাগর ঘিরে যে অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলো আছে, এগুলার একটা জোট।
এইখানে বাংলাদেশ, নেপাল, ভারত, ভুটান, মায়ানমার, শ্রীলঙ্কা আর থাইল্যান্ড আছে।
প্রফেসর সাহেব এইটা নিয়ে হোমওয়ার্ক করেই বলেছিলেন, যে এই অঞ্চলে সমুদ্রের অভিভাবক আমরাই।
(সভাপতি বাংলাদেশই হয়েছে। কারণ বিমসটেকের সভাপতি ব্যক্তি না, হয় হলো দেশ। তবে যেহেতু এখন বাংলাদেশের ক্ষমতায় আছে ইউসুফ সরকার, সো, ইউসুফই আসলে সভাপতি হলো)
জাস্ট এই অঞ্চলটা অর্থনৈতিকভাবে যদি একসাথে কাজ করতো,মুঘল আমলের মতো প্রাচুর্য পাওয়া সম্ভব হতো। আমাদের সমুদ্র বন্দর ইউজ করতে পারলে সেভেন সিস্টার্সের ভাগ্যও বদলে যাইতে পারে।
খুব সম্ভবত মোদির সাথে ইউনূসের একটা বৈঠকও হতে যাইতেছে।
এই বৈঠকে অর্থনৈতিক সহযোগিতার ব্যাপারটা আসা উচিত। যেমন ধরেন শুধু আমাদের দেশের জন্য ইউজ করলে কর্ণফূলী টানেল থেকে সারাজীবনেও খরচের টাকা উইঠা আসবে না।
অথচ ভারতকে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে ভাড়া দিলে ঐখান থেকে টাকা আনা সম্ভব।
হাসিনা ঐটা বানাইছিলো ফ্রি বা নামমাত্র মূল্যে সেবা দেওয়ার জন্য। আর সময় সুযোগ মতো নিরাপত্তার নাম করে নিজেদের সেনা ঢোকানোর তালে তো ছিলোই।
এইখানে এখন আমাদের উচিত, বেশি ফি ধরে, আমাদের জন্য লাভজনক চুক্তি করে ঐটা কাজে লাগানো।
জিয়াউর রহমান এই অঞ্চল নিয়ে একটা অর্থনৈতিক জোনের স্বপ্ন দেখতেন। ঐখান থেকেই সার্ক এসেছিলো। ভারত দাদাগিরি করার জন্য সার্ককে এক্টিভ হতে দেয় নাই। জিয়াউর রহমান তো সময়ই পান নাই।
প্রফেসর ইউনুসের সামনে বিমসটেক একটা ভালো সুযোগ হতে পারে। না,ভারত যতদিন আছে ততদিন ইইউ টাইপের কিছু করা সম্ভব না। তবে কিছু বাণিজ্যিক করিডোর তৈরি করা সম্ভব।
যতই বলি,ইউনূস রাজনীতির চে অর্থনীতিই ভালো বুঝবেন। উনার ইনোভেশন দেখানোর একটা সুযোগ চলে আসছে সামনে।
এইটা ঠিকঠাক কাজে লাগাতে পারলে বাংলাদেশের অর্থনীতিরে একটা বিরাট বুস্ট দেওয়া সম্ভব হবে ইনশাআল্লাহ।
প্রফেসর সাহেবের জন্য অনেক অনেক শুভকামনা।
সেদিন উনি চীনে অত্যন্ত জোর দিয়ে বলেছিলেন, আমরাই এই অঞ্চলে সমুদ্রের একমাত্র অভিভাবক। আশা করি, কাজের মাধ্যমে উনি উনার এই কথাটা প্রমাণ করবেন।
এবং সত্যি সত্যিই বাংলাদেশকে এই অঞ্চলের সমুদ্রের অভিভাবক হিসেবে জায়গা করে দেবেন।
- সাদিকুর রহমান খান
জান্নাতের একমাত্র চুড়ান্ত রাস্তা Journalist/Reporter & Literary man Live - উদ্যোক্তা টিভি অনলাইনUtv Live - উদ্যোক্তা টিভি অনলাইন